সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী সানিয়া মালহোত্রার সিনেমা ‘মিসেস’ মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটিতে তুলে ধরা হয়েছে এক নারীর শ্বশুরবাড়ির জীবনযাপন। নিজের স্বপ্ন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিসর্জন দিয়ে শ্বশুরবাড়ির সেবায় মন দিতে হয় ওই নারীকে।
সম্পর্ক করে বিয়ের পর একান্নবর্তী পরিবারে গিয়ে পুরুষতন্ত্রের শিকার হয় সানিয়ার অভিনীত চরিত্র ‘রিচা’। ছবির প্রশংসায় মেতেছেন দর্শকরা। তবে সানিয়ার সিনেমা নিয়ে আপত্তি জানালেন বলি ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই নিজের মতামত প্রকাশ করেন বিজেপি সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। এবার ‘মিসেস’ সিনেমার বিষয়বস্তু নিয়েই সমস্যা অভিনেত্রীর। একান্নবর্তী পরিবারকে ও পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যেভাবে দেখানো হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি কঙ্গনার। তা ছাড়া গৃহবধূদের সঙ্গে পারিশ্রমিক প্রাপ্ত শ্রমিকের তুলনারও বিরোধিতা করেছেন তিনি। নিজের ঘরের ও সন্তানের জন্য কাজ করার সঙ্গে শ্রমিকের তুলনা টানা মোটেই ঠিক নয় বলেই মত কঙ্গনার।
তবে ‘মিসেস’ সিনেমার নাম না উহ্য রেখেই বিরোধিতা করেছেন কঙ্গনা রানাউত। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন তিনিও একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছেন। নারীরা পরিবারের কোনো দায়িত্ব নিচ্ছেন না এমন তিনি দেখেননি। বরং নারীরাই নাকি ঠিক করতেন, বাড়িতে কখন খাওয়াদাওয়া হবে, কখন বাড়ির সবাই ঘুমাতে যাবে কিংবা কখন কেউ বাইরে যাবে। তিনি বলেন, তার বাড়িতে নারীদের তত্ত্বাবধানেই সব কিছু হতো। স্বামীর খরচের হিসাবও তাদের কাছে থাকত। পুরুষদের ঘন ঘন বাইরে যাওয়া ও মদপান নিয়ে নারীরাই আপত্তি জানাতেন।
এখানেই শেষ নয়। বিয়ে নিয়েও নিজের মতামত জানান অভিনেত্রী। কঙ্গনা বলেন, বিয়ে মানে শুধুই সঙ্গীর থেকে মনোযোগ ও মান্যতা পাওয়া নয়। বরং বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আশ্রয় পান প্রবীণ ও সহায়তা পায় সদ্যোজাতরা। আগের প্রজন্মের প্রায় সবাই কোনো প্রশ্ন না করেই বাবা-মায়ের সেবা করতেন।
এ বিষয়ে কঙ্গনা বলেন, বলিউডের বহু সিনেমাতেই বিয়ে নামক ধারণাকে নষ্ট করে দিয়েছে। এই দেশে যেভাবে বিয়ে হয়ে এসেছে এতদিন, সেভাবেই বিয়ে হওয়া উচিত। বিয়ের সবসময়েই একটা উদ্দেশ্য ছিল। সেই উদ্দেশ্য হলো— ‘ধর্ম’, যার অর্থ ‘কর্তব্য’। নিজের কর্তব্যটুকু করুন। তাতেই হবে। জীবন খুবই ছোট। বেশি মান্যতা পেতে গেলে মনোবিদের সঙ্গে একাই জীবনটা কাটাতে হবে।
সূত্র: যুগান্তর