কোমর বেঁধে ভোট যুদ্ধে মাঠে নেমেছেন শ্যামপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী প্রার্থীরা

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেহেরপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে সংরক্ষিত নারী প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন ভোট যুদ্ধে।
ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নারী প্রাথীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে ঘুরছেন নির্বাচনী এলাকায়।

সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মোট ১২ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। এদের মধ্যে ১,২,৩ ওয়ার্ডে ৪ জন, ৪,৫,৬ ওয়ার্ডে ৩ জন, ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থীসহ ১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

২ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য সোনিয়া আক্তার তালগাছ প্রতিকে লড়ছেন ভোট যুদ্ধে। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে জেতার জন্যই দাড়িয়েছি। এলাকার আমার অবস্থান খুব ভাল। যেখানেই যাচ্ছি ভোটাররা ভাল সাড়া দিচ্ছেন। এলাকার নারী ভোটারদের কল্যাণে কাজ করে তাদের মন জয় করবো আমি।

সোনিয়া খাতুন আরও বলেন এই প্রথম শ্যামপুর ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। এখানে ভোটারদের একটা প্রত্যাশাও আছে জনপ্রতিনিধির কাছে। আমি নির্বাচিত হলে জনগণের সেই প্রত্যাশা পুরুণ করবো। তিনি বলেন, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দারে দারে ভোট প্রার্থনায় ঘুরছি। তার সাথে কর্মী হিসেবে রয়েছেন বসন্তপুর গ্রামের নারী ভোটার রাহাতন নেছা, জহুরা খাতুন, চম্পা খাতুন ও তাসলিমা খাতুন। তারা বলেছেন, আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে তার সাথেই ভোট করে বেড়াচ্ছি।

১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী আসমা খাতুন এবার বক মার্কা প্রতিকে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। তিনি জানান, দিন রাত পরিশ্রম করছি। মানুষের দোয়ারে দোয়ারে ভোট চাচ্ছি। আমার অবস্থান ভাল। এলাকার নারী পুরুষ সবাই আমাকে আশ্বস্ত করেছেন ভোট দেবেন। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন ও বয়স্কা, বিধবা নারীদের ভাতা পেতে সহযোগীতা ছাড়াও তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।

একই ওয়ার্ডের রুপালী খাতুন ভোট যুদ্ধে নেমেছেন তালগাছ প্রতিক নিয়ে। তিনি জানালেন, এলাকার মানুষের কাছে আমি জনপ্রিয়। আমাকে এলাকার মানুষই দাড় করিয়েছেন। আমি নির্বাচিত হলে তাদের পাশে থেকে কাজ করবো।

৩ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য প্রার্থী আরিফা খাতুন (মাইক প্রতিক) ও মাজেদা খাতুন (জিরাফ প্রতিকে) ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। তারা দুজনেই বলেছেন, এবারের ভোট একটি মাইল ফলক হিসেবে থাকবে আমাদের ইউনিয়নে। কারণ, শ্যামপুর নবগঠিত একটি ইউনিয়ন।মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে কৌতুহল রয়েছে। তারা যোগ্য দেখেই ভোট দেবেন। আমরা নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো। বিশেষ করে নারীদের পাশে থেকে তাদের সেবা করবো।