অ্যান্টি-বায়োটিক সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু অপব্যবহার কিংবা ভুল ব্যবহারের কারণে অনেক ব্যাকটেরিয়া এই ওষুধগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। এ ছাড়া অনেক অ্যান্টি-বায়োটিকে রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। তাই ওষুধের প্রাকৃতিক বিকল্পগুলোর ব্যাপারে এখন আগ্রহী হয়ে উঠছেন স্বাস্থ্যসচেতনরা।
আবার অনেক ঘরোয়া প্রতিকার ও খাবার রয়েছে, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক হিসেবে কাজ করে থাকে। এই প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিকগুলো প্রদাহ কমিয়ে আনবে এবং ভালো প্রতিরক্ষামূলক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি বাড়াবে। তাই এবার জেনে নিন প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক হিসাবে কাজ করে কোন কোন খাবার।
প্রথমেই অ্যান্টি-বায়োটিকের মতো দ্রুত কাজ করে আদা। এই আদা হচ্ছে— একটি সেরা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি খাবার। এতে জিঞ্জেরল, টেরপেনয়েডস, শোগাওল, জেরুমবোন ও জিঞ্জেরোনের পাশাপাশি অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। আর আদা কার্যকরভাবে ব্যাকটেরিয়ার অনেক প্রজাতির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে খাবারের পর চিবিয়ে খেতে পারেন আদা। এ ছাড়া সালাদ ও স্যুপের ওপর ছড়িয়ে দিতে পারেন এই উপকারী আদা।
এ ছাড়া রসুনও অ্যান্টি-বায়োটিক হিসাবে দ্রুত কাজ করে। কারণ রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন, যা কার্যকরভাবে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। রসুন সাধারণ ও বিরল সংক্রমণের জন্য দায়ী প্যাথোজেনকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এটিতে শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি কাঁচা খাওয়া ভালো। তবে এটি পরিমিত খাবেন। রক্তপাতজনিত ব্যাধি যাদের আছে, তারা অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে রসুন খাবেন।
সূত্র: যুগান্তর