হরিণাকুণ্ডু তে চা বিক্রি করে স্বাবলম্বী যুবক শিমুল

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদহ কলেজ মোড়ে চা বিক্রেতা যুবক শিমুল দিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার চা বিক্রি করেন। ১৮ বছর বয়সি শিমুল চা বিক্রি করে পরিবারের হাল ধরতে পেরে নিজেকে সফল ও স্বাবম্বি মনে করছেন।

চা বিক্রি করে তিনি বাড়িতে পাঁকা ঘর দিয়েছেন, চাষের জমি বর্গা রেখেছেন, বাড়িতে গরু-ছাগল কিনে পালছেন। দিনে দিনে তার সংসারে স্বাচ্ছন্দ ফিরে এসেছে। শিমুল জোড়াদহ গ্রামে নানা বাড়িতে মানুষ হয়েছে।

সরেজমিনে তার দোকানে গিয়ে দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসা চাপ্রেমীদের সরগরম লক্ষ্য করা যায়। তার দোকানের চা খেতে আসা বিভিন্ন খরিদ্দারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার দোকানে ভিন্ন স্বাদের দুধ চা ও মালাই চা পান করতে প্রতিদিন ঝিনাইদহ শহর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া জেলা থেকে চা প্রেমিরা ছুটে আসেন।

চা বিক্রেতা শিমুল বলেন, তার দোকানে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে শত শত চাপ্রেমীরা চা খেতে আসেন। প্রতিদিন ১হাজার থেকে ১২শ কাপ চা বিক্রি হয়, যা গড় হিসাবে প্রতিদিনে ১৫থেকে ২০ হাজার টাকার পারমান চা বিক্রি হয় বলে জানান। লেখাপড়া বেশি দূর না করলেও দিনরাত পরিশ্রম করে নিজেই পরিবর্তন করছেন নিজের ভাগ্য। উপজেলার জোড়াদহ কলেজ মোড় এলাকার রাস্তার পাশে শিমুলের চায়ের দোকান। ৭ বছর ধরে চা বিক্রি করছেন এই যুবক। এরও ৫বছর পূর্বে হাফিজুর নামে এক ব্যক্তি দোকানটি শুরু করে।

সকাল ৭টা থেকে সারাদিন চা প্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে দোকানে। প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ৮ট পর্যন্ত বাইরের এলাকা থেকে লোকজন চা খেতে ভিড় জমায়।

প্রতি কাপ দুধচা ২০ টাকা করে বিক্রি করি, এখন পর্যন্ত কোন খরিদ্দারের অভিযোগ পাননি বলে শিমুল জানান। তিনি আরও বলেন, চা বিক্রির পরিমান এখন অনেক বেশি, আয়ও ইনশাল্লাহ ভালোই হয়, এই আয় দিয়ে বাড়িতে একটি পাকা ঘর করেছি, জমি বর্গা রেখেছি, সবমিলিয়ে পরিশ্রম করে ভালোভাবে জীবন যাপনের চেষ্টা করছি।’

তিনি আরও বলেন, আমার চা তৈরীর পদ্ধতি হরিণাকুÐু উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এখন চালু হয়েছে। আমি ওইসব চা দোকানদারদের চা তৈরীর পদ্ধতি শিখিয়েছি। অনেক বেকার যুবক তার কাছে পরামর্শ নেওয়ার জন্য আসে। তিনি তাদের সঠিক পরামর্শ দেন। তার এই ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বেকার যুবকরা মনে করছেন কোন কাজই ছোট নয়, যেকোনো কাজ করে সফলতা অর্জনের মাধ্যমে নিজের বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।




কুষ্টিয়ায় অস্তিত্বহীন ও বন্ধ মিলের নামে সরকারি চাল বরাদ্দ

কুষ্টিয়ায় ২২টি চালের মিলের মধ্যে অধিকাংশ মিলেরই অস্তিত্ব নেই। মিল বন্ধ দীর্ঘদিন, তবুও বরাদ্দের তালিকায় মিলের নাম। জেলায় অস্তিত্বহীন মিলের নামে চাল বরাদ্দ আজ নতুন নয়।

বছরের পর বছর এমন অনিয়ম হয়ে এলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না ওই সমস্ত মিলের বিরুদ্ধে। আর এমন অনিয়মের ফাঁকেই সংশ্লিষ্ট খাদ্য কর্মকর্তারা লুটে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। এর সঙ্গে খাদ্য বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার পাশাপাশি জড়িত প্রভাবশালী চালকল মালিকেরাও।

কুষ্টিয়ায় হাস্কিং এবং অটো মিলিয়ে সর্বমোট রাইস মিলের সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক। এসব মিলারের কাছ থেকেই সংগ্রহ করা হয় সরকারের আপদকালীন চাল। চাল সরবরাহে চালকল মালিকদের যে পরিমাণ বরাদ্দ আসে, তাতে বিপুল অর্থ পকেটে যায় মিলার অর্থাৎ চালকল মালিকদের। তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চাল সরবরাহ লাভজনক হওয়ায় অস্তিত্বহীন মিলের নামেও দেওয়া হয় চালের বরাদ্দ। যার সংখ্যাও কম নয়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বড়ইটুপি গ্রামের ‘ভাই ভাই’ রাইস মিল। ওই মিলের কোনো অস্তিত্ব নেই প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়ায় মালিক সামসুল আলম মিলটি বন্ধ করে দিয়েছেন। বছরের পর বছর এই মিলের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাতে জন্মেছে আগাছা। বয়লারেরও অস্তিত্ব নেই। সাইনবোর্ড না থাকায় চেনারও উপায় নেই অথচ বন্ধ এই মিলের নামে বছরের পর বছর আসে চালের বরাদ্দ। এবারের বিভাজনেও দেওয়া হয়েছে ১৩ দশমিক ২৯০ মেট্রিক টন চালের বরাদ্দ।

মিলটির মালিক সামসুল আলম জানান, হাস্কিং মিলের ব্যবসা এখন আর নেই। অটো মিলের দাপটে মিলটি বন্ধ করা হয়েছে। তবে তার মিলের নামে বরাদ্দের বিষয়ে তিনি জানান, আমার মিলের নামে কে গুদামে চাল দেন, তা আমি জানি না। স্থানীয় বাসিন্দা শফিউল্লাহ জানান, একসময় মিলটি বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। কিন্তু অর্থাভাবে মিলটি আর চালাতে পারেন না। চাতাল, বয়লার বন্ধ প্রায় ১৫ বছর।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আরেকটি মিল ‘রহমত’ রাইস মিল। এই মিলটিও বন্ধ হয়েছে প্রায় বছর তিনেক আগে। চালাতে না পারায় বিক্রি করে দিয়েছেন মালিক রেজাউল করিম। খাদ্য বিভাগের হিস‍াব বলছে, রেজাউল করিম নিজেই সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করেন। তবে রেজাউল করিম জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

সদরের চেয়ে আরো ভয়াবহ অবস্থা কুমারখালীর। ২২টি মিলের মধ্যে অধিকাংশ মিলেরই অস্তিত্ব নেই। ধানের চাতাল আছে, কার্যক্রম নেই। বছরের পর বছর ধরে বয়লারে আগুন জ্বলে না। চালের মিলে ডাল, চিড়া-মুড়ি উৎপাদনে ব্যস্ত।

কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় শরিফ রাইস মিল। প্রায় ১৫ বছর আগে চালের কারবার বন্ধ রয়েছে। সেই থেকে ওই মিল হয়ে গেছে ডাল মিল। মিলের মালিক আবু ওয়ালী নোমান ডাল ব্যবসায়ে প্রতিষ্ঠিত অথচ তার মিলের নামে বছরের পর বছর চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবারো পেয়েছেন ১৩ দশমিক ৬৮০ মেট্রিক টন বরাদ্দ।

তিনি জানান, হাস্কিং মিলের ব্যবসা নেই। তাই বাধ্য হয়েই ডালের ব্যবসায়ে ঝুঁকেছেন তিনি। তবে খাদ্যগুদামে তিনি চাল সরবরাহ করেন না বলে জানান।

কুমারখালীর কাঞ্চনপুর ও নগর সাঁওতা এলাকার মোতালেব ও ওয়াসেল রাইস মিলের অবস্থাও অনেকটা একই রকম। মিল বন্ধ দীর্ঘদিন। তবুও বরাদ্দের তালিকায় তাদের মিলের নাম।

কীভাবে এবং কেনই বা অস্তিত্বহীন মিলের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয় চালের? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো মিলের নামে চালের বরাদ্দ দেওয়ার আগে ওই সমস্ত মিল বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য কিনা সে বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। ওই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয় বরাদ্দ। কিন্তু খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা দায়সারা প্রতিবেদনে বন্ধ এবং অস্তিত্বহীন মিলের নামেও বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। বিনিময়ে এসব মিলারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন পান। যার পরিমাণও কম নয়। কয়েক কোটি টাকা।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আল ওয়াজিউর রহমান নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়ে জানান, অস্তিত্বহীন মিলের নাম বরাদ্দের তালিকায় নেই। যেসব মিল বন্ধ রয়েছে, সেসব মিলের সঙ্গে চুক্তি করা হয়নি। তবে এর বাইরেও কোনো মিলের অসঙ্গতি থাকলে ওসব মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরমধ্যে বেশকিছু মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন এই খাদ্য কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতা ও কুষ্টিয়া দেশ অ্যাগ্রো ফুডের স্বত্বাধিকারী এমএ খালেক জানান, সরকার কোনো মিলের সঙ্গে চুক্তি করার আগে মিলগুলো চাল সরবরাহের যোগ্য কিনা তা যাচাই-বাছাই করে থাকে। যদি সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে এমন অনিয়ম হওয়ার কথা নয়।

কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান জানান, চাল বরাদ্দের সঙ্গে আমাদের সংগঠন জড়িত নয়। তবে কেউ যদি এমন অনিয়মে জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

সচেতন নাগরিক কমিটি কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু জানান, বছরের পর বছর অস্তিত্বহীন মিলের নামে চালের বরাদ্দের অভিযোগ শুনে আসছি কুষ্টিয়া খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট মিল মালিক এবং খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

চলতি আমন মৌসুমে জেলার প্রায় দুই শতাধিক মিলারের কাছে ৪৭ টাকা কেজি দরে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন চাল কেনার চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কুষ্টিয়া খাদ্য বিভাগ।




দামুড়হুদা চন্দ্রবাসে অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় রফিকুল ইসলামের মৃত্যু

দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামে অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। রফিকুল ইসলাম (৪০) চন্দ্রবাস মাঝ পাড়ার মৃত এরশাদ আলির ছেলে।গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে চন্দ্রবাস বাজারে আঃ আলিমের সারের দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর এ দূর্ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামের মাঝ পাড়ার মৃত এরশাদ আলির ছেলে রফিকুল ইসলাম চা পান করার জন্য পাকা রাস্তা পার হওয়ার সময় অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় মেইন রাস্তার উপরে সিটকে পড়ে। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিক্ষা নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দামুড়হুদা ও জীবননগর সার্কেল জাকিয়া সুলতানা ও দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। থানার সকল কার্যক্রম শেষ করে শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর জানাজা শেষে দাফন সম্পন করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চন্দ্রবাস গ্রামে অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় রফিকুল নামের একজন নিহত হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।




সুস্থ থাকতে ভাত নাকি রুটি জেনে রাখুন

সুস্থতা নির্ভর করে আমাদের জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাসের ওপর। তাই সুস্থ থাকতে হলে জীবনযাত্রার পাশাপাশি খাদ্যতালিকার দিকেও নজর দিতে হবে। তবে অনেকেই চিন্তিত থাকেন সুস্থ থাকতে হলে রাতে কী খাবেন? ভাত নাকি রুটি । পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি থাকলেও চিকিৎসকেরা কী বলছেন? গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন চিকিৎসকরা।

ভাত এবং রুটি উভয় খাবারেই কার্বোহাইড্রেট থাকে। এদিকে চিকিৎসকেরা মনে করেন, এই দুটি খাবারের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তবে দুই খাবারেই সোডিয়ামের পরিমাণ ভিন্ন। চালে সোডিয়ামের পরিমাণ খুবই কম থাকে। চালের তুলনায় গমে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি। তাই যদি চিকিৎসকরা আপনাকে সোডিয়াম যুক্ত খাবার কম খেতে বলে সেক্ষেত্রে রাতে রুটি খাওয়াই ভালো।

ভাতের গুণাগুণ : ভাতে প্রোটিন, ফ্যাট এসব কম থাকলেও ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে। প্রতিদিন দুই বেলা ভাত খেলে হজমের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। ভাতে থাকা অন্যান্য ভিটামিনও স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। তবে বাজারের চকচকে পালিশ চাল না খেয়ে পালিশের আগের অবস্থায় যে চাল থাকে সেই চালের ভাত খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো।

রুটির পুষ্টি: রুটিতে ফাইবার থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। রুটি খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম যায়। ভাত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রুটি সেটা করে না।

তাই শরীরের ঘাটতি দেখে বুঝতে হবে আপনার জন্য কোনটি উপযোগী। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন ভাত নাকি রুটি খাবেন। তবে খাদ্যতালিকা তৈরির আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

সূত্র: কালবেলা




ফ্রিজ দ্রুত নষ্ট হয় যেসব ভুলের কারণে

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে যে যন্ত্রগুলো, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো ফ্রিজ। বাসায় ফ্রিজ থাকা মানে অনেক ধরনের উপকার পাওয়া। বিশেষ করে সবজি, ফলমূল ও খাবার অপচয় রোধ করতে ফ্রিজের কোনো বিকল্প নেই। তাই এখন প্রায় প্রতিটা বাসাতেই ফ্রিজ রয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনারই কিছু ভুলে শখের ফ্রিজটির আয়ু কমতে থাকে? আপাতদৃষ্টিতে সেগুলো সাধারণ মনে হলেও আসলে তা ক্ষতিকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

যেসব ভুলের কারণে ফ্রিজ দ্রুত নষ্ট হয় :

১. অতিরিক্ত খাবার রাখা:

আমরা সচরাচর ফ্রিজে অবশিষ্ট খাবার ও ফলমূল তুলে রাখা আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস। আবার অনেক সময় দেনিক বাজার করার ভয়ে কিন্তু খেয়াল রাখা দরকার তা যেন ফ্রিজটির জন্য অতিরিক্ত না হয়। যখনই আপনি অতিরিক্ত খাবার রাখেন, তখন ফ্রিজের ভিতরে বাতাস সঠিকভাবে সঞ্চালন করতে পারে না এবং ফ্রিজ সবকিছু ঠান্ডা রাখার জন্য অতিরিক্ত কাজ করে। এটি কেবল ফ্রিজের তাপমাত্রাকেই বিশৃঙ্খলা করে না বরং কম্প্রেসারকে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করে। সুতরাং, আপনি ভাবতে পারেন যে আপনি খাবার সঞ্চয় করছেন কিন্তু এতে ফ্রিজের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. কয়েলের যত্ন না নেওয়া:

ফ্রিজ ভাল রাখতে হলে মাঝেমধ্যে যন্ত্রটির পিছন দিকে একেবারে নীচের দিকে থাকা কন্ডেনসর কয়েলটি পরিষ্কার করা প্রয়োজন। ঘর, হেঁশেল কিংবা খাবার ঘরের মধ্যে বা বাড়ির অন্যত্র থাকা এই যন্ত্রটির কয়েলে ধুলো-ময়লা-তেল জমতে থাকে। আর এই কারণেই ফ্রিজ ঠান্ডা হতে সময় লাগে। অন্তত ছ’মাসে এক বার কয়েল ব্রাশ বা ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে কয়েল পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

৩. ভুল তাপমাত্রা সেট করা:

আপনি যদি পানীয় ঠান্ডা রাখার জন্য তাপমাত্রা হ্রাস করেন তবে বিরতি দিতে চাইতে পারেন।ফ্রিজকে খুব ঠান্ডা করে রাখলে শুধু শক্তি নষ্ট হয় না বরং কম্প্রেসারকে ওভারটাইম কাজ করতে বাধ্য করে। ফ্রিজের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হলো ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপনি যদি এটি কমিয়ে আনেন তবে ফ্রিজের জন্য অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি হবে।

৪. ফ্রিজের সিলের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না

আপনি কি কখনও লক্ষ্য করেছেন যে আপনার ফ্রিজের দরজার ছোট ফাঁকগুলি সঠিকভাবে বন্ধ হয় কি না? দরজার চারপাশে রাবার সিল রয়েছে যাতে যন্ত্রটিতে শীতল বাতাস অটুট থাকে। যখন সেগুলো নোংরা বা জীর্ণ হয়ে যায়, তখন ফ্রিজ শীতল বাতাস হারিয়ে ফেলে এবং তাপমাত্রা বজায় রাখতে তাকে দ্বিগুণ কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন বা যদি অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পান তবে সেগুলো প্রতিস্থাপন করুন।

৫. দরজা খোলা রাখা:

অনেকেই গরমের মধ্যে রান্নাঘর থেকে এসে প্রয়োজনীয় জিনিস বের করে ফ্রিজের সামনে শীতল পরিবেশে দাড়ায়। ফ্রিজ শীতল কিন্তু অতিরিক্ত কয়েক সেকেন্ডের জন্য দরজা খোলা রাখলে পুনরায় ঠান্ডা করতে ফ্রিজকে কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। যখনই আপনি দরজা খোলা রেখে যান তখনই উষ্ণ বাতাস ছুটে আসে এবং আপনার ফ্রিজের ভেতরে খাবার ঠান্ডা রাখার জন্য কঠোর লড়াই করতে হয়। তাই ফ্রিজ যতটা সম্ভব কম সময় খোলা রাখবেন।

সূত্র: কালবেলা




নবাগত জেলাপ্রশাসকের সাথে মুজিবনগর উপজেলা কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা

মেহেরপুর জেলার নবাগত জেলাপ্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মেহনাজ এর সাথে মুজিবনগর উপজেলার কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে, এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলার নবাগত জেলাপ্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানার (ওসি) তদন্ত আমিনুল ইসলাম।

মতবিনিময়ে সভায় নিজ দপ্তরের চলমান কার্যক্রমের উপর বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মেহেদী হাসান কৃষি অফিসার আব্দুল মমিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হারিসুল আবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আহসান আলী খান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মামুন উদ্দিন আল আজাদ, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স, সাংবাদিক হাসান মুস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি, ছাত্র প্রতিনিধি সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

এ সময় নবাগত জেলা প্রশাসক সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের কে বলেন, সকল চাপের ঊর্ধ্বে থেকে দলীয় প্রভাব মুক্ত প্রশাসন গড়ে মেহেরপুর তথা মজিবনগর এর মানুষের সেবায় নিয়োজিত এসময় তিনি সকল সুধীজনদের কাছে সুন্দর মেহেরপুর মুজিবনগর গড়তে সহযোগিতা চান।




আলমডাঙ্গায় দু’দিনেও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ স্কুলছাত্র লাবিবের

আলমডাঙ্গা উপজেলার জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র আহমেদ আব্দুল্লাহ লাবিব (১৪)। গত রবিবার নিখোঁজের দিন সকালে তার মায়ের নিকট টাকা নিয়ে পারকুলা বাজারে নাস্তা করতে যায়। সে আর ফিরে আসেনি। ইতিমধ্যে সব আত্মীয়- স্বজনের বাড়ি খোঁজ করা শেষ, কিন্তু হদিস মেলেনি লাবিবের। তারা দুই ভায়ের মধ্যে লাবিব ছোট।

গত ২ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে সে। ছোট ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় মুদি দোকান ব্যবসায়ী বাবা মো: জান্নাত আলী আর গহিণী মা কহিনুর খাতুন। তাঁর ছেলে কি সত্যি নিখোঁজ আছে নাকি কোনো অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এ নিয়ে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন এই দম্পতি।

এ নিয়ে পরের দিন সোমবার লাবিবের বাবা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গেলে পুলিশ আরেকদিন খোঁজাখুঁজির পর জিডি করার পরামর্শ দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামের মুদি দোকানী জান্নাত আলীর ছোট ছেলে লাবিব। সে স্থানীয় জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। গত রবিবার সকালে প্রাইভেট পড়া নিয়ে তার মায়ের সাথে মনোমালিন্য হয়। পরে বাড়ির পাশে প্রাইভেট শেষে তার মায়ের নিকট থেকে টাকা নিয়ে পারকুলা বাজারে নাস্তা করতে যায়। পরে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে নিকটতম সকল আত্নীয়-স্বজনের

বাড়িতেও খোঁজাখুঁজি করেছে। লাবিবের উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। গায়ের রঙ শ্যামলা। বাড়ি থেকে যাবার সময় জিন্সের প্যান্ট ও কালো রঙের টি-শার্ট পড়েছিল। এরপর থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে শিশুটি। ছেলেটির কোন সংবাদ পেয়ে থাকলে ০১৭৪৬-৯২৬৯৪৫, ০১৭৯৩-৪১৯২৬২ এ নাম্বারে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে।




আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় সভায় শরিফুজ্জামান শরীফ

আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে মত বিনিময় সভা অনুণ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবীতে গতকাল বুধবার বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচীব শরিফুজ্জামান শরীফ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন, এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে, তাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি। সংগ্রামী সাথী বন্ধগণ আজকে আমাদের বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। এই দ্বিতীয়বার স্বাধীন হওয়ার ভেতর দিয়ে আমাদের যে শিক্ষা হয়েছে, আমরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সে অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হলো আওয়ামী লীগ যা করেছে, আমরা তা করবো না। আমাদের বিএনপির নেতৃবৃন্দ যদি আওয়ামী লীগ যা করেছে, সেটা করে তাহলে আওয়ামীলীগকে জনগণ যে কারণে প্রত্যাখান করেছে। আমাদের তা করবে। আমরা যেহেতু এই দেশকে ভালোবাসি, আমরা জনগণকে ভালোবাসি। আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আমাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়া। তাঁদের নীতি আদর্শ, তাঁদের পথচলা আমরা অনুসরণ করে এই চুয়াডাঙ্গা জেলায় শহীদ জিয়ার আদর্শকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমি রাজনীতি করতে চাই।

তিনি বলেন, বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দার, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক নির্বাহী সদস্য এমদাদুল হক ডাবু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিপটন, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক জাহিদ হোসেন শুভ।

বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিউজ্জামান, বেলগাছী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা সলোক মিয়া, সমি, তপু, বোরাহান, লিটন, তারিকুল, সাহাংঙ্গীর বজলুর রহমান ও কিতাব উদ্দিন। বেলগাছী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রান্ত, সাধারণ সম্পাদক নীরব, সহ-সভাপতি জীবন, যুগ্ন আহব্বায়ক নাজিম, সোহান, জিহাদ, মাহফুজ, রাসেল, জিল্লু জীম প্রমুখ।




আমি আপনাদের পাহারাদার হতে চায় কোটচাঁদপুর শোকরানা সমাবেশ মতিয়ার রহমান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৭ সমন্বয়কের হাত ধরে ও বংপুরের পুলিশের গুলিতে শহীদ আবু সাঈদদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামী কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে শোকরানা সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা নায়েবে আমীর ঝিনাইদহ-৩ আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান।

তিনি আরো বলেন, এই বিজয় যেন কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে। সকলকে হানাহানি লুটপাট এবং আগুন সন্ত্রাস বন্ধ করতে অনুরোধ জানান এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শাহাদৎ বরন করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে মেইন বাজার চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার আমীর মোঃ আজিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল হাই, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যার মওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যার মোঃ মোয়াবিয়া হোসেন।

শোকরানা সমাবেশ সঞ্চলনা করেন জামায়াতে ইসলামী কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মোঃ শরিফুল ইসলাম। সে সময় শোকরানা সমাবেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামি ছাত্র শিবির সহ বিভিন্ন দায়িত্ব শীল নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।




বর্ষ বিদায়

অন্তর বিদীর্ণ আজ, জীর্ণ ত্যানা
ছেঁড়া নোংরা লেপ কম্বল এ
মোড়ান দেহের শব টা।
কি অভিশপ্ত জীবন
গৃঢ় দণ্ডে দণ্ডিত, একটা অপেক্ষমান
তারার ঝলক?
সামনে অভিষেক নতুনত্বের
পুরনো বর্ষের স্মৃতি বিজড়িত
কালের কণ্ঠের ডাকে
উচ্ছল সাগরের বুকে নিমজ্জিত।
তরী ডুবে যায়,সন্ধ্যা নামে
রাত আসে
শুধু ডাস্টবিনে পড়ে রয়
স্মৃতিতে মোড়ানো হাড় কঙ্কাল।
যার অস্থি পাঁজরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে
শোক বিহ্বলতার ছাপ!