দামুডহুদা ও দর্শনা এলাকায় ভারি বর্ষনে পাকা ধান নিয়ে কৃষকের নাজেহাল অবস্থা

গত বৃহস্পতিবার রাতে দামুডহুদা উপজেলা ও দর্শনা এলাকায় প্রবল ও ভারী বৃষ্টি বর্ষণের কারনে নিচু এলাকার জমির পাকা ও আধাপাকা ধান পানিতে ডুবে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। কৃষক আরিফুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম ও কাছেদ মন্ডল জানান গতকালের মত শুক্র ও শনিবার যদি ফের ভারী বর্ষন হয় তাহলে এলাকার কাচা আধাপাকা ও পাকাধান পানিতে তলিয়ে যাবে ।

তার পরেও এলাকায় লেবার সংকট চলছে চরমে , লেবার তো পাওয়া যাচ্ছেইনা তারপর আবার দাম চড়া। খুব কষ্ট করে নিজেরাই তলিয়ে যাওয়া ধান কেটে ডাঙায় তুলছি।

এ বিষয়ে দামুডহুদা উপজেলা কৃষি-কর্মকর্তা মো মনিরুজ্জামান জানান অতি বর্ষনে আমন ক্ষেতে পানি বেধেছে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ধান ফসলের ক্ষতি হতে পারে ।

তিনি জানান এ বছর দর্শনা ও দামুডহুদা উপজেলায় ৭হাজার হেক্টর জমিতে আমনধান চাষ করা হয়েছে । তিনি জানিয়েছেন এ বছর যদি বর্ষনের কারণে ধানের ক্ষতি না হয়, তাহলে গত বছরের চেয়ে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।




মুজিবনগরে আয় বৃদ্ধিমূলক উপকরণ ও ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে ফরম ফিলাপের টাকা বিতরণ

মুজিবনগরে গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর উদ্যোগে গুডনেইবারর্স এর সু- প্রতিবেশি মহিলা সমবায় সমিতি এর আওতায় এলাকার দুস্থ অসহায় মহিলাদের মাঝে আয় বৃদ্ধিমূলক উপকরণ ২৩টি (ছাগল)ও অসহায় ২০ জন জেএসসি পরিক্ষার্থীকে ৮শত এবং ১১ জন এস এস সি পরিক্ষার্থীকে ১৫০০শত টাকা করে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে ফরম ফিলাপের জন্য বিতরণ করা হয়েছে।
উপকরণ বিতরণ উপলক্ষে গুডনেইবারস্ বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস চত্তরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।গুডনেইবারস্ এর আইজি অফিসার ঝর্না খাতুনের সঞ্চালনায় গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর ম্যানাজার লিংকন রায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: কাজী নজরুল ইসলাম,উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রশিদ,
সিডিপি সভাপতি ইউপি সদস্য শংকর বিশ্বাস,আনন্দবাস এম এম একাডেমি এর প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল হাসান,মুজিবনগর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এনামুল হক উপস্হিত ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার তসলিমা খাতুন সহ গুডনেইবাস্ মেহেরপুর সিডিপি এর এর কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ এবং উপকার ভোগী দুস্হ মহিলা ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ।




এবার বরিশাল সদর ইউএনওর বিরুদ্ধে ২ মামলার আবেদন

হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় এবার বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুই মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রোববার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন এবং একই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মো. বাবুল বাদী হয়ে ওই মামলা দুটির আবেদন করেন।

রফিকুল ইসলাম খোকন এবং মো. বাবুলের করা মামলার আবেদনে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিসিসির কাজে বাধাদান, বিনা উসকানিতে বিসিসির কর্মচারীদের ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশ প্রদান, হামলা, গুলিতে একাধিক ব্যক্তির অঙ্গহানি এবং ৩০-৪০ জনকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আবেদনে ইউএনও ছাড়াও ১৮ আগস্ট রাতে তার বাসভবনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যসহ আরও ৪০-৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

বাদীর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আদালতে উপস্থিত থাকা বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাইয়ুম খান কায়সার জানান, আবেদনের শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক মাসুম বিল্লাহ সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য রেখেছেন। তিনি সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর জানা যাবে যে মামলাটি গ্রহণ নাকি খারিজ করা হলো।

উল্লেখ্য, বরিশালে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে তিনি দাবি করেছেন। আহতদের মধ্যে তিন পুলিশ ও দুই আনসার সদস্য রয়েছেন।

ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই নেতাকর্মীরা নগরীর রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। একই সঙ্গে তারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেন অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ চলাচল। পরে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক শেষে দুপুর ১২টার পর বাস-লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। উভয় মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।




কুষ্টিয়ায় করোনায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৪১

কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জন করোনায় ও পাঁচ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
একই সময়ে ৫১১টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

সোমবার করোনা ডেডিকেটেড কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সবাই কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড ২৫০-শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। একই সময়ে জেলায় সুস্থ হয়েছেন ১৫৬ জন।’

তিনি জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ২৪১ জন ভর্তি আছেন এবং জেলায় হোম আইসোলেশনে আছেন দুই হাজার ৭৭০ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ১১ জন করোনায় ও একজন উপসর্গ নিয়ে মারা যান। একই সময়ে ৪৯৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

কুষ্টিয়ায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৪৯ জন এবং মারা গেছেন ৬৩০ জন।

এদিকে, ১৮তম দিনের মতো জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। প্রশাসনের নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার শিল্পকারখানাগুলো চালু রয়েছে। কাঁচা বাজারগুলো সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে। জেলার শপিংমল, হোটেল, রেস্তোরাঁ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও মানুষ শহরে প্রবেশ করছে। শহরের প্রবেশ পথগুলোতে ব্যরিকেড দিয়ে মানুষের প্রবেশ আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।




মেহেরপুরে জেলা পরিষদের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ

করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মেহেরপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে মেহেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ ও সাবান বিতরণ করা অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর উপজেলার ওয়াপদা মোড় থেকে শুরু করে গোপালপুর, শ্যামপুর, নওদাপাড়া, ঝাউবাড়ীয়া, কাথুলী, ও বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় ও পথচারী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ ও সাবান বিতরণ করা হয়।

মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসূল উপস্থিত থেকে এসকল সামগ্রী বিতরণ করেন।

এসময় চেয়ারম্যান গোলাম রসুল বলেন, বিশ্বের প্রতিটা দেশের মতোই আমাদের বাংলাদেশও এই করোনা মহামারীর মোকাবেলা করছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ প্রতিটি মানুষকেই মাস্ক পরিধান করতে হবে, সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা ও প্রতিরোধের লক্ষে আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মানুষের মাঝে মাস্ক, স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ এবং সাবান দিয়ে আসছি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি আমরা মাস্ক যখন দিচ্ছি তখন সবাই মুখে না দিয়ে হাতে রেখে দিচ্ছেন। এটা শুধু আপনার ক্ষতি নয়, আপনার পরিবারের ক্ষতি,আমাদের ক্ষতি, আমাদের দেশের ক্ষতি। এসময় তিনি সকলকে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, আমরা সকলকে টিকা দেবো আপনারা সকলেই টিকা নিবেন এবং মাস্ক পরবেন। মাক্স ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। বাড়িতে বের হলে আমাদের সকলকেই মাস্ক পরিধান করতে হবে।

এ সময় মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী জিল্লুর রহমান, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের গোপনীয় সহকারী শাহীন ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।




কুষ্টিয়ায় ৪শ টাকার অক্সিজেন রিফিল ১২শ টাকা

করোনাভাইরাসের হটস্পট কুষ্টিয়ায় এক প্রভাবশালীর নিয়ন্ত্রণে অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল ব্যবসা। ২০ দিনের ব্যবধানে সব সাইজের অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে। মাত্র ৪০০ টাকার অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলে ১ হাজার ১২শ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। মানুষকে জিম্মি করে ও সংকট কাজে লাগিয়ে জেলার একমাত্র অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল প্রতিষ্ঠান ‘মনির অক্সিজেন প্ল্যান্ট’ অরাজকতা সৃষ্টি করছে। জীবন বাঁচাতে মানুষ চড়া দামে অক্সিজেন রিফিল করতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া অক্সিজেনের প্রেসার (চাপ) নিয়েও গড়মিলের অভিযোগ রয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চলের করোনার হটস্পট কুষ্টিয়ায় প্রতি ঘণ্টায় একজন করে মারা যাচ্ছে। আর এ সময়ে প্রায় ১২ জন করে শনাক্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলে অরাজকতাকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে দেখছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সবাইকে ম্যানেজ করে মনির অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিক মনিরুল ইসলাম মনির অরাজকতা সৃষ্টি করছেন। তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন মানুষ। কিন্তু সবাই নিশ্চুপ।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মনির বলেন, বাজার উঠানামা করছে। যখন যেভাবে দাম হচ্ছে আমরাও সেভাবে বিক্রি করছি। বর্তমানে লিকুইড অক্সিজেনের দাম বেড়েছে। তাই রিফিলের দামও বেড়েছে।
তবে তার এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারেননি জেলার খুচরা অক্সিজেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলে কোনো দাম বাড়েনি। স্বাভাবিক দামেই তারা বিক্রি করছেন। সিলিন্ডার সংকটে তারা চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন দিতে পারছেন না। এ সুযোগ নিচ্ছে মনির অক্সিজেন প্ল্যান্ট।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের পাশে প্রায় বছরখানেক আগে বেসরকারি অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল প্রতিষ্ঠান ‘মনির অক্সিজেন প্ল্যান্ট’ স্থাপন করা হয়। ভারত থেকে লিকুইড আমদানি করে রিফিল করছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া স্থানীয়ভাবেও তারা লিন্ডে ও স্পেকট্রার কাছ থেকে লিকুইড সংগ্রহ করে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করা হচ্ছে। ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে (করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল) প্রতিদিন ৬০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করে সরবরাহ করছে প্ল্যান্টটি।

সূত্র জানায়, ২০ দিন আগে একটি সিলিন্ডার (১.৩৬ কিউবিক মিটার) রিফিল করতে ১০০ টাকা নিত মনির অক্সিজেন প্ল্যান্ট। কিন্তু এখন নিচ্ছে ৩০০ টাকা। পাশাপাশি সিলিন্ডারের চাপ দুই হাজার থাকার কথা থাকলেও ১৫০০ থেকে ১৬০০ দিচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় সাইজের অক্সিজেন সিলিন্ডার (৬.৮ কিউবিক মিটার) রিফিল করতে মনির অক্সিজেন নিচ্ছে এক হাজার টাকা। সবচেয়ে বড় সাইজের অক্সিজেন সিলিন্ডার (৯.৮ কিউবিক মিটার) রিফিল করতে মনির হাতিয়ে নিচ্ছে এক হাজার ১২০০ টাকা। অথচ ২০ দিন আগেও ৬.৮ মিটার অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলে ৪০০ টাকা এবং ৯.৮ মিটার অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করতে ৪৫০ টাকা নিয়েছে। অভিযোগ-নিয়ম অনুযায়ী সিলিন্ডারের প্রেসার (চাপ) সঠিক থাকে না। সর্বোচ্চ প্রেসার (চাপ) ১৪শ থেকে ১৫শ পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। অথচ এ প্রেসারের অক্সিজেনে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব না বলে জানান চিকিৎসকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, আগে মনিরের প্ল্যান্ট থেকে অক্সিজেন রিফিল করে বিক্রি করতাম। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় ঢাকা থেকে রিফিল করে এনে বিক্রি করছি।
অক্সিজেনের প্রেসার (চাপ) গড়মিলের অভিযোগ বিষয়ে মনির বলেন, কুষ্টিয়ায় যেসব সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন রিফিল করা হয়, সেসব সিলিন্ডারের অবস্থা ভালো না। বেশি প্রেসার দিলে সিলিন্ডারে শব্দ হচ্ছে এবং যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য সিলিন্ডারে দুই হাজার চাপ দেওয়া সম্ভব নয়।




মেহেরপুরে নতুন আরও ৪০ জন করোনা আক্রান্ত! ৫ জনের মৃত্যু

মেহেরপুরে নতুন করে আরও ৪০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যবরণ করেছেন ৫ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫ জন, গাংনীতে ১৩ জন মুজিবনগর ২ জন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, নতুন প্রাপ্ত রিপোর্ট ১৬৪টি। তারমধ্যে ৪০ জন করোনা পজিটিভ। এনিয়ে বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় করোনা পজেটিভ এর সংখ্যা ৭৫৮ জন।

তার মধ্যে সদরে ২৬৫ জন, গাংনীতে ৩৮৯ জন এবং মুজিবনগরে ১০৪ জন। এ পর্যন্ত মেহেরপুরে মারা গেছেন ৬৮ জন (শুক্রবার সকাল ৮ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ৫ জন)।

মৃতদের মধ্যে সদরে ২৫ জন, গাংনী ২৯ জন ও মুজিবনগরে ১৯ জন।

এসময় তিনি সবাইকে সামাজিক দূরত্ব, নিয়মিত সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোবার অভ্যাস, মাস্ক ব্যবহার, জনসমাগম এড়িয়ে এবং হাঁচি-কাশির শিষ্ঠাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।




দর্শনায় শিক্ষক মাসুমের বাড়িতে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে ৮জন আটক! আদালতে সোপর্দ

দর্শনার মোহাম্মদপুরে শিক্ষক আক্তার হোসেন মাসুমের বাড়িতে দেহ ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে পুলিশ ৪ জন নারী ও ৪ জন পুরুষকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে ৩ জন নাবালিকা হওয়ায় অভিভাবকের জিন্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে ২৯ ধারায় মামলাদায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে একজন প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হওয়ায় বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

জানাগেছে, দর্শনা পৌর এলাকার মোহাম্মদপুরে আক্তার হোসেন মাসুমের (চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া রমেলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক) বাড়িতে গত কয়েকদিন আগে কোটচাঁদপুর শ্রীরামপুর বিশ্বাস পাড়ার কাঁঠাল ব্যবসায়ি হাফিজুর রহমানের ছেলে হাসান আকন্দবাড়িয়া তমালতলা পাড়ার স্ত্রী নাহার ওরফে হাফিজা খাতুনকে নিয়ে বাসাভাড়া নেয়।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই বাসাতে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে এমন সংবাদ দেয়া হয় দর্শনা থানা পুলিশকে। দর্শনা থানার এসআই নিজাম উদ্দিন ও এসআই আনোয়ার হোসেন বাড়ি তল্লাশী করে ৪ জন নারী ও ৪ জন পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আটককৃতরা হলেন কোটচাঁদপুর ছাবদালপুরের হাসান আলী (৩৫), ইয়াসিন আলী (৩২), মিলন মণ্ডল (৩৪), শিমুল হোসেন (২১), হাফিজা খাতুন (৩৬), চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার শাহারিয়া জান্নাত ওরফে সেতু (২২), বেগমপুর বিলপাড়ার যুথি খাতুন (১৮) ও জান্নাতুল ফেরদৌসি (১৯)। এদের মধ্যে সেতু, যুথি ও জান্নাতুল শিশু হওয়ায় পুলিশ তাদের অভিভাবকের জিন্মায় ছেড়ে দিলেও বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে ২৯ ধারায় মামলাদায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দ করেছে।

এদিকে একজন প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে অর্থের বিনিময়েয বাসাভাড়া দিয়ে দেহব্যবসার মত ঘটনা ঘটায় শিক্ষক মাসুমকে নিয়ে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এব্যাপারে শিক্ষক মাসুম বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। যখন ভাড়াটিয়া ওঠে তখন থেকেই তাদের আইডিকার্ড চাচ্ছি কিন্তু দিচ্ছে না।




হরিণাকুন্ডতে করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে স্বামী-স্ত্রীসহ ৬ জনের মৃত্যু

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীসহ ৬ জন মৃত্যু বরন করেছে । শনিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হরিণাকুন্ডু পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী বুলবুলি খাতুন (৫৫) ।

এছাড়া একই দিন সন্ধ্যায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তৈলটুপি গ্রামের নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করে নুরুদ্দিন বিশ্বাসের স্ত্রী হোসনে আরা (৫০) এবং রাত ৯টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করে তার স্বামী নুরুদ্দিন বিশ্বাস (৫৭)। মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। রাত ১০ টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে তৈলটুপি গ্রামের মতিয়ার রহমান (৫০) নিজ গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। রবিবার সকাল ৭টার দিকে হরিশপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের স্ত্রী বেলী খাতুন (৫৫) ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রোববার সকাল ৯টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় উপজেলার মান্দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রশিদ খান (৫২)।

হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জামিনুর রশিদ জানান, মারা যাওয়া ছয় জনের মধ্যে দুইজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও চার জন। ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। এ পর্যন্ত উপজেলায় করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬৭ জন। অবশিষ্ট ১৬৪ জন হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা ও উপসর্গে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ জনে।

হরিণাকুন্ডু ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দাফন কমিটির সদস্য ও উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মঈন উদ্দীন আহমেদ জানান, ইসলামী ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে মৃতদের দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

 




মেহেরপুরে করোনা আক্রান্তে তিন মুক্তিযোদ্ধাসহ চার জনের মৃত্যু

মেহেরপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩ মুক্তিযোদ্ধাসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং দুজন নিজ বাড়িতে মৃত্যু বরণ করেন।
মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হায়াত (৭০), মেহেরপুর অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক শাম্মি আক্তার রানি (৪৫)। এছাড়া গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের নাজের আলী (৬৫), বামুন্দীর রওশন আলী (৭০) নিজ বাড়িতে আইসোলেশনের থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়।
মৃত্যু’র বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন মো: নাসির উদ্দীন জানান, সচেতনতার অভাব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারনে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু’র সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার দিয়ে নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়েছে।