আকাশ যখন ছাদ, রোদ-বৃষ্টি তার নিত্য সঙ্গী
মেহেরপুরের গাংনীতে প্রতিবন্ধী ৪ কন্যাকে নিয়ে মানবেতর জীবন পার করছে মা মেহেরনীগার। একদশক আগে স্বামী হারিয়ে ভিক্ষা করে সংসার চালায় মেহেরনীগার। কখনো খেয়ে আবার কখনো না খেয়ে দিন পার করে পরিবারের ৫ সদস্য। বাংলাদেশ সরকার যখন গরীব অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছে। তখনও মেহেরনীগারের ভাগ্যে জোটেনি কোন সহযোগিতা। খোলা আকাশ যার ঘরের ছাদ, রোদ-বৃষ্টি তার নৃত্যদিনের সঙ্গী।
জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ৮নং ধানখোলা ইউপি ৫ নং ওয়ার্ড ভাটাপাড়া গ্রামের ভাঙা মাটির ঘরে ৪ প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে বসবাস করে মেহেরনীগার। ২০১২ সালে মেহেরপুর শহরের ভিক্ষা করতে গেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় স্বামী শফিকুল ইসলাম।
রেখে যায় ৪ মানসিক প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তান। প্রথম কন্যা চাঁনতাঁরা খাতুন (১৭) ২য় কন্যা শুকতাঁরা খাতুন (১৪) ৩য় আঁখিতাঁরা খাতুন(১০) ৪র্থ নয়নতাঁরা খাতুন (৬)।
তবে ৪র্থ কন্যা সন্তান কে জালশুকা গ্রামে রফেউদ্দীন লালন পালন করছে ।
মেহেরনীগার বেগম জানান, “কোন আবাদি জমিজমা নেই, দেড় কাটা জমির উপর ক্ষুদ্র মাটির ঘর ছিলো। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ সেটাও চলে যায়। প্রথম কন্যা চাঁদতাঁরা খাতুনকে সাথে নিয়ে সারা দিন ভিক্ষা করে যা পাই, তাই দিয়ে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন পার করি।”
৮নং ধানখোলা ইউপি ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হযরত আলী জানান প্রতিবন্ধী কার্ড করা হয়নি তবে আগামীতে করে দেওয়া জন্য চেষ্টা করবো।
ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান বলেন, “আমি চেষ্টা করছি ২জন প্রতিবন্ধীকে কার্ড করে দেওয়ার জন্য। একটি পরিবারের ৪ জন সদস্য প্রতিবন্ধী এদের জন্য আমি কিছু করতে চাই।”
গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন বিষয়টি আমার জানা ছিলো না আমি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।