মেহেরপুরের গাংনীতে ৫ কেজি গাঁজাসহ বগুড়ার আলমগীর গ্রেপ্তার

মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ কাজীপুর সীমান্ত থেকে মাদক কারবারী আলমগীর হোসেন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে।

এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ৫ কেজি গাঁজা ও একটি ১২৫ সিসি ডিসকোভারী মোটর সাইকেল। গতকাল সোমবার দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়।

গ্রেফতারকৃত আলমগীর হোসেন বগুড়া জেলার ধুনুট উপজেলার শোলমারী গ্রামের জয়নাল প্রামানিকের ছেলে।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, মাদক কারবারী আলমগীর মোটর সাইকেল যোগে কাজীপুর সীমান্ত থেকে থেকে গাঁজা নিয়ে আসছে মর্মে সংবাদের ভিত্তিতে এসআই অজয় ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

আলমগীর হোসেনকে মেহেরপুর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানায় ওসি ওবাইদুর রহমান।

নিজস্ব প্রতিনিধি




আবারো মেহেরপুরের বহিস্কৃত কারারক্ষী ঝিনাইদহে মাদক সহ আটক

৭ মাসের ব্যাবধানে আবারো মাদক দ্রব্য সহ ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন মেহেরপুরে জেলা কারাগারের বহিস্কৃত কারারক্ষী হুসাইন কবির। দিন দিন মাদক ব্যাবসায় জড়িয়ে পড়ছে কারারক্ষীরা। এর আগে মেহেরপুর শহরের বামন পাড়া পন্ডের ঘাট এলাকা থেকে ফেনসিডিল সহ আলভি আহমেদ নামের এক কারারক্ষী সদর থানা পুলিশের হাতে আটক হয়। গত বুধবার ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর হাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার নিধিকুন্ডু গ্রামের মৃত মেসের আলীর ছেলে হুসাইন কবির (২৫) আটক হয়। এ সময় তার দেহ তল্লাসী চালিয়ে ১৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। আটককৃত হুসাইন কবির মেহেরপুর জেলা কারাগারের কারারক্ষী ছিলেন। এখন সাময়িক বরখাস্ত আছেন।

ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বুধবার সকালে সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযান কালে হুসাইন কবিরকে আটক করা হয়। এ সময় তারা তার দেহ তল্লাসী চালিয়ে ১৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। খবর নিয়ে ডিবি পুলিশ জানতে পারে হুসাইন কবির মেহেরপুর জেলা কারাগারের বরখাস্তকৃত কারারক্ষী। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মাদক আইনে মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে মেহেরপুরের জেল সুপার কামরুল হুদা জানান, হুসাইন করিব এর আগে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের কারারক্ষী ছিলেন। সেখান থেকে সাময়িক বরখাস্তকৃত হয়ে মেহেরপুর জেলায় এসেছেন। মেহেরপুর থাকাকালে হুসাইন কবির বরখাস্ত হয়নি। ঝিনাইদহের জেলার নিজাম উদ্দীন জানান, স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় হুসনাইন কবির ঝিনাইদহে কর্মরত থাকাবস্থায় সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান।

উল্লেখ্য : চলতি বছরের গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ফেন্সিডিল সহ আলভি আহম্মেদ নামে এক কারারক্ষীকে আটক করে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ। রবিবার শেষ বিকালে মেহেরপুর শহরতলীর পন্ডেরঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মেহেরপুর থানার এসআই মোমিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল নিয়ে মেহেরপুর শহরতলীর পন্ডেরঘাট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আলভি আহম্মেদ পালানোর চেষ্ঠা করে। এ সময় পুলিশ তাকে ২ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করে। আটক আলভি আহম্মেদ সাতক্ষীরা জেলার ভালুকা গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে। তিনি মেহেরপুর জেল কারাগারে কারারক্ষী পদে চাকরিরত আছেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




দৌলতপুরে মাদক সম্রাজ্ঞী রোকিয়া আটক

কুষ্টিয়ার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের ঘোষিত ুমাদকের উপর জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন হতে শুরু করেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচতে এবং সঠিক জীবনে ফিরে আসতে সুযোগ্য পুুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) এর নির্দেশে মাননীয়
সরাষ্ট্রমন্ত্র্রীর হাতে আত্মসমর্পন করে কুষ্টিয়ায় মাদকের অভায়রন্য কিছুটা বন্ধ হলেও আবারো মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদকের প্রধান রুট দৌলতপুর উপজেলা সিমান্তবর্তী হওয়ায় অনায়াসে মাদক বর্ডার পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দৌলতপুরে ছোট ছোট পুরুষ ও মহিলা মাদক কারবারীদের নিয়ন্ত্রন করে ভদ্রবেশি সমাজের কতিপয় লোক। এসকল লোকের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তির যোগসাযস রয়েছে।
গত ১২ ই সেপ্টেম্বর দৈনিক সময়ের দিগন্ত ও দৈনিক আরশীনগর পত্রিকাসহ কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় “দৌলতপুরে মাদক ব্যবসায়ী রাশেদুল হত্যাকান্ড নিরীহ নিরাপরাধ মানুষের নামে মামলা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পায়। এই সংবাদের মধ্যে দৌলতপুরের আল্লারদর্গা বাজার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকেটি পয়েন্টে রমরমা মাদক ব্যবসা তুলে ধরা হয়।
যার মধ্যে মাদক স¤্রাজ্ঞী রোকিয়া ভাবীসহ কয়েক জনের নাম উঠে আসে। এই রোকিয়া ভাবিসহ অত্র এলাকার চিন্থিত মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকের যোগান দিয়ে থাকেন দৌলতপুরের গাছেরদিয়ার এলাকার কূুখ্যাত রাজাকার বক্কর মন্ডল এর পুত্র ও রাজাকার মুনসুর মেম্বর এর ভাতিজা মাদক এর গডফাদার স¤্রাট ও মাহাবুল। গত ২৩ তারিখ ফেন্সিডিলসহ ভাবি রোকিয়াসহ ১জন আটক হলেও প্রশাসনের নজরদাতা ও মাদক সেবীদের নিয়ন্ত্রন কারী স¤্রাট ধরাছোয়ার বাইরে আছে। ডিবি পুলিশের হাতে আটক রোকিয়া ভাবীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে ভদ্রমানুষের মুখোষপড়া রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চালানো
স¤্রাট ও মাহাবুলের মাদক কারবারের মূল রহস্য। গত ১৭/৯ তারিখ স¤্রাট, আলেপসহ অন্যান্য আসামীরা মাদক মামলায় কুষ্টিয়া কোর্টে বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা দেয়। এই মামলার সাথে জরিত প্রত্যেক আসামী হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গোপনে মাদক সরবরাহ করে থাকে। এলাকার সচেতন মহলের দাবি রাজাকার পুত্র স¤্রাট, মাহাবুল কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনগত ব্যবস্থা নিলে অত্র এলাকার মাদকের শিখর উপরে ফেলতে সক্ষম হবে প্রশাসন।

নিজস্ব প্রতিবেদক: