ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জিএম’র কর্মকান্ড নিয়ে মাঠে তদন্ত দল

পল্লী বিদ্যুতের তথ্য নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের আটকিয়ে রাখা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে তথ্য নিতে বলা ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত নেমেছে পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ২ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ রুরাল ইলেক্ট্রিশিয়ান বোর্ড, যশোরর সুপারিনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোস্তফা কামাল ও ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য সংগ্রহ করছেন।

গত ২৬ জুলাই ঝিনাইদহে পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহ সম্পর্কে তথ্য নিতে যান কয়েকজন সাংবাদিক। তাদেরকে তথ্য না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তথ্য নিতে বলে অফিস থেকে বের করে দেন জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলী। এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে পরেরদিন সকালে আরও কয়েকজন সাংবাদিক তথ্য নিতে যানে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে।

তাদের সাথে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদেরকে মেইন গেইট ও অফিস ভবনের গেইট বন্ধ করে দিতে বলেন। প্রয়োজনে গুলি ছোড়ার নির্দেশ দেন। এই সংবাদ শুনে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে জড়ো হয় জেলায় কর্মরত আরও বেশ কিছু সাংবাদিক। তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেন ইসাহাক আলী।

এই ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হলে প্রাথমিক একটি তদন্ত দল গঠন করেন পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

রবিবার লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন তদন্ত দলের সদস্যরা। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য চেয়েছেন তারা। ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিক নিজাম জোয়ার্দার বাবলু বলেন, জিএম সাহেব সাংবাদিকদের সাথে যদি এহেন আচরণ করতে পারেন।

তাহলে সাধারণ পা-ফাঁটা কৃষক, দিন মজুরদের সাথে কেমন আচরণ করেন আমাদের সেটাই প্রশ্ন। তথ্য চাইলে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নেওয়ার কথা কেন বলবেন। জানা গেছে, সরকার ঘোষিত সিডিউল থেকেও কয়েকগুন বেশি সময় ঝিনাইদহে লোডশেডিং থাকছে। পল্লী বিদ্যুতের আওতায় থাকা সাধারণ মানুষ এই লোডশেডিং নিয়ে পড়েছেন মহা বিপাকে।




গাংনীতে কিশোর কিশোরীর প্রেম। ভাস্তেকে না পেয়ে চাচাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন

দু:সম্পর্কের ভাস্তেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার স্বীকার হয়ে কাউছার আলী (৬৫) নামের এক ব্যক্তি এখন মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কাউছার আলী গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের কড়ইতলা পাড়া এলাকার তাহাজ উদ্দীনের ছেলে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর জজকোর্টের বাইরে মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত কাউছার আলী বলেন, সাহারবাটি গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী তাজমিরার সাথে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি গ্রামের হেলালের ছেলে শিপন হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা দুজন বিয়ের জন্য বাড়ির লোকজনকে জানালে মেয়ের বাবা মা বিয়েতে মেনে নেয়নি।

এক পর্যায়ে শিপন ও তাজমিরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।আর এ ঘটনায় মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলের পিতা মাতা ও ছেলেকে আসামি করে অপহরণ মামলা করে। মামলায় ছেলের পিতা মাতাকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে দেন।

এঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মামলায় কোর্টে জামিন নিতে আসেন শিপন। এসময় তাজমিরার ভাই সাদ্দাম হোসেন ও সদরুল হোসেনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোকজন লোহার রড নিয়ে আদালতের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকে।

কৌশলে ভাস্তে শিপনকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করাই শিপনের চাচা কাউছার আলীকে ১০/১৫ মিলে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।




তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে চুয়াডাঙ্গায় ফিলিং স্টেশন গুলোতে উপচে পড়া ভিড়

তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে চুয়াডাঙ্গা ফিলিং স্টেশন গুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
(শুক্রবার) রাত ১২টা থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা শুনে চুয়াডাঙ্গা তেল পাম্প  গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন তেলপাম্প ঘুরে দেখা যায় ক্রেতারা আগের মূল্যে তেল ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন পাম্পে অবস্থান করেছে।
এসময় ক্রেতারা জানায় সরকার ঘোষিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি বারোটার পর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা শুনে তারা বর্তমান মূল্য ক্রয়ের জন্য পাম্পে অবস্থান করেছে।এসময় ক্রেতারা তাদের নিজ  যানবাহনের পাশাপাশি বোতল বালতি সরঞ্জাম এনে তেল ক্রয় করতে দেখা গেছে।
পড়ুন  ৬ আগষ্ট থেকে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪টাকা , অকটেন ১৩৫, পেট্রল ১৩০ টাকা লিটার
চুয়াডাঙ্গায় একাধিক তেলপাম ঘুরে লক্ষ করা যায় কিছু তেলপাম্প ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে  তেলের মূল্যবৃদ্ধির কথা শুনে তেলের পাম্প বন্ধ করে রেখেছে এবং সেইসাথে তেল না থাকার কথা জানিয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী- প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, কেরোসিন ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে।



মেহেরপুর প্রতিদিনকে জেলার গণ মানুষের পত্রিকা হতে হবে

মেহেরপুর প্রতিদিনকে জেলার গণ মানুষের পত্রিকা হতে হবে। শুধু সংবাদ নয়, সকল ভয়ভীতির উর্ধে থেকে সংবাদের ভিতরের সংবাদ তুলে ধরতে হবে।

এছাড়া মেহেরপুর জেলার সমস্যা, সম্ভাবনা ও উন্নয়নে মেহেরপুর প্রতিদিনকে পালন করতে হবে অগ্রণী ভূমিকা।

মেহেরপুর জেলার উন্নয়ন ও সমস্যা ও সম্ভাবনায় মেহেরপুর প্রতিদিনের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব তুলে ধরেন গাংনী উপজেলার নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

শনিবার বিকালে গাংনী শহরের বসুন্ধরা এলাকার ফুড সিটি মিলনায়তনে সুধি সমাজ, সুশীল সমাজ ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর প্রতিদিন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পত্রিকার সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন। পত্রিকার উদ্দ্যেশ্য লক্ষ ও বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দু।

মতবিনিময় সভায় গাংনীর বিশিষ্ট সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, মেহেরপুর জেলা থেকে প্রকাশিত এই পত্রিকাটি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে মানুষের কাছাকাছি এসেছে। পত্রিকাটি এলাকার উন্ননে ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে। শুধু উন্নয়ন নয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের বলিষ্ঠ লেখা, সম্ভাবনা কথার পাশাপাশি সমস্যাগুলোও তুলে ধরছেন। আগামীতে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলেও মত দেন তিনি।

গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম বলেন,এটি মেহেরপুরের পত্রিকা। তাই মেহেরপুরের ঘটনাগুলির প্রতি বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। আগামী দিনে এলাকার উন্নয়নে পত্রিকাটি বেশী বেশী ভূমিকা পালন করার আশা ব্যক্ত করেন।

লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, বাল্য বিবাহ, ঝরেপড়া রোধসহ বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে মেহেরপুর প্রতিদিনকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।এছাড়া ন্যায় বিচার সৃষ্টিতে অবদান ও দুর্নীতিকে ঝাঁকুনি দিয়ে সমাজে অবস্থান তৈরী করতে হবে এই গণমাধ্যমটিকে।

গাংনী সূর্যাদয় স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক ও বিশিষ্ট কবি আবুল কাশেম অনুরাগী বলেন, অন্যান্য পত্রিকার ভিড়ে মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকাটি সমাজ বিনির্মানে অন্যন্য ভূমিকা পালন করছে। আমরা লক্ষ করেছি অশ্লিলতা পরিহার করে পত্রিকাটি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পত্রিকাটির সেই চলার পথকে গতিশীল করতে বিজ্ঞাপনের বিষয়টি ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সহসভাপতি ও বিশিষ্ট ছাড়াকার ইয়াসিন রেজা বলেন, মানুষ যখন সংকটে পড়ে তখন তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। দেশের সংকটের সময় আসল চিত্র তুলে ধরতে হবে। এই পত্রিকা সমাজের প্রতিচ্ছবি তথনি হবে যখন, পত্রিকাটি আমাদের কথা বলবে।দূর্ণীতিবাজদের সমাজের মাঝ তুলে ধরতে হবে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে হবে।

শালদহ এআরবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যা, সম্ভাবনা ও ভাল দিকগুলো তুলে ধরতে হবে।

গাংনী সিএফএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল হেলাল বলেন, মেহেরপুর জেলার একমাত্র পত্রিকা ইতোমধ্যে মেহেরপুর মানুষের কাছে একটি স্থান করে নিয়েছে। পত্রিকাটি এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যাগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি দুর্নীতি ও অনিয়মগুলোও মানুষের সামনে তুলে আনছে। পত্রিকাটি তার সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি স্কুল কলেজের ভাল দিক গুলো তুলে ধরার আহবান জানান।

বিশিষ্ট গীতি কবি আব্দুল হামিদ বলেন, পত্রিকাটি যারা কবি সাহিত্যিক তাদের লেখাগুলো তুলে ধরছেন। আমি প্রত্যাশা করি যারা সাহিত্য ও কবিতা নিয়ে কাজ করেন এবং বোঝেন এধরনের মানুষকে সেখানে বসাতে হবে। এবং সাহিত্যের পাতায় আরো বেশী বেশী করে কবিতা ও সাহিত্যের অন্যান্য বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।

গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম বলেন, মেহেরপুরের সংবাদগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি প্রিয় স্বদেশ ও প্রিয় মুখ বিভাগে এলাকার গুনি মানুষগলোকে বেশী বেশী তুলে ধরতে হবে।

গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন বলেন, পত্রিকাটি ইতোমধ্যে মানুষের মাঝে স্থান করে নিয়েছে। পত্রিকাটি এলাকার তৃণমুল পর্যায়ে পৌছানোর পাশাপাশি খুলনা বা আশে পাশের জেলাগুলোতেও পৌছাতে হবে।

উন্নয়ন কর্মী হেলাল উদ্দীন বলেন, জেলাতে যারা ভাল সাংবাদিকতা করছেন মেহেরপুর প্রতিদিনের পক্ষ থেকে তাদের বৎসরে একবার এ্যাওয়ার্ড দিতে হবে।

গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান স্বপন বলেন, পত্রিকাটি এলকার ঘটনা ছাড়াও তথ্য বহুল ঘটনারচিত্র তুলে আনতে হবে।

সাংবাদিক সাহাজুল সাজু তার বক্তব্যে বলেন,কৃষি প্রধান এদেশে মেহেরপুরই কৃষি প্রধান এলাকা। তাই, মেহেরপুর জেলার একমাত্র প্রিন্ট পত্রিকায় কৃষি সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য এলাকায় কৃষকদের মাঝে কৃষির সাফল্য তুলে ধরতে হবে। ফলে কৃষি সম্পর্কে সব এলাকার কৃষকরা কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হবে। সেই সাথে সাফল্য অর্জন করতে পারবে।

সাংবাদিক কামরুল ইসলাম বলেন, সংবাদই শুধু সংবাদ হবে। আমার দৃষ্টিতে মনে হয়েছে মেহেরপুর প্রতিদিন খবর বাছায়ে সেরা।




গাংনীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ যুবক আটক

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে ১২০ পিচ ইয়াবাসহ সৌরভ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে (২৫) আটক করেছে। সৌরভ কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার হরিনগাছী গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তি কাজিপুর গ্রামের কাচারী পাড়া এলাকা থেকে সৌরভ কে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের একটি টীম।

মেহেরপুর ডিবি’র এসআই বিশ্বজিৎ সরকারের নেতৃত্বে, ডিবির এএসআই মাহাতাব, হেলাল উদ্দিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স এ অভিযানে অংশ নেন।

ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাজিপুর এলাকায় অভিযান চালান একটি টীম। এসময় সৌরভ নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশী করে ১২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গাংনী থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।




মেহেরপুরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধান চাষে বাড়ছে উৎপাদন খরচ

অনাবৃষ্টি আর অব্যাহত খরায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান আবাদ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন মেহেরপুর জেলার চাষিরা। টানা তাপদাহে পুড়ছে ধানের লাগানো চারা। মাঠে লাগনো আমন ধানের চারা এখন হলুদ রং ধারণ করেছে। কৃষকরা ফসলের জমি ভাল রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মৌসুমের শুরুতেই তীব্র খরায় পুড়েছে আমনের বীজতলা। আমন চাষের ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অনাবাদী পড়ে আছে অনেক জমি। এরপর তীব্র তাপদাহে পুড়ছে জমিতে লাগানো চারা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ গ্রামের কৃষক জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এখন বর্ষাকাল হলেও দীর্ঘদিন দেখা যায়নি বৃষ্টির দেখা।অনাবৃষ্টি আর তীব্র খরতাপে ব্যাহত হচ্ছে ফসলের চাষ। কৃষক জিয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, আমন চাষে প্রতিটি সেচ বাবদ ২০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। কৃষকরা সেচ পাম্পের মালিকের সাথে মৌসুম চুক্তি করেও সেচ দিচ্ছেন। এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে এবছর ৬/৭ হাজার টাকা অতিরিক্ত সেচ খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।

আমদহ গ্রামের কৃষক জামাত আলী বলেন, এবছর আমার ২ বিঘা জমিতে ধানের চাষ আছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় একদিন পরপর সেচ দিতে হচ্ছে। একদিকে যেমন সার বিষ ও ডিজেলের দাম বেড়েছে। তার উপর অতিরিক্ত সেচ খরচ দিতে গিয়ে কৃষকরা এবার মাঠেই মারা যাবে।

এ উপজেলার নোনপাড়া গ্রামের কৃষক রাশিদুল ইসলাম বলেন, খরার কবলে পড়েছে জেলার প্রধান ফসল বৃষ্টিনির্ভর রোপা আমন। অন্যান্য বছর আমন ধান চাষের ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়। কোনো ধরণের সেচ দিতে হয়না।কিন্তু এবছর বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির মুখ দেখা যায়নি। আমার ৮ বিঘা জমিতে রোপা আমনের চাষ রয়েছে।এই জমিতে একদিন পর পর সেচ দিতে হচ্ছে। অনাবৃষ্টির কারণে ধান ওঠা পর্যন্ত শুধু সেচ খরচ বাবাদ আমার ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে চৈত্র ধান চাষের মত খরচ হচ্ছে কৃষকদের।

গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের মতিয়ার জানান, প্রতি বছর আমি ৪/৫ বিঘা জমিতে আমন আবাদ করে থাকি। এবছর অনাবৃষ্টি আর খরার কারণে ভাল চারা পাইনি। রোদে শুকিয়ে গেছে বীজতলা।

এ উপজেলার বাওট গ্রামের আশরাফুজ্জামান কালু বলেন, এবছর ৭/৮ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করি। এবার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রোপনকৃত ক্ষেতের চারা রসের অভাবে মারা যাচ্ছে। তিনি বলেন বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাড় চলে গেছে। আজ শ্রাবণ মাসের আজ ৩ তারিখ। তবুও বৃষ্টির দেখা নেই।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক বলেন, গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩ টার সময় ৩৬.০ ডিগ্রী তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে। মেহেরপুর জেলায় এ বছর বর্ষা মৌসুমের প্রথম মাস আষাঢ়ে অঝোর ধারার বৃষ্টিপাত হয়নি। তার ওপর বেশকিছু দিন ধরে এ অঞ্চলে খরা বিরাজ করছে। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করায় প্রচন্ড তাপদাহে মাঠ-ঘাট শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থা আরও দু’একদিন বিরাজ করতে পারে। এ অঞ্চলে অল্প পরিমান বৃষ্টির দেখা মিললেও তাপদাহ আপাতত কমবেনা বলে জানালেন তিনি।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় ২৬ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এলক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। এখনও সময় আছে। চারা নিয়ে অনেকেই অপেক্ষামান আছে। এর মধ্যে বৃষ্টিপাত হলে কৃষকরা ধান লাগাতে শুরু করবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মেহেরপুর জেলার উপপরিচালক সামছুল আলম বলেন, রোপা আমন চাষ বৃষ্টি নির্ভর। এবছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়নি।তার উপর বেশ কিছুদিন ধরে খরায় পুড়ছে আমনের বীজতলা। এই পরিস্থিতিতে সম্পূরক সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।




মেহেরপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ দিন পর্যন্ত মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনছারের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনের প্রার্থীরা হলেন, সাংস্কৃতিক সংগঠক মেহেরপুর অরণি থিয়েটারের সভাপতি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিশান সাবের, মেহেরপুর শহরের মুখার্জীপাড়া এলাকার যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান হিরন, শহরের তাহের ক্লিনিকপাড়া এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা শামীম উদ্দীন, উজুলপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী, সদর উপজেলার শালিকা গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাশেম ও আমঝুপি গ্রামের আলফাজ উদ্দীন।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম ভাইসচেয়ারম্যান পদ থেকে মোমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করে নবগঠিত বারাদী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করে। ফলে সদর উপজেলা পরিষদের এই ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি শুণ্য হয়। শুণ্যপদ পুরণের জন্য নির্বাচন কমিশন আগামী ২৭ জুলাই এই পদের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনছার বলেন, মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ দিন ছিল। আগামী ৩০ জুন যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিন এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৭ জুলাই। উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ জুলাই। সদর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনটিও ইভিএমে হবে বলে জানান তিনি। নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুস্ঠ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।




কোটচাঁদপুরে বালু বোঝাই ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বালু বোঝাই ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে ইদ্রিস আলী মন্ডল (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পৌর শহরের দুধসারা মসজিদ পাড়ায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৯ টার দিকে ইদ্রিস আলী বাইসাইকেলযোগে মাঠ থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত বালু বোঝাই একটি ট্রাক্টর তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সাইকেল আরোহী ইদ্রিস আলী ট্রাক্টরের নিচে পড়ে গেলে চালক তাকে চাকার নিচে পিষ্ট করে পালিয়ে যায়।

এসময় ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এঘটনায় ট্রাক্টর চালক ফারুক পালিয়ে গেলেও বালু বোঝাই টাক্টর আটক করেছে থানা পুলিশ।

ইদ্রিস আলী পৌর শহরের ব্রীজঘাট এলাকার মৃত খোদা বক্স মন্ডলের ছেলে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে মরদেহ দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কোটচাঁদপুর থানার উপ-পরিদর্শক আয়ুব আলী খান জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।




মুজিবনগরের সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক আহত

মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ বাজারে অগ্রণী ব্যাংকের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কা  মোনাখালী ইউনিয়নের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিবপুর এর সহকারী শিক্ষক আল-আমিন হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার বেলা ১২ টার দিকে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম ও সহকারি শিক্ষক আল-আমিন হোসেন কেদারগঞ্জ মেহেরপুর সড়কের পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকের অগ্রণী ব্যাংকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি নীল রঙের ৪ভি মোটরসাইকেল সজোরে ধাক্কা মারলে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বেঁচে গেলেও মারাত্মকভাবে আহত হন সহকারি শিক্ষক আল-আমিন হোসেন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, তার  ডান পা মারাত্মক ভাবে ভেঙ্গে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

দুর্ঘটনা পর মোটরসাইকেল চালক মেহেরপুর সদর উপজেলার সাহেবপুর গ্রামের রতন মটরসাইকেলটি রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয় জনতা মোটরসাইকেলটি আটক করে শিবপুর হাই স্কুলের হেফাজতে নেয়। পরবর্তীতে মুজিবনগর থানা পুলিশ শিবপুর হাই স্কুল থেকে মোটরসাইকেলটি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদি রাসেল জানান দুর্ঘটনার বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং মোটরসাইকেলটি হেফাজতে নিয়েছেন এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




গাংনীর কাজিপুর ইউনিয়নে শ্রমিকের তালিকায় গ্রাম পুলিশের নাম

গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নে ইজিপিপি প্রকল্পে নানা অনিয়মসহ অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান আলম হুসাইনের বিরুদ্ধে।

শ্রমিকদের মোবাইলে পাওয়া পারিশ্রমিকের টাকার ভাগ দিতে হয় চেয়ারম্যানকে। তার অনুগতদের কাজ না করিয়ে হাজিরা প্রদান করছেন তিনি। অন্যদিকে কাজ করেও পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক শ্রমিক। যারা টাকা পায়নি তাদেরকে দেওয়া হয়েছে অন্যদের টাকা। এমনটা জানালেন চেয়ারম্যান আলম হুসাইন।

গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের কর্ম সংস্থান সৃষ্টির লক্ষে (ইজিপিপি) প্রকল্পে বাস্তবায়িত হচ্ছে গাংনীর কাজিপুর ইউনিয়নে। প্রথম ধাপে ৩৩৫ জন শ্রমিক নিয়ে ৪০ দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এ কাজে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ, স্বচ্ছল ব্যাক্তিদের কাজে অর্ন্তভুক্তির ব্যাপারে নিষেধ রয়েছে। সেই সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপ শেষে অত্র অফিসে প্রকল্প প্রদাণ সাপেক্ষে কাজ শুরু হওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী ৫টি প্রকল্পে ৫জন ইউপি সদস্যকে প্রকল্প চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

একটি সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান আলম হুসাইন প্রকল্প প্রদাণ ও শ্রমিক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও চতুরতার আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি তার আধিনস্থ গ্রাম পুলিশ হেলাল উদ্দিনকেও শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও অনেক শ্রমিক রয়েছে তার অনুগত ও নিকট আত্মীয়। এরা কাজ না করলেও তাদের হাজিরা প্রদান করা হয়। অন্যদিকে অন্তত অর্ধশত শ্রমিক কাজ করলেও তাদের মজুরি আসেনি এখনও। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেধে উঠেছে।

সরেজমিনে কাজিপুর ইউনিয়নের প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ। আলাপকালে শ্রমিকরা তাদের দূর্দশার কথা জানালেন। শ্রমিক সরদার আরিফুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান সাহেবের লোকজন শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে নিয়েছে। এ থেকে তিনিও রেহায় পাননি। প্রথমে ইউপি সদস্যরা ভেবেছিলেন এই টাকা তাদেরকে দেওয়া হবে। কিন্তু পরে কাউকে না দিয়ে চেয়ারম্যান সবটাই নিজের পকেটস্থ করেছেন।

একজন নারী জানান, তার স্বামীর জন্য তিনি প্রথমে ১৬শ টাকা চেয়ারম্যানের লোক হিসেবে পরিচিত হান্নানকে পরিশোধ করেন। পরে আরো ৪শ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। টাকা না দিলে নাম কেটে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিলে আরো ৪শ টাকা দেওয়া হয়।

শ্রমিকদের অনেকেই জানান, এভাবে শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চেয়াম্যানের অনুগত শ্রমিক যাদের মজুরী আসেনি তাদের দেওয়া হয়েছে বলে দাবী করেছেন চেয়ারম্যান আলম হুসাইন যা সম্পুর্ণ নিয়ম বর্হিভুত। এছাড়াও অনেকেই দিন ভর কাজ করে যে মজুরী পান, চেয়ারম্যানের লোকজন কাজ না করেও সেই মজুরী পান। অন্যদিকে অন্তত পঞ্চাশ জন শ্রমিক প্রথম ধাপের কাজের মজুরী পায়নি। তারা চেয়ারম্যানের অনুগত নয় বলে মজুরী বঞ্চিত বলে মন্তব্য অনেকের।

প্রকল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের হাজিরা করা হচ্ছে না এবং কারো কাছে জবকার্ড নেই। আবার চেয়াম্যানেরও পরিদর্শন নেই। উপরন্ত শ্রমিকরা যেখানে কাজ করছেন সেখানে কাজের ধরণ সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়নি।

এবারে দ্বিতীয় ধাপে ৮০ দিনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পে নির্ধারিত স্থান ছাড়াও ইচ্ছামত বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় মাটি ভরাট করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের। অথচ প্রকল্পে এই স্থানে মাটি ভরাটের নিদের্শনা নেই। এ ব্যাপারে প্রকল্প চেয়ারম্যান আজিজুল হক জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশেই তিনি এখানে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। তবে চেয়ারম্যান আলম হুসাইন বলছেন তিনি এবিষয়ে জানেন না।

এব্যাপারে কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম হুসাইন টাকা নেওয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যারা মজুরী পায়নি তাদেরকে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রাম পুলিশকে কেন শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার জবাব মেলেনি।

এসকল বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকার্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তী।