হজমশক্তি বাড়ায় আমড়া

আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম আর আঁঁশ আছে, যেগুলো শরীরের জন্য খুব দরকারি। হজমেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই তেল ও চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর আমড়া খেয়ে নিতে পারেন; হজমে সহায়ক হবে।

আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এটি খেলে স্কার্ভি রোগ এড়ানো যায়। বিভিন্ন প্রকার ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে আমড়া। অসুস্থ ব্যক্তিদের মুখের স্বাদ ফিরিয়ে দেয়।

সর্দি-কাশি-জ্বরের উপশমেও আমড়া অত্যন্ত উপকারী। শিশুর দৈহিক গঠনে ক্যালসিয়াম খুব দরকারি। ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস এই আমড়া। শিশুদের এই ফল খেতে উৎসাহিত করতে পারেন। এছাড়া এটি রক্তস্বল্পতাও দূর করে। কিছু ভেষজ গুণ আছে আমড়ায়। এটি পিত্তনাশক ও কফনাশক। আমড়া খেলে মুখে রুচি ফেরে, ক্ষুধা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।

আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। খাদ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং ই এটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে। দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত, পুঁজ, রক্তরস বের হওয়া প্রতিরোধ করে আমড়া।

এর ভেতরের অংশের চেয়ে বাইরের খোসাতে রয়েছে বেশি ভিটামিন সি আর ফাইবার বা আঁশ, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে দ্বিগুণ শক্তিশালী। আর আঁশজাতীয় খাবার পাকস্থলী (স্টমাক), ক্ষুদ্রান্ত, গাছহদন্ত্রের (পেটের ভেতরের অংশবিশেষ) জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।

সূত্র- বিডি-প্রতিদিন




মেহেরপুরের উন্নয়ন ভাবনা-২য় পর্ব

৩। মেহেরপুর জেলাবাসীর জীবনের সাথে অতোপ্রত ভাবে জড়িয়ে আছে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল এবং মা ও শিশু কেন্দ্রটি। হাসপাতালের বয়স আজ ২০/২২ বছর হলো কিন্তু চার গুণ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও চিকিৎসা সেবা বহুধাপ নেমেছে নীচে, যা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

এই হাসপাতালের উপর ভর করে অনেকে বড় বড় নেতা ও সম্পদশালী হয়েছেন এবং হচ্ছেন অথচ হাসপাতালের দুঃসময় তাদের কাছে শুধুই রাজনীতির হাতিয়ার মাত্র। উল্লেখ্য ইতোমাধ্যে নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে ।

চরম অবহেলিত এই আধুনিক হাসপাতালকে ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, সেন্ট্রাল এসি, লিফ্ট সিস্টেম করা সহ সাধারণ মানুষের সর্বোচ্চ সেবা পাওয়ার সুনিশ্চিত ব্যবস্থা করা এবং ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল কলেজে উন্নতিকরণসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসকের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

অনুমোদন প্রাপ্ত নার্সিং ইনষ্টিটিউট দ্রুত বাস্তবায়ন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ডাক্তার বিহীন সেবা চলছে এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলির সেবা নিশ্চিত করাসহ মেহেরপুর শহরসহ ২ উপজেলায় ডায়াবেটিস হাসপাতাল আধুনিক উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ। সমৃদ্ধি অর্জনের পূর্বশর্ত দেশ প্রেম চেতনায় সৃষ্টিশীল মেধা প্রতিভা ও সততার সর্বোচ্চ সম্মান এবং মূল্যায়ন করতে হবে।

৪। আগামীতে নিশ্চিত পানি যুদ্ধ। এই যুদ্ধের অন্যতম ভয়াবহতা মোকাবেলা করতে হবে মেহেরপুরবাসীকে। সেইদিক বিবেচনা করেই এখন কেবলই স্মৃতি বিজড়িত বাংলার নদী মাতৃক নিশ্চিত প্রবাহকে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে মেহেরপুর জেলার প্রাণ ভৈরব, কাজলা ও ছেওটিয়া নদী সহ সকল নদী পরিকল্পিতভাবে গভীর খনন করা এবং পানির দীর্ঘ মেয়াদি চাহিদা সুনিশ্চিত করা। উল্লেখ্য ভৈরব নদী শেখ হাসিনার সরকার অনেকাংশে ইতোমধ্যে খনন করেছে। ভৈরবনদী সহ রক্ষণাবেক্ষণ সংস্কার জেলা পরিষদ পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ভৈরব কেন্দ্রিক পঞ্চমুখি পর্যটন স্বনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়ন দরকার।

শিক্ষিত যুবক যুবতি নিয়ে সমবায় ভিত্তিক এই স্বনির্ভর প্রকল্প চালু করা। নেট খাঁচা পদ্ধতিতে সমবায় বাণিজ্যিক মাছ চাষ, ২৫ লক্ষ ডিম উৎপাদন ক্যাম্বেল হাঁস ও রাজ হাঁস পালন, মোটা তাজাকরণ প্রকল্পে গরু ও মহিষ পালন, নদীর দুই পাড়ে নার্সারি ও পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণ, ওয়াকিং জোন, জিমনেশিয়াম, ঝুলন্ত কারট্যুরিজম এবং পর্যটন তরী নামে ৬টি ১৮ জন পর্যটক বহনকারী স্পিডবোটের মাধ্যমে একটি বহুমুখি ইকোপর্যটন স্বনির্ভর প্রকল্প চালু যা ২০৪১ সালে সমৃদ্ধি অর্জনে একটি মডেল হতে পারে। সেখান থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।

জেলার যে সব সরকারী খাল, বিল, খাস জমি আছে তার উন্নয়নে টি.আর, কাবিখার মত প্রকল্প গ্রহণ করে সংষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং আধুনিকভাবে গড়ে তোলা। প্রকৃত মৎসজীবী ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীদের অংশ গ্রহণে অধিকার রক্ষা করা। ভৈরব নদী কেন্দ্রিক সমবায় ভিত্তিক গভীর সেচ প্রকল্প চালু করা। হারিয়ে যাওয়া প্রচুর পুষ্টি, লাভজনক ও চাহিদাযুক্ত বিশ্ব সেরা ব্লাক বেঙ্গল খ্যাত মেহেরপুরের কালো ছাগল ও বলিষ্ঠ গাড়ল (ভেঁড়া) বিদেশে রপ্তানি হবে। একটি বাড়ি একটি খামারের মাধ্যমে ও সমবায় ভিত্তিক বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে। বিসিক সংলগ্ন জাপনী ছাগল পালন ফার্মটিকে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উৎপাদনে নতুন ভাবে ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা। ভৈরব নদী কেন্দ্রিক সেভ লাইফ নামে মিনারেল ওয়াটার বাজারজাত করণ।

পাটের সোনালী দিন ফিরে আসছে, বিশ্ব ব্যাপী চাহিদাও বাড়ছে। সরকারী বেসরকারী উদ্যোগে প্রতিটি গ্রামে পচন প্রক্রিয়া চালু করা যেন পাটের গ্লেজ, আঁশ নষ্ট না হয় তেমনি সরকারীভাবে পাট ক্রয় চালুর আহবান জানায়। নদীর পানি যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। মেহেরপুর পৌরসভাসহ এমন শহরের বিভিন্ন ধরনের দূষিত পানি যেন সরাসরি নদীতে না পড়তে পারে সে ব্যপারে রিফাইনজোন স্থাপনে কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ।

নিম্নবর্ণের সংখ্যা লঘুদের অধিকার সংরক্ষণ করা। ভয়াবহ মরণব্যাধি দুর্নীতি যা উন্নয়নের বড় বাধা, তাই সর্বোক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার বাধ্যতামূলক চালু করা সহ বিকেন্দ্রীকরণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

৫। সেবাই মানবতার শ্রেষ্ঠ কর্ম, যা স্রষ্ঠার শ্রেষ্ঠ চাওয়া। যাদের সেবাতে এ দেশ চলে সেই সব মেহনতি মানুষের আজ সর্বক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে সৃষ্টিকর্তা বৈষম্য আর সমন্বয় করেই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন কিন্তু আমরা সেই সমন্বয় বাস্তবায়ন করতে চরমভাবে ব্যর্থ। যাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অতিকষ্টে উপার্জিত অর্থ হতে বাংলাদেশের সর্ব উচ্চ থেকে সর্বনিম্ন ব্যক্তির বেতনের ৮০ ভাগ পরিশোধ করা হয় অথচ সেই শ্রমজীবী মানুষ আজ চরম ভাবে অবহেলিত। নারী-পুরুষের বৈষম্য ঘুচিয়ে সকল ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করা। যে কোনো অপচয় রোধ করি এবং সঞ্চয়ী হই, আবেগ দিয়ে নয় বিবেক দিয়ে বিবেচনা করি, কর্মকে সাথী করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রীতি, বন্ধন, উন্নয়ন, মানবতার আধুনিক মেহেরপুর গড়ে তুলি। ইতিহাস আমাদের শক্তি, সমৃদ্ধি অর্জনের অনুপ্রেরণা।

৬। সারা বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম আদর্শ সেরা কৃষি অঞ্চল হিসাবে খ্যাত এই মেহেরপুর জেলা। এখানকার উর্বর কৃষি জমি রক্ষা এবং কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ঠিক মূল্য ও আধুনিক কৃষি সেবা পাওয়ার সুব্যবস্থা করা। শস্য ফলজ, তৈলজ, প্রাণীজ ও মৎস এই তিন মিলেই আধুনিক কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছে। সুস্বাস্থ্য জাতি গঠনে রাসায়নিক সার, বিষ ও ভেজাল খাদ্য ব্যবহারে নিরুৎসাহিত এবং জৈব সারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক নিশ্চিত করা।

গাংনী মেহেরপুর জেলার সংসদীয় ২ আসন। ৯টি ইউনিয়ন, একটি উপজেলা, একটি পৌরসভা ও একটি থানা নিয়ে গঠিত। বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। জেলার সার্বিক উন্নয়নে গাংনী উপজেলাকে বিশেষ পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এর মধ্যে গাংনীর চিৎলা কৃষি ফার্ম বাংলাদেশের সেরা একটি বৃহৎ বীজ উৎপাদন সেন্টার।

সময়ের প্রয়োজনেই এই ফার্মটিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি ও জিওগ্রাফী বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্স সেন্টার চালু করা। ইতোমধ্যে সেখানে কৃষি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপনের বিষয় আলোচনায় আসছে। গাংনীর ভাটপাড়া নীলকুঠি প্রায় ১৪০ বিঘা জমির উপর ব্রিটিশ ব্যবহƒত একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখন সরকারী আওতায় এই স্থানটিকে আয় বর্ধক পর্যটন কেন্দ্রীক একটি অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলা। সেখানে যে পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে তার আধুনিকায়ন করতে হবে। (চলবে)




করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা যেভাবে ফুসফুসের ব্যায়াম করবেন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেক মানুষ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ কারণে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে চিকিৎসার পাশাপাশি ফুসফুসের ব্যায়াম করার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বেশ কয়েকবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেছেন, এ সময়ে আপনারা ফুসফুসের ব্যায়াম বা শ্বাসযন্ত্রের ব্যায়ামটা নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাবেন। কারণ, অনেক সময়ই কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। শ্বাসযন্ত্রের ব্যায়ামটা যেন নিয়মিতভাবে চালিয়ে যান।

যেভাবে করোনাভাইরাসে শনাক্ত ব্যক্তিরা ফুসফুসের ব্যায়াম করতে পারেন
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. রওশন আরা খানম বলেন, ‌করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর যাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় বা আইসিইউতে যেতে হয়, তাদের ফুসফুসের ক্ষতিটা বেশি হয়। তাদের সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে, স্বাভাবিক জীবনযাপনে যেতে অনেক সময় লেগে যায় বলে আমরা দেখেছি। তাদের জন্য পরবর্তীতে ‘ফুসফুসের পুনর্বাসন প্রোগ্রাম’ দরকার হয়ে পড়ে।’

তবে যারা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তারাও চাইলে পুনর্বাসনের এসব ব্যায়াম করতে পারেন।

গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যায়াম

বুক ভরে শ্বাস নিয়ে যতক্ষণ সম্ভব ধরে রাখা- এরপরে আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে হবে। এর ফলে ফুসফুসের কোষগুলোর ব্যায়াম হয়, ফলে সেটির স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে না।

এজন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, পিঠ সোজা করে আরাম করে বসতে হবে। এরপর প্রথমে মুখ দিয়ে নিশ্বাস দিয়ে ফুসফুসের সব বাতাস বের করে দিতে হবে। এরপর আবার গভীর শ্বাস নিয়ে যতটা সম্ভব ফুসফুসে বাতাস ভরে নিতে হবে।

এরপর যতক্ষণ সম্ভব হয়, শ্বাস আটকে রাখুন। আবার একসাথে সব বাতাস বের করে দিন। এভাবে দিনে অন্তত দুইবার এই রকম ব্যায়াম করা যেতে পারে। এতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ ডা. আলতাফ হোসেন সরকার বলেন, লম্বা শ্বাস নিয়ে বুক ফুলিয়ে কমপক্ষে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। ১০ সেকেন্ড বোঝার জন্য এক হাজার এক, এক হাজার দুই, একহাজার তিন…এভাবে দশ পর্যন্ত গোনা যেতে পারে।

ইনসেন্টিভ স্প্যারোমেট্রি ব্যায়াম

বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. রওশন আরা খানম বলছেন, হাসপাতালের রোগীদের পাশাপাশি আউটডোরের রোগীদের জন্যও এই ব্যায়ামের সুপারিশ করা হয়। এখানে ছোট একটা ডিভাইসের মধ্যে তিনটা বল থাকে। শ্বাস দিয়ে রোগীদের সেই বলগুলো ডিভাইসের ভেতরে তুলতে হয়। প্রথমদিন হয়তো একটা, পরের দিন আরেকটা, এভাবে আস্তে আস্তে বল তোলার ক্ষমতা বাড়ে। তিনটা বল তুলে নিয়ে ধীরে ধীরে আবার ছেড়ে দিতে হয়। এভাবে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে।

উপুড় হয়ে ঘুমানো

বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. রওশন আরা খানম বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরে অনেক সময় অক্সিজেনের স্বল্পতা তৈরি হয়। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণেই এটা হয়। এজন্য উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলে বা পাশ ফিরে শুয়ে থাকলে শরীরের অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ে। এভাবে শুয়ে থাকার সময় মাথার নিচে কোনো বালিশ ব্যবহার না করাই ভালো।

তবে বুক বেশি ভার ভার মনে হলে বা শ্বাস নিতে বেশি কষ্ট হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে, বলছেন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. রওশন আরা খানম।

শ্বাস নেওয়ার সময় হাত তোলা

ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ ডা. আলতাফ হোসেন সরকার বলছেন, ‘আমরা অনেক সময় রোগীদের পরামর্শ দেই যে, যখন শ্বাস নেবে, তখন হাত ওপরে তুলতে হবে, আবার যখন শ্বাস ছেড়ে দেবে, তখন হাত নিচে নামিয়ে আনা হবে।’ এর ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরের অঙ্গের একটি ব্যায়াম হবে।

আবার লম্বা শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের পাঁজরের নিচে হাত রেখে অনুভব করতে হবে যে, বুকটা বেলুনের মতো ফুলে উঠছে। এরপর সেটা আবার চাপ দিয়ে বাতাস বের করে দিতে হবে। এভাবে দিনে অন্তত কয়েকবার করতে হবে।

নাক বন্ধ করে শ্বাস নেওয়া

হাত দিয়ে প্রথমে নাকের বাম পাশ বন্ধ করে ডান পাশ দিয়ে লম্বা শাস নিন। ৫-১০ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখুন। এরপর শ্বাস ছেড়ে দিন। এরপর নাকের ডান পাশ চেপে ধরে একইভাবে শ্বাস নিন। একইভাবে ৫-১০ সেকেন্ড ধরে রেখে শ্বাস ছেড়ে দিন। এভাবে প্রতিদিন কয়েকবার করে অভ্যাস করুন।

বাষ্প নেওয়া

ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ ডা. আলতাফ হোসেন সরকার বলছেন, অনেক সময় আমরা রোগীদের বাষ্প নেওয়ার পরামর্শ দেই। বাসায় থেকে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন, তারা গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। সেটাও ফুসফুসের জন্য ভালো।

ব্রিটিশ লাং ফাউন্ডেশনের পরামর্শ হলো, গভীর শ্বাসের ব্যায়াম ফুসফুস থেকে শ্লেষ্মা দূর করে অধিক বায়ু সঞ্চালনে সাহায্য করতে পারে। এ ব্যায়াম করতে ৫-১০ বার গভীর শ্বাস নিতে হবে। তারপর কয়েক বার জোরে কাশি দিয়ে রিপিট করতে হবে। এতে ফুসফুস আরও শক্তিশালী হবে।

ফুসফুসের সক্ষমতা বাড়াতে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার পর খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠলে হাঁটা শুরু করে শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পরবর্তী সময়ে হাঁটার গতি আরও বাড়াতে হবে। এসব ব্যায়াম স্বল্পমেয়াদী কোনো ব্যায়াম নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যায়ামের চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।

যেসব ক্ষেত্রে এসব ব্যায়াম করা যাবে না

যদিও ফুসফুসের সক্ষমতা বাড়াতে চিকিৎসকরা ব্যায়ামের পরামর্শ দিচ্ছেন, কিন্তু কারও যদি শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা বা কাশি থাকে, তখন এই ধরনের ব্যায়াম না করাই ভালো। যাদের হৃদরোগ বা ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগ রয়েছে, তারা ব্যায়ামের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

ব্যায়াম করার সময় অসুস্থ বোধ হলে বা শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। কষ্ট বেশি হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

সূত্র : বিবিস বাংলা




দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে তুলসি পাতা

রোগ সারাতে তুলসি পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। নানাবিধ রোগ সারাতে দারুণভাবে সাহায্য করে থাকে তুলসি পাতা। যার উল্লেখ পাওয়া যায় প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও।

জেনে নিন নিয়ম মেনে প্রতিদিন তুলসি পাতা খেলে যেসব উপকার মিলতে পারে;

রক্ত পরিশুদ্ধ হয়
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২-৩ টি তুলসি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান এবং টক্সিন শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায়।

ডায়াবেটিস দূরে থাকে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত তুলসি পাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। ফলে শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। প্রসঙ্গত, মেটাবলিক ড্য়ামেজ-এর হাত থেকে লিভার এবং কিডনি-কে বাঁচাতেও তুলতি পাতা দারুণভাবে সাহায্য করে।

ক্যান্সার দূরে থাকে
তুলসি পাতায় উপস্থিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট শরীরের ভেতরকার ক্যান্সার সেল যাতে কোনওভাবেই জন্ম নিতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে ক্যান্সার রোগ ধারের কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে
একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর তুলসি পাতা, দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ছানি এবং গ্লুকোমার মতো চোখের রোগকে দূরে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন আটকাতেও সাহায্য করে।

সূত্র- বিডি-প্রতিদিন




কোন পথে হাঁটবে শিশুরা?

ছোট বেলা থেকেই বড়দের বলতে শুনেছি, ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’। তখন অবশ্য ভবিষ্যতের ‘ভ’ বর্ণটা কেবল স্লেটে লেখা শিখেছি। কিন্তু প্রগাঢ় রূপে বোঝার সুযোগ হয়নি।

ভূমিষ্ঠকালীন ব্যক্তির প্রাথমিক রূপ শিশু (ঈযরষফ)। শিশু হিসেবে সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে সেই চিহ্নিত হয়ে আছে যে এখনও যৌবনপ্রাপ্ত হয়নি কিংবা বয়ঃসন্ধিক্ষণে প্রবেশ করেনি। ইউনিসেফ’র শিশুসনদে আছে ০-১৮ নিচে বয়স এমন সকলেই শিশু। জীববিজ্ঞানের ভাষায় – মনুষ্য সন্তানের জন্ম এবং বয়ঃসন্ধির মধ্যবর্তী পর্যায়ের রূপ হচ্ছে শিশু। চিকিৎসাশাস্ত্রের সংজ্ঞানুযায়ী মায়ের মাতৃগর্ভে ভ্রুণ আকারে অ-ভূমিষ্ঠ সন্তানই শিশু। এই শিশুদের জন্য প্রতি বছর স্বীকৃত একটা বিশেষ দিনও থাকে, যাকে আমরা বলি শিশু দিবস।

১৯২৫ সালে শিশু কল্যাণ বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনের সময় জেনেভাতে প্রথম আন্তর্জাতিক শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। শিশু দিবস বাচ্চাদের সম্মানে প্রতিবছর পালিত একটি স্মরণীয় দিন। প্রতিটি দেশের সিদ্ধান্তানুসারে দিনটি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে । বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ১৭ মার্চ শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১ জুন ১৯৫০ সাল থেকে বেশিরভাগ কমিউনিস্ট এবং উত্তর-পূর্ববর্তী কমিউনিস্ট দেশগুলিতে দিনটি উদযাপিত হয়। ১৯৫৯ সালের ২০ নভেম্বর ইউএন-ইউনাইটেড নেশন(টঘ) জেনারেল অ্যাসেমব্লির মাধ্যমে শিশু অধিকারের ঘোষণার স্মরণে বিশ্ব শিশু দিবস পালিত হয়।

শিশু দিবস পালন করার যথার্থ মর্ম আমরা কতটুকু বুঝি? নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে দেখি? আমার ঘরের শিশুটি কতটুকু নিরাপদ? সে কি নিজেকে বিকশীত কিংবা মুক্তমনা করতে পারছে? শতাংশের অবস্থানে দেখা যাবে অর্ধেকেরও নিচে বসবাস আমাদের। তার একটা বিশেষ কারণও আছে। শিশু হিসেবে বেড়ে ওঠা আগামীর অগ্রদূত নিজের মতো বাঁচতে শেখার আগেই ঘটে বড় বিপত্তি।

একটা শিশুর জন্মের পর তাকে দেখতে আসা শুভাকাক্সিক্ষরা প্রথমে কোলে তুলে নিয়েই বলেন, মণি/বাবু তোমাকে কিন্তু চাচার মতো হতে হবে। কেউ বলেন তোমাকে নানার মতো হতে হবে, আবার কেউবা বলেন খালার মতো হতে হবে। মা-বাবার সামাজিক অবস্থান যদি অন্যের কাছে অর্থভান্ডার/জ্ঞানভান্ডার উত্তমরূপে প্রকাশ পায় তবে কেউ কেউ মা-বাবার মতোও হতে বলেন। চলমান এ অবস্থার রূপকার কিন্তু আমরা নিজেরা। এখন বিষয় হলো শিশুটা কোথায় যাবে? কোন পথে হাঁটবে? আমরা সর্বদা আমাদের ইচ্ছা, চাওয়া-পাওয়া, নিজের অপ্রাপ্তি, নিজের অতৃপ্ত বা অঙ্কিত স্বপ্নকে চাপিয়ে দিয়ে থাকি সন্তানের উপর।

এক সেকেন্ডের জন্য কখনও ভেবে দেখি না আমার সন্তান কি চায়। এ যেন বৃহৎ বটের চারাকে পাঁচ ফুটের টবে রোপন করার মতো। বর্তমানে আরও একটি বড় সংক্রমিত রোগ হলো এ-প্লাস পাওয়া। শুধু এ-প্লাস পেলেই চলবে না পেতে হবে গোল্ডেন। কারণ শুধু এ-প্লাস রূপা ধাতুর মতো, মূল্য কম, কিন্তু গোল্ড অনেক মূল্যবান ধাতু তাই ওটাতেই জীবনের তীর বিঁধাতে হবে। নিশানা আবার শিক্ষার্থীর থেকে বেশি থাকে বাবা-মায়ের। প্রথম শ্রেণির আগে থেকেই শুরু হয়ে পারিবারিক এই রঙিন স্বপ্নের, যার সমাপ্তি হয় বিদেশগমন, কাক্সিক্ষত চাকরী কিংবা অকাল মৃত্যু দেখে।

কিছুটা যান্ত্রিক জীবন চক্রের মতো। কথা গুলোর মানে আবার এমন নয় গোল্ডেন এ-প্লাস পাওয়া ভালো নয়। তবে এটাও সত্য গোল্ডেন এ-প্লাস জীয়নকাঠি নয়। আজও বাংলাদেশে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণে ১১.৮% ছেলে-মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়(তথ্য সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়, ০২ জুন, ২০২০)। অকৃতকার্যরা কি আমাদের চোখে অন্য গ্রহের? ফল প্রকাশের পর আমাদের তর্জনী কিন্তু অকৃতকার্যদেরই নির্দেশ করে এবং পঞ্চকানে পৌঁছে দিতে সংবাদ দৌঁড়মারে।

নিশ্চিয়ই সংখ্যা শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। সংখ্যা হলো পরিমাপের একটি বিমূর্ত ধারণা আবার সংখ্যা প্রকাশের প্রতীকগুলিকে বলা হয় অঙ্ক। অর্থাৎ বিমূর্ত ধারণাটাই জীবনের জন্য অনেক বেশি মূল্যবান। গণনার ইতিহাস থেকে গণনার কয়েকটি পদ্ধতি জানা যায়। যেমন- মিশরীয় গণনা পদ্ধতি, ব্যাবিলনীয় পদ্ধতি, গ্রীক ও রোমান পদ্ধতি, মায়া সভ্যতার গণনা পদ্ধতি, আধুনিক পদ্ধতি।

এসব পুস্তকবদ্ধ পদ্ধতির বাইরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমরা আবার অভিভাবক পদ্ধতি চালু করেছি। যেখানে আপনার প্রিয় সন্তানকে শ্রেণির প্রথম হতে হবে আর পরীক্ষার খাতায় একশতে একশ নতুবা নব্বইয়ের ঘরে নম্বর তুলতেই হবে। এ যেন চ্যবনপ্রাশ, খেলেই কাশি বিনাশ। আবার ৮০% বা ৯০% ছুঁতে না পারলে সোনার-এ প্লাস/ এ প্লাস মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে। তখন অভিভাবকের কি হবে? কে দেবেন সান্তনা? এ শোক তো শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার নয়। আমার পরিবারও কিন্তু এমন চরিত্রের বাইরে নয়। মূলত এটা বোধশক্তি ও দৃষ্টি ভঙ্গির বিষয়।

“ যখন যেমন মনে করি তাই হতে পাই যদি, আমি তবে এক্ষুণি হই ইচ্ছামতি নদী”

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাও বলে দেয় শিশুরা ওদের ইচ্ছা মত করে বাঁচতে চায়। আপনিতো অভিভাবক অর্থাৎ শিশুর মঙ্গলকামনাকারী, চিন্তক এবং পথ নির্দেশক। ওকে চার দেওয়ালের গন্ডিতে বাঁধবেন না। ওকে বলবেন রাস্তার বাঁ পাশ দিয়ে হাঁটতে হয়, কখনও সে ডান পাশে যাবে না। ক্লাসের ‘সেরা’ শব্দ দখল করতে বইয়ের বোঝা পিঠে চাপাবেন না। সাঁতার কাটাতে শেখান, ডুববে না। কাদা-মাটি মাখুক, মন নোংড়া হবে না। গল্পে গল্পে বাংলার ইতিহাস জানান, শেকড়ের টান বিনষ্ট হবে না।

মাঝে মাঝে গ্রামীণ পরিবেশে নিয়ে যান, দেখবেন সে কামার, কুমার, জেলে, মাঝি, তাঁতি, গাছ, মাছ, পশু, পাখি সহ পরিবেশকে ভালোবাসতে শিখবে। নিয়মিত প্রার্থনালয়ে নিয়ে যান, কখনও সে অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি হিংসা, অশ্রদ্ধা শিখবে না। সুস্থ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যুক্ত করুন, বিপথ উঁকি দেবে না। সাইকেল চালাতে শেখান, আপনার সন্তান পিছিয়ে থাকবে না। লেখ্য, কথ্য, আঞ্চলিক যা হোক বাংলা ভাষা শেখান, সে ইংরেজিতে গালা গাল দেবে না।

শিশুর সামনে শিক্ষামূলক কিছু দেখুন, ভবিষ্যতে শিশুটি মোবাইলে গেম কিংবা অলীক স্বপ্নে ভাসবে না। আপনি ওর মতামত শুনুন, নৈতিক শিক্ষা দিন দেখবেন কখনও সে আপনাকে মেরে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে না। ভুল করলে শিশুর গায়ে আঘাত না করে সঠিকটা উপস্থাপন করুন। আপনার কাছে আকাশের রং নীল হলেও শিশুর কাছে কালো, লাল বা অন্য যেকোন রং হতে পারে। কারণ আকাশটা শিশু দেখছে, আপনি নন। ওর চোখে নিজের চোখ মেলাবেন না।

আমাদের দেশে আজও বহু সুস্থ শিশু জন্মায়, কিন্তু বেশির ভাগ শিশু একটা সময় পরিবার ও সমাজের কারণে রূপান্তরিত হয় মানসীক প্রতিবন্ধীতে। শিশুর মনের বিরুদ্ধে যাওয়া মানে তার মন জগতের স্তরকে ধ্বংস করা আর এর দায় বহন কিন্তু আমাদের সকলকে করতে হবে। ভেবে দেখুন দায় মুক্ত হবেন, নাকি দায়ের ভারে সারাটা জীবন ঋণী থাকবেন? সমাধানের পথ নির্বাচন নিজেকেই করতে হবে।

উন্নয়ন কর্মী
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ




মানসিক চাপ দূর করে লবঙ্গ

লবঙ্গের গুণাগুণ শুধু রান্নাতেই নয়, তার বাইরেও আছে। সুস্বাস্থ্যে লবঙ্গ নানাভাবে আমাদের উপকারে আসে।

যেমন-

১) দাঁতের যন্ত্রণায় কষ্ট পেলে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে যন্ত্রণা কমবে।
২) লবঙ্গ মুখে রাখলে বা জলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে খেলে আপনার বমি বমি ভাব দূর হবে।

৩) হাল্কা গরম পানিতে ১০ ফোঁটা লবঙ্গ তেল ও মধু যোগ করে, সেটা খেয়ে নিন। ভাইরাল ফিভারে কাজে দেবে।

৪) মানসিক চাপ দূর করে লবঙ্গ। পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে শিথিল রাখতে সাহায্য করে। লবঙ্গের সঙ্গে তুলসি পাতা, পুদিনা পাতা ও দারচিনি মিশিয়ে আপনি ফ্লেভার্ড চা তৈরি করতে পারেন।

৫) সর্দি, কাশিতে লবঙ্গ খেলে আরাম পাওয়া যায়। কফ দূর হয়। নিঃশ্বাসে বাজে দুর্গন্ধও দূর হয়।

সূত্র- বিডি-প্রতিদিন




যে কারণে এই সবজির বীজ রাখতেই হবে ডায়েটে

করোনাভাইরাস আবহে আরও বেশি করে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকে নজর দিতে বলেছেন চিকিৎসকেরা। বেশি করে শাক-সবজি খেতে বলছেন তারা। কিন্তু এমন একটি সবজি রয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যেটির বীজ ফেলে দেন অনেকে। পুষ্টিবিদরা কিন্তু বলছেন, ডায়েটে ওই বীজ থাকলে তা ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।

মিষ্টি কুমড়া। খেতে চান না অনেকেই। মিষ্টি কুমড়ার বীজ এই সবজির অন্যতম উপাদান। অনেকে আবার কুমড়া খেলেও বীজ ফেলে দেন। কিন্তু এই বীজেই রয়েছে শরীরের অপরিহার্য ফ্যাট। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উৎস কুমড়ার বীজ। শরীরে নিজে থেকে এটি তৈরি হয় না। তাই খাবারের মাধ্যমে এটি যাতে শরীরে যায়, খেয়াল রাখতেই হবে সে দিকে। রোজ অল্প কয়েকটা কুমড়ার বীজ খেতে পারলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রণ সমৃদ্ধ এই বীজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রদাহ কমাতে এবং ওবেসিটি বা স্থুলতা রুখতেও সাহায্য করে।

কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে। মাত্র ১০০ গ্রাম বীজে থাকে ১৮ গ্রাম ফাইবার। এটি এক জন মানুষের দৈনিক চাহিদার ৭২ শতাংশই পূরণ করে। ফাইবার কোলনের ভালো ব্যাক্টিরিয়ার খাদ্যের জোগান দেয়। ‘মাইক্রোবিয়াল ব্যালান্স’ বা অণুজীবের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ক্রনিক রোগেরও উপশম করে এই বীজ।

ভালো কোলেস্টেরল, অর্থাৎ হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এইচডিএল) এবং খারাপ কোলেস্টেরল, অর্থাৎ লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এলডিএল)-এই দুই ধরনের কোলেস্টেরলই তৈরি হয় লিভারে। এলডিএল ধমনীর প্রাচীরে তৈরি হওয়ায় ব্লকেজ তৈরি হয়ে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। যেখানে এইচডিএল খারাপ কোলেস্টেরল সরিয়ে রিসাইকেলে সাহায্য করে। কুমড়ার বীজ এই দুইয়ের ভারসাম্য রক্ষা করে।

পিইউএফএ এবং লিপোফিলিক অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকার কারণেও এই বীজ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকার কারণে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ধ্বংস করে এটি।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ সোমা চক্রবর্তী বলেন, “ফ্রি র‌্যাডিক্যাল কোষের প্রোটিন, ডিএনএ, সেল মেমব্রেনের ইলেকট্রন ‘চুরি’ করে, অক্সিডেশনের মাধ্যমে। এই ফ্রি র‌্যাডিক্যালের মোকাবিলা করে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট।”

দেশটির মেডিসিন চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকলে সেটি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। বিশেষ করে বর্ষার সময় ঠাণ্ডা লাগা, ফ্লু, ক্লান্ত হয়ে পড়া, এই সমস্যাগুলির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

কুমড়ার বীজে থাকে সেরোটনিন, এই নিউরোকেমিক্যালকে বলা হয় প্রাকৃতিক ঘুমের ওষুধ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওষুধের পরিবর্তে এটি খেতে পারেন। এ ছাড়াও আর্থারাইটিসের ব্যথায় এই বীজের তেল মালিশ করলে খানিকটা উপশমও মেলে। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকার কারণে সেটি প্রস্টেটের সমস্যাকে দূরে রাখে। ইনসুলিনের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রয়েছে মিষ্টি কুমড়ার বীজের। কারণ এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

তবে আরও একটা কারণে এই বীজের গুরুত্ব আছে। কুমড়ার বীজে রয়েছে কিউকারবিটিন, এ ছাড়াও ভিটামিন সি থাকার কারণে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এটি।

এটি যেভাবে খেতে হবে

কম ক্যালরি, ভরপুর পুষ্টিতে ভরা কুমড়ার বীজ ফেলে দেবেন না। বরং বীজ বেটে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন কাঁচা স্যালাডে কিংবা সুপেও। বীজ অল্প সেঁকে স্ন্যাক্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারলে সব থেকে ভালো এমনটাই জানালেন পুষ্টিবিদ সোমা চক্রবর্তী।

সূত্র: আনন্দবাজার।




গবেষকদের নতুন দাবি, কানের দুলে সারতে পারে মাইগ্রেন!

কানের লতিতেই শুধু দুল ঝুলবে, এমনটা কে বলেছে! কানের আগা, গোড়া, ভেতরের নরম হাড়ে ফুটো করে নানা রকম গয়নায় সাজাতে ভালবাসে অনেকেই। কানের বাহারি স্টাইলই ডিজিটাল সময়ের ট্রেন্ড। তবে কান বিঁধিয়ে দুল পরার রেওয়াজ শুধু নারীদের একচেটিয়া নয়, বহু যুগ থেকে বিভিন্ন দেশের পুরুষরাও কান বিঁধিয়ে বাহারি দুল পরছেন। এখনকার ছেলেরা অনেকেই কানে ‘পিয়ারসিং’ করাচ্ছেন। খবর দ্য ওয়ালের।

বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এই কান ফোটানো শুধু স্টাইল স্টেটমেন্ট নয়, এর কিছু উপকারিতাও আছে। কানের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় পিয়ারসিং করালে মাইগ্রেনের ব্যথা কমতে পারে।

ঠিক কোথায় করতে হবে সেই পিয়ারসিং? গবেষকদের দাবি, কানের তো তিনটে অংশ বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণ, পিয়ারসিং করাতে হবে বহিঃকর্ণে। এখন কানের বাইরে দিকটাতে অনেকগুলো ভাঁজ আছে। একেবারে মাথার দিকে নরম অস্থি বা তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি যে অংশ তাকে বলে হেলিক্স। এই হেলিক্সের দুটো ভাগ, অ্যান্টিহেলিক্স অর্থাৎ পিনা বা কর্ণছত্রের ঠিক ভেতরের ভাঁজ এবং আরও একটা অংশ আছে যেটা ইয়ার চ্যানেলের ঠিক উপরে।

কানের যে অংশটা সোজা ভেতরে চলে যাচ্ছে তার ঠিক মাথার উপরে। তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি হেলিক্স যাকে বলা হয় ক্রাক্স অব হেলিক্স। এই অংশ মস্তিষ্কে গিয়ে মিশেছে। গবেষকরা বলছেন, ঠিক এখানেই যদি ফুটো করা যায় তাহলে মাথাব্যথা কমে যাওয়ার একটা বন্দোবস্ত হতে পারে। একে বলে ডাথ পিয়ারসিং। যদিও গবেষকদের এই দাবির যথাযোগ্য প্রমাণ নেই, তবে কিছু ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের রোগীদের উপরে এর প্রয়োগ করে উপকার মিলেছে বলেই দাবি।

সূত্র- বিডি-প্রতিদিন




অধিকার আদায়ে এবার সংগঠিত হল সুরকার ও সংগীত পরিচালকরা

গানের মানুষেরা একে একে নিজেদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়ে উঠছেন। সুবিধাবঞ্চিত হয়ে আসা গানের স্রষ্টারা দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে নানা অনিয়মের কারণে সম্প্রতি যৌক্তিক অধিকার ও যথাযথ সম্মানী আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হলেন। অন্তর্জালে কয়েক দফা বৈঠক শেষে গড়ে তোলেন ‘গীতিকবি সংঘ, বাংলাদেশ’ নামের সংগঠন।

গীতিকবিদের পর এবার এক হলেন সুরকার-সংগীত পরিচালকরা। গঠন করলেন ‘মিউজিক কম্পোজার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ নামে নিজেদের সংগঠন। এ বিষয়ে সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সুরকার-সংগীত পরিচালকদের নিয়ে এমন একটি সংগঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত আজাদ রহমান, সঙ্গে আমিও ছিলাম। একটি কমিটিও করেছিলাম। সেখানে আজাদ ভাই সভাপতি আর আমি ছিলাম সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু সেটি প্রকাশের আগেই প্রয়াত হন আজাদ ভাই (১৬ মে, ২০২০)। অসম্পূর্ণ সেই উদ্যোগটিকে এখন বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পেশাগত এবং সামাজিক সমস্যার সমাধানে একটি সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করছিলাম এবং সেটির খুব দরকারও বটে। এই সংগঠনে লক্ষ্য- দেশীয় সংগীতের উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখা। আর তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক সভায় আমরা গঠন করি ‘মিউজিক কম্পোজার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ নামের সংগঠনটি।

সভায় শেখ সাদী খানকে প্রধান আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের কমিটি চূড়ান্ত করা হয়। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- নকীব খান, আনিসুর রহমান তনু, ফরিদ আহমেদ, ফোয়াদ নাসের বাবু, রিপন খান, শওকত আলী ইমন, পার্থ বড়ুয়া, এস আই টুটুল, পার্থ মজুমদার ও বাপ্পা মজুমদার। জ্যেষ্ঠ সংগীত পরিচালক আলী হোসেন, আলম খান, মো. শাহ্ নেওয়াজ প্রমুখ এই সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে থাকছেন।

সূত্র- বিডি-প্রতিদিন




সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট!

সুশান্ত সিং রাজপুত এর বাবা কে কে সিং দাবি করেছেন ফেব্রুয়ারি মাসেই মুম্বাই পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন সুশান্তের জীবনে কোনো বিপদ আসতে পারে। কিন্তু মুম্বাই পুলিশ কোনো রকম পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি করেছেন সুশান্তের বাবা। সেই সময় সুশান্ত, তার দিদি প্রিয়াঙ্কা, দুলাভাই তথা হরিয়ানার পুলিশ ওপি সিং এর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে কিছু কথাবার্তা হয়। সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এর কিছু অংশ সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও প্রকাশ করেছে।

জানা যাচ্ছে, এই সময় বান্দ্রার ডিসিপি পরমজিৎ সিংকে জানানো হয় সুশান্তের কাছে হুমকি আসছে। সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি এই সংক্রান্ত খবরাখবর তাদের যাতে জানানো হয় তার আবেদন করেছিল সুশান্তের পরিবার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ১৪ জুন বান্দ্রার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। মুম্বাই পুলিশ জানায় আত্মঘাতী হয়েছেন অভিনেতা।

টাইমস নাও-এর হাতে আসা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এ দেখা যাচ্ছে, সুশান্ত এর দুলাভাই তাকে মেসেজ করে বলছেন, তাকে নিয়ে খুব চিন্তায় রয়েছে পরিবার। তিনি লিখছেন, তোমার পরিবারের সকলে তোমার স্বাস্থ্য নিয়ে খুব চিন্তায় রয়েছে। তারা ভাবছে তোমার ক্ষতি করছে কয়েকজন ষড়যন্ত্রকারী মানুষ, যারা তোমাকে ভুল ওষুধ দিচ্ছে এবং ঠিকমত খেতে দিচ্ছে না, ঘুমোতে দিচ্ছে না। তোমায় হতাশায় ভুগতে বাধ্য করছে এবং নিজেদের বশে রাখছে। তারা তোমার টাকা ওড়াচ্ছে এবং তোমার সমস্ত কন্টাক্ট ব্যবহার করছে।

সুশান্তের দুলাভাই এই সমস্তটাই জানিয়েছিলেন বান্দ্রা ডিসিপিকে। তিনি সেই চ্যাটে সুশান্তকে বলেছিলেন, কোনও কিছু সমস্যা হলে সেটা পুলিশের জানা উচিত। তাই তিনি সমস্ত বিষয় বান্দ্রা পুলিশকে জানাবেন। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে আরও লিখেছিলেন, আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে জানতে পেরেছি যে সুশান্তকে বাঁচানোর জন্য আমাদের কাছে বেশি সময় নেই। রিয়া নামের মেয়েটি মিরান্ডা ও শ্রুতিকে কাজে লাগিয়ে সুশান্তকে আর্থিক, মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে।

সুশান্তের বোন একটি মেসেজে লিখেছিলেন, রিয়া চাইছে সুশান্তের সমস্ত মূল্যবান যোগাযোগ ব্যবহার করে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করতে। সুশান্ত এর উপর ভর করে বলিউডে খ্যাতি পেতে চাইছে। সুশান্তের কাছে সময় থাকলেও ও কিন্তু আমাদের সাবধান করেছে। ওকে কড়া ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। রিয়ার ঠিক করা তিনজন চিকিৎসক ওকে কড়া সাইকোটিক ওষুধ দিয়েছে যার প্রেসক্রিপশন রয়েছে। এই সমস্ত সমস্যার মূলে রয়েছে রিয়া এবং ওর পরিবার।

এই সমস্ত কথাবার্তাই হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে। চ্যাট থেকে সম্পূর্ণ বোঝা যায় যে খুবই চিন্তিত ছিল সুশান্ত সিং রাজপুত এর পরিবার। সুশান্তের সঙ্গে যে খারাপ কিছু হতে চলেছে তার আশঙ্কা করেছিলেন তারা আগেই। কিন্তু মুম্বাই পুলিশকে জানিয়ে কোনো কাজ হয়নি। সূত্র : কলকাতা ২৪x৭।