সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জীবন আকবর (৩০) কে গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ।
আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) দুপুরে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম উপজেলা পরিষদ চত্তরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জীবন আকবর গাংনী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড শিশিরপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের গাংনী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়ের করা মামলার এজাহার নামীয় তিন নম্বর আসামি তিনি। গাংনী থানার মামলা নং ১১, তারিখ ১১/০৮/২৪, ধারা সন্ত্রাস দমণ আইনের ৬(২)/৭(৫)/৭(৬) (ক)/ ৭(৬) খ/১০/১১/১২/১৪ ইং।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত বছরের ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্তরে মোমবাতি প্রজ্জলন করতে যায়। এসময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী গাংনী পৌর এলাকার চৌগাছা গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য জুলফিকার আলির ছেলে রেজানুল হক ইমন বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা তন্ময়কে এক নম্বর, গাংনী উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেনকে ২ নং জীবন আকবরকে তিন নম্বর আসামি করে ৩৭ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আহম্মেদ আলী, আশরাফুল ইসলাম, রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু, বামন্দী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কোমল, যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম, ছাত্র লীগের গাংনী উপজেলা শাখার সম্পাদক অনিক আহমেদ।
মামলার আইও গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অঙ্কুশ কুমার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্তরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি জীবন আকবরকে আদালতে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।