চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরুজ ক্লাবের পাশে ভোররাতে বিকট শব্দে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা। এতে আতঙ্কে ঘুম ভাঙে এলাকাবাসীর। এছাড়া, ঘটনাস্থলে আরও একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে, যা নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কেরুজ জেনারেল অফিসের অদূরে ক্লাবের পাশে একদল দুর্বৃত্ত লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বিকট শব্দ শুনে এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং শব্দের উৎস জানতে পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সকালে স্থানীয়রা কেরুজ ক্লাবের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে লাল কসটেপে মোড়ানো আরেকটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান দামুড়হুদা সার্কেলের এএসপি জাকিয়া সুলতানা এবং দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের হুমায়ন আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এএসপি জাকিয়া সুলতানা বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে লাল কসটেপ মোড়ানো একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে এটি সত্যিকারের বোমা কিনা, তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে। রাজশাহীর বোম্ব ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে।”
দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কেরুজ ক্লাব এলাকা লাল ফিতা দিয়ে ঘিরে রেখেছি এবং পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য রাজশাহী র্যাবকে খবর দেওয়া হয়েছে, তারা এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
এ বিষয়ে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির প্রশাসনিক কর্মকর্তা এডিএম গালিব হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, “কেরুজ ক্লাবের পাশে লাল কসটেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে। তবে এটি সত্যিকারের বোমা কিনা, তা বোম্ব ডিসপোজাল টিম পরীক্ষা করে নিশ্চিত করবে।”
ঘটনাটি নিয়ে কেরুজ চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।