বাক প্রতিবন্ধী নুর ইসলামের সন্ধান চাই

বাক প্রতিবন্ধী নুর ইসলাম (৪৫)। পিতার নাম সামাদ আলী মন্ডল। নুর ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর হালসানা পাড়ার বাসিন্দা।

প্রায় এক মাস হলো বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। গায়ের রং ফর্সা। পরনে একটি চেক লুঙ্গি আর গায়ে সাদা জামা ছিলো। কথা বলতে ও শুনতে পাইনা। বাক প্রতিবন্ধী।

যদি কোন হ্রদয়বান ব্যাক্তি তাঁর খোজ পেয়ে থাকেন তবে এই নাম্বার যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

যোগাযোগের জন্য মিলন হোসেন ০১৭৭৫৭২৬৯২৪ ।




হরিণাকুণ্ডুতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে কর্মশালা

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ড তানভীর হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র ফারুক হোসেন, ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গোলক মজুমদার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জামিনুর রশিদ, ওসি সাইফুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, শরাফত দৌলা, জাহিদুল ইসরাম বাবু মিয়া, বসির উদ্দিন প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুজ্জামান তাজু, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।




নিজের মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করলো পিতা

ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে নিজের পিতা দুই বছর ধরে কিশোরী মেয়ে (১৩) কে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে।

এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের এক সাবেক নার্স দিয়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ পৌর এলাকার পবহাটী গ্রামে।

এ ঘটনায় লম্পট পিতা রাশেদকে জুতার মালা গলায় দিয়ে রোববার বিকালে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। পেশায় দর্জি লম্পট রাশেদ পবহাটী গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক জানান, রাশেদ শহরের উপ-শহরপাড়ায় বিয়ে করে। তার একাধিক স্ত্রী রয়েছে। কিশোরী মেয়েটি ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহর পাড়ার রাকিব উদ্দীন হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী।

মেয়েটির ভাষ্যমতে, পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ার অবস্থায় তার পিতা তাকে যৌন নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ঘুমের ওষুধ সেবন করিয়ে নিজের কিশোরী মেয়েকে মাসের পর মাস পাশবিক নির্যাতন করে আসছিল রাশেদ।

এক পর্যায়ে মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের এক সাবেক নার্স দিয়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে রোববার বিকালে পবহাটী ও উপশহরপাড়ার বাসিন্দরা ফুসে ওঠে।

তারা রাশেদকে ধরে গলায় জুতার মালা পরিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করে। সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। লম্পট রাশেদ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।




আলমডাঙ্গায় সরকারি কাজী পরিচয়ে সালামের প্রতারণা

আলমডাঙ্গা পৌর শহরে নিকাহ রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম নিজেকে সরকারি কাজী পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও বিবাহ রেজিস্টারে ও ডিভোর্সের নামে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে সরকারি ফি এর চাইতে দ্বিগুণ অর্থ নেয় বলে অনেকে অভিযোগ করে। বাল্য বিবাহ আইন অমান্য করেও বিবাহের নামে মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে দীর্ঘিদিন যাবৎ এসব অপকর্ম করে আসছে।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড গোবিন্দপুর মাঠ পাড়ায় দীর্ঘিদিন বিবাহ ও ডিভোর্সের কাজ করে আসছে কাজী আব্দুস সালাম।সে নিজেকে সরকারি কাজী দাবি করে।

সরকারি ভাবে অনুমোদিত থাকলেও সরকারি কাজী দাবি করা হলে আইনগত ব্যবস্থার নিয়ম থাকলেও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তারা নিরব ভূমিকা পালন। এসুযোগে কাজী সালাম বাল্য বিবাহ সহ নিয়ম বহিভূত কাজ করে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কাজী আব্দুস সালাম জানান, আমি সরকারি কাজী। সরকারের অনুমোদন থাকায় বিল বোর্ডে সরকারি কাজী পরিচয় দিচ্ছি। যদি কোন সমস্যা হয় বিল বোর্ড তুলে ফেলবো কিন্তু আমি সরকারি কাজী।

নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন কাজী জানান, সালাম দীর্ঘদিন সরকারি কাজী নাম প্রকাশ করে নিকাহ রেজিস্ট্রি করে আসছে। তার প্রভাব বিস্তারের জন্য বিভিন্ন বৈদ্যুতিক পোলে সরকারি কাজী খ্যাতি হিসাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছে। তবে, সে সরকার অনুমোদিত কাজী কিন্তু সরকারি নয়।

এবিষয়ে জেলা নিকাহ রেজিস্ট্রি কমিটির সভাপতি মসলেম জানান, জেলায় কোন সরকারি কাজী নাই। সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত অনুমতিতের ভিত্তিতে নিকাহ রেজিস্ট্রির কাজ করে থাকি।

তিনি আরো বলেন, যদি সরকারি কাজী হিসাবে নাম ব্যবহার করে তবে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ গ্রহন করতে পারে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নুর জানান, বিল বোর্ডের মাধ্যমে কোথাও সরকারি কাজী পরিচয় দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, বাল্য বিবাহ সহ অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকলে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।




মেহেরপুরে জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ

জ্বালানী তেল, সারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি,পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি, বিদ্যূতের লোডশেডিং ও সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে মেহেরপুর জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশটির সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন,জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জুলফিকার আলী ভুট্ট, সহ সংগঠনিক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন মোল্লা, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আরিজুললা বাবলু মাস্টার, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, আব্দুল আউয়াল, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রিপন প্রমুখ।

পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল মিন্টু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাইয়েদাতুননেসা নয়ন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম,গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও এ সময় মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে দুই তেল পাম্পকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা

ঝিনাইদহে মাপে কম দেওয়ায় দুই তেল পাম্পকে জরিমানা করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার রাতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় ঝিনাইদহের ইউসুফ ফিলিং স্টেশন ও কালীগঞ্জ উপজেলার মোচিক সমবায় ফুয়েল সার্ভিসকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউল হক ও ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার শরিফুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউল জানান, তেল কম দেওয়ার অপরাধে দুই পাম্প ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও তেল সরবরাহ করা মেশিন ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।




কুষ্টিয়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক সহ ব্যবসায়ী আটক

কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে মাদকের বড় চালান ১৪৪৫ বোতল ফেনসিডিল ও সাড়ে ১২ কেজি গাঁজা সহ উজ্জল আলী (৩৫) নামের এক চিহ্নিত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।

র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মােহাম্মদ ইলিয়াস খানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

র‌্যাব সুত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মােহাম্মদ ইলিয়াস খানের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি চৌকস অভিযানিক দল মাদকের একটি বড় চালান পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানাধীন কল্যানপুর এলাকায় একটি মাদক বিরােধী অভিযান পরিচালনা করে ১৪৪৫ বোতল ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল এবং সাড়ে ১২ কেজি গাঁজা সহ চিহ্নিত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী উজ্জল আলী (৩৫) কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী দৌলতপুর সাহাপুর এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। একাধিক সুত্রে জানা যায়, গত ১ বছরের মধ্যে র‌্যাব-১২ ফেনসিডিলের এত বড় চালান গ্রেফতার করতে পারেনি এবং র‌্যাবের কুষ্টিয়া ক্যাম্পের এটাই ফেনসিডিলের সবচেয়ে বড় চালান ও সেরা অভিযান।

র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মােহাম্মদ ইলিয়াস খানের সঠিক নেতৃত্বের কারনেই বড় বড় মাদক ব্যাবসায়ী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, ও প্রতারক চক্ররা প্রতিনিয়ত গ্রেফতার হচ্ছে এবং র‌্যাবের উপর সাধারন জনগন আস্তা অর্জন করছে বলেও জানা গেছে।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত আলামতসহ আসামীকে দৌলতপুর থানায় সােপর্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়ান্ড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, র‌্যাব প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই মাদক,সন্ত্রাসী,অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান করে যাচ্ছে। অপরাধী যতবড় শক্তিশালীই হোক না কেনো তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।




অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৪ টি মামলায় পলাতক ভাবি দেবর ঢাকা থেকে গ্রেফতার

অর্থ প্রতারণার অভিযোগে মামলায় আদালতের ৪ টি মামলায় আদালতের পরোয়ানাভুক্ত ২ বছর যাবৎ পলাতক আসামি তারেক হোসেন (৩৫) ও রমিা খাতুন (২৮) কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম।

গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার রামপুরার একটি ভাড়া বাসা থেকে এই দুজনকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান আতিক সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।

তারেক হোসেন গাংনী উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে ও রিমা খাতুন একই গ্রামের জহিরুল ইসলামের মেয়ে। তারা সম্পর্কে ভাবি ও দেবর হন বলে জানান এসআই আতিক।

তিনি জানান, এই দুজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে চারটি মামলা রয়েছে। এসব মামলা থেকে বাঁচতে তারা ঢাকায় প্রায় ২ বছর আগে পালিয়ে গেছেন।

গতকাল বুধবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান, এসআই আতিক।




মেহেরপুরে চুরি ও তিনটি মাদক মামলার আসামি রুবেল হেরোইনসহ গ্রেফতার

চুরি ও তিনটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪ টি মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী রুবেল হোসেনকে ৩ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতার করেছেন মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি টিম।

মেহেরপুর সদর থানার এসআই শুভ কুমার, এএসআই শাকিল খান, এএসআই শাহাজামাল ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।

এসময় তার কাছ থেকে ৩ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রুবেল হোসেনের কলেজ মোড়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রুবেল হোসেন মেহেরপুর শহরের কলেজ মোড় এলাকার নাজির হোসেনের ছেলে।

তার নামে মেহেরপুর সদর থানায় ৩৬(১) স্বারণীর ৮(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮, মামলা নং ১৫/৩২০, তারিখ ১৯/১১/২০২০, ৩৭৯ পেনাল কোর্ড ১৮৬০, যার মামলা নং ৩১, তারিখ ৩০/১২/২০১৩, ধারা ২৫ এ(বি) ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা নং ২৬, তারিখ ২৪/১১/২০১২ ও ধারায় ৩৮০/৪৫৭ পেনালকোর্ড ১৮৬০ এর মামলা নং ২৫, তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১২ এর এজাহার নামীয় পলাতক আসামী।

এএসআই শাকিল খান বলেন, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রুবেল হেরোইন বিক্রি করছে এমন সংবাদে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্তণ আইনে আরো একটি মামলা দিয়ে গ্রেফতারকৃত রুবেলকে বুধবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




ঝিনাইদহে মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

গরুর শিংয়ের আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার।

বুধবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে করে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান।

এসময় তিনি বলেন, দেড় বছর আগে মহেশপুর উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী সুলতান গরুর শিংয়ের আঘাতে আহত হয়। এরপর থেকে সে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিয়ে আসছিল।

গত ৬ জুন পুরন্দরপুর গ্রামের হালিমা খাতুনের বাড়িতে সুলতান ও হালিমাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে তার দুই ছেলে রহিম ও রাসেল।

রাতে ওই ওয়ার্ডের মেম্বর মিজানুর রহমান ও পাশের ওয়ার্ডের মেম্বর আরিফুর রহমানসহ সুলতানের ভাই ফরিদ হোসেনের উপস্থিতিতে সুলতান ও হালিমার বিয়ে হয়।

সকালে হালিমাকে নিয়ে সুলতান তার বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজন বাড়িতে ঢুকতে না দিলে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে ১৩ দিন থাকার পর সুলতানের ভাই ফরিদ ও তার পরিবারের লোকজন মেনে নেওয়ার আশ^াসে গ্রামে ডেকে আনে।

সেখানে মারধর করে তাদের জোর করে তালাক দেওয়া হয়। ঘটনার কয়েকদিন পর অসুস্থ হলে গত ২৪ জুলাই যশোরে ভর্তি করা হয় সুলতানকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি মাসের ৩ তারিখে মারা যায়।

এ ঘটনাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে প্রতিপক্ষরা হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এতে নির্দোষ ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে।

সুলতান অভিযোগ করে বলেন, সুলতানের লাশ বাড়িতে আনলে শুরু হয় রাজনীতি। ওই এলাকার চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, পুলিশ হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আমার ভাই মিজানুরের কাছে নির্বাচনে হেরে এটিকে হত্যা মামলা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি মামলা প্রত্যহারের দাবী জানান তারা।