তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হৃদয় হোসেন (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। পুড়ে গেছে একটি মোটরসাইকেল ওয়ার্কসপ। সেখানে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল ভষ্মিভুত হয়েছে। এঘটনায় পুলিশের অবেহলাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।
আজ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত হৃদয় হোসেন একই উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের সাহাদত আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রামনগর গ্রামের মিরা ইসলাম একটি নতুন ট্রাক্টর কিনেছেন। তার ছেলে ট্রাকটর নিয়ে চরগোয়াল গ্রামে যায়। এসময় ট্রাক্টরের ধাক্কায় চরগোয়াল গ্রামের একটি ঈদগাহের গেট ভেঙ্গে যায়। ঈদগাহের গেট ভেঙে যাওয়ায় ওই গ্রামের লোকজন ট্রাক্টরের চাবি নিয়ে নেয়। এসময় রামনগর গ্রামের জান্নাত মোটররসাইকেল ওয়ার্কসপে বসে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পযার্য়ে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে হৃদয় হোসেন মাথায় লাঠির আঘাত লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে বামন্দিতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, হৃদয় হোসেনের মৃত্যুর খবর চরগোয়াল গ্রামে পৌছালে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী রামনগরের গিয়ে জান্নাতের মোটরসাইকেল ওয়ার্কসপে ভাংচুর, লটুপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ পুরো দো্কান পুড়ে ভষ্মিভুত হয়।
তবে চরগোয়াল গ্রামের জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, জান্নাতের ওয়ার্কসপে বসে মিমাংসার কথাবার্তা হচ্ছিল। এসময় জান্নাত বলে আমার দোকানে কি বলে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। তার হাতুড়ির আঘাতে হৃদয়ের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার শুরুতে খায়রুল নামের এক দারোগাকে ফোন করি। তিনি আসছি আসছি বলে না আসায় এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি আসলে হয়তো বড় ধরণের ঘটনা ঘটতো না।
খবর পেয়ে মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, গাংনী থানার ওসি বানি ইসরাইলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
গাংনী থানার ওসি বানি ইসরাইল বলেন, ঘটনাস্থলে আছি। তদন্ত চলছে।