তেজপাতার ৫ ঔষধি গুণ

বিরিয়ানি হোক কিংবা পোলাও, তাতে অবশ্যই তেজপাতার ছোয়া থাকতে হবে। তেজপাতা ছাড়া রান্নার কথা চিন্তা করাই মুশকিল। শুধু রান্নায় নয়, তেজপাতা আরও নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। খাবার স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ঔষধি গুণ থাকার কারণেও তেজপাতা কদর রয়েছে বিশ্বের বহু দেশে।

জেনে নিন তেজপাতা কোন কোন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

১. ঠান্ডা-কাশিতে
ঠান্ডাজনিত যেকোনো রোগ, ফ্লু ও অন্যান্য সংক্রমণ রোধে লড়াই করে তেজপাতা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে, পানিতে দু-তিনটি তেজপাতা দিয়ে ১০ মিনিট গরম করুন। এই পানিতে ভেজানো একটি কাপড় বুকের ওপর রাখুন। ফ্লু, ঠান্ডা ও কাশি থেকে আরাম পাওয়া যাবে। জ্বর সারাতেও সহায়তা করে তেজপাতা।
২. বদহজমে
তেজপাতা হজমক্রিয়া বাড়াতে সহায়তা করে। হজমক্রিয়ায় সমস্যা থাকলে তা সারিয়ে তোলে। বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তেজপাতা দিয়ে গরম করা এক গ্লাস পানি পান করুন। স্বস্তি পাবেন।

৩. ডায়াবেটিসে
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় তেজপাতার কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তেজপাতায় রক্তে শর্করা বা চিনি, কোলেস্টেরল কমাতে ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সহায়তা করে। সর্বোচ্চ ফল পেতে তেজপাতা গুঁড়ো করে টানা এক মাস খেতে পারেন। তেজপাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম ভালো রাখে।

৪. ব্যথা উপশমে
তেজপাতার তেল বাতের ব্যথা, মচকানো, কোনো কিছুর চাপ লেগে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে বা যেকোনো সাধারণ বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশম করে। মাইগ্রেন ও মাথাব্যথায় কপালি তেজপাতার তেল মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।

৫. হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক রোধে
তেজপাতায় এমন সব ভেষজ উপাদান আছে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো রোগ প্রতিরোধ হৃদযন্ত্রকে রাখে নিরাপদ। বাড়ায় হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা।

সূত্র- বিডি প্রতিদিন




কেন তড়িঘড়ি গলওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে ছবি বানানোর ঘোষণা দিলেন অজয় দেবগন?

ভারত-চীন সংঘর্ষ এবার সেলুলয়েডের পর্দায়। অজয় দেবগন ফিল্মস-এর ব্যানারে তৈরি হবে গলওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে ছবি।

বলিউডি দেশাত্মবোধক ছবির কথা বললেই ভেসে ওঠে বিশেষ কয়েকটি মুখ। সেই তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছেন অজয় দেবগন। লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সেনার সংঘর্ষ নিয়ে ছবি বানাচ্ছেন এই অভিনেতা। সীমান্তের টেনশন নিয়ে ছবি বানানোর জন্য সবসময়ই মুখিয়ে থাকে বলিউড। যেমন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে হয়েছে ‘উরি’। লাদাখে ভারত-চীন সংঘর্ষ নিয়েও যে ছবি হবে, তা মোটামোটি আঁচ করাই গিয়েছিল। তবে এত তাড়াতাড়ি হবে তা একটু আশ্চর্যের।

ছবি বানানো আর্ট বটে, তবে বাণিজ্যের ব্যাপারটা ভুললে চলবে না। ২০ জন ভারতীয় সেনা সদস্যের আত্মত্যাগের গল্প মানুষ দেখবেন আবেগের সঙ্গে। অন্য কেউ এই আবেগকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার আগেই নিজের নাম খোদাই করলেন অজয়। LOC কার্গিল, ভগত সিং, তানাজি’র মতো ছবিতে অজয় দেবগন যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য।

তবে গলওয়ান ভ্যালি সংঘর্ষ নিয়ে ছবি করার সিদ্ধান্ত অভিনেতা অজয়ের চেয়েও বেশি প্রযোজক অজয়ের। এই ছবির ব্যাপারে তাকে পরীক্ষায় ফেলে দিতে পারতেন অক্ষয় কুমার। তিনিও দেশাত্ববোধক ছবি করতে ভালবাসেন। ‘এয়ারলিফট’, ‘রুস্তম’, ‘বেবি’-তে এই ফর্মুলা মেনে অক্ষয় সফল। সেই ভয়েই তড়িঘড়ি নিজের নাম লিখিয়ে নিলেন কিনা অজয়, তা বলা মুশকিল।

ছবির সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। কবে ছবির শ্যুটিং শুরু হবে, কিংবা ছবির নামই বা কী, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রাখতে চান প্রযোজক-অভিনেতা অজয় দেবগন। সূত্র: নিউজ এইটটিন

সূত্র- বিডি প্রতিদিন




মাস্ক পরার শর্তে এডিট বাটন আনবে টুইটার

মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার জানিয়েছে, মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সবাই মাস্ক পরে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করলেই প্ল্যাটফরমে বহু প্রতীক্ষিত এডিট বাটন যোগ করা হবে।

বেশ কয়েকটি টুইট বার্তায় মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘সবাই মাস্ক পরলে, আপনারা একটি এডিট বাটন পেতে পারেন’।

‘সবাই মানে সবাই’- বলছে প্রতিষ্ঠানের আরেক টুইটে।

দুর্ঘটনাবশত ভুল বানানে টুইট করে ফেললে লজ্জা থেকে বাঁচার জন্য এডিট বাটনের প্রত্যাশা গ্রাহকের বহু দিনের। এর আগে প্রতিষ্ঠানপ্রধান জ্যাক ডরসি বলেছেন, ‘সম্ভবত’ এডিট বাটন কখনই আসবে না। সম্প্র্রতি ডরসি বলেন, ‘আমরা এসএমএস, টেক্সট বার্তা সেবা হিসেবে শুরু করেছি। আর আপনারা সবাই জানেন, একবার বার্তা পাঠালে আপনি আর সেটি ফেরত পাবেন না। শুরুর দিকে আমরা এ আবহ এবং অনুভূতিই ধরে রাখতে চেয়েছি’।

এডিট বাটনের জন্য টুইটারের নতুন পরিকল্পনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেক গ্রাহক। টুইট বার্তায় ডৌগ সন্ডারস নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘ওকে, টুইটার এখন আমাকে মাস্ক না পরার একটি কারণ দিয়েছে’।




হার্ট সুস্থ রাখতে যা করবেন

দেশে প্রতি বছর হৃদরোগে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও ব্যায়াম আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে ও কমাতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি।

সম্প্রতি একটি পরীক্ষায় থেকে জানা গেছে, নিয়মিত ব্যায়াম শুধু স্বাস্থ্য ভালো রাখে তা নয়, হৃদরোগ থেকেও বাঁচায়।

সুস্থ কার্ডিও-রেসপিরেটরি ক্রিয়া ও গ্রিপ-স্ট্রেংথ থাকলে তা যে কোনো সাধারণ মানুষ এবং হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য ভালো।

কার্ডিও-রেসপিরেটরি ক্রিয়া ভালো থাকলে করোনারি হার্টের ব্যাধি আর আর্টেরিয়াল ফাইব্রিলেসনের ঝুঁকি কমে।

নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক ডায়েট মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।

যেসব খাবার হার্টের জন্য ভালো-

১. ওটস কলেস্টেরলকে কমিয়ে দিতে পারে, যা হৃদরোগ থেকে বাঁচায়।

২. বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ভালো। বাদাম ধমনীকে প্রদাহ থেকে বাঁচায়।

৩. লেগুম বীজে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন ফাইবার। এতে থাকা ফোলেট রক্তে প্লেটলেটের কাজকে নিয়ন্ত্রণ করে।

৫. খেতে পারেন তিসির বীজ। এতে রয়েছে ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফাইবার, যা হার্ট সুস্থ রাখে।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি




করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ‘ইমিউনিটি পিঠা’

করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কোন ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। তবে এর আক্রমন থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে যে পদ্ধতিটি এখন পর্যন্ত স্বীকৃত, তা হলো ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। এই চিন্তা থেকেই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ আর নিজেদের গবেষণার মাধ্যমে যশোরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আইডিয়া’র কর্মীরা তৈরি করেছেন ‘ইমিউনিটি পিঠা’। যে পিঠায় আছে ডুমুর, কালোজিরা, আদা, অলিভ অয়েল, চিকেন মিটসহ ১২টি ঔষধি মসলা।

আইডিয়া’র প্রধান উপদেষ্টা যশোর সরকারি এমএম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক শাহীন বলেন, সারা পৃথিবীতেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারি রূপ নিয়েছে। এ অবস্থায় সহজে দেশের মানুষের ইমিউনিটি কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আইডিয়ার কর্মীরা চিন্তা করছিলেন। আমাদের দেশের মানুষের পিঠার প্রতি বড় ধরণের আকর্ষণ রয়েছে।

তাই স্বাদ, গন্ধ অটুট রেখে যদি পিঠার মধ্যেই ইমিউনিটি বাড়ানোর উপাদানগুলো যোগ করে দেওয়া যায়, তাহলে খাওয়ার মজার সাথে ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজটাও সহজে হয়ে যায়। সে চিন্তা থেকেই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিয়ে তিন ধরণের পিঠা তৈরি করছে আইডিয়া। যার মধ্যে থাকছে পিঠার অন্যান্য সাধারণ উপকরণের পাশাপাশি ডুমুর, কালোজিরা, আদা, রসুন, এলাচ, মেথি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, চারুচিনি, আমলকি, তুলসি পাতা, সজিনার পাতা ও এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল। এসব উপাদানগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও বহু ধরণের উপকার করে। প্রতি পিস পিঠার দাম রাখা হচ্ছে মাত্র ২০ টাকা, যা আইডিয়া যশোরের পিঠা পার্ক থেকে যে কেউ সংগ্রহ করতে পারবেন। এই পিঠা থেকে আইডিয়া কোন অর্থনৈতিক বেনিফিট পেলে সেটাও মানুষের কল্যাণেই ব্যয় করা হবে।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রভাষক শুভাশীষ দাস শুভ বলেন, প্রাচীনকাল থেকে প্রমাণিত যে নিয়মিত শরীর চর্চা ও সুষম খাবারের সাথে কিছু মসলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আইডিয়ার তৈরি ইমিউনিটি পিঠায় যে উপাদানগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো খুব সহজেই ইমিউনিটি তৈরির কাজটা করবে।

সূত্র- বিডি-প্রতিদিন




ভারত নিয়ে প্রশ্ন, রেগে আগুন জয়া আহসান!

করোনা সংক্রমণের মাঝে গত সোমবার এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেছে বাংলাদেশে। বুড়িগঙ্গায় লঞ্চের ধাক্কায় আরেক লঞ্চডুবিতে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন তারকা অভিনেত্রী জয়া আহসান।

জয়ার সে পোস্টে চাঁদ সুলতানা মিথিলা নামে একজন করেছেন অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য। কমেন্টে তিনি লিখেন, ‘ইন্ডিয়া থেকে পানি এসে দেশ ডুবিয়ে দিচ্ছে, সেটা নিয়া কিছু বলেন। আপনার প্রাণপ্রিয় দেশ দাদাদের দেশ নিয়া তো কিছু বলতে শুনলাম না। সারাদিন এত তাদের ভালো ভালো পোস্ট দেন এখন চুপ কেন?’ এছাড়া হিমালয় হিমু নামের একজন অশ্লীল ভাষায় জয়া ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টায় আছেন বলে মন্তব্য করেন। শোকাবহ একটি স্ট্যাটাসে এমন উদ্ভট মন্তব্য দেখে রেগে যান জয়া।

তিনি কমেন্টে লিখেন, ‘আচ্ছা!! ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টায় ছিলাম? তাই নাকি? আদৌ বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব পায় নাকি? আমি তো এত বছর সেখানে গিয়ে কাজ করছি, আবার চলে আসছি। আমিতো জানি ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ওখানে বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব পায় না। আমিতো চেষ্টাও করিনি কোনোদিন। কারণ আমি বাংলাদেশি হিসেবে গর্বিত। তাই অন্য কোনো দেশের নাগরিক হবার সেই চিন্তাটাও আমার মাথায় আসেনি।

তবে আপনার লেখাটা দেখে মনে হলো আপনি মনে হয় ভারতীয় নাগরিকত্ব নেবার চেষ্টা করেছিলেন, তাই না? কিন্তু আফসোস!! হালে পানি পাননি। আর আম্ফানে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বড় স্ট্যাটাস ছিল? একটু পেছনে গিয়ে সেই পোস্ট টা দেখে নিন তো, ঠিক কটা লাইন লিখেছিলাম। হিমালয় হিমু নাম টা ব্যবহার করছেন। হুমায়ূন স্যার- এর লেখা এত প্রিয় একটা চরিত্র। তো সেই নাম ব্যবহার করে বাংলাতে এত কাঁচা হলে চলবে? একটু ভালো করে পড়াটা শিখতে হবে তো নাকি!!

‘আর চাঁদ সুলতানা মিথিলা, আমার মনে হয় শেষ লাইনটা পড়ে দেখেননি। মানেটাও বোঝেননি। তাছাড়া আমার লেখা আপনাকে পড়ার জন্য মাথার দায়ও কেউ দেয়নি বলেই আমার বিশ্বাস। তো সানন্দে এগুলো ইগনোর করতে পারেন। আর যদি এতই লেখার ইচ্ছা হয় তো নিজের টাইমলাইন-এ লিখুন না।

আমাদের দেশের অসুবিধা নিয়ে, সমস্যা নিয়ে যত আমরা সোচ্চার হবো ততই তো আমাদের দেশের ভালো নাকি!! আমাকে গালাগালি বা বাজে কথা লিখে অনেক সুখ হয়তো পাওয়া যায়। কিন্তু এই কষ্ট টা একটু দেশের মঙ্গলের জন্য করলে ভালো হয়না? অন্তত ফেসবুক-এ লিখেও তো একজনের জন্য হলেও তো সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়।’

সূত্র- বিডি-প্রতিদিন




নভেম্বরেই দৃশ্যমান হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু

আগামী নভেম্বরের মধ্যেই দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতুর সার্বিক উন্নয়ন কাজ জুন মাস পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর নদী শাসনের কাজ শেষ হয়েছে ৭৩ শতাংশ। একই সঙ্গে মূল সেতুর উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হয়েছে ৮৯ শতাংশ। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ইত্তেফাককে এ তথ্য জানান।

গত ১০ জুন ৩১তম স্প্যান স্থাপনের ২০ দিন পর গত মঙ্গলবার বসানোর কথা ছিল পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যানটি। মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর এটি বসানোর সব প্রস্তুতিও ছিল। তবে নদীর তীব্র স্রোতের কারণে এটি নির্ধারিত সময়ে বসানো সম্ভব হয়নি। তবে স্প্যান না বসানো হলেও সেতুর মূল উন্নয়নে এটি কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের ইত্তেফাককে জানান, ‘জুলাই ও আগস্টে নদীর স্রোত আরো বাড়তে পারে। আর না বাড়লেও যে স্রোত রয়েছে এমনটি থাকলেও স্প্যান বসানো সম্ভব হবে না। তবে স্প্যান বসানো না গেলেও পদ্মা সেতুর উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত হবে না। অন্যান্য কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। স্রোত হ্রাস পেলে একই সঙ্গে একাধিক স্প্যান বসানো হবে।’

গত ১০ জুন জাজিরা প্রান্তে ২৫ ও ২৬ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ৩১তম স্প্যান। জাজিরা প্রান্তের ২০টির মধ্যে ওই স্প্যানটি ছিল শেষতম স্প্যান। এতে বসে যাওয়া ৩১তম স্প্যানের মধ্যে ২৯টি স্প্যান একসঙ্গে যুক্ত হয়।

নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের ইত্তেফাককে আরো বলেন, ‘নদীর স্রোত অব্যাহত থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি প্রায় আড়াই মাসে কোনো স্প্যান বসানো সম্ভব হবে না। সাধারণত এই দুই বা আড়াই মাস স্প্যান বসানো যায় না। এটা আমাদের আগে থেকেই কর্ম পরিকল্পনায় ছিল। তবে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সবগুলো স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে।’

পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ইত্তেফাককে জানান, ‘চলতি বছর এই সেতুর ১১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এর মধ্যে সারা দেশে সাধারণ ছুটির মধ্যে ২৭ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৪টি স্প্যান বসানো হয়েছে। আর লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ১০ জুনের স্প্যানটিসহ করোনা দুর্যোগের মধ্যেও সেতুর মোট ৫টি স্প্যান বসানো হয়েছে। আমরা আশা করছি যেভাবে উন্নয়ন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আগামী নভেম্বরের মধ্যেই মূল পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে।’

এদিকে, মাওয়া ওয়ার্কশপে আরো চারটি স্প্যানের প্রস্তুতিও চলছে দ্রুত গতিতে। তবে বর্ষায় আবহাওয়া শুষ্ক না থাকার কারণে স্প্যানগুলোর রং শুকাতে সময় বেশি লাগছে। এদিকে পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৯টির মালামাল করোনা মহামারির আগেই এসেছে। বাকি দুটি স্প্যানের অধিকাংশ মালামালও মাওয়ার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে পৌঁছেছে।

মাওয়া প্রান্তে ৫, ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান বসেছে আগেই। এই দুই স্প্যানের দু’পাশে বাকি স্প্যানগুলো বসে গেলেই নভেম্বরের মধ্যেই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে। চলতি অর্থ বছরে বড় প্রকল্পের মধ্যে সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বরাদ্দ পদ্মা সেতুতে। আগামী বছর জুন মাসে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে সূত্র জানায়, আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্প সমাপ্ত করার লক্ষ্য থাকলেও মহামারি করোনার কারণে তা কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে। তবে সেতুর অন্যান্য উন্নয়ন কাজের সঙ্গে দ্রুত গতিতে রেলওয়ের স্লাব বসানোর কাজও এগিয়ে চলছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দ্বিতল সেতুর ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন’।

সুত্র- ইত্তেফাক




পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার

জগৎ সংসারের শত দুঃখ আর কষ্টের মাঝে যার একটু সান্ত্বনা আর অনুপ্রেরণা আমাদের সমস্ত বেদনা দূর করে দেয়, দুঃখে-কষ্টে, সংকটে-উত্থানে যিনি মাথার উপর ছাঁয়া হয়ে দাড়াঁন তিনিই হলেন পিতা।

হযরত আবু দারদা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রসূলাল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই এরশাদ করতে শুনেছি, পিতা জান্নাতের দরজাসমূহের মধ্য হতে উত্তম দরজা। অতএব তোমার ইচ্ছা, এই দরজাকে ধ্বংস করে দিতে পার। অথবা এই দরজাকে রক্ষা করতে পার। (তিরমিযী)

ইসলামে পিতার আনুগত্য ও মর্যদার প্রতি খেয়াল রেখে সদ্ব্যবহার ও আদব রক্ষা করে চলা সন্তানের উপর অপরিহার্য।

হযরত ইব্রাহীম আলাইহিসসাল্লামের অবস্থা দেখুন! তিনি প্রতিদিন সকালে ও সন্ধায় দেখতেন যে, নিষ্প্রাণ মূর্তিগুলোকে আমার পিতা নিজের হাতে তৈরী করেন। এবং তার যেমন ইচ্ছা হয় নাক, কান, চোখ এবং দেহাবয়ব কাটেন, ফুটা করেন এবং জোড়া লাগান। তারপর ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। তাহলে, এগুলো কি খোদা হতে পারে? কিম্বা খোদার সমতুল্য ও সমকক্ষ বলা যেতে পারে? কখনও না, এরপর নবুওত লাভ করে সর্বপ্রথম তিনি এদিকেই মনোযোগ দিলেন।

আর মূর্তি পুজার বিপক্ষে যখন হযরত ইব্রাহীম আলাইহিসসাল্লামের সথে তাঁর পিতার বির্তক হয়ে গেল তখন তাঁর পিতা তাকে বললেন, কুরআনের ভাষা: ‘ইব্রাহীম! তুমি কি আমার খোদাদের প্রতি অসন্তুষ্ট? তুমি যদি এমন কাজ থেকে নিবৃত্ত না হও, তবে নিশ্চয় তোমাকে প্রস্তর নিক্ষেপে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দিব। যাও, আমার সম্মুখ থেকে দূর হয়ে যাও।’(সুরা মরইয়াম; ৪৬)

এমন কঠোর ও মনোবেদনাদায়ক কথোপকথনের সময়ও হযরত ইব্রাহীম আলাইহিসসাল্লাম পিতার সম্পর্কের মর্যদা রক্ষা করে বলেছেন যে, কুরআনের ভাষা: ‘আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক। অচিরেই আপনার জন্য আমি আমার রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব। নিঃসন্দেহ, তিনি আমার প্রতি সতিশয় দয়াবান।’(সুরা মরইয়াম; ৪৭)

দেখুন মহান আল্লাহ তা’য়ালা পিতার প্রতি এতটায় এহছান করেছেন যে, পিতা সন্তানদেরকে আল্লাহর সাথে শরিক করতে বলার পরও তার সাথে ইহসানের আচরণ করতে বলেছেন।

একবার রসূলাল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে এক ব্যক্তি আসল তার সাথে একজন বৃদ্ধ লোক ছিল। রসূলাল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে অমুক, তোমার সাথে এই বৃদ্ধ লোকটি কে? সে বললো, ইনি আমার পিতা।
তিনি বললেন, তার সম্মুখে হেঁটো না, তার পূর্বে বসো না, তার নাম ধরে ডেকো না, এবং তাকে গালি দেওয়ার কারণ হয়ো না।(অর্থাৎ তুমি কারো পিতাকে গালি দাও, আর সে জবাবে তোমার পিতাকে গালি দেয়) (হায়াতুস সাহাবাহ)

আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু একদিন দেখতে পেলেন, দু’জন লোক রাস্তা দিয়ে পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একজন অন্যজন থেকে অধিকতর বয়ষ্ক। কনিষ্ঠজনকে ডেকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘সংগের লোকটি তোমার কে? সে বলল ‘আব্বা।’ তিনি বললেন, ‘তুমি কখনও তার নাম ধরে ডাকবে না, তাঁর আগে আগে চলবে বা এবং তাঁর বসার আগে কোথাও বসবে না।’

ইবনে মুহাইরিয রহমাতুল্লাহি আলাইহি অনেক উন্নত স্বভাব-চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তিনি বলেন, পিতার পথ থেকে কোনো কষ্টদায়ক বস্ত্ত সরানোর উদ্দেশ্য ছাড়া তাঁর আগে চলা তার অবাধ্যতার নামান্তর।

ওমর ইবন যরকে কেউ জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘আপনার প্রতি আপনার ছেলের আনুগত্য বা সদ্ব্যবহারের অবস্থাটা কেমন ছিল? তখন তিনি বললেন, আমি দিনের বেলায় হাঁটলে সে আমার পিছনে পিছনে হাঁটত; আর রাতের বেলায় হাঁটলে সে আমার সামনে সামনে হাঁটত; আর আমি নিচে থাকলে সে কখনও ছাদের উপরে উঠত না।’(উয়ুনুল আখবার)

পিতার অবাধ্য হলে দুনিয়াতেই তার শাস্থি পাওয়া যায়।

আর আসমা’য়ী বলেন, আরবের এক ব্যক্তি আমার নিকট বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি সবচেয়ে অবাধ্য মানুষ ও সবচেয়ে অনুগত মানুষের সন্ধানে বের হলাম; অতঃপর আমি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম, শেষ পর্যন্ত আমি দ্বিপ্রহরে প্রচণ্ড গরমের সময় এক বৃদ্ধের দেখা পেলাম, পানি উঠানোর জন্য যার গলায় রশি দিয়ে বালতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যা টেনে উঠানো উটের পক্ষেও সম্ভব নয়, আর তার পিছনে চামড়ার পেঁচানো রশি (চাবুক) হাতে এক যুবক তাকে প্রহার করছে; আর সে এ রশি দ্বারা পিটিয়ে তার পিঠ রক্তাক্ত করে ফেলেছে। অতঃপর আমি বললাম, তুমি কি এই দুর্বল বৃদ্ধের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করনা? তার ঘাড়ে রশি লাগিয়ে দেওয়াটা কি যথেষ্ট হয়নি যে, তুমি তাকে আবার প্রহার করছ?

তখন সে বলে, তাতো আমি আমার পিতার সাথে এই ব্যবহার করছি(তাতে তোমার কি); তখন আমি বললাম: তাহলে তো আল্লাহ তোমাকে ভালো পুরস্কার দিবেন না।

তখন সে বলল, চুপ কর, সে তো তার পিতার সাথে এরূপ ব্যবহার করত; আর তার পিতাও তার দাদার সাথে অনুরূপ ব্যবহার করত; তখন আমি বললাম: এই হলো সবচেয়ে অবাধ্য মানুষ।

অতঃপর আমি ঘুরতে লাগলাম, শেষ পর্যন্ত দেখা পেলাম এক যুবকের, যার ঘাড়ে একটি ঝুড়ির মধ্যে রয়েছে এক বৃদ্ধলোক, মনে হচ্ছিল যেন একটি মুরগীর বাচ্চা; তারপর সে সব সময় তাকে তার সামনে রাখত এবং তাকে খাওয়াতো যেমনিভাবে মুরগীর বাচ্চাকে খাওয়ানো হয়; তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম: উনি কে? সে বলল: আমার আব্বা, বয়সের ভারে তার বুদ্ধি লোপ পেয়েছে, আমি তাকে দেখাশুনার দায়িত্ব নিয়েছি; তখন আমি বললাম, এই হলো আরবের সবচেয়ে অনুগত ও ভাল মানুষ।(ইবরাহীম আল-বায়হা ‘আল-মাহাসেন ওয়াল মাসাওয়ী)

ছাবিত বুনানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তিনি এক ব্যক্তিকে দেখলেন, কোনো এক স্থানে সে তার পিতাকে প্রহার করছে। তখন সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ব্যাপার কী? এখানে এনে তোমার পুত্র তোমাকে প্রহার করছে কেন? পিতা বলল তাকে ছেড়ে দাও। কারন আমি আমার পিতাকে এই স্থানে প্রহার করেছিলাম। সুতরাং তার প্রায়শ্চিত্ত স্বরুপ আমার ছেলেও আমাকে ঠিক ঐ স্থানে মারছে। তার কোনো দোষ নেই।(তাম্বীহুল গাফেলীন)

আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে পিতার হক আদায়ের দ্বারা মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের তাওফীক দান করুন।(আমীন)

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

লেখক:
বায়োকেমিস্ট, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়, খুলনা




‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক সেন্টার’ এর লাইভে ডিএমপির কমিশনার নাসিরুল্লাহ্

সংগঠনটির নাম ‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’। বয়স প্রায় সাড়ে সাত বছর। ২০১৬ এর আগে অব্দি তারা কাজ করতো সামাজিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। ২০১৬ থেকেই তারা সামাজিক কাজটাকে ধরে রাখার পাশাপাশি তাদের সাংগঠনিক মূল লক্ষ্যকে দাঁড় করায় ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট’কে। এ পর্যন্ত কখনই তারা তাদের কোনো ধরণের কার্যক্রমকে ফেসবুকে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আনেনি।

কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে মানুষ যেন বিনামূল্যেই ভালো কিছু শিখতে পারে ঘরে বসেই, সেজন্য ‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’ এবার অনলাইন লার্নিং ভিত্তিক একটি প্রোজেক্ট গ্রহণ করেছেন, যেটির নাম ‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক সেন্টার’। একটি গ্রুপের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন দক্ষ মানুষকে ‘লাইভ শো’তে এনে অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয় ২৫ এপ্রিল থেকে, যদিও গ্রুপটির সৃষ্টি ১৮ এপ্রিল। এক মাসেরও কম সময়ে তারা ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের কাছে ভালো একটি জায়গা করে নিতে পেরেছে। এই লাইভ শো’গুলো উপস্থাপনা করে চলেছেন ‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’এর প্রতিষ্ঠাতা এবং উপস্থাপক ঈশা খান (অপূর্ব)।

১৯ মে তাদের এই লাইভ শো এর অষ্টম পর্ব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং এই পর্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম ডিভিশনের সম্মানিত সিনিয়র এ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার জনাব সাইদ নাসিরুল্লাহ্। ১৯ মে ঠিক রাত ৯ টায় ‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’এর অফিসিয়াল ফেসবুক ফ্যান পেইজ থেকে এই লাইভটি সম্প্রচার করা হবে। এই শো-এর আলোচনার বিষয় বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সাইবার ক্রাইম’।

‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’ এর প্রতিষ্ঠাতা ঈশা খান (অপূর্ব)’ এর কাছে এই লাইভ শো-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জানতে চাওয়া হলে, উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা মূলত খুবই সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর দক্ষ মানুষকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর চেষ্টা করছি। আমরা জানি, আমাদের অডিয়েন্স বেশিরভাগই মফস্বল শহরাঞ্চলগুলো থেকে বা যাদের সাথে ঢাকার সম্পর্ক তুলনামূলক কম। ঢাকা কেন্দ্রীক মানুষ কিছুটা হলেও এই ধরণের জ্ঞান পাওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু মফস্বলের ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক কিছু থেকেই এখনও অনেকটাই বঞ্চিত। দ্বিতীয়ত, যতটুকু তারা পায়, সেটাও এমনভাবে পায় যে সেগুলো বুঝতে গেলেও কাউকে আগে থেকেও কিছুটা স্টাডি করে রাখতে হয়। সেই কারণে আমরা চেষ্টা করি আমাদের আলোচনাকে খুবই সহজবোধ্য করার যেন সকলেই নির্দ্বিধায় এটি বুঝতে পারে”।

একই সাথে আমরা ঈশা খান (অপূর্ব)-এর কাছে প্রশ্ন রেখেছিলাম এই পর্বে সিনিয়র এ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার মহোদয়কে অতিথি হিসেবে রাখা এবং এই পর্বের বিষয়ে। এ সম্পর্কে উত্তরে তিনি বলেন, “কোয়ারেন্টাইনে মানুষ সবাই ঘরে বসে। সুতরাং, তারা সবচেয়ে বেশি সময় কাটাচ্ছে অনলাইন দুনিয়াতেই। সোস্যাল মিডিয়া সহ অন্যান্য অনলাইন সাইটগুলো অতি মাত্রায় ব্যবহার করলেও, আমরা এর থেকে কী ধরণের অপরাধ সংঘটিত হতে পারে, এ সংক্রান্ত জ্ঞান সবার মাঝে নেই।

সেই কারণেই আমরা চেষ্টা করেছি এই ‘সাইবার ক্রাইম’ বিষয়েই একটি পর্বের আয়োজন করতে। সাইদ নাসিরুল্লাহ অভি ভাইয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ তিনি আমাদের সাথে এত সুন্দর ভাবে কো-অপারেট করেছেন। আমরা ছোট মানুষ। তবুও তিনি খুব আন্তরিকভাবেই আমাদেরকে গ্রহণ করেছেন এবং এই উদ্যোগী আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ‘দা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’-এর ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের করেস্পন্ডেন্ট এবং বড় ভাই জিয়া চৌধুরি ভাইয়াকে। এই পর্বের জন্য উনার আন্তরিকতাও ছিল চরমে। এই মানুষগুলোকে সাথে না পেলে কোনোভাবেই এই আয়োজন এত সুন্দরভাবে করা সম্ভব ছিল না”।

‘ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’এর পক্ষ থেকে সকলকে এই লাইভ আয়োজনটি দেখার জন্য আমন্ত্রন জানিয়েছেন ১৯ মে বাংলাদেশ সময় ঠিক রাত ৯টায়।




এই সময়ে ঈদ ফ্যাশন

দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় রোজার ঈদে। কিন্তু করোনার প্রভাবে এবারের ঈদ ফ্যাশনের চিত্রটা পাল্টে গেছে। কেমন কাটছে তাদের সময়।

‘উৎসবে ও প্রতিদিনে ভিন্নমাত্রা’— এই শ্লোগান নিয়েই অঞ্জন’স-এর পথচলা। ঈদকে আরও বেশি উৎসব মুখর ও প্রাণবন্ত করতে অঞ্জন’স প্রতিবছর পোশাক নিয়ে বিশেষ আয়োজন করে থাকে। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে সমসাময়িক ট্রেন্ড নিয়ে এবারের আয়োজনে থাকছে জামদানি, কাঁথা, কলকা, ফুলকারি সহ বিভিন্ন ধরনের জিওমেট্রিক ও ফ্লোরাল মোটিফ। আর পোশাকের প্যাটার্ন চলমান ট্রেন্ড অনুসরণ করেই করা হয়েছে।

ঈদ আয়োজনে মেয়েদের জন্য থাকছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ ওড়না ও বিভিন্ন ধরনের টপস। ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি-পাজামা, শার্ট, টি-শার্ট ও শেরোয়ানী। শিশু-কিশোরদের জন্য থাকছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফ্রক, পাঞ্জাবি, শার্ট ও ফতুয়া। তারুণ্য নির্ভর এবারের ডিজাইনে বিভিন্ন ধরনের কটন, লিনেন কটন, জর্জেট, সিল্ক, এন্ডিকটন সহ নতুন ধরনের উইভিং ডিজাইনের কাপড় দিয়ে পোশাকগুলো করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা আছে অঞ্জন’স-এর ঢাকার সোবহানবাগ, রিং রোড মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বনানী রোড ১১, বেইলি রোড, ওয়ারি, মালিবাগ, রংপুর এবং খুলনা শাখা। স্টোরের পাশাপাশি নান্দনিক রুচি ও সর্বশেষ ট্রেন্ড নিয়ে এবারের আয়োজনগুলো অনলাইনে www.anjans.com এবং ফেইজবুক anjans.bd-এ পাওয়া যাবে। ফ্যাশন এন্টারপ্রেনারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি ও অঞ্জন’স-এর শীর্ষ নির্বাহী মো. শাহীন আহম্মেদ বলেন, দেশের বৃহত্ শপিংমলগুলো বন্ধ থাকায় শুধুমাত্র গুলশান দেশিদশ খোলা আছে। সংগঠন থেকে অন্যান্য ফ্যাশন হাউজগুলোর আউটলেট খোলা না খোলার বিষয়ে সদস্যদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে না। নিজ উদ্যোগে কেউ চাইলে দোকান খুলতে পারেন। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উত্সাহিত করতে হবে।

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিমিত্তে ‘সারা’ লাইফ স্টাইল এবার অনলাইনের মাধ্যমেই পণ্য পৌঁছে দিবে গ্রাহকের দরজায়। সারার নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারার পেজ থেকে পণ্য অর্ডার করলেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে। বরাবরের মতই সারার এবারের ঈদ আয়োজনে মেয়েদের জন্য থাকছে পার্টি ওয়্যার সিঙ্গেল পিস, পার্টি ওয়্যার থ্রি-পিস, এক্সক্লুসিভ শাড়ি, প্রিন্টেড শাড়ি, কুর্তি, প্রিন্টেড থ্রি-পিস, ফ্যাশন টপস ও ডেনিম। শিশুদের জন্য থাকছে ফ্রক, টপস, টপস-স্কার্ট সেট, টপস-বটম সেট, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, পোলো শার্ট, বটমস, পাঞ্জাবি-পায়জামা, নিউ বর্ন-নিমা সেট। তবে সারার ঈদ আয়োজনে এবার অন্যতম আকর্ষণ হিসাবে রয়েছে ফুল ফ্যামিলি কালেকশন— পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, শাড়ি, টি-শার্ট, পোলো শার্ট। অনলাইন শপিংয়ের জন্য

করোনায় থমকে থাকা জীবনে আসন্ন ঈদ উৎসব খানিকটা বর্ণিল করতে জেন্টল পার্ক এনেছে নতুন ডিজাইনের ঈদ পোশাক। স্টোরের মতো সব পণ্যই এবার মিলছে তাদের অনলাইন স্টোর ও ফেসবুক প্লাটফর্মে। দেশি মোটিফের সঙ্গে প্যাটার্ন, কাটিংয়ের বৈচিত্র্যতা নিয়ে পুরো ঈদ পোশাকই এবার তারুণ্যের ট্রেন্ড নির্ভর। থাকছে কাবলি, কামিজ, কুর্তি, পাঞ্জাবিসহ শিশুদের পোশাক। নতুন পোশাক ক্রয়ে ক্রেতা আগ্রহ বাড়াতে থাকছে মূল্যছাড় ক্যাম্পেইন। শোরুমে বা অনলাইন প্লাটফর্মে কেনাকাটায় থাকছে সকল পণ্যে ২০% মূল্যছাড় সুবিধা। ঘরে বসে ঈদের পোশাক পেতে বাড়তি ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে না। জেন্টল পার্ক অনলাইন প্লাটফর্মে কেনাকাটায় নিজস্ব ডেলিভারি টিম ঢাকা ও চট্টগ্রামে পণ্য পৌঁছে দিবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। পাশাপাশি সারাদেশের গ্রাহকরাও বিনামূল্যে পাবেন বাড়তি মূল্যছাড় সহ ডেলিভারি সুবিধা। জেন্টল পার্কের উদ্যোক্তা ও প্রধান ডিজাইনার শাহাদত্ হোসেন বাবু জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বজুড়েই এখন দুঃসময়। তবুও ফ্যাশনপ্রিয় সবাই যেন সীমিতভাবে হলেও ঈদ আনন্দে মেতে ওঠতে পারে তাই গ্রাহকদের বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছি আমরা। নিয়ম মেনে দেশজুড়ে বিনামূল্যে পণ্য ডেলিভারি সুবিধাছাড়াও সকল পণ্যে ২০% মূল্যছাড়ের ব্যবস্থা করেছি। সামাজিক দূরত্ব এবং সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ১০ মে থেকে আমাদের রিটেইল স্টোর খোলা রাখা হচ্ছে। জেন্টলপার্কের স্টোর ছাড়াও ফেসবুক ভেরিফাইড পেজ এবং অনলাইনে মিলবে ঈদ পোশাকের খোঁজ ও ছবি সহ প্রয়োজনীয় তথ্য। অনলাইন শপিংয়ের জন্য : www.gentlepark.com

মুসলিম বিশ্বে চলছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। কয়েকদিন পরই আসছে আনন্দের দিন ঈদ। যদিও চলতি বাস্তবতায় ঈদের সেই চিরচেনা আনন্দ থাকবে না। ঘরে আটকে থাকা মানুষের মার্কেটে মার্কেটে ঘুরে কেনাকাটার আনন্দ নেই। তবুও যে জীবন থেমে নেই। আর এমন বাস্তবতায় ফ্যাশন ব্রান্ড বিশ্বরঙ-এ থাকছে ঘরে বসেই ঈদ শপিং করার সুযোগ। অনলাইনে পছন্দের পোশাকটি অর্ডার করলেই পৌঁছে যাবে আপনার ঘরে। কারণ পণ্য সরবরাহের প্রতিটি ধাপে বিশ্বরঙ-এর থাকে সর্বোচ্চ সতর্কতা। বিশ্বরঙ-এর অনলাইন শপে স্বাভাবিক সময়ের মতো মন মাতানো সব বাহারি ডিজাইনের কালেকশনই থাকছে; সেই সঙ্গে থাকছে ঈদ শুভেচ্ছা স্বরূপ ১০% মূল্যছাড়। ওয়েব পেজ www.bishworang.com এবং ফেসবুক পেজ bishworangfanclub-এর মাধ্যমে অনলাইনে ঘরে বসেই কিনতে পারেন আপনার পছন্দের পোশাকটি।

এই করোনাকালে সরকার নির্দেশিত নিয়ম মেনে ক্রেতা ও কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে কে ক্র্যাফট ঢাকাতে কিছু নির্দিষ্ট শাখা ও খুলনায় অবস্থিত শাখা ক্রেতাদের জন্য সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন শপ www.kaykraft.com এবং ফেসবুক পেজ kaykraft.com.bd-এর মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে ক্রেতারা বিকাশ, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড এবং ঢাকায় ক্যাশ অন ডেলিভারি নিয়ে পছন্দের পোশাক কিনতে পারছেন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা আছে কে ক্র্যাফট এর ঢাকার সোবহানবাগ, রিং রোড মোহাম্মাদপুর, মিরপুর, বনানী রোড ১১, বেইলি রোড, ওয়ারি, মালিবাগ, আজিজ সুপার মার্কেট, গুলশান দেশিদশ এবং খুলনা শাখা।

দেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড কে ক্র্যাফটের উদ্যোক্তা খালিদ মাহমুদ খান বলেন, অনলাইন ও আউটলেট থেকে এই দুর্যোগ সময়ে যারা কেনাকাটা করে দেশীয় পোশাক শিল্পের সাথে যুক্ত সবাইকে তাদের নিজ নিজ পেশা রক্ষায় সাহায্য করছেন—তাদের সবার প্রতি কে ক্র্যাফট কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সীমিত সময়ের জন্য ৩০% ছাড়ে সকল পণ্য বিক্রি করছে। তিনি আরও বলেন, এবারের ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঈদ উদযাপনে অনেক ক্রেতা নানা কারণে কেনাকাটাতে সাশ্রয়ী হবেন, আবার কেনাকাটা না-ও করতে পারেন। ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান, আপনি যদি কেনাকাটা করেন, তাহলে দেশীয় পণ্যই কিনুন, দেশজ উৎপাদনে সহযোগী হন।

ইত্তেফাক/