চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৩টি শক্তিশালী বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বেশ ভাবিয়ে তুলছে দর্শনাবাসিকে। দর্শনায় ভোর রাতে বিকট শব্দে বোমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত।
দুটি গ্রামে পৃথক স্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় লাল কসটেপ ও কালো কসটেপ মোড়ানো সাদা পলিথিনের মধ্যে পাওয়া গেছে ৬টি বোমা। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ও সকালে এ বোমাগুলো পাওয়া যায়। এ শক্তিশালী বোমাগুলো ঘিরে রেখেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এতে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দর্শনা সহ দুটি গ্রামের মানুষের মধ্যে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দল।
জানাযায়, বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা পৌরসভাধীন ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে গ্রামের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে দিক-বিদিক ছুটাছুটি শুরু করে।
ভোর রাতে গ্রামের বড় মসজিদপাড়ার মৃত আনছার আলীর ছেলে রুবেল হোসেনের বসত ঘরের পিছনে এ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় লোকজন পরিত্যক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে রাস্তার উপরে দুটি বোমা রেখে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দর্শনা থানার আকন্দবাড়িয়া মাঝপাড়ার মৃত নুরুুল ইসলাম মাস্টারের বাঁশঝাড়ের নিচে ৪টি বোমা পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার সার্কেল এএসপি ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শহীদ তিতুমীর। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনীর একটি টিম। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখে কালো ও লাল কসটেপ মোড়ানো ৪টি বোমা পড়ে আছে। এ ঘটনায় গোটা দর্শনা জুড়ে বিরাজ করছে বোমা আতঙ্ক।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কেরুজ চত্বরে ভোরে ১টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। পরে সকাল ১১টায় ১টি লাল কসটেপ মোড়ানো বোমা উদ্ধার করে বিস্ফোরণ ঘটায় বোমা ডিসপোজাল টিম রাজশাহীর র্যাব ৫ একটি দল। তারপর ১৫ ফেব্রুয়ারি কেরুজ চত্বরের পুকুরের ভিতর কালো কসটেপ মোড়ানো আরও ১টি বোমা উদ্ধার করে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দর্শনা কেরুজ চত্বরে যৌথ চিরনী অভিযানে আরও ৪টি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে। এ বোমাগুলো ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরের দিন বিকাল ৪টায় যশোর সেনাবাহিনীর বোমা ডিসপোজাল একটি টিম বোমাগুলো বিকট শব্দে নিষ্ক্রীয় করে। গত ৪ দিনের মাথায় আবারও ১ বোমা বিস্ফোরণ ও ৬টি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় দর্শনাবাসিকে বেশ ভাবিয়ে তুলছে।
এ বিষয়ে এএসপি জাকিয়া সুলতানা বলেন, “আমরা বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। তবে যে কোন সময় আমরা অপরাধীকে ধরে ফেলব।” এদিকে বোমাগুলো ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।