ঝিনাইদহে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম

ঝিনাইদহে আশরাফুল ইসলাম নামের এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা।

বুধবার সকালে সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের চোরকোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আশরাফুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে ও মধুহাটি ইউপি সদস্য। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, চোরকোল গ্রামের ডালিমের বাড়ির সামনে হতে গফফারের বাড়ি পর্যন্ত লোক চলাচলের জন্য একটি কাচা রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। ওই গ্রামের কায়েমের নেতৃত্বে রাস্তার পাশে পুকুর কেটে ট্রাক্টর গাড়িতে করে ওই রাস্তা দিয়ে মাটি বহন করছে। যে কারণে নতুন রাস্তাটি মাটি ভেঙে চুরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনার মঙ্গলবার প্রতিবাদ করায় বুধবার সকালে চোরকোল বাজারে হুজুর আলীর চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ওই গ্রামের গোলজার হোসেন, কায়েম আলী, ইসটালিংসহ বেশ কয়েকজন লোক তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

এসময় তার আত্ম চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রাজু আহমেদ মধুহাটি ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আশরাফুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামালার তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে দোষিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মঈন উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মেপ্র/ আরপি




আর্থ সামাজিক উন্নয়নের অংশিদার হতে চায় গাংনীর সন্ধানী সংস্থা

বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ পূর্তিতে গাংনীর সন্ধানী সংস্থা এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নকে আরও বেগবান করে এলাকার জনগোষ্ঠির ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নত জীবন যাপনে সহায়তা করবে।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সংস্থাটির খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠন সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজে একটি “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার” স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে লেখা ও মুক্তিযুদ্ধ’র ইতিহাস নিয়ে অনেক বই। শিক্ষার্থীরা এখান থেকে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে বলে মনে করেন সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, এ বছর থেকেই শুরু হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বার্ষিকী পালনের ক্ষণ গণনা এবং জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশের উন্নয়নের নতুন এক লক্ষ্যে পৌছবে। তেমনই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই শুধু নয় সন্ধানী সংস্থার প্রতিটি শাখায় এ এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নেও বড় ধরণের ভুমিকা পালন করে আসছে এমনটিই মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো: হাবিবুর রহমান।

এই এলাকার পিছিয়ে পড় জনগোষ্ঠির শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থ-সামাজিক জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রেখে চলেছে সন্ধানী সংস্থা। সন্ধানী সংস্থা জাপানি সাহায্য পুষ্ট একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নিভিৃত পল্লী করমদি পূর্ব পাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রকল্প শুরু করে ১৯৮৮ সালে। এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বিদ্যালয়ে একটি দোতালা ভবন নির্মান করা হয়।

সন্ধানী সংস্থার মাধ্যমে এলাকায় সার্বিক উন্নয়নে যিনি নিঃশ্বার্থভাবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি করমদি গ্রামেরই কৃতি সন্তান মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাপান প্রবাসি ড. মো: মখলেছুর রহমান।
তিনি জাপান ইউনিভার্সিটি অব ইকোনোমিক্স জাপান এ প্রফেসর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মুলত এই কৃতি সন্তানের কারণে বর্তমানে এ এলাকায় সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ নামের একটি খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতিবছরই যে কোন পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে জেলার সেরা ফলাফল বয়ে আনতে স্বক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

সন্ধানী সংস্থা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের দু’বছর পর শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান শুরু করে। যাতে করে পিছিয়ে পড়া গ্রামটি শিক্ষায় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আগ্রহী হয়ে সমাজে আলো ছড়াতে পারে। সংস্থাটি শিক্ষার পাশাপাশি নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে ১৯৯২ সালে সেলাই প্রশিক্ষণ শুরু করে। প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক নারী আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

সন্ধানী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মো: মখলেছুর রহমান জাপানে কর্ম ব্যাস্ত জীবন অতিবাহিত করলেও তাঁর মন পড়ে থাকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ভাবনায়। তিনি শিক্ষার পাশা পাশি এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে এ উপজেলার করমদি গ্রামে এস এস (সন্ধানী সংস্থা) হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিভৃত পল্লীর মানুষকে সাধারণ চিকিৎসার জন্য নির্ভর করতে হতো স্থানীয় হাতুড়ি চিকিৎসকদের কাছে। তারা ব্যার্থ হলে আসতে হতো রোগীদের ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ১৯৯৪ সালে ঐ গ্রামে সন্ধানী সংস্থার এস এস হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে ঐ এলাকার মানুষকে আর গাংনীতে আসতে হয়না আবার হাতুড়ি চিকিৎসকের হাত থেকেও রেহায় পেয়েছেন এলাকার মানুষ।

গাংনী উপজেলার নিভৃত পল্লীতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারী উন্নয়ন কর্মসুচি চালু করে গ্রামে সাধারণ মানুষকে আলোর পথ দেখিয়ে নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে ভুমিকা রাখার পর সন্ধানী সংস্থা তার পরিসর বড় করে শহর এলাকায় যাতে গোটা উপজেলার মানুষ উপকৃত হতে পারে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সালে সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ চালু করে গাংনী মহিলা কলেজ রোডে যা বর্তমানে পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের অন্তভূক্ত। সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ চালু হওয়ার পর থেকে উপজেলায় শিক্ষায় এক নতুন দিগন্ত শুরু হয়। সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি থেকে শিক্ষার্থীরা সফলতার সাথে তারা লেখ পড়া শেষ করে বর্তমানে অনেকে নিজ নিজ পেশায় আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বর্তমানে অনেকে দেশ বিদেশে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ম্যজিষ্ট্রেট কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছাড়াও সফলতার সাথে অনেক পেশায় নিয়োজিত আছেন।

সন্ধানী সংস্থা মুলোত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য’র উন্নয়নকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কারণ শিক্ষা যেমন একটি জাতির মেরুদন্ড তেমন সুস্বাস্থ্য ছাড়া একটি শিক্ষিত কর্মক্ষম জাতি আশা করা সম্ভব নয়। তাই এ সংস্থাটি ২০০২ সালে পুষ্টি ও পূনর্বাসন প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের আওতায় বিনামুল্যে হত দরিদ্রদের মাঝে গাভি গরু দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য গাভি গরুর বাছুর হওয়ার পর থেকে যে দুধ পাওয়া যাবে সেখান থেকে পুষ্টি পাবে হতদরিদ্র মানুষ জন ও গাভী থেকে যে বাছুর হবে প্রথম বাছুরটি বাদে পরবর্তিতে ঐ গাভি থেকে যা আসবে সবই ঐ হতদরিদ্র পরিবারটি ভোগ করবে। এভাবেই সন্ধানী সংস্থা এলাকার হত দরিদ্র মানুষের পুষ্টি ও পুনর্বাসনের কাজ করে আসছে। প্রায় ২’শ ৫৯টি পরিবারের মাঝে গাভি গরু প্রদান করেছে সন্ধানী সংস্থা।
এছাড়াও সন্ধানী সংস্থা পোভার্টি এলিভেশন, সন্ধানী ইনফরমেশন সেন্টার চালু করেছে অনেক আগেই।

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ হয়েছে নার্সিং ইনস্টিটিউট। সন্ধানী নার্সিং ইনস্টিটিউট ২০১৬ সাল থেকে বেশ সফলতার সাথে কার্যক্রম চলছে। নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই সফলতার মুখ দেখছে। নার্সিং ইনস্টিটিউট খুব অল্প সময়ে যাত্র শুরু করলেও এখান থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে তারা কর্মসংস্থানে যোগ দিতে পারবে।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মহাঃ আবু জাফর মনে করেন সমাজের সকল শ্রেণী পেশার জন সাধারণের শিক্ষা স্বাস্থ্য ও আর্থ সামাজিক জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করবে। তিনি বলেন আমাদের সমাজের মানুষকে সচেতন করে উন্নত জীবন যাপন যাতে করতে পারে এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: হাবিবুর রহমান বলেন, সন্ধানী সংস্থা আসলে সমাজে আলো ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে আমি মনে করি। কারণ সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিবছরই শিক্ষা ও সাংস্কৃতিতে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে আসছে। তিনি মনে করেন সন্ধানী সংস্থা এলাকার সকল শ্রেণী পেশার জনসাধারনের উন্নত জীবন যাপনে সহায়তা করবে।

অধ্যক্ষ মো: হাবিবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সরকার যেমন কাজ করে যাচ্ছে তেমন আমরাও দেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে এ এলাকার আর্থ সামাজিক জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করে দেশের উন্নয়নে অংশিদার হতে চাই।




এবার উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ, মুর্শিদাবাদে স্টেশনে আগুন

ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ।

নতুন আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা মুর্শিদাবাদের একটি রেলস্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারো বিক্ষোভকারী মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন কমপ্লেক্সে আগুন লাগিয়ে দেন। এ সময় স্টেশনে উপস্থিত রেলওয়ে পুলিশের কর্মীদেরও লাঞ্ছিত করেন বিক্ষোভকারীরা।

রেলওয়ে পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা হঠাৎ করেই রেলওয়ে স্টেশনে ঢুকে প্ল্যাটফর্ম, কয়েকটি ভবন ও রেলওয়ে অফিসে আগুন লাগিয়ে দেন। রেলওয়ে পুলিশের কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাদের নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে।

মুর্শিদাবাদ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের আরও কয়েকটি জেলায় শুক্রবার বিক্ষোভ হয়েছে। হাওড়ার উলুবেড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের হামলায় বেশ কয়েকটি ট্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আহত হয়েছেন একজন ট্রেনচালকও।

বিক্ষোভ হয়েছে কলকাতাতেও। পার্ক সার্কাস এলাকায় বেশ কয়েক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। বিমানবন্দরেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। পূর্ব মেদিনীপুরে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর গাড়িতে হামলা করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।

অন্যদিকে নতুন এই আইনের বিরুদ্ধে আসামে বিক্ষোভ চলছেই। আসামের পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

আসাম পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ভাস্কর জ্যোতি মোহন্ত বলেছেন, আমরা শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছি। গত কদিনের তুলনায় আজ পরিস্থিতি ভালো ছিল। আমাদের দল নিরলসভাবে কাজ করছে। কঠিন সময় চলছে ঠিকই, তবে আমরাও আমাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছি।

-আর্ন্তজাতিক ডেস্ক




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন জখম

মেহেরপুরে দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে   তিন জন গুুুুরুতর জখম হয়েছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার কোলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত তিন জনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালেে নিয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে৷

আহতরা হলেন মুজিবনগর উপজেলার  বাওপুর গ্রামের আরজেন এর ছেলে তানভীর, একই গ্রামের মান্নানের ছেলে প্রান্তর এবং কোমরপুর গ্রামের ইমাদুল এর ছেলে মারুফ।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার কলা গ্রামের রাস্তার পাশে দুইটি মোটরসাইকেল ভাঙাচোরা অবস্থায়় এবং রাস্তার পাশে তিনজন রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে আছে।

এসময় তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।

-নিজস্ব  প্রতিনিধি




গাংনীতে পাকা রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

মেহেরপুরের গাংনী পৌর সভার শিশিরপাড়া থেকে বাঁশবাড়িয়া পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোমান এন্টাপ্রাইজ।

তাদের এ অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রথমে এর প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসি কাজ বন্ধ করে দেয়।পরে জেলা এলজিইডির কর্মকর্তার আশ্বাসে পূনরায় কাজ করতে দেয় এলাকাবাসি। কাজ শুরুর একদিন পর আবারও নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তা নির্মাণ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

কাজের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিম্ন মানের ইটের কথা স্বীকার করে বলেন এখন কোন জায়াগায় ভাল ইট পাওয়া যাচ্ছেনা তাই নিম্ন মানের ইটের সাথে যতটুকু পারা যায় ভাল ইট মিশিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ভাল ইট না পাওয়া গেলে যে নিম্ন মানের ইট দিয়ে কাজ করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

তারপরও দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।

১১৪০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ মিটার প্রস্থ্য এ রাস্তার কাজে ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা।

রবিবার বিকেলে স্থানীয়রা রাস্তার কাজের অসস্তুষ্ট হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলে গাংনী পৌরসভার প্রকৌশলী জামিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন।

তিনি নিম্ন মানের ইট সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিলেও তারা তার কথা অগ্রাহ্য করে নিম্ন মানের ইট দিয়ে কাজ চালিয়ে যান।

সাংবাদিকদের তিনি জানান, রাস্তা নির্মাণে যে মানের মালামাল ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া আছে সেইভাবেই কাজ করতে হবে এখানে কোন প্রকার অজুহাত চলবেনা।

নির্দেশ না মানতে পারলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এসময় তিনি কাজ বন্ধ রাখার জন্য বললেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তার কথায় কোন প্রকার কর্ষপাত করেননি।

এদিকে নি¤œমানের কাজের বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকদের মাধ্যমে বলেন এভাবে যদি নিম্ন মানের কাজ চলতে থাকে তাহলে আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এর প্রতিকার চাইব তারপরও যদি কাজ ভালভাবে না হয় তাহলে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।

স্থানীয়রা আরও জানান ঐ এলাকার কিছু প্রভাবশালী নেতা বর্গকে হাত করে ঠিকাদারের লোকজন নিম্ন মানের মালামাল দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন যুবলীগের সম্মেলনের কারণে ঢাকায় আসায় তারা সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিম্ন মানের মালামাল দিয়ে কাজ করছে এমন কথা শুনে কাজ বন্থের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যতক্ষণ ভাল মালামাল দিয়ে কাজ করবেনা ততক্ষণ কাজ বন্ধ রাখা হবে রাস্তার কাজে কোনভাবেই অনিয়ম সহ্য করা হবেনা।

-গাংনী প্রতিনিধি




মেহেরপুরে এসিআই মটরস এর উদ্যোগে নেটওয়ার্ক পাটনার মিটিং অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে এসিআই মটরস এর উদ্যোগে নেটওয়ার্ক পাটনার মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার গাংনী উপজেলার তেতুলবাড়ি খাস মহলে দিন ব্যাপি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাশেদ মটসর এর প্রোপাইটার রায়হানুল আজিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হারভেষ্টর ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় ম্যানেজার আবু আল ইমরান, ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, হুমায়ন কবীর সহ স্থানয়ী চাষীরা।

পরে চাষিদের নিয়ে বিভিন্ন খেলাধুলা ও পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, ঘোষ রাহুল সানি।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুরে গাছ ব্যাবসায়ী ও করাত কল মালিকদের রোষানলে হারিয়ে যাচ্ছে তাল গাছ

তাল গাছ। পরিবেশ ও প্রকৃতির বন্ধু শুধু নয়। মানুষের কল্যাণে এর জুড়ি নেই। তালগাছ নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক কবিতা ও গান।

তাল গাছের সুমিষ্ট ফল দেয়া ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে মানুষকে। বর্তমান সরকার তাল গাছ রোপণের উপর জোর দিলেও এক শ্রেণির লোকজন তাল গাছ কাটার মহোৎসবে মেতে উঠেছে। নানা কারণ দেখিয়ে রাস্তার পাশের ও ব্যাক্তি মালিকানাধিন তালগাছ কেটে বিভিন্ন করাত কলে বিক্রি করছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন ও পরিবেশ রক্ষা ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার তাল গাছ রোপণ করছেন। অপরদিকে বিভিন্ন এলাকায় তালগাছ কাটছেন করাত কলের মালিক ও কাঠ ব্যবসায়িরা। অনেকেই বিক্রি করছেন বিভিন্ন ইট ভাটায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তাল ও নারিকেল গাছ দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও বজ্রপাত প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য রক্ষা ও শোভা বর্ধনে তাল ও নারিকেল গাছের জুড়ি মেলেনা। এক সময় বিভিন্ন সড়ক ও মহা সড়কের পাশে সারি-সারি তাল গাছ শোভা পেতে দেখা গেছে। এখনও দু’একটা তাল গাছ গ্রাম-গঞ্জের ঝোপ-ঝাড়ে দেখা গেলেও তা রক্ষায় সরকারি ভাবে নেই তেমন উদ্যোগ। অতীতে অপরিচিত মানুষের বাড়ি, জমি, পুকুর, মাঠ, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন স্থান দেখানোর জন্য বলা হতো উচুঁ ওই তাল গাছ টার পাশে।

এমনকি সরকারি বা বে-সরকারি ভাবে নানা দিক নির্দেশনার ক্ষেত্রেও তাল গাছের সহায়তা নেওয়া হতো। তালের পিঠা, তালের গুড়, তালের রস, সব মানুষের খুব মজাদার খাবার। বিশেষ করে অতীত সময় গুলোতে গ্রাম-বাংলায় তালের পিঠা ছাড়া আত্বীয়তা কল্পনাই করা যেত না। এছারা তাল গাছের পাতা দিয়ে তৈরী হয় নানা রকমের হাত পাখাও। ক্রমশই তাল গাছ হারিয়ে যাওয়ায় গ্রামীণ পরিবার গুলোতে নেই সেই তালের পিঠার অস্তিত্ব।

সরকারি ভাবে সঠিক নজরদারির অভাবে অযতœ-অবহেলা ও গুরুতের অভাবে তাল গাছ কাটা হচ্ছে। যেভাবে তাল গাছ কাটা হচ্ছে, সেই ভাবে তালগাছ রোপন করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের।

স্থানীয়রা জানান, তালগাছ কেটে ফেলার কারণে এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন গাংনীর গাড়াডোব এলাকায় তালগাছ কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এবং কোনো করাত কলে তাল নারিকেল গাছ ফাড়াই করা নিষেধ করেন। গাছ ব্যাবসায়ীরা তাল গাছ বেচা-কেনা কয়েক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার পর প্রশাসনের নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় গাছ ব্যাবসায়ীরা তাল ও নারিকেল গাছ বেচাকেনার উৎসবে মেতে উঠেছেন।

বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাল ও নাারিকেল গাছ কেটে নিয়ে আসছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব বাজারের লালা বিশ^াস ও চপল বিশ^াসের করাত কলে। সেখানে দে-দারছে ফাড়াই করা হচ্ছে তাল ও নারিকেল গাছ। আসবাবপত্রের উপকরণ তৈরী করছেন ও ইটভাটায় বিক্রি করছেন ব্যাবসায়ীরা।

এব্যাপারে গাংনী উপজেলা ফরেস্টার অফিসার হামিম হায়দার জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। তবে তারা কি কারনে তাল ও নারিকেল গাছ ফাড়াই করছেন তা সঠিক ভাবে জানা নেই। তিনি আরো বলেন, চপল বিশ^াসের করাত কলে কিছু গাছ মজুদ ছিলো , সে গুলি ফাড়াই করার পর আর নতুন করে তাল ও নারিকেল গাছ ফাড়াই করবে না বলে জানান এ কর্মকর্তা।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান জানান, তাল ও নারিকেল গাছ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভৃমিকা পালন করার স্বার্থে তা রক্ষা করা অত্যান্ত জরুরী। যারা এসকল গাছ কাটা ও ফাড়াই করার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। সেই সাথে স্থানীয় ব্যাক্তিদেরও এ সকল গাছ গাছালির রক্ষণাবেক্ষণ ও তাল নারিকেল গাছ রোপন বৃদ্ধিতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করার পাশাপাশি সরকারি অর্থয়নে অনেক সড়কের পাশে তালগাছ রোপন করা হয়েছে।

-গাংনী প্রতিনিধি




গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ফজলুল হকের নিয়োগ নিয়ে নানা প্রশ্ন!

মেহেরপুরের গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজে ফজলুল হক অবৈধ নিয়োগের বৈধতা দেখিয়ে সরকারি সুবিধা ভোগ করছে। এ ছাড়াও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নিজ নামে একটি বেসরকরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করেন।

বর্তমানে ফজলুল হক সেন্টু গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজে পরিসংখ্যান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। কিন্ত তার এই প্রভাষক হওয়ার পিছনে রয়েছে নানা অনিয়ম।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তৎকালীন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ নেন।

১৯৯৪ সালের ৩০ জুলাই ছিল গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক নিয়োগের শেষ তারিখ।

এ সময় আবেদন করেন ফজলুল হক সেন্টু । কিন্তু আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারিনি। কারণ, ফজলুল হক মাস্টার্স পাশ করেন ১৯৯৫সালে। সে হিসেবে ফজলুল হক আবেদন করতে পারে না। কিন্তু সে সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গাংনী ডিগ্রী কলেজের ততকালীন অধ্যক্ষ প্রয়াত আব্দুল খালেক এর সহযোগীতায় অবৈধভাবে নিয়োগ নেয় ফজলুল হক ।

এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় কতৃক একটি তদন্ত টিম ফজলুল হক এর নিয়োগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। পরবর্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগের বৈধতা দিলে সরকারি বেতন ভাতা চালু হয়।

ইতিমধ্যে ফজলুল হক নিজ বাড়িতে গাংনীতে ২০০২ সালে “ ফজলুল হক আইডিয়াল স্কুল” নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। সরকারি নিয়ম ভঙ্গ তরে সেই প্রতিষ্ঠান তিনি নিজেই পরিচালনা করেন।

এই প্রতিষ্ঠান নিয়েও আছে সাধারণ জনগনের বিরুপ প্রতিক্রিয়া। নারি কেলেঙ্কারি সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

গাংনীর জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, বিগত জোট সরকারের আমলে ফজলুল হক ব্যাপক দাপট দেখিয়েছে। সে সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ইচ্ছেমত সুবিধা আদায় করেছে। পরবর্তিতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে কিছুটা শান্ত হয়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আবার বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার তান্ডবে এলাকার কোন আওয়মী লীগ শান্তিতে বসবাস করতে পারিনি। কারনে অকারনে আওয়মী পন্থিদের বিভিন্ন নির্যাতন করেছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার বলেন, এ নিয়োগের বিষয়ে আমাদের জানা নেই। সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই রকম কোন নিয়ম নেই।

এ বিষয়ে ফজলুল হক বলেন, আমার নিয়োগে কোন ঝামেলা নেই। আমি ১৯৯০ সালে মাস্টার্স পাশ করি সেই সার্টিফিকেট দিয়ে আমি চাকরি পাই। আমার বাড়িতে যে প্রতিষ্ঠান আছে সেটা ভাড়া দেওয়া আছে।

গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম বলেন, ফজলুল হক নিয়োগ পেয়েছেন প্রয়াত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক এর সময়। সে সময় তার নিয়োগ কিভাবে হলো আমি জানিনা। তবে তার নিয়োগে কিছুটা হলেও অনিয়ম থাকতে পারে। কারণ রস সময় নিয়োগ দেওয়া ছিল ১৯৯৪ সালে কিন্তু ফজলুল হকের সার্টিফিকেট ১৯৯৫ সালের।

-আল-আমীন ও মর্তুজা ফারুক রুপক




সেরা তরুন করদাতা আরিফ শেখ

খুলনা বিভাগের সেরা তরুন করদাতা হিসেবে সম্মাননা পেলেন মেহেরপুরের আরিফ শেখ।
গতকাল বুধবার সকালে খুলনার সিটি ইন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সেরা করদাতার সম্মাননা পুরুষ্কার তুলে দেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়।
আরিফ ২০১৮-১৯ কর বছরে সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন। আরিফ শেখ মেহেরপুর শহরের বোসপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে।

আয়কর প্রদানকারী করদাতাদের পুরস্কার প্রদান নীতিমালা ২০১৮ এর বিধান অনুযায়ী আয়কর প্রদানকারী ৪০ বছরের নিচে মেহেরপুর জেলার প্রথমবারের জন্য আরিফ শেখ এ সম্মাননা লাভ করেন।

-নিজেস্ব প্রতিনিধি




বামন্দি কৃষি ব্যাংকে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা চুরি

মেহেরপুরের গাংনীর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বামন্দি শাখাতে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা মালিক তোলার আগেই অন্য কেউ চুরি করে তুলে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে।

উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের ভুক্তভোগী রেবেকা খাতুন জানান, তার প্রবাসী স্বামী রবিউল ইসলাম মালয়েশিয়া থেকে টাকা পাঠিয়ে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপক জানান তার স্বামীর পাঠানো টাকা ১১/১১/২০১৯ ইং তারিখে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেওয়া হয়েছে।

রেবেকা খাতুন টাকা কোন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে জানতে চাইলে ম্যানেজার জানান বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বামন্দি শাখা থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

পরে তিনি কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমানের নিকট ঘটনা খুলে বলেন। তখন শাখা ব্যবস্থাপক বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করেন। পরে নিচতলাতে মিতালী বস্ত্রালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সেকেন্ড অফিসার মেহেরাব হোসেনের কাছ থেকে পাওয়া ও সিসিটিভির ফুটেজ ও ভুক্তভোগী রেবেকা খাতুনের সাথে আলোচনা করে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি আসল দোষী কোন ব্যক্তি।

জানতে চাইলে রেবেকা খাতুন জানান, প্রকৃত দোষী ব্যক্তি জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সাইর পাড়ার ডা. আক্কাস আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন। তিনিও তার স্বামীর সাথে দীর্ঘ দিন একই রুমে মালয়েশিয়াতে ছিলেন। মালয়েশিয়াতে থাকাকালিন উজ্জল তার স্বামী রবিউল ইসলামের মোবাইলে কিছু করে রেখেছে। তার স্বামী দেশে টাকা পাঠালে সে হয়তো বুঝতে পারে।

তবে কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বলেন, এ বিষয়টি এডিশনাল এসপি জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমানকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি তাই বিষয়টি আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করতে চান।

তিনি আরও জানান একটি মাধ্যম দোষী ব্যক্তির কোন শাস্তি ছাড়াই টাকাগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার শর্তে তাঁর সাথে দিন দরবার চালিয়ে যাচ্ছেন তবে তিনি বিষয়টির আইনগত ভাবেই সুরাহা করার জন্য মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।

-গাংনী প্রতিনিধি