আকাশ যখন ছাদ, রোদ-বৃষ্টি তার নিত্য সঙ্গী

মেহেরপুরের গাংনীতে প্রতিবন্ধী ৪ কন্যাকে নিয়ে মানবেতর জীবন পার করছে মা মেহেরনীগার। একদশক আগে স্বামী হারিয়ে ভিক্ষা করে সংসার চালায় মেহেরনীগার। কখনো খেয়ে আবার কখনো না খেয়ে দিন পার করে পরিবারের ৫ সদস্য। বাংলাদেশ সরকার যখন গরীব অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছে। তখনও মেহেরনীগারের ভাগ্যে জোটেনি কোন সহযোগিতা। খোলা আকাশ যার ঘরের ছাদ, রোদ-বৃষ্টি তার নৃত্যদিনের সঙ্গী।

জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ৮নং ধানখোলা ইউপি ৫ নং ওয়ার্ড ভাটাপাড়া গ্রামের ভাঙা মাটির ঘরে ৪ প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে বসবাস করে মেহেরনীগার। ২০১২ সালে মেহেরপুর শহরের ভিক্ষা করতে গেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় স্বামী শফিকুল ইসলাম।
রেখে যায় ৪ মানসিক প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তান। প্রথম কন্যা চাঁনতাঁরা খাতুন (১৭) ২য় কন্যা শুকতাঁরা খাতুন (১৪) ৩য় আঁখিতাঁরা খাতুন(১০) ৪র্থ নয়নতাঁরা খাতুন (৬)।

তবে ৪র্থ কন্যা সন্তান কে জালশুকা গ্রামে রফেউদ্দীন লালন পালন করছে ।

মেহেরনীগার বেগম জানান, “কোন আবাদি জমিজমা নেই, দেড় কাটা জমির উপর ক্ষুদ্র মাটির ঘর ছিলো। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ সেটাও চলে যায়। প্রথম কন্যা চাঁদতাঁরা খাতুনকে সাথে নিয়ে সারা দিন ভিক্ষা করে যা পাই, তাই দিয়ে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন পার করি।”

৮নং ধানখোলা ইউপি ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হযরত আলী জানান প্রতিবন্ধী কার্ড করা হয়নি তবে আগামীতে করে দেওয়া জন্য চেষ্টা করবো।
ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান বলেন, “আমি চেষ্টা করছি ২জন প্রতিবন্ধীকে কার্ড করে দেওয়ার জন্য। একটি পরিবারের ৪ জন সদস্য প্রতিবন্ধী এদের জন্য আমি কিছু করতে চাই।”

গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন বিষয়টি আমার জানা ছিলো না আমি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।




করোনা জয়ের গল্প শোনালেন বাবা ও তার দুই মেয়ে

বাংলাদেশে কভিড-১৯ করোনাভাইরাস জয় করে শতাধিক মানুষ ঘরে ফিরেছেন। তাদের সেই করোনা জয়ের গল্প অন্য সকলের জন্য হয়ে উঠেছে অনুপ্রেরণার। মহামারী করোনাকে যারা হারিয়ে দিয়েছেন তাদের বেশিরভাগেরই শেষ পর্যন্ত মনোবল অটুট ছিল। হার না মানার প্রতিজ্ঞাই তাদের সাহায্য করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।

কিশোরগঞ্জে ভৈরবে এক পরিবারের তিন সদস্য করোনাকে হারিয়ে দিয়েছেন। দুই মেয়ে ও তাদের বাবা এবার শুনিয়েছেন করোনাজয়ের গল্প। পরিবারের অভিভাবক কাজী আবুল হোসেন ব্যবসায়ী। তার দুই মেয়ে হালিমা তুর্য স্নিগ্ধা ও নওশিন শার্মিলী নিরা। গত ১৭ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন স্নিগ্ধা। আক্রান্ত হওয়ার পর রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন। পরদিন ডাক্তার তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করে ঢাকায় পাঠায়। ১৯ এপ্রিল তার বাবা আবুল হোসেন ও ছোটবোন নিরার রিপোর্টও পজিটিভ আসে। তাদেরও একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায় প্রশাসন। বাবাকে নিয়ে বেশি চিন্তায় পড়েন স্নিগ্ধা। কারণ তার ৬০ বছর বয়সী বাবার হৃদরোগসহ শরীরে আরও কিছু রোগ রয়েছে।

হাসপাতালে থেকে নিয়মিত তারা ওষুধ খাওয়াসহ সব নিয়ম মেনে চলেছেন। এরপর গত শুক্রবার আবারও বাবা-মেয়েদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। সোমবার তিনজনেরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। স্নিগ্ধা জানান, নিয়ম মেনে চলায় এটা সম্ভব হয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিন ৫ বার গরম পানিতে ভাপ নেয়াসহ গারগিল করা, লেবুর শরবত, আদা-লং লেবু দিয়ে দৈনিক ৮-১০ বার চা পান, ফলমূল খাওয়া সবই করেছি। ডাক্তারদের দেয়া ওষুধ নিয়মিত সেবন করেছি। চিকিৎসকদের কথা মেনে চলেছি। আবারও আমাদের তিনজনের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তখন নেগেটিভ আসলে আমরা হাসপাতাল থেকে রিলিজ পাব। সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন




পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এভারেস্টের সমান গ্রহাণু!

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এভারেস্টের সমান গ্রহাণু। ২.৫ মাইল চওড়া গ্রহাণুটি ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৪৬১ মাইল বেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। ২৯ এপ্রিল ভোর ৫টা ৫৬ নাগাদ পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ গ্রহাণুর নাম দেয়া হয়েছে ২০১২এক্সএ১৩৩ ।

নাসা সূত্রে জানা গেছে, গ্রহাণুটির আয়তন প্রায় মাউন্ট এভারেস্টের সমান। আকারে বৃহৎ এ গ্রহাণুর সামনের অংশে উঁচু রেখার মতো রয়েছে, যা দূর থেকে ‘মাস্কের মতো’ দেখতে। গ্রহাণুটির কোড নাম ৫২৭৬৮ এবং এটি শেষবার ১৯৯৮ সালে দেখা গিয়েছিল।

পৃথিবী ঘেঁষে উড়ে যাওয়ার সময় পৃথিবী থেকে গ্রহাণুর দূরত্ব হবে ৩৯ লাখ কিলোমিটার। পৃথিবীর সঙ্গে এ গ্রহাণুর সংঘর্ষের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা)। নাসার মহাকাশবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবী স্পর্শ করবে না এ উল্কাপিণ্ড।
অতীতে এমন আরও বেশকিছু গ্রহাণু পৃথিবীর কোলঘেঁষে অতিক্রম করেছে এবং পৃথিবীর নিকটবর্তী বিভিন্ন বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটেছে। তাই ভবিষ্যতে এমন আরেকটি গ্রহাণু যে পৃথিবীর ওপর আঘাত হানবে না, সেটা খুব ফলাও করে বলা যাচ্ছে না। এ কারণে নাসাসহ অন্যান্য মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলো নিয়মিত এসব ধেয়ে আসা গ্রহাণুগুলোর দিকে কড়া নজর রাখছে। সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন




স্বল্প পরিসরে পালিত হলো ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’ এর ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

মেহেরপুর প্রতিদিন এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মেহেরপুর প্রতিদিন এর প্রধান কার্যালয়ে স্বল্প পরিসরে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।

এ উপলক্ষে প্রতিনিধি ও পেপার বিলিকারকদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। গত ২৬ মার্চ মেহেরপুর প্রতিদিন এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারনে পালন করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে সঠিক তথ্য না থাকায় সামাজিক ও শারিরীক দুরুত্ব বজায় রেখে শুধু ইফতার মাহফিলের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পত্রিকার প্রকাশক এম এ এস ইমন, সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোযাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রতিদিন এর যুগ্ম সম্পাদক আল-আমিন, চীফ রিপোর্টার মর্তুজা ফারুক রুপক, স্টাফ রিপোর্টার এ শাহীন সিদ্দিকী, আক্তার হোসেন, শহিদুল ইসলাম, পারভেজ, বাসারুল, ফয়সাল, পিয়াল, রনি, মিন্টু সহ প্রত্রিকা সংস্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।




মেহেরপুর প্রতিদিন’র সাংবাদিক পারভেজ আহত

মেহেরপুর প্রতিদিন’র সাংবাদিক পারভেজ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে মেহেরপুর পুরাতন বাসস্টান্ড সংলগ্ন বিআরটিসি টিকেট কাউন্টারের সামনে মুখোমুখি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন।

এতে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল টি মারাত্বক ভাবে দুমড়ে মুচড়ে যায়।

‘মেহেরপুর প্রতিদিন’ পরিবারের পক্ষ থেকে তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়েছে।




কাঠের ঘানিতে সরিষার তেল

কলুর ঘাড়ে ঘানি, চোখের ওপর মোটা কাপড়ের পর্দা দেয়া কলুর বলদ চলছে। কাঠের তৈরী ঘানিটা ঘুরছে, আর সরিষা পিষেতা থেকে তেল বেরুচ্ছে। ধীরে ধীরে মাটির পাত্রে সরিষার তেল। এভাবে তৈরি হয় খাঁটি সরিষার তেল। এর ঝাঁঝালো গন্ধে চোখে পানি এসে যায়।

বলছিলাম কুষ্টিয়ার কুমার খালী উপজেলার শেরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমানের কাঠের ঘানিতে সরিষার তেল তৈরীর কথা। কয়েক বছর আগেও একমাত্র এই ঘানি ভাঙানো সরিষার তেল দিয়েই মিটতাসে কল পরিবারের তেলের চাহিদা।

বর্তমানে এখন আর এই ঘানি প্রত্যন্ত গ্রামে ও খুজে পাওয়া যায় না। তাই খাঁটি সরিষার তেলও মেলে খুব কম। বর্তমানের ভেজালের দিনে শতভাগ খাঁটি জিনিস খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এ কারণে তার ক্রেতা ও বেশি।

শুধু এলাকার মানুষ তার এ খাঁটি তেল কেনেন না, জেলা শহর থেকেও আগ্রহী ক্রেতারা এসে তেল নিয়ে যায় মিজানুর রহমান। কুষ্টিয়ার কুমার খালী উপজেলার শেরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। এক সময় সংসারের স্বচ্ছলতা আনতে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন সুদুর মধ্য প্রাচ্যের দেশ ওমানে।

হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দিনরাত খেয়ে না খেয়ে কাটিয়েছেন বিদেশে। ৫ বছর বিদেশ থাকার পর এক সড়ক দূর্ঘটনায় তার দুই পা ভেঙে যায়। এরপর আর বিদেশ থাকা হয়নি তার। দেশে ফিরে এসে যৎসামান্য টাকা আর হালের দুইটি বলদ দিয়ে শুরু করেন পৈত্রিক ব্যাবসা।

নিজের সংসারের হাল ফেরানো আর মানুষকে ভালো খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। শুরু করেছেন ঘানিতে সরিয়া পিশে তেল তৈরী করে বিক্রির কাজ। আর তার এই কাজে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছেন তার মা।

আব্দুল্লাহ শাহ নামের এক ক্রেতা জানান, এক সময়ে কাঠের ঘানির সাহায্যে ফোঁটায় ফোঁটায় নিংড়ানো খাঁটি সরিষার তেল এক সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারে বিক্রি হতো। এ তেল বিক্রি করেই জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন কলু স¤প্রদায়রা।

তবে এক সময়ের গ্রাম বাংলার এই অতিপরিচিত দৃশ্যটি এখন খুব একটা চোখে পড়েনা। বৈদ্যুতিক যন্ত্রেই করা হয় তেল ভাঙানোর কাজ।

মিজানুর রহমান বলেন, বিদেশ যাওয়ার কয়েক বছর পর সড়ক দূর্ঘটনায় ফিরে আসি। সে সময় দেশে ফিরে বাড়ীতেই হালের বলদ দিয়ে শুরু করি পৈত্রিক ব্যাবসা। ৫ কেজি সরিষা থেকে প্রায় আড়াই কেজি তেল তৈরী হয়। আমরা এই তেল এখান থেকেই ১২০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি করে থাকি। অনেকেই এই ঘানি দেখতে আসে এবং তেল কিনে নিয়ে যায়।

ফজল শাহ নামের এক বৃদ্ধ বলেন, আগে তো আমরাই সরিষার তেল দিয়েই তরকারী খেতাম, ভর্তা ভাজি খেতাম, শরীরে মাখতাম। আর এখন অনেক টাই কমে গেছে এর ব্যবহার। তাছাড়া ভেজালের ভীড়ে আমরা হারিয়ে যেতে বসেছি আসল কেই। যদি কোন ভেজাল না মেশানো হয় তা হলে এই তেলের উপরে আর কোন তেল নেই।

মার্কেটিং আর চটকদার বিজ্ঞাপনের জন্য সবাই ভুলতেই বসেছেন আসল-নকলের পার্থক্য। তবে মিজানের ঘানি দেখতে প্রতিদিনই আসে আগ্রহী ক্রেতা আর দর্শনার্থীরা।




চুয়াডাঙ্গায় কর্মহীন মানুষের মাঝে গণমাধ্যম কর্মীর খাবার বিতরণ

‘করোনা যুদ্ধ করবো জয়, বাড়ির বাইরে আর নয়’ স্লোগান নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১২’শ কর্মহীন মানুষের বাড়ি খাবার পৌঁছে দিয়েছেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত আমার সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক হাশেম রেজা।

সোমবার দুপুরে দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।

হাশেম রেজা বলেন, বাংলাদেশ প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরই আমি নিজ এলাকায় ফিরে আসি। সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে লিফলেট, মাস্ক বিতরণ করি। মাইকিং করে করোনা সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিয়ে গ্রামে গ্রামে।

এরই ধারাবাহিকতায় কর্মহীন মানুষের মাঝে খাবার বিতরণে উদ্যোগ নিই।




ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার ভুল উপস্থাপন, দুঃখ প্রকাশ

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সর্বশেষ খবর জানাতে এসে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ‘ভুল তথ্য’ উপস্থাপন করায় দুঃখ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম শাখার প্রধান হাবিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়েছি। মহাপরিচালক মহোদয় দেশের সব বিভাগের পরিচালকদের জানিয়েছেন, প্রতিটি উপজেলা থেকে অন্তত ২টা করে নমুনা পাঠাতে হবে। আগামীকাল অন্তত এক হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হবে।’

বাংলাদেশে সন্দেহভাজন রোগীদের পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে ওই কথা বলেছিলেন তিনি। তবে হাবিবুরের ওই কথাটি সঠিক নয় বলে রাতে গণমাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। তার চিঠিতে বলা হয়, ‘আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভুলক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রতিটি উপজেলায় ২টি করে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। সূত্র- বিডি ২৪ লাইভ ডটকম

প্রকৃতপক্ষে গত ১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন চিকিৎসক পেশাজীবী সংগঠন এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিবর্গের উপস্থিতিতে একটি সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে অধিকতর ধারণা সৃষ্টি হবে মত প্রকাশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম গৃহীত হয়। বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন না হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরীর ৯টি এবং ঢাকার বাইরে ৫টি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা কেন্দ্র সচল ছিল। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বাইরে ৪০টি জেলার সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ২৬৭টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন পিসিআর পরীক্ষা কেন্দ্র ১০০টি নমুনা সংগ্রহ করছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান -আইইডিসিআর পৃথকভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১০০টি নমুনা সংগ্রহ করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাকি ২৪টি জেলার নমুনা সংগ্রহের তথ্য সন্ধ্যা নাগাদ তাদের হাতে আসেনি। দুপুরেরি ব্রিফিংয়ে দেশে আরও দুজনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানানো হয়েছিল, যাদের নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৬ জন। নতুন করে কারও মৃত্যুর তথ্য না আসায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতোই ৬ জনে রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন




স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম বিতরণ করেছে সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা রেল বাজারে ১০০ জন দুস্হ নারী-পুরুষের মাঝে ওই স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোব, সাবান বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, এটিএন বাংলা প্রতিনিধি রফিক রহমান, দৈনিক সময়ের সমীকরণের নির্বাহী সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন জোয়ার্দার, ৭১ টিভির জেলা প্রতিনিধি এম এ মামুন, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি রিফাত রহমান, সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহি সদস্য জহির রায়হান সোহাগসহ, সনজিত কুমার, পলাশ উদ্দিন, আহসান আলম, মফিজ জোয়াদ্দার, রেলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক সেলটন জোয়ার্দার, সদস্য ফারুক হাসান মালিকসহ অন্যরা।

এ সময় উপস্হিত অসহায় মানুষকে জানানো হয়, মুখ মন্ডলে হাত দেওয়ার আগে ও খাবার আগে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অযথা বাড়ি বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।




চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যুবক এখন করোনামুক্ত

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার ইতালি ফেরত যুবক ভাইরাসমুক্ত হওয়ায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ওই যুবককে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তার সাথে একই হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা ওই যুবকের পিতাকেও কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, গত ১২ মার্চ ওই যুবক ইতালি থেকে বাংলাদেশে আসেন। পরে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ১৬ মার্চ তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

পরে গত ১৯ মার্চ পরীক্ষা করে তাকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বলে শনাক্ত করে আইইডিসিআর। ২৬ বছর বয়সী ওই যুবকের পিতার নমুনাও পরীক্ষা করা হয় কিন্তু তিনি করোনা আক্রান্ত নন বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।

সর্বশেষ গত ২৫ ও ২৯ মার্চ দু’দফা পরীক্ষা করে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয় দু’দফা পরীক্ষাতেই ওই যুবকের করোনা ভাইরাসমুক্ত হিসেবে রিপোর্ট এসেছে। এ অবস্থায় ওই যুবককে করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা করে আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, দুবারের পরীক্ষায় ওই যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের আর কোনো উপস্থিতি না থাকায় তাকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।