অসংখ্য নায়িকার সঙ্গে সম্পর্ক- তিনবার বিয়ে, এখন কেমন আছেন সঞ্জয় দত্ত?

নামের পাশে যতই দীর্ঘ হোক অপরাধের ছায়া, নারীদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তায় তার আঁচ লাগেনি। ক্যারিয়ারের প্রথম থেকেই তার ব্যক্তিগত জীবন রঙিন হয়েছে বিভিন্ন প্রেয়সীর সান্নিধ্যে।

নিজের ‘প্লে বয়’ ভাবমূর্তি নিয়ে তিনি খুশি। নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন সুনীল-পুত্র। এমনকি, তার স্বীকারোক্তি, তিনি একইসঙ্গে তিনজন বান্ধবীর সঙ্গেও ডেটিং করেছেন!

সঞ্জয় দত্ত এবং টিনা মুনিম ছিলেন ছোটবেলার বন্ধু। পরে টিনার বিপরীতেই জীবনের প্রথম ছবি ‘রকি’-তে অভিনয় করেন সঞ্জয়। সে সময় থেকেই তাদের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয়।

মা নার্গিসের গভীর প্রভাব ছিল সঞ্জয়ের জীবনে। নার্গিসের মৃত্যুর পর যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, সেটা অনেকটা পূরণ করেছিলেন টিনা। পরে জানান সঞ্জয়। বান্ধবী টিনা তার জীবনে চলার পথে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতেন। কিন্তু কোনওদিন হস্তক্ষেপ করেননি সঞ্জয়ের ক্যারিয়ারে।

এমনকি, তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে জুটি বেঁধে সঞ্জয়ের অভিনয় করাতেও কোনও আপত্তি করতেন না টিনা। অন্যদিকে নায়িকা টিনাকে ঘিরেও একাধিক সম্পর্ক গুঞ্জরিত হয়েছিল। সেসব শুনে সঞ্জয় নাকি মেজাজ হারাতেন। টিনাকে ঘিরে এতটাই তীব্র ছিল তার অধিকারবোধ।

কিন্তু সঞ্জয়-টিনা সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। শোনা যায়, সঞ্জয়ের উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন মেনে নিতে পারেননি অভিনেত্রী। আবার ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে এও শোনা যায়, সঞ্জয়কে ছেড়ে টিনা মুনিম সে সময় রাজেশ খান্নার ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন।

রিচা শর্মার ছবি সঞ্জয় প্রথম দেখেছিলেন পত্রপত্রিকায়। তখন থেকেই তিনি রিচায় মুগ্ধ। পরে এক ছবির মহরতে দু’জনের আলাপ হয়। রিচার টেলিফোন নম্বর যোগাড় করে সঞ্জয়ই তার সঙ্গে প্রথম আলাপ করেন।

বেশ কয়েকবার অনুরোধের পরে রিচা রাজি হন সঞ্জয়ের সঙ্গে আলাপ করতে। ধীরে ধীরে সেখান থেকেই প্রেমের সূত্রপাত। ১৯৮৭ সালে উটিতে ‘আগ হি আগ’ ছবির শুটিংয়ে রিচাকে প্রোপোজ করেন সঞ্জয়। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হতে সময় চেয়েছিলেন রিচা।

কিন্তু তিনি যতক্ষণ ‘হ্যাঁ’ বলেননি, ততক্ষণ সঞ্জয় হাল ছাড়েননি। অবশেষে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হন রিচা। ১৯৮৭ সালেই বিয়ে করেন সঞ্জয়-রিচা। পরের বছর জন্ম হয় তাদের একমাত্র মেয়ে ত্রিশলার।

কিন্তু আচমকাই সুর কাটল তাদের দাম্পত্যে। জানা গেল রিচা আক্রান্ত ব্রেন টিউমারে। যখন ধরা পড়ে, তখন অসুখ পৌঁছেছে জটিলতার শেষ সীমায়। চিকিৎসক এবং কাছের জনদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে রিচা মারা যান ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। আমেরিকায় তার চিকিৎসা চলছিল। জীবনের শেষ কয়েকটা মাস তিনি কাটিয়েছিলেন নিউইয়র্কে, তার বাবা মায়ের বাড়িতেই। মৃত্যুর আগে তার এবং সঞ্জয়ের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছিল।

রিচা যে সময় অসুস্থ, সেই সময় থেকে সঞ্জয়কে নিয়ে নতুন গুঞ্জন। এবার তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে গেলেন মাধুরী দীক্ষিত। ১৯৯১ সালে ‘সাজন’ সিনেমার সময় থেকেই নাকি তারা একে অন্যের প্রতি অনুরক্ত। ১৯৯৩ সালে নিজের কাছে বেআইনি অস্ত্র রাখার অপরাধে টাডা আইনে গ্রেফতার হন সঞ্জয়। তারপরই সম্পর্ক থেকে সরে যান মাধুরী। যদিও সঞ্জয় বা মাধুরী, দু’জনের কেউ এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি।

এরপর সঞ্জয়ের জীবনে আসেন রিয়া পিল্লাই। ১৯৯৮ সালে মডেল রিয়াকে বিয়ে করেন সঞ্জয়। কিন্তু এই দাম্পত্যও ভেঙে যায় কয়েক বছর পরই। শোনা যায়, দু’জনের জীবনেই পরকীয়া তাদের বিবাহবিচ্ছেদের কারণ। ২০০৫ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় সঞ্জয়-রিয়ার।

যার জন্য রিয়ার থেকে দূরে সরে যান সঞ্জয়, তিনি নাকি নাদিয়া দুরানি। কোথায় তাদের আলাপ হয়েছিল, জানা যায় না। তবে শোনা যায়, ‘কাঁটে’ সিনেমার সময় আমেরিকায় শুটিং স্পটে পৌঁছে গিয়েছিলেন নাদিয়া। এরপরই রিয়া ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন।

নাদিয়ার সঙ্গে সঞ্জয়ের সম্পর্ক এরপর ভেঙে যায়। যেভাবে উল্কার মতো এসেছিলেন, সেভাবেই সঞ্জয়ের জীবন থেকে হারিয়ে যান নাদিয়া। সে সময় নাকি কিছু দিনের জন্য লিজা রে’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল সঞ্জয়ের। কিন্তু তাদের সেই সম্পর্ক ছিল খুবই অল্প সময়ের জন্য।

তবে লিজা এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন বরাবর। সঞ্জয়ের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নাকি ছিল অভিনেত্রী রেখারও। একসঙ্গে শুটিং করতে গিয়েই দু’জনের আলাপ। গুঞ্জন, দু’জনে পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করেছেন। কিন্তু এই গুঞ্জনের পক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি। রেখার জীবনীকার ইয়াসিন উমরও এই দাবি অস্বীকার করেছেন। সঞ্জয় নিজেও রেখার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন।

কিমি কাটকার এবং রতি অগ্নিহোত্রীর সঙ্গে সঞ্জয়ের নাম জড়িয়ে গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। কিন্তু সেসবই খুব অল্প সময়ের জন্য। নায়িকাদের সঙ্গে সঞ্জয়ের প্রেমের গুঞ্জন বন্ধ হয় তার তৃতীয় বিয়ের পর।

মান্যতার সহজ সরল স্বভাব ভাল লেগেছিল সঞ্জয়ের। দু’বছরের প্রেমপর্বের পরে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মান্যতাকে বিয়ে করেন সঞ্জয়। ২০১০ সালে জন্ম হয় তাদের যমজ সন্তানের। সঞ্জয়ের অতীতের অসংখ্য সম্পর্কের কোনওটাই ছায়া ফেলেনি তার তৃতীয় দাম্পত্যে। জীবনের কঠিন সময়েও তার পাশে স্তম্ভের মতো আছেন স্ত্রী মান্যতা। সূত্র: আনন্দবাজার

সূত্র- বিডি প্রতিদিন




মুজিবনগরই বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। প্রথম রাজধানী ছিল মুজিবনগর। এ নিয়ে ভিন্নমত থাকার কথা নয়। যদিও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ কোন কোন অতি উৎসাহী পক্ষ প্রকৃত ইতিহাস কে অস্বীকার করে নিজেদের অনুকূলে নেয়ার অপচেষ্টা করছেন।

তাঁদের প্রতিশ্রদ্ধা রেখেই জানাতে চাই ——–

১। পাকিস্তানের নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনকারী দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা এক বেতার ভাষণ শিলিগুড়ির এক বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয় ১১ এপ্রিল ১৯৭১ সালে।

মুক্তাঞ্চল তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বাগোয়ান ইউনিয়নের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের বিশাল আম বাগানে ১৭ এপ্রিল উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করে মন্ত্রীসভা শপথ গ্রহণ করেন। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক অভ্যুদয় হয়।

প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ১১ এপ্রিলের প্রথম বেতার বক্তৃতাকে বৈধ সরকার গঠণের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ করার জন্য স্বাধীনতা আদেশ ঘোষণার তারিখ ১০ এপ্রিল ১৯৭১ বলে পরবর্তীতে ঘোষণা করা হয়।

প্রথম সরকারের শপথের স্থান বৈদ্যনাথতলা গ্রামের নতুন নাম করণ করা হয় নতুন রাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘মুজিবনগর’। আর মুজিবনগর কে নতুন রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করে নতুন সরকার। সেই ঘোষণা অনুসারে বাংলাদেশের প্রথম সরকারের সকল দলিল, নথি, প্রকাশনা ও সম্প্রচারে রাষ্ট্রের রাজধানীর নাম মুজিবনগর হিসাবে উল্লেখ করা শুরু হয়।

যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ, ভারত ও অপর বহু রাষ্ট্রের সরকারী দলিল-দস্তাবেজে এবং দেশ বিদেশের গণ মাধ্যমে মুজিবনগর কে বাংলাদেশ সরকারের রাজধানী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সে কারণে অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রথম সরকার কে ‘মুজিবনগর সরকার’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

২। মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা কে মুজিবনগর হিসেবে নাম করণ করে রাজধানী ঘোষণার আগে, বাংলাদেশের প্রথম সরকার অপর কোন শহর, গ্রাম বা স্থানকে কখনোই রাজধানী ঘোষণা করেনি। পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা বা কুষ্টিয়া কেও নয়।

৩। ২৫ মার্চ রাতে নীরিহ বাঙালিদের উপর পাকিস্তানী সরকার ও সশস্ত্র বাহিনীর ঘৃণ্য আক্রমণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ যুদ্ধের একটি উল্লেখ যোগ্য ঘাঁটি ছিল চুয়াডাঙ্গা। আমাদের মনে আছে এত দঞ্চলে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল কুষ্টিয়াতে এবং সে যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর থেকে।

স্থানীয় রাজনৈতিক, সামরিক ও প্রশাসনিক শীর্ষ ব্যক্তিদের নেতৃত্বে প্রায় তিন সপ্তাহ চুয়াডাঙ্গা পাকিস্তান থেকে বিছিন্ন ও মুক্ত ছিল। স্থানীয় নেতৃত্বের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির নির্দেশনায় প্রশাসন পরিচালিত হয়েছে মুক্তাঞ্চল চুয়াডাঙ্গায়। যেমন টি হয়েছিল মেহেরপুর ও টাঙ্গাইল সহ দেশের অপর কয়েক টি স্থানে। স্বাধীনতা যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার ঐতিহাসিক অবদান স্বীকার করতে কোন দ্বিধা নাই।

৪। তবে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠণের আগে সরকার ছাড়া স্থানীয় ভাবে কোন স্থানকে রাজধানী ঘোষণা করা হয়ে থাকলে তা বৈধ বলে স্বীকৃত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কেননা সরকার ছাড়া যুদ্ধের কোন রাজনৈতিক বা সামরিক নেতা বা অপর কেউ কোন স্থান কে যদি রাজধানী ঘোষণা করেও থাকেন তাহলে সেই স্থানটি রাজধানী হয়ে যায় না।

৫। বাংদেশের প্রথম রাজধানী মুজিননগর। পরবর্তী রাজধানী ঢাকা। এর মধ্যে কোন বিতর্ক নেই, থাকতে পারে না। আমাদের সকলেরই জানা আছে যে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে যাঁরা বাংলাদেশ সরকারের অধীনে কর্মরত ছিলেন তাঁদের মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে এবং চাকুরী কালিন সব সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে।

৬। প্রসঙ্গতঃ বলা যায়, ধরা যাক একটি ফুটবল টুর্ণামেন্ট চলছিল এবং ফাইনাল খেলা পড়ে মেহেরপুর জেলার সাথে পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার। কিন্তু কোন কারণ বশতঃ সে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় নি। তাই বলে কি চুয়াডাঙ্গা জেলা দাবী করতে পারবে যে তারা ফুটবল খেলায় বিজয়ী জেলা?

সুতরাং আসুন আমরা ইতিহাস স্বীকৃত বিষয় টি নিয়ে কোন বিতর্কে না যেয়ে সহজ ভাবে মানতে শিখি মুজিবনগরই হলো বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী।

লেখকঃ সাংবাদিক জি টিভি, দৈনিক সংবাদ, ডেইলি অবজারভার।

মেপ্র/আরপি




শুটিং শেষ হলে নায়ক-নায়িকাদের জাঁকাল পোশাকগুলোর কী হয়?

ছবির পর্দায় তারকাদের নানা রকম ফ্যশনেবল জাঁকাল পোশাক পরতে দেখা যায়। এক একটি পোশাকের জন্য তাবড় তাবড় ডিজাইনারের মস্তিষ্ক থাকে। অনেক ছবির নায়ক বা নায়িকার পোশাক আবার ফ্যাশনে ট্রেন্ড হয়ে যায়।

যেমন এক সময়ে বান্টি বাবলি স্যুট ফ্যাশনে ইন হয়। জব উই মেট ছবিতে করিনা কাপুরের হারেম প্যান্ট রীতিমতো ফ্যাশন দুনিয়ায় ঝড় তুলেছিল। কিন্তু ছবিতে তারা যে পোশাকগুলো পরেন, সেগুলো শুটিং শেষ হলে কোথায় যায়। শুধু ফ্যাশনেবল পোশাক নয়। বিভিন্ন চরিত্রের জন্য বিভিন্ন রকমের পোশাক বরাদ্দ থাকে। সেই পোশাক অন্য ছবিতে রিপিট করতেও দেখা যায় না। তাহলে যায় কোথায় সেই পোশাকগুলো।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই রহস্যের সমাধান হয়েছে বেশ কিছুটা। জানা যাচ্ছে,

১)সব কস্টিউম সমান নয়। কিছু পোশাক দিব্য চলে দৈনন্দিনে। সাধারণ পোশাকগুলো রিপিট করা হয়। যেমন ডেনিম প্যান্ট বা কোনও সলিড রঙের টিশার্ট জাতীয় পোশাক। কিছু একেবারে চিত্রনাট্যের আবদার মেনেই বানানো। কিছু আবার এতটাই চোখে পড়ার মতো যে, তাদের বাক্সবন্দি হয়েই থেকে যাওয়া ছাড়া গতি থাকে না।

২) ছবির শুটিং শেষ হলে প্রোডাকশন হাউস কস্টিউমগুলোকে বাক্সবন্দি করে। পরে অন্য কোনও প্রোডাকশনেও তা কাজে লাগানো হয় অনেক সময়ে।

৩) কোনও কোনও কস্টিউম অভিনেতারা পছন্দ করে সেটা কিনে নেন। কখনও আবার ডিজাইনার নিজে তার ডিজাইন করা পোশাকটিই নিয়ে নেন। ছবি হিট হলে ডিজাইনার সেই পোশাককে তার বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার করেন।

৪) তবে সিরিয়ালের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু অন্যরকম। সিরিয়ালে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শাড়ি লেহেঙ্গা ইত্যাদি পরেন অভিনেতারা। সেই পোশাকগুলো রিসাইকলড হতেই থাকে। অন্য ধারাবহিকেও পরেন অভিনেতারা।

সূত্র : কলকাতা ২৪x৭।




হুমায়ুন আহমেদ স্মরনে মেহেরপুরে অরনির “হুমায়ুন কথন”

জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ দিনটি ঘিরে হুমায়ন আহমেদ স্মরনে মেহেরপুর অরনির থিয়েটারের উদ্যোগে “হুমায়ুন কথন” এর আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার সন্ধায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

হুমায়ূন আহমেদ স্মরনে অরনির আয়োজনের মধ্যে ছিল, গান, উপন্যাস পাঠ, কবিতা ইত্যাদি। গান ও উপন্যাস পরিবেশন করেন খাদিজা জান্নাত পরী, সামারুল ইসলাম, খোকন।

বাদ্যযন্ত্রে ছিলেন, তব্লাই রুবেল হোসেন, আব্দুস সামাদ এবং জুড়ীতে আলাউদ্দিন, বাঁশিতে মাহাবুব, দো-তারাই আব্দুল্লাহ।

উপস্থাপনায় ছিলেন অরনি থিয়েটারের সভাপতি নিশান সাবের। সার্বিক ব্যবস্থাপনা ছিলেন আতিক স্বপন।




গেইম খেলে ৮৩ বছরের জন্য নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্ট ফ্রি!

একের পর এক সিনেমা আর ওয়েব সিরিজ মুক্তি পাচ্ছে আমাজন প্রাইম, নেটফ্লিক্স, জি ফাইভ, ডিসনি প্লাস হটস্টারের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে। ঘরবন্দি মানুষ সেখানেই চোখ রাখছেন বিনোদনের জন্য । ফলে লাফিয়ে বাড়ছে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা। ফলে প্ল্যাটফরমগুলোও পড়েছে প্রতিযোগিতায়। এই পরিবেশে সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে অভিনব অফার ঘোষণা করেছে নেটফ্লিক্স। ৮৩ বছর অর্থাৎ ১ হাজার মাসের জন্য বিনামূল্যে এই প্ল্যাটফর্মের সব প্রোগ্রাম উপভোগ করতে পারবে ব্যবহারকারী। বাস্তব তো?

আসলে গত সপ্তাহে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য ওল্ড গার্ড’ ছবিটি। এটি হচ্ছে নেটফ্লিক্স অরিজিনাল শো। এই সুযোগটিকে কাজে লাগাইতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি অন্যদের টেক্কা দিতে। আর এই কারণেই গ্রাহকদের নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্ট ‘অমর’করে ফেলার অফার দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শর্ত আছে!
এর জন্য আপনাকে ‘দ্য ওল্ড গার্ড’ ভিডিও গেমটি খেলে শত্রুপক্ষকে হারাতে হবে এবং নিজেকে ‘অমর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভিডিও গেমপ্রেমীদের কাছে এমন অফার নিঃসন্দেহে লোভনীয়। কারণ গেমিংও যেমন উপভোগ করা যাবে, তেমনই তাতে জয়ী হলে একেবারে ৮৩ বছর নিখরচায় নেটফ্লিক্সের পর্দায় চোখ রাখা যাবে।

সুযোগটি অবশ্য সীমিত। আর তা শুরুও হয়ে গিয়েছে। ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে খেললে তবেই এই আকর্ষণীয় ফ্রি সাবস্ক্রিপশনের মালিক হওয়া যাবে। তবে তার জন্য সর্বোচ্চ স্কোর করতে হবে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, অফারটি এখনও বাংলাদেশ বা এই অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য দেয়নি নেটফ্লিক্স। আপনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ব্যবহারকারী হলেই হাতে পাচ্ছেন নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্ট ‘অমর’করে ফেলার দুর্দান্ত সুযোগ।

সূত্র : ইন্টারনেট




ইউটিউবে পছন্দের তালিকার শীর্ষে সুশান্তের ছবির ট্রেলার

বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’ মুক্তি পাবে আগামী ২৪ জুলাই। ডিজনিপ্লাস হটস্টার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে ছবিটি। সম্প্রতি ছবিটির ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তির ২৪ ঘণ্টায় ইউটিউবে পছন্দের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে ভিডিওটি। এটি মুক্তির ২৪ ঘণ্টায় ইউটিউবে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ এর গড়া রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে।

প্রকাশের ২৪ ঘণ্টায় সুশান্তের শেষ ছবির ট্রেলার ৫.৪ মিলিয়ন লাইক পেয়েছে। এদিকে মার্ভেল স্টুডিওর অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেমের অফিসিয়াল ট্রেলার লাইক পড়েছিল ২.৯ মিলিয়ন। সুশান্তের ছবির ট্রেলারটি আজ বুধবার পর্যন্ত ৪ কোটি বার দেখা হয়েছে।

২০১২ সালে জন গ্রিনের লেখা ‘দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। একই নামে হলিউডের একটি ছবি নির্মাণ করা হয়েছিল।

সূত্র- বিডি প্রতিদিন




এবার সরকারি উদ্যোগে কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট

করোনায় দেশের সিটি করপোরেশনগুলো এরইমধ্যে অন্যবারের তুলনায় পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। অথচ গ্রামীণ অর্থনীতিতে কোরবানির ভূমিকা ব্যাপক। অসংখ্য চাষি ও ছোট বড় খামারিরা দেশের কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে সারা বছর ধরে গরু-ছাগল পালন করে থাকেন।

এসব খামারি ও ক্রেতাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কোরবানির পশু কেনা-বেচার জন্য ডিজিটাল হাটের ব্যবস্থা করেছে। এটিই হবে সরকারি উদ্যোগে দেশের সবচেয়ে বড় ‘কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট’। করোনা পরিস্থিতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ’ প্রকল্প (আইডিইএ) এর আগে ‘ফুড ফর ন্যাশন’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করে। এরই আলোকে আইডিইএ প্রজেক্টের ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ ব্যানারে ডিজিটাল হাটের এই উদ্যোগটি গ্রহণ করে প্রকল্পটি।

এই হাটে ক্রেতারা ঘরে বসেই গরুর ছবি ও ভিডিও দেখার ও লাইভ ওজন জানার সুযোগ পাবেন। একইসঙ্গে তিনি গরু চাষি, খামারি বা ব্যাপারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ পাবেন। এরপর নির্দিষ্ট স্থান থেকে অথবা হোম ডেলিভারির ভিত্তিতে অর্থের বিনিময়ে গরু সংগ্রহ করতে পারবেন।
দেশের সর্ববৃহৎ এই ডিজিটাল হাটের জন্য সারা বাংলাদেশ থেকে গরু- ছাগলের চাষি, খামারের মালিক ও সাধারণ পশু ব্যবসায়ীদের নিবন্ধন কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। উল্লেখিত পেশার যে কেউ https://foodfornation.gov.bd/qurbani2020/ ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে বিনামূল্যে নিবন্ধন করার সুযোগ পাবেন। নিবন্ধনের পর নিজস্ব প্যানেল থেকে পশুর ছবি, ভিডিও ও অন্যান্য তথ্য আপলোড করতে হবে।

এসব ছবি ও তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার তার নিজ খরচে প্রচার করবে। ফলে ক্রেতারা সহজেই তাদের কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় পশু পছন্দের সুযোগ পাবেন এবং বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে ডেলিভারি নিতে পারবেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ফুড ফর ন্যাশন প্লাটফর্মটি কোরবানির পশুর জন্য দেশের সবচেয়ে বড় ম্যাচ মেকিং ডিজিটাল হাট হতে যাচ্ছে।

খামারি ও চাষিদের অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং ক্রেতা ও তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমি সারা দেশের খামারি ও চাষিদের অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা আপনাদের পশুর তথ্য নিয়ে এই প্লাটফর্মে আসুন। আমরা দেশের সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা অটুট রেখেই আমাদের অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডগুলো চালু রাখতে চাই।

সূত্র- বিডি-প্রতিদিন




এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে যেভাবে স্মৃতিচারণ করলেন জেমস

কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে স্মৃতিচারণ করলেন দেশের আরেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জেমস। তার স্মৃতিচারণায় উঠে আসে হৃদয়স্পর্শী কিছু কথা।

জেমস বলেন, “এন্ড্রু দা আমার কয়েক বছরের সিনিয়র। আমরা একই অঞ্চলের মানুষ। একসঙ্গে তার সঙ্গে কত গল্প, কত স্মৃতি বলে বোঝাতে পারব না। একটি পত্রিকার অনুষ্ঠানে তার হাত থেকে আমি ক্রেস্ট নিয়েছিলাম।

তার হাসিমাখা মুখ আর ওই ক্রেস্ট নেওয়ার মুহূর্তের আনন্দটা ছিল অসাধারণ। সে সময় তার সঙ্গে কানে কানে কথা হয়েছিল। ‘কেমন আছেন সব ঠিকঠাক তো?’ মনে হয় দুষ্টুমির ছলেই এ কথাটা বলেছিলাম। এন্ড্রু দা শুনে হাসছিলেন।

তার হাসিমাখা মুখটা ভুলে থাকা কঠিন, সত্যিই অনেক কঠিন! এক রকম সরলতা সব সময় বিরাজ করত তার চোখে-মুখে। সেই সরলতামাখা মায়াভরা মুখ আর কখনও দেখতে পাব না, এটা ভাবতেই পারছি না।

এন্ড্রু দার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয় তিনি যখন সিঙ্গাপুর চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন। ফোনে তার সঙ্গে কথা হয় অনেক। দাদাকে আমি চিকিৎসা বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম। ক্যান্সারের চিকিৎসা নেওয়ার সময় মাঝপথে মনে হয় ভালো হয়ে গেছি, এমন ভাবই হয়। যার ফলে অনেকেই আর পুরো চিকিৎসাটা করেন না। কেননা রোগী কিংবা তার স্বজনরা মনে করেন ভালো হয়ে গেছি। অনেক সময় ডাক্তাররাও সেটা মনে করেন।

একটা বিষয় আমি জানি, ক্যান্সারের জীবাণু, বিশেষ করে লিম্ফোমা যদি দ্বিতীয়বার ব্যাক করে তাহলে সেটা দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আসে। ডাক্তারের কাছেই শুনেছি। আমি এন্ড্রু দাকে বলেছি, আপনি কিন্তু পুরো চিকিৎসা করে একেবারে নিশ্চিত হয়ে দেশে আসবেন। সেদিন দাদা খুব খুশি হয়েছিলেন।

দাদা আজ আমাদের মাঝে আর নেই, বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। সঙ্গীতে তার আসন কোথায় তা কারোরই বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তিনি অনেক কিছুর ঊর্ধ্বে। তিনি তার গানেই আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। দাদা যেখানে থাক, ভালো থাক- এটাই কামনা করি।”

সূত্র- বিডি প্রতিদিন




সন্তানদের অপেক্ষায় রামেক হাসপাতালের হিমঘরে এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ

বাংলাদেশের প্লেব্যাক সম্রাট কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় থাকা বড় বোনের বাসা থেকে এন্ড্রু কিশোরের মরদেহে একটি স্ট্রেচারে করে বের করা হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ওই বাড়িতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

তার অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী ও শুভাঙ্ক্ষী শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েন। সবাই শেষবারের মত তাকে একনজর দেখতে ভীড় করেন। প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরের বন্ধু রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাস জানান, এন্ড্রু কিশোরের বাবার নাম ক্ষিতিশ চন্দ্র বাড়ই। মায়ের নাম মিনু বাড়ই। এন্ড্রু কিশোর সংসার জীবনে স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু এবং সজ্ঞা (২৬) নামে এক মেয়ে ও সপ্তক (২৪) নামে এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন। তার দুজনই বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করছেন।

সজ্ঞার পড়াশোনা প্রায় শেষের দিকে। তারা দেশের পথে আছেন। মূলত তারা ফিরলেই এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। একই সাথে তাকে সমাহিত করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে। তবে রাজশাহীতেই তাকে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবর্তন হলে তা পরে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। সেসময় পর্যন্ত তার বন্ধু এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরেই রাখা হবে। রাতেই তার মরদেহ সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন কেবল সন্তানদের জন্য অপেক্ষা।

সন্তানরা যেদিন আসবে- সেদিন এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন সদ্য প্রয়াত এই বরেণ্য শিল্পীর বন্ধু ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাস। তবে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে তার মায়ের পাশেই সমাহিত করা হবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মারা যাওয়ার আগে তিনি বলে যান তাকে যেন মায়ের পাশেই সমাহিত করা হয়। আর তার শেষ এই ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে। এন্ড্রু কিশোরের বোনের স্বামী ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, এখন তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে থাকছে। মৃত্যুর আগে এন্ড্রু কিশোর নিজেই বলে গেছেন তাকে যেন মায়ের পাশেই সমাহিত করা হয়। সেই ইচ্ছাই মায়ের পাশেই তাকে সমাহিত করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিন্তু কখন সমাহিত করা হবে এটা ঠিক করা হয়নি।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তার মৃত্যুর খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শোকে মুহ্যমান হয়ে যায় পুরো দেশ। অনেকেই প্রিয় শিল্পীকে একনজর দেখতে রাজশাহীর মহিষবাথান এলাকায় থাকা বড় বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাড়ির সামনে ভীড় করেন। মরণঘাতী ক্যান্সারের অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে এই বাড়িতেই জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই সঙ্গীত তারকা।

বড় বোন ও বোনের স্বামী দু’জনই স্বনামধন্য চিকিৎসক। বাড়িটি একটি অংশেই রয়েছে ক্লিনিক। গত সেপ্টম্বরে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর প্রায় নয় মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নেন দিনি। গত ১১ জুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফেরেন। এরপর ঢাকার মিরপুরের বাড়িতে সপ্তাহ খানেক থাকার পর গত ২০ জুন রাজশাহী আসেন। সেই থেকে বড় বোনের বাসাতেই ছিলেন। সেখানে সেবা সুস্রসা চলছিল কিংবদন্তি এন্ড্রু কিশোরের। তাই এখন ওই বাড়িটি ঘিরেই সবার কৌতুহল। এতদিন কিভাবে ছিলেন, কেমন ছিলেন, কি খেয়েছেন, কি বলে গেছেন- একে অপরে কথোপকথনের মাধ্যমে এই সব প্রশ্নই আজ জানার চেষ্টা করছেন সবাই।

উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন এন্ড্রু কিশোর। সেখানেই কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর। এন্ড্রু কিশোর প্রাথমিকভাবে সংগীতের পাঠ শুরু করেন রাজশাহীর খ্যাতনামা ওস্তাদ আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে। একসময় গানের নেশায় রাজধানীতে ছুটে আসেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, আধুনিক গান, লোকগান ও দেশাত্মবোধক গানে রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। ১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমায় ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয়।

সেই শুরুর পর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এন্ড্রু কিশোরের খুব জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

এন্ড্রু কিশোর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। এছাড়া সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য দেশ-বিদেশের আরও বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন উপমহাদেশের খ্যাতনামা এই শিল্পী।

সূত্র- বিডি-প্রতিদিন




ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে দর্শকদের ‘নকল শব্দ’

করোনা প্রাদুর্ভাবের পর ৮ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল‌্যান্ডের ম‌্যাচ দিয়ে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। সাউদাম্পটনে দুই দল সাদা পোশাকে ব‌্যাট-বলের যুদ্ধে নামবে। মাঠে খেলা ফেরাতে আইসিসির বেশ কিছু শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, দর্শকশূণ্য স্টেডিয়ামে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে খেলা হতে হবে। আইসিসির গাইডলাইন মেনে আয়োজকরা সেভাবেই এজেস বোল স্টেডিয়াম প্রস্তুত করেছে।

তবে মাঠের উন্মাদনা ঠিক রাখতে ভিন্ন পরিকল্পনা করেছে আয়োজকরা। রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে খেলার সাথে থাকবে দর্শকদের ‘নকল শব্দ’। এছাড়া জনপ্রিয় গানগুলো তো বাজবেই। শুধুমাত্র গ্যালারিতে তাকালেই বোঝা যাবে মাঠে দর্শক নেই। এছাড়া বাকিটা সময় হবে হই-হুল্লোড়। সেভাবেই স্টেডিয়াম সাজাবে ইংল্যান্ড।

ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতি অনুযায়ী আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মাঠে সেই সব শব্দ ম্যাচজুড়ে বাজানো হবে। টাইমস এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সফরে আরও দুটি টেস্ট খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের দুটি ম্যাচ হবে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে। ১৬ ও ২৪ জুলাই ম‌্যাচগুলো শুরু হবে।

সূত্র- বিডি প্রতিদিন