মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল্লাহ আল-আমিন বলেছে, সারা দেশেই শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতির হার কমছে। প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু বাড়িতে পড়ে কি একজন শিক্ষার্থী পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে পারে? আমরা সব সমস্যার সমাধান করতে পারবো না। অভিভাবকগণ হচ্ছেন শিক্ষার্থীদের প্রথম বিদ্যালয়, যেখানে তারা নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা ও পাঠ্যাভ্যাস শেখে।
এই কারণেই, আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই আপনারা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে পাঠানোর জন্য সচেষ্ট হবেন।
সোমবার সকালে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে অনুষ্ঠিত এক অভিভাবক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ আল-আমিন আরো বলেন, আমরা একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি: আমাদের বার্ষিক পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবে, শুধুমাত্র তাদেরই দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে। এখন যদি আপনারা এই প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন, তাহলে আমাদের পক্ষে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।
আপনাদের অনেকের বিভিন্ন ধরনের শক্তি রয়েছে কাউকে প্রশাসনিক শক্তি, কাউকে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক শক্তি, আবার কারো কারো লোকবল রয়েছে। এসবের সম্মুখীন হওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
আপনাদের সন্তানদের স্বার্থেই অনুরোধ করছি আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। আপনার সন্তান যদি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, তাহলে সে পরবর্তী শ্রেণিতে যাবে; আর যদি না হয়, তাহলে তাকে বর্তমান শ্রেণিতেই পুনরায় অধ্যয়ন করতে হবে।
অভিভাবক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক কাজী আশরাফুল আলম, মিরাজ উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া ইসলাম, প্রভাষক রূপালী বিশ্বাস, ইকরামুল হাসান, খাইরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান প্রমুখ।
কমিউনিটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার মানোন্নয়ন, কলেজ পরিচালনায় অভিভাবকদের মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে কলেজ মিলনায়তনে এ অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় অভিভাবকদের মধ্যে তৌহিদ মুর্শেদ অতুল, দাউদ আলী, ফরহাদুর রেজা, হালিমা খাতুন, শাহনাজ আকতার, জহিরুল ইসলাম, সুধারাণী রায়, আবদুল মাবুদ নান্নু, জয়া সরকার, সাহাজুল ইসলামসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।