পিএসজির দর্শকরা আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসিকে ক্লাবে খেলার সময়ই ছাড় দেননি। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ের অন্যতম নায়ক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, যিনি আবার নানা কারণে ফ্রান্সের চক্ষুশূলও হয়েছেন নানা সময়, তাকে কেন ছাড় দেবে? দেয়নি। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে পার্ক দেস প্রিন্সেসে যখন খেলতে নেমেছিলেন পিএসজির বিপক্ষে, তাকে ফ্রান্সের গ্যালারি ‘বরণ’ করে নিল একগাদা দুয়ো দিয়ে।
মার্তিনেজ তার স্বভাবসুলভ কাজটাই করেছিলেন। লেকিপে তার উপাধি দিয়েছিল ‘উস্কানি বিশেষজ্ঞ’। তিনিও তাই করেছিলেন।
ফ্রান্সের মাটিতে যখন পা রাখল ভিলা, তখন মার্তিনেজের মাথায় শোভা পাচ্ছিল একটা ক্যাপ। যেখানে আর্জেন্টিনার হয়ে তার জেতা চারটি শিরোপার লোগো ছিল। এরপর মাঠে যখন নামলেন, তখন করে বসলেন আরেক কাণ্ড। আর্জেন্টিনার রঙে মাথার চুলের এক পাশ রাঙিয়ে রেখেছিলেন তিনি।
মার্তিনেজের সঙ্গে ফ্রান্সের ‘শত্রুতার’ কারণ ২০২২ বিশ্বকাপ। সেবার শিরোপা জেতার পর গোল্ডেন গ্লাভস নিয়ে ‘অশ্লীল’ অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন তিনি। এরপর উদযাপনের সময় কিলিয়ান এমবাপেকেও খোঁচা দিয়েছিলেন তিনি। মূলত সে কারণেই ফরাসিদের চক্ষুশূল হয়ে যান তিনি।
এরপর গেল বছর ফ্রান্সে খেলতে গিয়েছিলেন উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগের ম্যাচ। লিলের বিপক্ষে সে ম্যাচে অবশ্য পেনাল্টি শ্যুট আউটে গড়ায়। যাতে আবারও নায়ক বনে যান তিনি।
ভিলার কোচ উনাই এমেরি তাকে নিয়ে বলেন, ‘সে এখন পরিণত, দায়িত্ববান। দিন যত গড়াচ্ছে, সে তার আবেগটাও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। পাঁচ ছয় বছর আগে যখন সে ভিলায় এসেছিল, তখন পরিস্থিতিটা পুরোপুরি আলাদা ছিল।’
তবে ম্যাচের আগে আর ম্যাচে তার উস্কানিমূলক কাজ ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপরীত দিকেই। যে কারণে গত রাতেও তাকে শুনতে হলো একগাদা দুয়ো।
ফ্রান্সে দুয়ো অবশ্য মেসিও শুনেছেন। ২০২২ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পড়ার পর, কিংবা ২০২২ বিশ্বকাপ জেতার পর পিএসজিতে ফিরে এসে ব্যাপক দুয়োর মুখে পড়তে হয়েছিল মেসিকে।
সূত্র: যুগান্তর