অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন মৌসুমী ফল আম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য অধিদপ্তর (USDA) এর তথ্য অনুযায়ী এক কাপ (১৬৫ গ্রাম) আমের মধ্যে রয়েছে ক্যালরি – ৯৯ কিলো ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ২৪.৭ গ্রাম, সুগার – ২২.৫ গ্রাম, ডায়েটারি ফাইবার বা আঁশ ২.৬ গ্রাম
প্রোটিন – ১.৪ গ্রাম, ফ্যাট ০.৬ গ্রাম। তাছাড়াও আমের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেলস।
তবে আপনি যদি এর স্বাদে মজে গিয়ে অতিরিক্ত আম খেয়ে ফেলেন তবেই ঘটে যেতে পারে বিপত্তি। তাই আসুন আম খাওয়ার আগে জেনে নেই অতিরিক্ত আম খেলে আপনি কী কী সমস্যায় পড়তে পারেন-
১. ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেতে পারে।
২. ডায়রিয়া হতে পারে।
৩. যেহেতু আমে সুগার রয়েছে, তাই অতিমাত্রায় গ্রহণের ফলে বেড়ে যেতে পারে আপনার ওজন।
৪. অতরিক্ত আম খাওয়ার ফলে অনেকের এলার্জির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৫. আমের মধ্যে (Urisol) নামক রাসায়নকি পদার্থ রয়েছে, যে কারণে অতিরিক্ত আম খাওয়ার ফলে ত্বকের ক্ষতি এবং ত্বকে জ্বালা-পোড়া অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে।
অর্থাৎ অতিরিক্ত আম খেলে আপনি বেশকিছু শারিরীক সমস্যায় পড়তে পারেন। কিন্তু যদি পরিমিত পরিমাণে আম খান তাহলে কী কী উপকার পাবেন? সাধারণভাবে অনেকেই অনেক উপকারের কথা জানেন। চলুন আরো একবার জেনে নেই আমের উপকারিতা।
১. পাকা আম উচ্চ এন্টিঅক্সিডেন্ট সম্পন্ন, যা ফ্রি রেডিক্যাল দ্বারা কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রোধ করে।
২. আমে ম্যাঙ্গোফেরিন নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা Oxidative stress and Apoptosis রোধে সহায়তা করে।
৩. আমের এমাইলেজ এনজাইম পরিপাকে সহায়তা করে। তাছাড়াও এতে র্পযাপ্ত পরমিাণে পানি এবং Dietary Fiber রয়েছে যা পরিপাকজনিত সমস্যা যেমন- ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে সহায়তা করে।
৪. এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চোখের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
৫. এতে খুব ভালো পরিমাণে ভিটামিন- সি রয়েছে যা ত্বক ও চুলের যত্নে সহায়ক।
৬. এতে রয়েছে পলিফেনল যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৭. কোলেস্টেরল লেভেল কমায়।
অনেকেরই ধারণা আমে যেহেতু সুগারের পরিমাণ বেশি, তাই ডায়াবেটিস রোগীরা হয়তো আম খেতে পারবেন না। কিন্তু এ ধারণাটি ভুল। আমরা জানি, আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হচ্ছে ৪১-৬০ এবং যার গড় ৫১। আমরা জানি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৫ এর নিচে হলে তা Low GI food. তাই ডায়াবেটিকসে আক্রান্তদের আম খেতে কোন বাধা নেই।
লেখক: পুষ্টিবিদ
সূত্র- বিডি-প্রতিদিন