গাংনীতে চুরি যাওয়া পাট বোঝাই ট্রাক উদ্ধার, গ্রেপ্তার-২

ফরিদপুর মধুখালী থেকে কৌশলে চুরি যাওয়া ২৫২ মন পাটসহ একটি ট্রাক গাংনী থানা পুলিশের সহায়তায় জব্দ করেছে মধুখালী থানা পুলিশ।

গতকাল রোববার বিকেলে মধুখালী থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স গাংনীর বালিয়াঘাটের একটি গুদাম থেকে পাট জব্দ করেন।

এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হচ্ছে- হাড়াভাঙ্গা গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে সুজন ও একই গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে কালাম।

পাটের স্বত্তাধিকারী মধুখালীর আসাদুজ্জামান জানান, তিনি বগুড়া মোকামতলা পাইকার জুট মিলে ২৫২ মন পাট বিক্রির উদ্দেশ্যে একটি ট্রাক লোড দেন। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ট- ১৮-৩০৪৭। ট্রাকের মালিক বালিয়াঘাট গ্রামের নব মুসলিম কাউছার আলী। তিনি নিজেই চালক ছিলেন। ট্রাকটি গত ৯ সেপ্টেম্বর বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ১১ তারিখ পর্যন্ত ট্রাকটি জুটমিলে না পৌছানোর ফলে তিনি মধুখালী থানায় কাউছারসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে মামলা গ্রহণ সাপেক্ষে পুলিশ পাট বোঝাই ট্রাক ও চালকের মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায়। ট্রাক মালিক ও চালক কাউছার পালিয়ে গেলেও তার দুজন ব্যবসায়ীক পার্টনার সুজন ও কালাম ধরা পড়ে। সেই সাথে জব্দ করা হয় ট্রাক ও পাট।

অভিযানে আসা এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান, সুচতুর কাউছার ট্রাক নিয়ে পালিয়ে আসার পর ট্রাকের সামনে কাঁচ ও অন্যান্য অংশ খুলে ফেলে যাতে কেউ ট্রাকটিকে সনাক্ত করতে না পারে। সে ওই গুদামটি ভাড়া নেয় এবং স্থানীয়দের কাছে প্রচার করেন যে তিনি পাট কিনে এনেছেন বিক্রি করবেন।

ইতোমধ্যে বেশ কিছু পাটও বিক্রি করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অবশিষ্ট পাট উদ্ধার করা হবে।

এদিকে গ্রেপ্তারকৃত দুজনের পরিবারের দাবী, এরা পাট ব্যবসায়ী এবং কাউছারের কাছ থেকে পাট কিনেছেন। তারা চোর না। স্থানীয় লোকজনও একই কথা জানিয়ে তাদেরকে মুক্তি দিতে অনুরোধ করেন।

মধুখালী থানার ওসি আমিনুল হক জানান, মামলায় কাউছার আলীকে সহ ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। বাকিদেও কে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে খুঁজে বের করা হচ্ছে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূল হোতাকে।

গাংনী থানা ইনর্চাজ ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, মধুখালী থেকে একজন ড্রাইভার কৌশুলে পাট চুরি করে নিয়ে আসে। মধুখালী থানা অফিসার ইনর্চাজ বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে আলাপ করলে তাদের অভিযানে গাংনী থানা পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করে।




আলমডাঙ্গায় মাদক ব্যবসায়ীর ৬ মাসের কারাদন্ড

আলমডাঙ্গার কেশবপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী এমদাদুলকে গাঁজা বিক্রি ও বহনের দায়ে ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। রবিবার বিকেল ৪ টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী কারাদন্ডের আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, হারদী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রুহুল আমীনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী এমদাদুল হক দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গাঁজা বিক্রি করে আসছিল। সংবাদ পেয়ে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। কেশবপুর গ্রামের বাদলের দোকানের সামনে থেকে আটক করা হয় এমদাদুলকে। তার দেহ তল্লাসী করে উদ্ধার করা হয় ১০ গ্রাম গাঁজা।

আদালতের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন ও মাদক বিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়া থানার এসআই সফিকুল ইসলাম জানান, এমদাদুল এলাকায় গাঁজা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছিল।

গতকাল রবিবার বিকেলে কেশবপুর গ্রামের বাদলের দোকানের কাছ থেকে তাকে আটক করা হয়। গাঁজাও পাওয়া যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।




জেলা পুলিশের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতা মূলক অভিযান

মেহেরপুরে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে মেহেরপুর হোটেল বাজার এলাকায় সাধারণ নাগরিকদের করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে করণীয় সম্পর্কে সচেতন করতে মাস্ক বিতরণ করেছে মেহেরপুর জেলা পুলিশ।

গতকাল রবিবার বিকেলে, শহরের হোটেল বাজার এলাকায় মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতা মূলক প্রচার অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক থাকা এবং মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে মাস্ক ছাড়া অসচেতন ভাবে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।

এ সময় মাস্ক বিহীন পথচারীদেও মাঝে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুরের বিভিন্ন কলেজে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির কার্যক্রম শুরু

সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরের বিভিন্ন কলেজে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

গতকাল রবিবার সকাল থেকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, মেহেরপুর ছহিউদ্দিন ডিগ্রী কলেজ সহ অন্যান্য কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হয়।

সকাল থেকে কলেজ প্রাঙ্গণে নবাগত শিক্ষার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, তবে সুশৃংঙ্খল ভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

মেহেরপুর সরকারি কলেজে প্রথম দিনে মানবিক বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি করা হয়। এছাড়া অন্যান্য কলেজ গুলোর ভর্তি প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল দশটা থেকে বিরতিহীন বিকাল পাঁচটা টা পর্যন্ত প্রথম দিনের ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।




মেহেরপুর কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে মেহেরপুর সদর উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে মাসকালাই এর বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৫০ জন চাষির মাঝে মাসকলাই এর বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম উপস্থিত থেকে প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মাসকালাইয়ের বীজ ও সার বিতরণ করেন।

এসময় অন্যদের মধ্যে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাসুদুল আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরের সহকারী কমিশনারকে বিদায় সংবর্ধনা

মেহেরপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাইনউদ্দিন অন্যত্র বদলি হওয়ায় মেহেরপুর জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

গতকাল রবিবার বেলা ৩ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অফিসার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে এবং বিকাল ৫ টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবু সাঈদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তুষার কান্তি পাল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদুল আলম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম শাহনেওয়াজ,

মুজিব নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকার, সিনিয়র সহকারী কমিশনার এম.এম আরাফাত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাইনউদ্দিন, নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইয়ানুর রহমান, এছাড়া জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিদায় অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদায় সহকারী কমিশনার কমিশনার কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।




জীবননগরে সার ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

জীবননগরে সার এবং বীজের দাম যাতে কেউ নিজ ইচ্ছায় বাড়াতে না পারে সে জন্য জীবননগর উপজেলার সকল সার ও বীজ ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার সকালে জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা কৃষি অফিসের হলরুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মুনিম লিংকন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফ হাসানসহ উপজেলার সকল সার ও বীজ ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন ।




কুষ্টিয়ায় এনআইডি জালিয়াতি করে জমি বিক্রির অন্যতম হোতা মহিবুল গ্রেফতার

কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে জমি বিক্রির অন্যতম হোতা মহিবুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল রবিবার বিকেল ৪টার দিকে শহরের নবাব সিরাজদ্দৌলা সড়কের একটি দোকানের সামনে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মহিবুল ইসলাম পেশায় হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী। তিনি কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার এলাকার হাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

জানা গেছে, সম্প্রতি এনআইডি জালিয়াতির মাধ্যমে মালিক সেজে প্রায় শত কোটির জমি বিক্রি করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে একটি চক্র।

এর মধ্যে প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বিক্রিও হয়ে গেছে। এ নিয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।

পরে এসব সম্পদের প্রকৃত মালিক শহরের নবাব সিরাজদ্দৌলা সড়কের বাসিন্দা এমএম ওয়াদুদ কুষ্টিয়ার মডেল থানায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেফতার হওয়া মহিবুল এই চক্রের অন্যতম হোতা।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত ও জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির ঘটনায় এক যুবলীগ নেতাসহ ছয়জনকে আটক করে।




কুষ্টিয়ায় ভেজাল পণ্য তৈরি কারখানায় দুই প্রতিষ্ঠানে তিন লাখ টাকা জরিমানা

কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে ভেজাল পণ্য তৈরির কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুইটি প্রতিষ্ঠানে তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার দুপুরে র‌্যাব -১২ কুষ্টিয়ার সিপিসি-১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসানের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি বিশেষ অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া বাড়াদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

এসময় তারা ভুয়া রেজিষ্ট্রেশন ব্যবহারকারী কারখানা থেকে ভেজাল পন্য, হারপিক, গ্লাস ক্লিনার, টাইলস ক্লিনার, ভিকসল, থিনার, নীল, ডিটারজেন্ট পাউডার ও সিগারেটসহ আরও অনেক পণ্য জব্দ করা হয়। তারা মিসফলা কনজুমার নামে প্রোডাক্টস দীর্ঘদিন যাবত ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করে আসছিলো।

এছাড়া পাশেই আরেকটি কারখানায় বেঙ্গল টোব্যাকোর মধ্যে অবৈধভাবে তৈরী বেঙ্গল কসমেটিকস নাম ব্যবহার করে ভেজাল পন্য ডিটারজেন্ট পাউডার, তৈরী ও বাজারজাতকরণ করে আসছিলো।

জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান জানান, মিসফলা কনজুমার নামে প্রোডাক্টস দীর্ঘদিন যাবত ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করার অপরাধে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ২ লাখ টাকা এবং জুগিয়া কদমতলা মোড়ে বেঙ্গল টোব্যাকোর মধ্যে বেঙ্গল কসমেটিকস নাম ব্যবহার করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অপরাধে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এবং ভেজাল মালামাল আগুনে পুড়িয়ে ধংস করা হয়েছে।

এ বিষয়ে র‌্যাব ১২ ‘র সিপিসি-১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ভেজাল পণ্য এবং ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারী যত বড় শক্তিশালীই হোকনা কেনো তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।




খুলেছে মুজিবনগর, বাড়ছে পর্যটক

করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকার দীর্ঘ ৫ মাস পর অবশেষে আবারো মুজিবনগর কমপ্লেক্সে পর্যটকদের প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বন্ধ হয়ে থাকায় মুজিবনগর কমপ্লেক্স যেন শ্মশানে পরিণত হয়েছিলো। তবে উন্মক্ত করার পর পরি মুজিবনগর আবারো যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বাড়তে শুরু করেছে পর্যটক।

প্রতিদিনিই কমবেশি করে বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে দর্শনার্থীরা। মুজিবনগর কমপ্লেক্স এর ভিতরে তৈরি হয়েছে একটি মনমুগ্ধকর পরিবেশ।

তবে সকল দর্শনার্থীরা শতভাগ মাস্ক পরিধাণ করে মুজিবনগর কমপ্লেক্স এ ঢুকছে বলে নিশ্চিত করেছে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার।

কয়েকদিন মুজিবনগরে ঘুরে দেখা যায়, ধীরে ধীরে পর্যটকের সংখ্যা বারতেই চলেছে। দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি থাকার পর মেহেরপুর সহ চুয়াডাঙ্গা- কুষ্টিয়া থেকে ঘুরতে আসছে দর্শনার্থীরা।

চুয়াডাঙ্গা থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসা রাকিবুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘদিন ধরে ঘরে বন্দি থেকে পরিবারের সকলের এক ধরনের বোরিং লাগছিলো। তাই পরিবারের সদস্যদের কিছুটা আনন্দ দেয়ার জন্য সকলকে নিয়ে মুজিবনগরে ঘুরতে এসেছি। অনেকদিন পর বাইরে বেড়াতে পেরে সকলেই খুব খুশি হয়েছে।

স্কুল শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম জানান, অনেকদিন পর বন্ধুদের নিয়ে আজ মুজিবনগরে ঘুরতে আসলাম। দীর্ঘদিন পর এমন একটি মনোরম পরিবেশে ঘুরতে পেরে অনেকটাই ভালো লাগছে।

মুজিবনগর পর্যটক কেন্দ্রে খেলনা ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন করোনা ভাইরাসের কারনে মুজিবনগর বন্ধ থাকায় পর্যটক একদমই আসেনি। এতে করে আমাদের ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। মুজিবনগর কমপ্লেক্স খুলে দেয়ার পর ধীরে ধীরে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আমরাও অনেক দিন পর একটু টানা নিশ্বাস ফেলতে পেরেছি।

মুজিবনগর অনন্যা পার্কের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান লাল্টু জানান, পর্যটক কেন্দ্রে দর্শনার্থীরা না আসলে মানায় না। দীর্ঘদিন মুজিবনগর কমপ্লেক্স বন্ধ হয়ে থাকায় পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে গিয়ে ছিলো। ব্যবসায়ীরা একেবারে মুখ থুবরে পরে ছিলো। নতুন করে পুনরায় মুজিবনগর চালু করে দেওয়ায় আস্তে আস্তে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। এখন মুজিবনগর কমপ্লেক্সের দৃশ্য অনেক ভালো লাগছে। তাছাড়া মুজিবনগর চালু করার সাথে সাথে অনন্যা পার্ক খুলে দেওয়া হয়েছে।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার জানান, মুজিবনগর স্বাধীনতার তীর্থভূমি। এখানে পর্যটক আসলে স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে। সব সময় এখানে পর্যটক ভরপুর থাকতো। তবে দীর্ঘদিন করোনার কারনে মুজিবনগর কমপ্লেক্সে প্রবেশ বন্ধ করায় পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে গিছিলো।

নতুন করে পুনরায় প্রবেশ চালু করে দেওয়ায় আস্তে আস্তে আবারো পর্যটক আসা শুরু করে দিয়েছে। তবে সকলকে মাস্ক পরিধান করে, স্বাস্থবিধি মেনে মুজিবনগরে প্রবেশের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি থাকার পর বেড়াতে আসতে পেরে দর্শনার্থীরা একটু স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।

তাছাড়া ধীরে ধীরে মুজিবনগর কমপ্লেক্স এ দর্শনার্থীদের ভীড় জমতে শুরু হয়েছে। এখন মুজিবনগর কমপ্লেক্সের ভিতর দর্শনার্থীদের আগমনে পরিবেশটা বেশ মুখর হয়ে উঠেছে।

উল্যেক্ষ্য, ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৬ মার্চ মুজিবনগর কমপ্লেক্সে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ পুরোপুরি ভাবে নিশেধাজ্ঞা ঘোষনা করা হয়েছিলো।
তারপর থেকে মুজিবনগরের ভিতরে কোন পর্যটক প্রবেশ করতে পারেনি। তবে ৫ মাস পর আবারো সেটা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।