আহারে!গরম -পারভীন আকতার

ইচ্ছে করে পুকুর নদীর জলে
ডুবে থাকি রাত দিন,
সবুজ শ্যাওলা জল ছলছলে
হারিয়ে দিক রুদ্র দিন।

বৃক্ষদেবীর পাতার আঁচলে নেই
ঝিরিঝিরি সেই হাওয়া,
গরম ভাপে পুড়ে ছারখার সবে
ছেড়েছে খাওয়া দাওয়া।

শরীরখানায় ঝরছে ঘাম সেথা
মাথা হতে পায়ের তালু,
কাপড় ভিজে ছোপ ছাপ ফেলে
বৃষ্টি নামুক জাঁকালো।

মাঝে মাঝে কালবৈশাখী ঝড়
এলোমেলো করে ভূ তল,
ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভ্যাপসা গরম
হয় না তনু ঠান্ডা শীতল।

যেদিকে যাই আগুন ঝলসে
গরম গরম ভাবখানা,
টাকার গরম,জাতের গরম
কষ্টে মরছে জান খানা।




নানা অভিধায়ে চেনা মানুষ বাবলু

বাগবুল ইসলাম বাবলু। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা পরবর্তী ছিলো বৈরী সময়, ঘর, প্রতিকুল পরিস্থিতি। তবুও তিনি কাজ করেছেন এলাকার জন্য। বিশেষ করে শিক্ষা বিস্তারে তার অবদান অনস্বীকার্য। বাগবুল ইসলাম বাবলুকে নানা অভিধায় মানুষ চিনতো, জানতো। বাবলু বাহিনী প্রধানের তকমা জুটেছিলো। শ্রেণিশত্রু ক্ষতমের অপরাজনীতিতেও জড়িয়েছিলেন। মূলত তার বিরোধী বাহিনী রোধ করার প্রয়োজনে। এর ওপরেও সবকিছু ছাপিয়ে তার মানবিক গুণাবলী বিকাশ হয়েছিলো কিছু মহৎ কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে।

জাসদের গণবাহিণীর রাজনীতিতে বাবলু স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে ৯০ দশকে স্বাভাবিক রাজনীতিতে এসে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে সন্ত্রাস কবলীত জনপদে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির উৎপাত প্রতিরোধে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টিতে সম্পৃক্ত হন। এলাকায় সশস্ত্র্র বাহিনী গড়ে তোলেন। পেছন থেকে স্থানীয় প্রশাসন তাকে সহযোগিতা করেন। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে তখন একটি আতংকিত নাম হয়ে ওঠে বাগবুল ইসলাম বাবলু। ৯৬এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তৎকালীন স্বরাস্ট্র মন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এবং দু‘বার তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বাগবুল ইসলাম বাবলু ২০০২ সালের আজকের দিনে (১৩ মার্চ) মেহেরপুর শহরে ভাড়া বাড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হন। বাগবুল ইসলাম এই দ্বন্দ্ববিক্ষুব্ধ অঞ্চলে এবং ভয়াল পরিস্থিতির মধ্যেও মহাজনপুর কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। যা চিরকাল তার স্মৃতিসংরক্ষণ করবে। তার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় তাকে তার বিরোধীপক্ষের রোষানলে ফেলেছিলো। তিনি মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদে দু‘বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবেই তিনি জনহিতকর নানা কাজ সম্পাদন করেছিলেন।

মহাজনপুর কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু বাবলু প্রসঙ্গে বলেন- এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে তিনি উদ্যোগি হয়েছিলেন এই অর্থেই যে- শিক্ষিত জনগোষ্ঠি একদিন এলাকায় সর্বপ্রকার নেতিবাচক রাজনীতিকে প্রতিহত করে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হবেন। তিনি কতটুকু করতে সক্ষম হয়েছিলেন এলাকাবাসী চিরকাল স্মরণে রাখবে। তার শূন্যতায় এখন এলাকার মানুষ তার অভাব মর্মে মর্মে অনুভব করছে। তার প্রতিষ্ঠিত মহাজনপুর কলেজ, কোমরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহাজনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা থেকে সন্ত্রাস কবলিত, জেলার অজ পাড়া গাঁয়ের মানুষ সু‘শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে।

শিক্ষকরা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষক ছাড়া উন্নত সমাজ ও উজ্জল জীবন কল্পনাতীত। সমাজের একজন বিপথগামি মানুষ বাবলু সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষার প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন তা গবেষণার বিষয় বৈ কী।




গাংনীর গাড়াবাড়িয়াতে এমপি সাহিদুজ্জামানের গণসংযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে গনসংযোগ করেছেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন।

সোমবার বিকালে গাড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় কাথুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন। অনুষ্ঠানে কাথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা, সাহারবাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন গ্রামের বিভিন্ন মানুষের সাথে গণসংযোগ করেন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে নৌকায় মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।




ঝিনাইদহের সাবেক এমপি মশিউর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের অবসান

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মশিউর হমান আর নেই (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের গীতাঞ্জলী সড়কের নির্জন বাসার দরজা ভেঙ্গে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ছোঁয়া ইসরাইল স্বজনদের জানান অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে মশিউর রহমানের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। দুপুর ১২টার দিকে সাবেক এই সংস্যদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকে স্তদ্ধ হয়ে যায় ঝিনাইদহ শহর। লাশ দেখতে দলমত নির্বিশেষে মানুষ ছুটতে থাকেন তার ক্যাসেল ব্রীজ সংলগ্ন নতুন বাড়িতে। এ সময় পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীদের ভীড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। পারিবারিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার জানাজার প্রথম নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বুধবার সকাল ১১ ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয় মাঠে এবং দ্বীতিয় জানাজার নামাজ বাদ জোহর তার নিজ গ্রাম হরিণাকুণ্ডুর কন্যাদহে অনুষ্ঠিত হবে বলে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আব্দুল মালেক গণমাধ্যম কর্মীদের জানান। গাড়ি চালক নাজমুল হাসান বাধন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে মশিউর রহমান তার অসুস্থতার কথা জানিয়ে দ্রুত বাসায় আসতে বলেন। বাঁধন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের গীতাঞ্জলী সড়কের বাসায় এসে ডাকাডাকি করতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মশিউর রহমানের ছোট ভাই আসাদুজ্জামান, প্রতিবেশি ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শেখর, পাপপু সাহা ও ম্যানেজার বকুল হোসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখেন সোফার উপর মশিউর রহমানের নিথর দেহ পড়ে আছে। ইজিবাইকযোগে দ্রুত তারা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতলে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ছোঁয়া ইসরাইল জানান অনেক আগেই তার মৃত্যু ঘটেছে। মশিউর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে জানা গেছে, তিনি ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কন্যাদহ গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। মসিউর রহমান ৭ম শ্রেনীর ছাত্রাবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আয়ুব খান বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহন করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের চাকুলিয়া থেকে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। পরবর্তী শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠা করা বিএনপিতে যোগদান করেন। ১৯৭৭ সালে অল্প বয়সে তিনি হরিণাকুন্ডুর চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত পরপর তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেন। ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকায় ৭ মাস কারাভোগ করেন। ১৯৭৯ সালে বিএনপির মনোনয়নে জাতীয় সংসদ সদস্য পদে লড়াই করে করে পরাজিত হন। সারা দেশে বিএনপির তিন’শ আসনের প্রার্থীদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী। মশিউর রহমান ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় তিনি বিরোধী দলীয় হুইপ, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কমিটি ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। মশিউর রহমান ১৯৭০ সালে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গ্রেফতান হন এবং কয়েক মাস কারাবরণ করেন। ১৯৭১ সালে ৮ নং সেক্টরে হরিণাকুন্ডু থানা কমান্ডার হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মশিউর রহমান ঝিনাইদহ, হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, কুষ্টিয়া ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র জমা নেওয়ার জন্যে ঝিনাইদহ আনসার ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন ও সরকারী ভাবে মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করেন। তিনি উক্ত ক্যাম্পের কমান্ডার নিযুক্ত হন। স্বাধীনতা পরবর্তী ঝিনাইদহে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করে তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠন করেন এবং উক্ত সংসদের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ১৪ই ডিসেম্বর দূনীতির অভিযোগে মশিউর রহমানের নামে দূর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে যশোরের বিশেষ জজ আদালত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাকে ১০ বছরের কারাদন্ড, জরিমানা ও তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রায় প্রদান করেন। পরবর্তীতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। মসিউর রহমানের স্ত্রী মাহবুবা রহমান শিখা পেশায় একজন আয়কর আইনজীবী। এই দম্পতির শামীম রহমান শিমু, ডাঃ ইব্রাহীম রহমান, শোয়াইব রহমান নামে তিন সন্তান রয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় প্রথম বিসিএস নার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করেন। এছাড়া তিনি ঝিনাইদহ শহরে নাসিং ইন্সটিটিউট, সরকারী শিশু হাসপাতাল, চক্ষু হাসপাতাল, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, ম্যাটস, হেলথ টেকনোলজি, খাবার স্যালাইন ফ্যাক্টরী, ভেটেরিনারি কলেজ, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত, করোনারী কেয়ার ইউনিট, বিভিন্ন ইউনিয়নে একাধিক কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা স্থাপন করে নজীর স্থাপন করেন। মশিউর রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও তার রনাঙ্গনের বন্ধু মোঃ আব্দুল হাই ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন মৃতদেহ দেখতে ছুটে আসেন। হাজারো দলীয় নেতাকর্মী ও শুভান্যুধায়ী এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা মশিউর রহমানের মৃতদেহ এক নজর দেখতে তার বাড়িতে ভীড় জমান।




মেহেরপুরে বিজিবির অভিযানে ফেনসিডিল ও মদসহ মিন্টু আটক

বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বুড়িপোতা বিওপি ক্যাম্পের অভিযানে ফেনসিডিল ও ভারতীয় মদসহ মিন্টু হোসেন (৩৪) নামের এক মাদক কারবারী আটক হয়েছে।
আটক মিন্টু হোসেন মেহেরপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ শালিকা গ্রামের কোলপাড়া এলাকার রুস্তুম আলীর ছেলে।
বুড়িপোতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে ৪ বোতল ফেনসিডিল ও ২ বোতল ভারতীয় মদসহ মিন্টুকে আটক করে বিজিবি।
৬ বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র বুড়িপোতা বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার তোহিদুজ্জামান বলেন, সোমবার বিকালের দিকে বুড়িপোতা এলাকায় বিজিবির একটি টিম টহল দেওয়ার সময় মিন্টু হোসেনকে আটক করেন। এসময় তার কাছ থেকে ৪ বোতল ফেনিসিডিল ও ২ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়।
মদ ও ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৪(ক)/২৪(ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৩৫, তারিখ ৩১/১০/২০২২ ইং
আজ সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরের দিকে মিন্টু হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরের বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কায় চাষিরা

অতি লোভে তাঁতী নষ্ট। একথার প্রমান মিলেছে গাংনীর সব্জী গ্রাম সাহারবাটি এলাকার কৃষকদের ভাগ্যে। শীতকালিন আগাম ফুল কপি ও বাঁধা কাপিতে অতিমাত্রায় কিটনাশক, রাসায়নিক সার ব্যবহার এবং কয়েকটি কোম্পানির কিটনাশক মিশিয়ে ককটেল তৈরি করে ফসলে স্প্রে করে এখন দিতে হচ্ছে খেসারত।
জমির ফুল কপি ও বাঁধা কপিতে পচন ধরায় চলতি মৌসুমে বড় ধরনের লোকসানের মুখে এখানকার কৃষকরা। আগাম শীতকালিন বাঁধা কপি ও ফুল কপির জমিতে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। ফলে উৎপাদিত কপি জমিতেই নষ্ট হচ্ছে। আর ফুল কপির ওজন প্রত্যাশিত না হওয়ায় বাজরে বিক্রি করতে গিয়ে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।
বাঁধা কপি ও ফুলকপি বাজারে বিক্রি করে পরের আবাদে যাবেন তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন জেলার কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় এবার ২ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। যার বেশিরভাগই ফু

লকপি ও বাঁধা কপি ।
জেলার গাংনী উপজেলার সাহারবাটি, নওয়াপাড়া, কালিগাংনী, গাঁড়াবাড়িয়া, সদর উপজেলার কুতুবপুর, উজলপুর, কুলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের বিস্তির্ণ মাঠে আগাম শীতকালিন সব্জী আবাদ।
এজেলার উৎপাদিত সব্জী জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিনই ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক সবজি চলে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
সবজির আবাদ করে ভাগ্যের পরিরবর্তন ঘটিয়েছেন এখানকার কৃষকেরা। তবে এবারের চিত্রটা একটু ভিন্ন। আগাম ফুলকপি ও বাঁধা কপির চাষে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের।

গাংনী উপজেলার নওয়াপাড়ার গ্রামের কৃষক মুকুল হোসেন জানান, চলতি মৌসূমে তিনি সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে আগাম বাঁধা কপির চাষ করেছেন। এখন জমি থেকে কপি উত্তোলনের সময়। কিন্তু জমিতে কপি বল তৈরি হবার সময় পাতা শুকিয়ে পচন ধরছে। ফলে আর বল বড় হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা জমিতে কপির এ অবস্থা দেখে আর কিনতেও চাচ্ছেন না। যেখানে বাজরে বিঘা প্রতি বাঁধা কপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দরে। সেখানে এক বিঘা জমির কপি বিক্রি করে ১০ হাজার টাকাও উঠছে না। সার, কিটনাশক ও তেলের উর্দ্ধগতির বাজারে এ দামে কপি বিক্রি করে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
সাহারবাটি গ্রামের কৃষক মিলন হোসেন জানান, তিন বিঘা জমিতে বাঁধা কপির আবাদ করেছিলাম। সার, কিটনাশক, তেল ও জমির লিজ খরচ ধরে বিঘা প্রতি জমিতে বাঁধা কপি উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। সেখান কপি বিক্রি করে অর্ধেক টাকাও উঠছে না।
একই গ্রামের কৃষক রিপন আলী বলেন, তিন বিঘা জমিতে শীতকালীন আগাম ফুলকপির আবাদ করেছিলাম। কিন্তু অন্যবারের তুলনায় এবার জমিতে কপি হচ্ছে খুবই ছোট। ফলে ফলনও কম হচ্ছে। বাজার বিঘা প্রতি জমির ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায়। এ দামে কপি বিক্রি করে আসল টাকা উঠানোয় দায় হয়ে পড়ছে। কৃষি বিভাগ থেকে কোন ধরনের পরামর্শও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগও করেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন মাঠের বাঁধাকপি ও ফুলকপির এই অবস্থার সৃষ্টির জন্য কৃষকরাই দায়ি। তারা ফলন বেশীর আশায় অতিমাত্রায় কিটনাশক ও সার ব্যবহার করছেন কৃষকেরা।
এছাড়াও কয়েকটি কোম্পানির কিটনাশক মিশিয়ে ককটেল তৈরি করে ফসলে স্প্রে করছেন। ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জমি থেকে কাঙ্খিত মাত্রায় ফলন পেতে হলে কৃষকদের সুষম মাত্রায় সার ও কিটনাশক প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন তিনি।




দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নে ভোটার হালনাগাদ শুরু

চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যেগে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে তিনদিন ব্যাপি ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ভোটার হালনাগাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

জানাগেছে, ০৬ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ টি ওয়ার্ডে যথাক্রমে ভোটার হালনাগদের কাজ চলবে।

বৃহস্পতিবার ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে,শুক্রবার ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে ও শনিবার ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে ভোটার হালনাগাদের কাজ চলবে ভোটার হালনাগাদের প্রথমদিনেই পুরুষ ৪ শত ১৭জন ও মহিলা ৩ শত ৫৫ জনকে ভোটার তালিকার জন্য লিপিবদ্ধ হয়।

জেলা নির্বাচন অফিসের আওতাধীন অস্থায়ী নিয়োগে উক্ত ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে টিম লিডার মিজানুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ৮ জনের একটা টিম নিয়ে চলছে নতুন ভোটার হালনাগাদ।

সার্বিক সহযোগিতা করেন হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ( ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন, সচিব নাঈম উদ্দীনসহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যরা।

 কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করেন আশিকুর রহমান, সাওদা, ইকবাল, রকিবুল, ইকরামুল, ইয়ামিন, রাশেদ, প্রিন্স।




দর্শনায় ২ হাজার পিস ট্যাপেন্ডালসহ এক মহিলা গ্রেফতার

দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ হাজার পিচ ভারতীয় ট্যাপেন্ডাল ট্যাবলেটসহ দর্শনা চাঁদপুর গ্রামের লিটনের স্ত্রী সালেহাকে গ্রেফতার করেছে ।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দর্শনা- চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেফতার করে দর্শনা থানা পুলিশ।

দর্শনা থানার এস আই হারুন অর রশিদ ও এস আই ফিরোজ হোসেন জানান শনিবার সকালে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের পাসে অবস্থান করি। এ সময় দর্শনা পৌরসভার দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামের লিটন মিয়ার স্ত্রী সালেহা খাতুন(৩০) দর্শনা মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে পরিবহন যোগে উঠতে গেলে পুলিশ দেখে দৌড় দেয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে ২ হাজার পিচ ট্যাপেন্ডাল ট্যাবলেটসহ মালামাল উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ এইচ এম লুৎফুল কবির জানান শনিবার দুপুরে মালামাল সহ নারী আসামীকে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




মেহেরপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) চলমান কর্মসূচিতে পুলিশের গুলি বর্ষন ও সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেহেরপুওে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি জেলা কমিটির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিলটন, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, ইলিয়াস হোসেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক প্রমূখ।

সমাবেশে সঞ্চালনায় ছিলেন, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

সমাবেশের আগে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।




কুষ্টিয়ায় হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার মিরপুরে বৃষ্টি খাতুন (২০) নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে সেই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।

বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১এর বিচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ন আদালতে আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলো- মিরপুর উপজেলার খয়েরপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ ওরফে মঞ্জু (৩৫), একই গ্রামের আবু মন্ডল ওরফে বগা মন্ডলের ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৬) এবং মৃত হাসেম আলীর ছেলে আশরাফুল আলম (৩৩)। এই মামলায় রায়ে ৯জনকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১জুলাই সকালে বৃষ্টি খাতুন তার নিজ বাড়ি থেকে খালার বাড়িতে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হন। আসামীরা বৃষ্টি খাতুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মিরপুর-দৌলতপুর সড়কে চিথরিয়া গ্রামস্থ পাকা রাস্তার উত্তর পার্শ্বে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত বৃষ্টি খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে মিরপুর থানায় নিহতের পিতা আমিন বিশ্বাস বাদী হয়ে ওইদিন বিকেলে তিনজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আকতারুজ্জামান ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ আদালত এ রায় ঘোষণা করে।