আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীতায় সমর্থন

আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর গ্রামবাসী আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রাজু আহমেদকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মনোনিত করেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে কালিদাসপুর দক্ষিণপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা: আঃ শহিদুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার শফিউর রহমান সুলতান জোয়াদ্দার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বিগত দিনে আমাদের কালিদাসপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। তারই ছেলে রাজু আহমেদ এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে ভোট করতে আগ্রহ বোধ করেছে।

আমরা কালিদাসপুরসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্রধান ও এলাকাবাসী উপস্থিত হয়েছি। সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি রাজু আহমেদকে নির্বাচনে গ্রাম সমর্থন করে।

আগামী কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজু আহমেদ চেয়ারম্যান প্রত্যাশিত হওয়ায় আমরা সকল গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাজুর চেয়ারম্যান নির্বাচনে কাজ করবো।
মতবিনিময় সভায় সভায় রেজাউর রহমান বাবুর উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন আহমদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আনছার আলি, আব্দুল মান্নান মন্ডল, হাজি হান্নান আলি, আজিজুল হক, মহি উদ্দিন, বিপ্লব হোসেন, বাসুদেব, মানোয়ার হোসেন, আবু তালেব, ইদ্রিস মালিতা, মিজানুর রহমান, রাজু আহমেদ, সেলিম হোসেন, রানা আহমেদ, জিল্লুর রহমান, মাসুদ মেম্বার, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।




জীবননগরে ৫০টি পরিবারের মাঝে টিউবওয়েল বিতরণ

জীবননগরে ৫০টি অসহায় পরিবারের মাঝে টিউবওয়েল বিতরণ করা হয়েছ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় দোস্ত এইডের অর্থায়নে ও শিকড়ের আয়োজনে জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালযে এসব টিউবওয়েল বিতরণ করা হয়।

শিকড় সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সাব্বির সামি মুহিতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোতুৃজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোঃ আঃ লতিফ অমল, জীবননগর পৌর সভার নব-নির্বাচিত মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আঃ সালাম ঈশা, বাকা ইউপি চেয়ারম্যান আঃ কাদের প্রধান, সাপ্তাহিক জীবননগর বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক শামসুল আলম, জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদ বাবু, শিকড় সমাজ কল্যাণ সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক মিঠুন মাহমুদ প্রমুখ।
উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন চাষী রমজান ও লাবনী।




গাংনীতে দোকান থেকে তুলে নিয়ে মাদক মামলা ,প্রতিবাদ করায় ইউপি সদস্য আসামি

গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী সহড়াতলা গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে লাল্টু নামের একজনকে তুলে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে মাদক দ্রব্য দিয়ে মামলা দেয়ার প্রতিবাদ করায় বজলুর রহমান হেবা নামের স্থানীয় ইউপি মেম্বরকে আসামী করা হয়েছে। নির্বাচিত জন-প্রতিনিধির নামে উদ্দেশ্যমুলক মামলা দেয়ার ঘটনায় ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে গ্রামবাসীর মাঝে। স্থানীয়দের দাবী বিজিবি সদস্যরা নিরীহ লোকজনকে আটক করায় গ্রামবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে তেমনি অপরাধ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে বিজিবি’র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গ্রামবাসিরা যা বলছে তা সঠিক নয়।

সরেজমিনে গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সবার মাঝে বিরাজ করছে আতংক। কৃষি সমৃদ্ধ এ গ্রামটিতে কাজ কর্মে পড়েছে ভাটা। সীমান্ত সংলগ্ন মাঠে কেউ কাজে যেতে পারছে না হয়রানী ও গ্রেফতার আতংকে। গত ২১ ফেব্রুয়ারী সকালে সহড়াতলা গ্রামের আহম্মেদ আলী ওরফে খেদু মিয়ার চায়ের দোকানে বসে ছিলেন গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে লাল্টুসহ অনেকেই । এসময় লাল্টু নামের একজনকে ডেকে নিয়ে ক্যাম্পে যান বিজিবি সদস্যরা। কয়েক ঘন্টা পরে স্থানীয়দের মুখে ঘটনার সত্যতা জানতে বিজিবির সাথে যোগাযোগ করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য বজলুর রহমান। তার সাথে কথা হয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিষয়টি জানানো হবে। অথচ ঘন্টা তিনেক পরে লাল্টুকে মাদক দ্রব্য দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হবে এমন কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষ প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।

এলাকাবাসীকে শান্ত করতে চেষ্টা ও বিজিবর সাথে যোগাযোগ করে ওই ইউপি সদস্য। ১৫ বোতল ভারতীয় মদ দিয়ে গাংনী থানায় সোপর্দ করে সহড়াতলা বিজিবি। লালটুর সাথে বসে চায়ের দোকানীসহ স্থানীয়রা ইউপি সদস্যকে জানান লাল্টু চায়ের জন্য আমাদের সাথে বসেছিলেন। তাকে বিজিবি’র সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছে । এবিষয়ে খোঁজখবর নিতে ক্যাম্পে কয়েকবার যোগাযোগ করেন ইউপিসদস্য বজলুর রহমান। দোকান থেকে তুলে নিয়ে মাদক দিয়ে মামলা দেয়ার বিষয়ে এক প্রকার বাকবিতন্ড হয় তাদের মাঝে।

সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এ মামলার আসামি করা হয় সহড়াতলা গ্রামের বাসিন্দা ও তেঁতুবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বর বজলুর রহমান ওরফে হেবাকে।
একদিকে লাল্টুকে মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ অপরদিকে মেম্বরের নামে মিথ্যা মামলায় গ্রামের মানুষের মাঝে আতংক আর ক্ষোভ বিরাজ করছে।
লাল্টুকে যে দোকান থেকে বিজিবি সহড়তলা ক্যাম্প সদস্যরা আটক করেন সেই চায়ের দোকানী আহম্মেদ আলী খেদু জানান, সকালে গ্রামের লাল্টু, তারা মালিথা, শাহাদুল ইসলাম, আতাউল হক, আমির উদ্দীনসহ অনেকে বসে চা পান করছিলেন। ওই সময় ৫ জন বিজিবি সদস্য এসে লাল্টুকে ডেকে নিয়ে আসে। প্রথমে কি কারণে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা বলেনি বিজিবি। পরে ১৫ বোতল মদ দিয়ে তাকে চালান করা হচ্ছে মর্মে খবর পাওয়া যায়।

কৃষক মনিরুল জানান, যে সময় লাল্টুকে নিয়ে যায় বিজিবি সেসময় তার কাছে কিছু ছিল না। গ্রামের লোকজন ইউপি মেম্বারকে জানালে তিনি বিজিবি ক্যাম্পে যান এবং এর প্রতিবাদ করেন। এতে রাগান্বিত হয়ে ইউপি মেম্বর বজলুর রহমানকেও পলাতক আসামী হিসেবে দেখানো হয়।

গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি কায়েম উদ্দীন জানান, লাল্টু এক সময় মাদক পাচার করতো। বছর তিনেক আগে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করে। ঘটনার দিন চায়ের দোকান থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর মাদক দিয়ে চোরাচালানের নাটক সাজানো হয়। একই কথা জানালেন স্থানীয় গৃহবধু মুসলিমা, শরিফা ও বিউটিয়ারা খাতুন।
গ্রামের হেলাল ড্রাইভার জানান, নিরীহ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে মাদক দিয়ে চালান দেয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। গ্রামের লোকজন ও ইউপি মেম্বর বজলুর রহমান এর প্রতিবাদ করায় মেম্বরকে পলাতক আসামী দেখানো হয়েছে। এভাবে গ্রামের সরল সহজ মানুষকে ধরে যেভাবে হয়রানীমুলক মামলা দেয়া হচ্ছে তাতে গ্রামে বাস করা কঠিন হয়ে পড়বে।
গাংনীর করমদী কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হারুনর রশীদ জানান, যেভাবে মানুষকে ধরে নিয়ে চোরাচালানী বানানো হচ্ছে তা শুধু দুঃখজনক ও আতংকের বিষয় নয়, এতে করে অপরাধ ও অপরাধির সংখ্যাও বেড়ে যাবার আশংকা রয়েছে।

গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, ৪৭ বিজিবি সহড়াতলা ক্যাম্পের নায়েক জামাল খানের দায়ের করা মামলায় দ’ুজনকে আসামী করা হয়েছে। ওই মামলায় লাল্টুকে ১৫ বোতল মদসহ থানায় সোপর্দ করে। একই মামলায় ইউপি মেম্বর বজলুর রহমানকে পলাতক দেখানো হয়। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
৪৭ বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার শাহজাহান জানান, মাদকসহ লাল্টুকে আটক করা হয়। , গ্রামের লোকজন বিজিবি সম্পর্কে যে কথা বলছে তা সঠিক নয়।




মেহেরপুর জেলার ৩৭তম জন্মদিন আজ

সিরাজুদ্দোজা পাভেল

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মেহেরপুর এক প্রাচীন জনপদ। তবে ঠিক কোনসময়ে অবিভক্ত নদীয়ার এই প্রাচীন জনপদ গড়ে ওঠে তা জানা যায়নি। জনশ্রুতি আছে রাজা বিক্রমাদিত্যের সময় এখানে জনপদ গড়ে ওঠে। কিন্তু এসম্পর্কে কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণাদি পাওয়া যায় না। ঐতিহাসিক কুমুদনাথ মল্লিকের মতে,কেউকেউ এই স্থানটিকে মিহির-খনার বাসস্থান বলেও মনে করেন এবং মিহিরের নাম হইতে মিহিরপুর, অপভ্রংশে মেহেরপুর কল্পনা করেন। নামকরন সম্পর্কিত এ ধারণাটি অনুমান ও কল্পনানির্ভর। নামকরণ নিয়ে আরো একটি মতামত রয়েছে, ড. আশরাফ সিদ্দিকীর মতে, ১৬শ শতাব্দীর একজন দরবেশ মেহের আলী শাহের নামে এ অঞ্চলের নামকরণ হয়েছে।

ইসলাম প্রচারক দরবেশ মেহের আলী নামীয় জনৈক ব্যক্তির নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ষোড়শ শতকের অথবা তার কিছুকাল পরে মেহেরপুর নামকরণের সৃষ্টি হয়েছে।এ অঞ্চলে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত হতেই ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু হয়েছিল। বৃহত্তর কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বারোবাজার, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সহ প্রভৃতি অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ইসলাম প্রচার শুরু করেন হযরত খাঁন জাহান আলী (রাঃ)। পীর খান জাহান আলী গৌড় থেকে ভৈরব নদী পথে মেহেরপুর হয়ে বারোবাজার গিয়ে বাগেরহাট গিয়েছিলেন। তার সাথে সেই সময়ে ৩৬০ জন দরবেশ ও ৬০ হাজার সৈন্য ছিল বলে কথিত আছে। তিনি সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে ইসলামের বিজয় পতাকা উত্তোলন করে জনবসতি ও শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন। এ অঞ্চলে ঐ একই সময়েই বেশ কয়েকজন ইসলামের ঝান্ডাবাহক আল্লাহর পরম আশীর্বাদপুষ্ট ব্যক্তিত্বের আগমন ঘটে।

শাহ ভালাই, শাহ আলাই ও এনায়েত উল্লাহর নাম উল্লেখযোগ্য। পুণ্য আত্না ইসলামের ঝান্ডাবাহক দরবেশ মেহের আলী শাহ-এর নামের সাথে সঙ্গতি রেখে মেহেরপুর নামকরণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।যতদূর জানা যায় তাতে মেহের আলী অত্যন্ত প্রভাবশালী খ্যাতিমান আধ্যাত্নিক ব্যক্তি হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন।জেলা পরিচয় প্রাপ্তির আগে প্রাচীন জনপদ মেহেরপুরের ছিল ভিন্ন পরিচয়। কখনো বাগোয়ান, কখনো রাজাপুর পরগণার অধীনে শাসিত হয়েছে মেহেরপুর।

১৭৬৫ সালে কোম্পানি কর্তৃক দেওয়ানি লাভের ফলে মেহেরপুরও চলে যায় কোম্পানি শাসনে। স্থানীয় জমিদারের মদদে সংঘটিত নীল বিদ্রোহ দমনের উদ্দেশ্যে ১৮০৩ সালে গাংনী থানাকে নদীয়া জেলা থেকে অবমুক্ত করে যশোর জেলার সাথে যুক্ত করা হয়।

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত রাজা গোয়ালা চৌধুরী নদীয়া সদর কৃষ্ণনগর থেকে সরাসরি মেহেরপুর পযন্ত সড়ক নির্মাণ করেছিলেন। এই সড়ক নির্মাণেই মেহেরপুরের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। বর্গী দস্যূরা মেহেরপুর আক্রমণ করে বিপুল সম্পদ লুণ্ঠন করে নিয়ে যেতো। বর্গীদের অত্যাচার থেকে আত্নরক্ষার জন্য গোয়ালা চৌধুরীর বংশধররা ভূগর্ভে ইট দিয়ে গোপন আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করেন ও সমগ্র এলাকাকে ঘিরে পরীখা খনন করেন। মেহেরপুর পৌরসভার দক্ষিণে সেই ভূগর্ভস্থ আশ্রয় কক্ষে তার ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া গেছে। এর বিলীয়মান বেশ কিছু বৃহত্তর তেঁতুল বৃক্ষ ঐ স্থানে ছিল। যে গাছ থেকে বর্গীদের আক্রমণ লক্ষ করে জনসাধারণকে সতর্ক দেয়া হতো। গোয়ালা চৌধুরী শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের কুখ্যাত বর্গী দস্যু নেতা রঘুজী ভোসলার সাথে যুদ্ধে সপরিবাবে নির্মমভাবে নিহত হন বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ১৭৬৫ সালে কৌশলে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করতে সমর্থ হয়। এ সময় হতেই নদীয়া তথা মেহেরপুর ইংরেজদের শাসনাধীনে চলে যায়। ১৭৯৬ সালে নদীয়া ও যশোরের সীমানা নির্দিষ্ট হলেও পরবর্তীতে তা কয়েকবার পরিবর্তন হয়। যশোরের সঙ্গে নদীয়া তথা কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ১৮৫৪ অথবা ১৮৫৭ সালে মেহেরপুর মুহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। অবিভক্ত নদীয়ার মহকুমা ছিল পাঁচটি যথা- কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর। মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবার পর মেহেরপুরে ৫ টি থানা অন্তর্ভূক্ত হয় যথা-করিমপুর, গাংনী, তেহট্ট, চাপড়া ও মেহেরপুর সদর। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ে করিমপুর,তেহট্ট ও চাপড়া ভারতে অন্তর্ভূক্ত হয়, শুধুমাত্র গাংনী ও মেহেরপুর সদর নিয়ে মেহেরপুর মহকুমা গঠিত হয়। পরে ১৯৮৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর পূর্নাঙ্গ জেলার মর্যাদা লাভ করে।




আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নির্বাচনী সভায় অনুষ্টিত

আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নির্বাচনী সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

গতকাল ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টার দিকে পৌর এলাকার চারতলার মোড়ে সোনা পট্রিতে নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন ।

এ সময় তিনি বলেন বাংলাদেশ করোনা টিকা প্রদানে বিশ্বের ২৪তম দেশ। যা প্রধান মন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে। করোনায় বাংলাদেশে কয়েক হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে উনি দ্রুত সময়ে করোনার টিকা এনে বাংলাদেশের মানুষকে বিনামূল্যে প্রদান করেছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উন্নয়ের রাজনীতি করে। আমরা যারা আওয়ামী লীগের কর্মী তাদের সকলকে মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামী ১৪ তারিখ আলমডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। আপনাদের নাগরিক সুবিধাসহ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে হবে।

নৌকা জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক, নৌকা বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনের প্রতীক। তাই আপনারা আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারির পৌর নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করে আলমডাঙ্গা পৌর সভার উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত রাখবেন। পৌর মেয়র প্রার্থী হাসান কাদীর গনু বলেন

আপনারা জানেন আমি সম্প্রতি বিভিন্ন রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। গত বছরেই এই কাজ শেষ হয়ে যেত, এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দের মাধ্যমে আমরা যে ভাবে এক সাথে ৩৩ টি রাস্তার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছি, যা কোন মেয়র বা কোন সরকারের আমলে হয়নি। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রশান্ত অধিকারি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, এ্যাডঃ বিল্লাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলা, এ্যাড. শামসুজোহা, উপজেলা, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, হামিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক কাজী রবিউল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহমেদ ডন ও আতিয়ার রহমান।

৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক জহুরুল হকের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা স্বপন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ অমল কুমার বিশ্বাস, আমিনুল হক মোল্লা, বনিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক হাসানুজ্জামান, সিহাব উদ্দিন, বিশ্বজিৎ সাধু খা, পলাশ আচার্য, মাসুম হোসেন, হাসেম মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিন্দ্রনাথ দত্ত প্রমুখ।




“কন্যা সন্তান বোঝা নয়, আশীর্বাদ”- পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা

ছবি:৮

“মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন প্রকার সামাজিক, মানবিক ও উৎসাহমূলক গণমুখী কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে চলেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় নারীর ক্ষমতায়ন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে এক ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তিনি। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে “কন্যা সন্তান জন্ম হলে ফোন করুন, উপহার পৌঁছে যাবে সাথে সাথে” শিরোনামে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এটি নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জেলা পুলিশের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ ১৯ টি কন্যা শিশুর পরিবারকে পাঠানো হলো ফুল, মিষ্টি ও নতুন পোশাক।
গত ১৮ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৯.২০ ঘটিকার সময় চুয়াডাঙ্গা থানাধীন কুকিয়া চাঁদপুর গ্রামের মোঃ জিনারুল ইসলাম ও চম্পা খাতুন দম্পতি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পুলিশ কন্ট্রোলরুমকে জানায় তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করেছে। পুলিশ কন্ট্রোলরুমে তাদের সন্তান হওয়ার সু-সংবাদ জানানোর সাথে সাথে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নির্দেশে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঐ শিশুর জন্য নিউবর্ণ বেবী প্যাকেজ, মিষ্টি, ফুলের তোড়া নিয়ে তাদের বাসায় উপস্থিত হয়।
পুলিশ সদস্যদের উপহারসহ উপস্থিতি নতুন শিশুর পরিবারের সদস্যদের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়। কন্যা শিশুর পরিবারের লোকজন পুলিশ সুপারের পাঠানো উপহার পেয়ে খুব খুশি হয়, পুলিশ সুপারের আন্তরিকতা ও ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
মাসুদ রানা ও আজাদী ইয়াসমিন দম্পতি সাং-বালিয়াকান্দি, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা মুঠো ফোনে জানান গত ১৩.০১.২০২১ খ্রি. তারিখে তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (৩) আকবর আলী ও স্মৃতি খাতুন দম্পতি সাং-সুবদিয়া, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ১১.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (৪) হাবিবুর রহমান ও শাহানাজ পারভিন দম্পতি সাং-দিঘড়ী হেলিপট, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ১৫.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (৫) আহাদ ও শিখা দম্পতি সাং-যাদবপুর, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ০৯.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (৬) নাজিম ও নাজমা দম্পতি সাং-গাড়াবাড়ীয়া, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ১৬.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (৭) সরোজ ও জিনিয়া দম্পতি সাং-বাগানপাড়া, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ১২.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (৮) সাইফুল ইসলাম ও স্মৃতি দম্পতি সাং-দশমী, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ১৭.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (৯) সরোয়ার ও ঈশিতা দম্পতি সাং-পিরোজখালী, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ১৪.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (১০) মাজেদুর রহমান ও সম্পা খাতুন দম্পতি সাং-বালিয়াকান্দি, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ১৪.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে।
এমনই ভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায় আলমডাঙ্গা থানার বাগুন্দা গ্রামের (১১) মহন ও লিমা দম্পতি গত ১৮.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়েছে। (১২) জাহাঙ্গীর আলম ও মুক্তা দম্পতি সাং-শালিখা, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ০৮.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (১৩) ইলিয়াস ও সঙ্গীতা দম্পতি সাং-ফুলবগাদী, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ১৭.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (১৪) তহিদুল ইসলাম ও মোছাঃ তাসলিমা খাতুন দম্পতি সাং-আসাননগর, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ০৯.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (১৫) রনি ও শারমিন দম্পতি সাং-পারকুলা, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ১৬.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (১৬) আলমগীর হোসেন ও তাসলিমা দম্পতি সাং-নওদাপাড়া, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ১৫.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (১৭) মুজিবুর রহমান ও সম্পা দম্পতি সাং-বগাদী, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ০৮.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (১৮) আহসান হাবীব ও লিপি খাতুন দম্পতি সাং-নওদা দূর্গাপুর, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ১৩.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। (১৯) শামীম ও সুমাইয়া দম্পতি সাং-আসমানখালী, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা ফোনের মাধ্যমে জানায় গত ১৫.০১.২০২১ খ্রি. তারিখ তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। সংবাদ জানানোর সাথে সাথে পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গার নির্দেশে কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ উল্লিখিত পরিবারের কাছে উপহার সামগ্রী নিয়ে তাদের বাসায় উপস্থিত হন। পুলিশ সুপারের এই ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ডের প্রশংসা এখন স্থানীয় জনসাধারণের মুখে মুখে।
কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার কারণে সংসারে কলহ সৃষ্টি ও পারিবারিক অসন্তোষ দেখা যায়। পুলিশ সুপারের এই মহতী উদ্যোগ হতে পারে সমাজের ঐ সকল পরিবারের জন্য ইতিবাচক বার্তা।
পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠির অর্ধেক নারী। এই বিপুল সংখ্যক নারী পিছিয়ে থাকলে সামগ্রিক উন্নয়ন অসম্ভব। তিনি চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে সহযোগিতা কামনা করেন।




প্রকাশ্যে নৌকার সীল মারতে নির্দেশ দিলেন মেয়রপ্রার্থী, ভিডিও ভাইরাল

মেয়রের ভোট প্রকাশ্যে মারতে নির্দেশ দিযেছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এনামুল হক। তিনি একটি নির্বাচনী সভায় সমর্থক ও ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, কাউন্সিলরের ভোট দুটি গোপন কক্ষে গিয়ে আর মেয়রের ভোটটি সবার সামনেই দিতে হবে।

এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী আরিফুল ইসলাম।

ফাঁস হওয়া ভিডিও ক্লিপে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এনামুল হককে নির্বাচনী সভায় ভোটারদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি যদি ওপেন ভোট দেন, তাহলে তো কেউ নিষেধ করতে পারবে না। কারণ আপনাদের মধ্যে যাতে দূরত্ব না বাড়ে। ভোট আপনিও দিতে চেয়েছেন আরেকজনও দিতে চেয়েছে। এখন আরেকজন যদি ভিতরে ঢুকে ভোট দেয় তাহলে মনে সন্দেহ দেখা দেবে।

মনে হবে ও হয়তো নৌকায় ভোট দেয়নি। তাই আপনারা সব ওপেন করে দেন। তাহলে আর একে অপরের প্রতি সন্দেহ থাকবে না। আপনারা কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ভোট ভিতরে গিয়ে দেবেন আর এই ভোটটি (মেয়র) সরাসরি সামনে দেবেন।’

১ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে এনামুল হককে আরও বলতে শোনা যায়, ‘ভোট ভয়ের কোনো ব্যাপার না। আমি যদি ওপেন সিল মেরে দিই তাহলে কারো কিছু বলার নেই। সবাই নৌকায় সিল মেরে দেবেন প্রকাশ্যে, কোনো সমস্যা নাই। যেখানে সবাই একতরফা ভোট দেবে সেখানে কেন আপনি সন্দেহের মধ্যে থাকবেন। তাই কাউন্সিলরের দুটি গোপন কক্ষে আর মেয়রের ভোটটি প্রকাশ্যে দেবেন, কাউকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এনামুল হকের ব্যক্তিগত ফোনে কল করা হলে তিনি তা বারবার কেটে দেন। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মেয়রপ্রার্থী এনামুল হককে ডেকে এনে সতর্ক করা হয়েছে। তাকে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।’




গঠিত হচ্ছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্স

শিগগিরই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন টাস্ক ফোর্স। যার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ৮০ শতাংশ মানুষকে দেয়া হবে করোনার টিকা। উপজেলা থেকে জাতীয় পর্যায়ে মোট পাঁচটি কমিটির সমন্বয়ে গঠিত হবে এই টাস্ক ফোর্স। কোভিড-১৯ এর টিকা প্রয়োগে কোভ্যাক্স ও নন কোভ্যাক্স টিকার ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নীতিমালা।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর টিকা সংরক্ষণ, বিতরণ, প্রয়োগ ও সমন্বয় করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশকৃত নীতিমালা এখন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায়।

যেখানে বলা হয়েছে সারা দেশে টিকা ব্যবস্থাপনাকে নিয়ে আসা হবে ৫টি মূল কমিটির অধীনে। টাস্কফোর্সের মূল টিকা ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টিকা ব্যবস্থাপনার কার্যকরী কমিটি। টিকা ব্যবস্থাপনা, প্রস্তুত ও প্রয়োগে থাকবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি মূল কমিটি। বিভাগীয় পর্যায়ে কাজ করবে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি, এভাবে পর্যায়ক্রমে জেলা সমন্বয় ও উপজেলা সমন্বয় কমিটি কাজ করবে। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে থাকবে মাঠ পর্যায়ের আরও একটি বিশেষ সেল ও একটি সমন্বয় কমিটি।




চাকরির সুযোগ দিচ্ছে স্কয়ার টয়লেট্রিজ

স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডে ‘হেড অব কোয়ালিটি প্রোডাকশন’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড

পদের নাম: হেড অব কোয়ালিটি প্রোডাকশন
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমএসসি ইন কেমেস্ট্রি/অ্যাপ্লায়েড কেমেস্ট্রি
অভিজ্ঞতা: ১৫ বছর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: ৪৮ বছর
কর্মস্থল: পাবনা

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা https://www.jagojobs.com/production/141164 এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সূত্র: জাগোজবস ডটকম




বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন

“জাতির পিতার সম্মন রাখবো মোরা অম্লান”- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভাস্কর্য ভাংচুর ও অবমূল্যায়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)র কুষ্টিয়া জেলায় কর্মকর কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ এর আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায় শহরের শাপলা চত্বর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএডিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও বিএডিসি কুষ্টিয়ার যুগ্মপরিচালক (সার) কৃষিবিদ মোঃ সেলিম হায়দাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বিএডিসি কুষ্টিয়ার (সার) উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুব আলম, উপ-পরিচালক (বীজ) আবু জাফর মোঃ নেয়ামত উল্লাহ, বিএনডিসি (সেচ)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।