হোস্টিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক। গত বছরের এপ্রিলে বাইডেন সরকার প্রণীত নতুন আইন অনুযায়ী আমেরিকার বাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত হতে পারে প্ল্যাটফর্মটি।
টিকে থাকতে হলে আগামী ৯ মাসের মধ্যে বাইডেন সরকার অনুমোদিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে টিকটকের মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে বর্তমান মালিক চীনের বাইটড্যান্সকে। নতুন এই আইন দেশটির সংবিধান পরিপন্থী উল্লেখ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন টিকটকের আইনজীবীরা।
টিকটক নিষিদ্ধ করার পেছনে আমেরিকা সরকারের মূল দাবি হচ্ছে দেশটির জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য প্ল্যাটফর্মটির মালিক বাইটড্যান্সের কাছ থেকে চীন সরকারের কাছে বেহাত হয়ে যেতে পারে। ফলে বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক দেশটির জাতীয় সুরক্ষার জন্য হুমকি স্বরূপ বলে মনে করছেন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা।
যদিও মার্কিন সরকার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছে বাইটড্যান্সকে। প্রসঙ্গত, ১৭ কোটিরও বেশি মার্কিন নাগরিক বর্তমানে টিকটক ব্যবহার করেন। বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারকারী সংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি।
এপ্রিলে বাইডেন সরকার নতুন আইন প্রণয়নের পর গত মে মাসে আইনটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে বাইটড্যান্স। মামলার আর্জিতে দাবি করা হয় আমেরিকা সরকার কোনো প্রকার প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও টিকটকের মালিকানার বিষয়টিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখাতে চাইছে যাতে করে সংবিধানের প্রথম সংশোধনীকে এড়িয়ে যাওয়া যায়। উল্লেখ্য, আমেরিকার সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে বাস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো আরো কিছু বিষয়কে জনগণের অধিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সরকারের নতুন আইনটিকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ উল্লেখ করে বাইটড্যান্স আদালতে আরো জানায়, টিকটকের মালিকানা নিয়ন্ত্রণ করার উপায় হিসেবে সরকার উক্ত আইনটিকে উপস্থাপন করেছে।
টিকটকের মালিকানায় সরকারের এই হস্তক্ষেপকে অনেকেই বাইডেন সরকারের কর্তৃত্ববাদী আচরণ হিসেবে দেখছে। অনেকেই নতুন আইনটিকে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেও গণ্য করছে।
সূত্র: ইত্তেফাক