” বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” গানে পরাগ বিশ্বাসসহ ৬ কন্ঠশিল্পী

তরুণ প্রজন্মের প্রতিভাবান কন্ঠশিল্পী পরাগ বিশ্বাসসহ বিউটি,সালমা,এসকে সানু,মোহনা ও মাহতিম শাকিবের কন্ঠে” বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” শীর্ষক দেশাত্মক বোধক সঙ্গীত গত ১৪ ডিসেম্বর রিলিজ হয়েছে। কাতার র্প্রবাসি ব্যবসায়ী, প্রযোজক ও গীতিকার জসীম উদ্দিন আকাশের কথায় “বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ” শীর্ষক গানটি ইউ২৯ সঁষঃরসবফরধ ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে।
গানটি সুর করেছেন এসকে সানু, সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ৪ জন, পরাগ বিশ্বাস, রফিকুল ইসলাম ফরহাদ, রোহান রাজ, এ এইচ তূর্য ।
গীতিকার জসীম উদ্দিন আকাশ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে গান লিখতে গেলে কলমের কালি শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা লিখে শেষ করা যাবেনা। নিজের ক্ষুদ্র চেষ্টা থেকে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গানটা লেখেছি। আশা করি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলের ভালো লাগবে।
আলমডাঙ্গার ছেলে তরুণ সঙ্গীত পরিচালক পরাগ বিশ্বাস জানান, ছেলেবেলায় আমি যাদের গান শুনে বড় হয়েছি, তাদের সাথে গান গাইতে পেরে ও তাদের সঙ্গীত পরিচালনা করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আশা করি গানটি ভালো লাগবে।




স্বজনরা আজও খুঁজে ফেরেন শহীদ হাফিজউদ্দীন ও তাঁর পুত্রের লাশ

কী হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক সেই দৃশ্য! পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদররা সারা দেশের মতো মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার বুদ্ধিজীবীদের ঠাণ্ডা মাথায় নৃশংসভাবে হত্যার করে।১৫ আগস্টগভীর রাতেপাকহানাদার বাহিনী একটি ট্রাক নিয়ে মেহেরপুরের গাংনী শহর লাগোয়া চৌগাছা গ্রামে হাফিজউদদীন বিশ্বাসের বাড়িতে হানা দেয়। বাড়িটি চিনিয়ে দেয় স্থানীয় রাজাকাররা। এক ছেলে একরামুল হক-ছোট যুদ্ধে গেছেন। বড়ছেলে বজলুল হক, মেজছেলে সিরাজুল হক মিন্টু, সেজছেলে এমদাদুল হক-বড় বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপন করেছেন।বাড়িটি তখন খাঁ খাঁ করছে। অস্ত্র নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে বর্বর-হানাদারের দল। বাইরে দলবল নিয়ে পাহারা দিতে থাকে রাজাকার ও শান্তি কমিটির নেতারা। বাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেনহাফিজ উদদীন মাস্টার। বর্বরের দল তাঁকে ও তার আত্মীয় গাংনী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম সরকারকে পিঠমোড়া বেঁধে ট্রাকে তুলে নিয়ে যায় ভাটপাড়া ক্যাম্পে। সেখানে তাদের হত্যা করা হয় এবংহত্যার পর তাদের ছিন্নভিন্ন লাশগুলো কাজলা নদীর তীরে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয় দু দিন। তারপর ভাসিয়ে দেয়া হয় কাজলার পানিতে। সেদিন যাদের হত্যা করা হয়, তাদের অনেকের লাশ শনাক্ত করা যায়নি, অনেকের লাশ আজও খুঁজে পায়নি তার স্বজনরা। গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা-শিক্ষক, গাংনী থানার শিক্ষাবিস্তারের পুরোধা-ব্যক্তিত্ব হাফিজ উদ্দিনের মরদেহের হদিস মেলেনিআজও ।
মেহপেুর জেলার গাংনীর হাফিজ উদ্দীন বিশ্বাস ছিলেন জনপ্রিয় শিক্ষক, সমাজসেবক, বিদ্যোৎসাহী ও জনদরদি ব্যক্তিত্ব। তার পৃষ্ঠপোষকতা ও আর্থিক সহায়তায় গড়ে ওঠে গাংনী উচ্চ বিদ্যালয় ও গাংনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের সাধারণ নির্বাচন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তিনি ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। এসব আন্দোলন-সংগ্রামে সহায়তা করেছেন, নিজে যুক্ত থেকেছেন।তিনি সরসরি রাজনীতি করতেন না, কিন্তু মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন অসাম্প্রদায়িক মানবিক দর্শনে। তার ছেলে একরামুল হক-ছোট সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং ১০ সেপ্টেম্বর মেহেরপুরের কাঁঠালপোতা গ্রামে এক অপারেশনে রাজাকারদের গুলিতে শহীদ হন। তার লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশেও অদম্য সাহসীহাফিজ উদ্দীন মাস্টারদেশত্যাগ করেননি।তরুণ-যুবক ও ছাত্রদের নিয়ে গড়ে তোলেন একটি বিশেষ সংগঠন।স্থানীয় তরুণদের গোপনে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিতেন। তাঁর নেতৃত্বে গাংনীতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এক অভূতপূর্ব জাগরণ ঘটে। এসব কাজে তাঁকে সার্বিক সহায়তা করতেন তার আত্মীয় আবুল হাশেম সরকার। তিনি ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। গাংনী থানার শান্তি কমিটির নেতা ও রাজাকার-আলবদরা বিষয়টি জানতে পেরে হাফিজ উদদীনসহ পাকিস্তানের দুশমন-বুদ্ধিজীবী ও স্থানীয় এলিটদের নিশ্চিহ্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গভীর রাতে রাজাকারদের সহায়তায় পাকসেনারা হাফিজউদ্দীন ও আবুল হাশেম সরকারকে ধরে নিয়ে যায় এবং ভাটপাড়া ক্যাম্পে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
শহীদ শিক্ষক হাফিজ উদ্দীনের জন্ম ১৯২০ সালে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামে। তার বাবা আজিজ উদ্দিন বিশ্বাস ছিলেন মেদিনীপুর জমিদারি কোম্পানির গোমস্তা ও জনদরদি ব্যক্তি। মা সবুরা খাতুন ছিলেন পরোপকারী স্বভাবসম্পন্ন। তিনি নদীয়া জেলার শিকারপুর হাইস্কুলে পড়াশুনা করেন এবং ১৯৩৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এন্ট্রান্স পাস করেন। পারিবারিক সমস্যার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পরিসমাপ্তি ঘটে এবং পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পিতার মৃত্যুর পর বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানার দারোগার পদ ছেড়ে নিজ এলাকায় শিক্ষাবিস্তারে আত্মনিয়োগ করেন। স্থানীয় বিদ্যোৎসাহীদের সহায়তায় ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন গাংনী হাইস্কুল। যুক্ত হন শিক্ষকতায়। পড়াতেন ইংরেজি ও ইতিহাস। ছিলেন অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী ও বিচক্ষণ ব্যক্তি।দায়িত্ব পালন করেছেন অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট তথা জুরির হাকিম হিসেবে। অসীম সাহসিকতার অধিকারীহাফিজ উদদীন মাস্টার স্কুলের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীদের বাইরেও ছিলেন প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। সর্বস্তরের মানুষ তাকে সম্মান-শ্রদ্ধা করত, আর পাকিস্তানপন্থি পিস কমিটির নেতা ও রাজাকাররা তাকে প্রতিপক্ষ মনে করত। মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য রাজাকারদের সহায়তায় পাকসেনারা তাকে হত্যা করে।
শহীদ হাফিজউদদীন ছিলেন বহুগুণে গুণান্বিত এক বিরলপ্রজ ব্যক্তিত্ব। শিক্ষাবিস্তার, জনকল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধেহাফিজউদদীনের অবদান অসামান্য। কিন্তু তাঁর কাজের যথাযথ স্বীকৃতি মেলেনি। তবেরফিকুর রশীদের লেখা আগামী প্রকাশনীর ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: মেহেরপুর জেলা’ গ্রন্থে হাফিজউদদীনকে ‘ গাংনী থানার শিক্ষাবিস্তারের অগ্রদূত’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত কাজী সাজ্জাদ আলী জহিরের ‘মুক্তিসংগ্রামে মেহেরপুর’ এবং মূর্ধন্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আবদুল্লাহ আল আমিনের ‘ ভাটপাড়া নীলকুঠি ও উনিশ শতকের বাংলাদেশ’ গ্রন্থে (ফেব্রুয়ারি, ২০১৯) শিক্ষক হাফিজউদদীনকে শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ১৯৯৫ সালে গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এই ‘অমিততেজা সিংহপুরুষ’কে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়।শহীদ হাফিজউদদীন এবং একাত্তরের ১৫-আগস্টের শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে ভাটপাড়ায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে, চলছে বধ্যভূমি সংরক্ষণের কাজ।
শহীদ হাফিজউদদীনের স্ত্রী সাকিনা বেগম,বড়ছেলে রাজনীতিক-সমাজসেবক-বিদ্যোৎসাহী বজলুল হক, সিরাজুল হক ও বড়মেয়ে মারা গেছেন। তার চতুর্থ পুত্র একরামুল হক ছোটন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। তাদের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে বেঁচে আছেন। এরা সবাই শিক্ষিত ও সরকারি চাকুরে। ছোটছেলে গাংনী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক শহীদুল হক বলেন, ‘ মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তাম। মুক্তিযুদ্ধে আমার বাবা, মামা ও এক ভাই শহীদ হন। দেশের জন্য আমাদের পরিবার অনেক কষ্ট ও দুর্ভোগ সহ্য করেছে। কিন্তু তাঁদের আত্মত্যাগের কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি। তাদের নামে এলাকার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সড়ক বা স্থাপনার নামকরণ করা হয়নি। এ জন্য আমি মর্মাহত এবং গ্লানিবোধ করি।’ পঞ্চম পুত্র শিক্ষক এনামুল হক বলেন, বাবা ছিলেন প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ। ছিলেনমওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ অনুসারী।উদার-অসাম্প্রদায়িক চিন্তার মানুষ হিসেবে তিনি কোনোদিন সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল সমর্থন করেননি। আমাদের পরিবারের সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক কারণে স্থানীয় শান্তি কমিটির নেতা ও রাজাকাররা বাবার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। রাজাকারদের প্রত্যক্ষ মদতে পাক হানাদার বাহিনী বাবাকে হত্যা করে। তিনি দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন। বাবার সাহসিক আত্মত্যাগের জন্য আমরা গর্ব অনুভব করি।

লেখক: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক ও সহযোগী অধ্যাপক, মেহেরপুর সরকারি কলেজ।




রামপুরায় বাসে আগুন: সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার ২

রাজধানীর রামপুরায় এসএসসি শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রামপুরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন: স্বপন রেজা (২৫) ও শহীদ ব্যাপারে (২২)।

ওই মামলার তদন্ত অফিসার এসআই তৌহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় রামপুরা থানা যে মামলা হয়েছে তাতে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত স্বপন প্রাইভেটকার চালক ও শহীদ সবজি ব্যবসায়ী। তাদেরকে রবিবার আদালতে হাজির করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহণের বাসের চাপায় মাঈনুদ্দিন নিহত হন। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা।

এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস। ওই ঘটনায় ৩০ নভেম্বর রামপুরা থানায় দুইটি অজ্ঞাত মামলা করা হয়েছে। তাতে ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।




গাংনীতে মায়ের বুকের দুধ পান করতে গিয়ে শিশুর করুণ মৃত্যু!

মায়ের বুকের দুধ পান করার সময়ে দম বন্ধ হয়ে আলিফ হোসেন নামের সাত মাস বয়সী এক শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে।

আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ করুণ ঘটনাটি ঘটেছে।

আলিফ হোসেন ওই এলকার  আজমাইন হোসেনের ছেলে।

আলিফ হোসেনের চাচা ইকলাস আলী মাস্টার জানান, ঘটনার সময় আলিফ হোসেনকে তার মা হালিমা খাতুন বুকের দুধ পান করাচ্ছিলেন। অসাবধানতা বসত হঠাৎ শিশুটি দম বন্ধ হয়ে পড়ে। এক সময় মূমূর্ষ হয়ে পড়ে। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতু ঘোষণা করেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক বোধাদিপ্ত দাশ (বিডি দাশ) জানান, শিশুটিকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। তার শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলেই জানান তিনি।




জীবননগরে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

জীবননগরে ভোক্তা অধিকার আইনে অভিযান চালিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও প্যাকেটজাত করার অপরাধে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ ও জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)মোঃ হুমায়ন কবিরের নেতৃত্বে জীবননগর উপজেলার হাসাদহ রোডের নতুন তেতুলতলায় মেসার্স নিশান ট্রেডার্সকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য,অস্বাস্থ্যকর ভাবে খাবার তৈরি ,মেয়াদ মূল্য বিহীন অননুমোদিত নিন্মমানের শিশু খাদ্য তৈরি ও ক্রয় বিক্রয় করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯অনুযায়ী ৪০হাজার টাকা এবং জীবননগর পৌর এলাকার ব্রীজমোড় এলাকায় মেসার্স চৌধুরী মুড়ি ফ্যাক্টরিকে অস্বাস্থ্যকরভাবে মুড়ি তৈরি ও প্যাকেট মোড়কীকরণ বিধি মেয়াদ মুল্য ইত্যাদি অমান্য করায় ১৫হাজার জরিমানা করা হয়।এ সময় সহযোগিতা করেন জীবননগর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান ।




আলমডাঙ্গার কুমারি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি ঘর দেবার নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

স্বামী হারানো বৃদ্ধা নিমরী খাতুন। সে রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ করেই জিবন যাপন করে। ভেঙে পড়া মাটির দেওয়াল ও মরিচা ধরা ফুটো টিনের ঘরেই দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে।

গত ৪ বছর পূর্বে একটি সরকারি ঘর পাবার আশায় তিনি কুমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সরাপন্ন হয়। ঘর পেয়ে দেবার নামে স্বামী হারা নিমরী খাতুনের নিকট থেকে তার গচ্ছিত ১০ হাজার টাকা নেয় কুমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু।

মাসের পর কয়েক বছর পার হলেও কাঙ্খিত ঘর জোটেনি নিমরী খাতুনের ভাগ্যে। এমন বক্তব্যের মধ্য দিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়ে নিমরী খাতুন।

এমন ঘটনা শুধু নিমরী খাতুনের নয়। আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টুর বিরুদ্ধে সরকারি ঘর দেবার নামে একাধীক ব্যাক্তির নিকট থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৩/৪ বছর পার হলেও ঘর দেবার নামে টাকা নিলেও ঘর না পেয়ে ভুক্তভোগীরা হতাশায় ভুগছেন।

ঘর না পেয়ে তাদের টাকা ফেরৎ চাইতে গেলেও তাদের বিভিন্ন গালিগালাজ ও হুমকির সম্মূখিন হতে হয় বলেও অভিযোগ তোলেন।

কুমারি ফারাজি পাড়ার বাসিন্দা মোতালেব ফারাজির ছেলে ভ্যান চালক মনিরুল হোসেন। সে পরিবারের উপার্জনের একমাত্র ব্যাক্তি। গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর কুমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টুর নিকট সরকারি ঘর পাবার আশায় যায়। তার নিকট থেকেও ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ১০ হাজার টাকা নেয়।

ঘর দিতে না পারলেও তার উপার্জিত অর্থ ফেরৎ দেয়নি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু। টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করে ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়।

এছাড়াও একই গ্রামের নেকা খোকার ছেলে আনার হোসেনের নিকট থেকেও ঘর দেবার কথা বলে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের দিনমজুর নবারেক হোসেনের ছেলে নবীর নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা নেয় ঘর দিবে এমন প্রতিশ্রুতিতে।

ভুক্তভোগীদের দাবি-নির্বাচনের ৫ বছর পর আবারো আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। গত ৩/৪ বছর আমরা সরকারি ঘর পায়নি। চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু সরকারি ঘর দেবার নামে আমাদের নিকট থেকে যে ১০ হাজার করে টাকা নিয়েছে সে টাকাও ফেরৎ দিচ্ছে না। জেলা প্রশাসক ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।

সরকারি ঘর আমাদের ভাগ্যে নেই। আমাদের নিকট থেকে চেয়ারম্যান পিন্টু যে টাকা নিয়েছে সেগুলো উদ্ধার করে দিলে আমরা টিনের ঘর করে বসবাস করতে পারি।

এবিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নূর জানান, সরকারি ঘর দেবার নামে কোন অর্থ বাণিজ্য মেনে নেওয়া হবে না। আমাদের নিকট ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে আমরা




গাংনীতে পৃথক দুটি স্থানে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত-১০, আটক- ৩

রোববার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাংনীর গাড়াডোব ও বাওট গ্রামে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্ততঃ ১০ আহত হয়েছেন। আহতদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গাংনী থানায় পাল্ট পাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনা দুটির তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, গাংনীর গাড়াডোব গ্রামে খাস জমিতে স্থাপনা নির্মান নিয়ে আইয়ুব আলী ও আখের আলী পরিবারের মধ্যে এক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হচ্ছেন- আয়ুব আলী পক্ষের আয়ুব আলী(৫৫) ও তার স্ত্রী জাহানারা (৫০), ছেলে জাহাঙ্গীর (৩০) ও তার স্ত্রী হাসি(২৫) এবং ইমরান (১৮)। আখের আলী পক্ষের আখের আলী(৫৫) ও তার স্ত্রী মুসলিমা(৪০), মিলন(৩০) ও তার স্ত্রী নাহার(২৫), আফাজ উদ্দীনের স্ত্রী ছবিরন(৪০)।

জাহাঙ্গীর জানান, খাস জমিতে তিনি স্থাপনা নির্মান করছিলেন। পরে ওই জমি আখের আলী নিজের দাবী করে একটি ছাপড়া ঘর স্থান করে বাড়ির পথ আটকিয়ে দেন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

এদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়া নিয়ে বর্তমান মেম্বর সাহাবুদ্দীনের সাথে প্রতিবেশী ইকলাছের বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের চার জন আহত হয়। এরা হচ্ছে- মেম্বর সাহাবুদ্দীন (৫০) ও প্রতিপক্ষ ইকলাছ(৩০) ও তার বাবা মন্টু(৫৫) এবং মা বলুয়ারা(৪৫)। রোববার রাতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

মেম্বর সাহাবুদ্দীন জানান, ইকলাছ একজন মাদকাসক্ত। সে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন করে এবং এলাকার যুব সমাজকে নস্ট করে। আমার কর্মীদেরকে ভোট চাইতে বারণ করে ও নানা প্রকার হুমকী দেয়। বিষয়টি জানার জন্য গেলে ইকলাস ও তার লোকজন হামলা করে তাকে আহত করে। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন ইকলাছের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এ হামলার ঘটনায় লুটপাটের অভিযোগ করেছে ইকলাছের পরিবার।

গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, গাড়াডোবে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে গাংনী থানার এসআই আতিক ৩জনকে গ্রেপ্তার করে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করেছেন। তাছাড়া সবাই অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 




শৈলকুপায় মোটরসাইকেল মহড়ায় নির্মমভাবে নিহত হলো এক শিশু

মোটরসাইকেল মহড়া নির্মম আর নিষ্ঠুরভাবে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এক শিশুর। বেপরোয়া মোটরসাইকেলের নীচে পড়ে শিশুটির মুখ-মাথা থেতলিয়ে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু ঘটে। স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তা থেকে তুলে শিশুটিকে প্রথমে নাগিরহাট পরে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা ঝিনাইদহের শৈলকুপার লক্ষীপুর গ্রামের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার একটু আগে চর লক্ষীপুর গ্রামের নজির হোসেন ২০টির বেশী মোটর সাইকেল নিয়ে রাস্তায় মহড়ায় বের হয়। মহড়ার পেছনের দিকের মোটর সাইকেল বহর রাস্তায় শিশুটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত সরে পড়ে।
গ্রামের বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী লিয়াকত জানান, নজিরের মোটরসাইকেল বহরের নীচে চাপা পড়ে শিশুটি। তারা দ্রুত সাইকেল ও লোকজন কে থামাতে বললে আরো গতিতে চালিয়ে সটকে পড়ে স্থানীয়রা জানায়, নজির আগামীতে ইউপি সদস্য পদে লড়বে, তাই এলাকায় গনসংযোগ করছে বহর নিয়ে । নিহত শিশুর নাম আরাফাত(৫)। সে চর লক্ষীপুর গ্রামের চান্নু হোসেনের একমাত্র ছেলে ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিশু আরাফাতকে আহত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজনদের খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম শিশু মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনার পর ঘাতক মোটরসাইকেল চালক পলাতক রয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।




শাসক নয় সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই-মিজানুর রহমান রানা

শাসক নয় সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক ও গাংনী উপজেলাধীন ১ নং কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান রানা।
আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে বুধবার সকালে নেতাকর্মীদের উদ্দ্যোশে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পূর্বেই ঘোষণা দিয়েছিলাম শাসক নয়, সেবক হিসেবে কাজ করবো। সেভাবেই কাজ করছি।
তিনি বলেন চাহিদার তুলনায় সরকারী বরাদ্দ অনেক কম। তবুও নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তাঘাট সহ শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন করেছি। এছাড়া সরকারের সব সুবিধা জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার পাশপাশি সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি।
কাথুলী ইউনিয়নে বয়স্ক ও বিধবাদের প্রতিবন্ধী ভাতা’র পাশাপাশি দারিদ্র্য ও কর্মজীবী মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা অধিকার থেকে বঞ্চিতদের ভাতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ১০ কেজি চাল বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
এছাড়া করোনা দূর্যোগে সরকারের পাশপাশি নিজ অর্থায়নে রাতের আধারে অসহায় দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়েছে। অসুস্থদের জন্য ঔষধ ও আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,যদি প্রতিনিধিত্ব না থাকে তাহলে উন্নয়ন কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়ার জন্য আবারো নৌকার প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী। দলের মনোনয়ন পেলে তিনি জনগণের ভোটে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ শেষ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে গাংনীর কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষনা না হলেও হাট-বাজার, মাঠ-ঘাট, চায়ের আড্ডা, সবখানেই এখন নির্বাচনী আলাচনায় মুখোরিত।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চায়ের কাপে ঝড় তোলার পাশাপাশি রাস্তা ঘাট সবখানেই চলছে ভোটের চুলচেরা বিশ্লেষন। ফেসবুক সহ যে যার মত করে প্রচার প্রচারনা করছেন প্রার্থীরা।
নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নানা কৌশলে কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের দৃষ্টি কামনা করতে শেষ মুহুর্তে জোর লবিং শুরু করেছে। এছাড়া সর্বত্রই আলোচনা চলছে কে পাচ্ছে আওয়ামীলীগের ও বিএনপির মনোনয়ন। শহরের রাস্তাঘাট, অলিগলি ও পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে চায়ের দোকানেও চলছে ভোটের নানা রকম হিসেব নিকেশ।
তবে এলাকাবাসি মনে করছেন বর্তমান মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক ও গাংনী উপজেলাধীন ১ নং কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান রানা এ ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন করার পাশাপাশি সকল সেবা জনতার দৌড়গড়ায় পৌছিয়ে দেওয়ার পাশপাশি ভোটার সহ সাধারন মানুষের সাথে গড়ে তুলেছেন মানবতার সেতু বন্ধন তাই তাকে আবারো নৌকার মনোনয়ন দেয়া হলে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ একত্রিত ভাবে তাকে বিজয়ী করার লক্ষে কাজ করবে।




ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহা সড়কের শৈলকুপা অংশের ২৫ কি.মি রাস্তা যান চলাচলের অনুপযোগী

ঝিনাইদহের খুলনা –কুষ্টিয়ার মহাসড়কের শৈলকুপা অংশের ২৫ কি, মি, রাস্তা এখন সাধারণ মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কের অবস্থা এতটাই চলাচলের অযোগ্য যে তাবলারনা। বিশেষ করে শেখপাড়া থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত সড়কের প্রতি ইঞ্চি তেই খানাখন্দে ভরা। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন হেলে দুলে চলাচল করছে এই মহাসড়ক দিয়ে ।প্রায় দিনই দূর্ঘটনা সহ প্রানহানির ঘটনাও ঘটছে আবার গাড়ি ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ে থাকতেও দেখাযায়।কিছুদিন পর পরসড়কের গর্তগুলো খোয়া দিয়ে মেরামত করা হলেও নেই কোন স্থায়ী পদক্ষেপ। কর্তৃপক্ষের উদাসীন তায় দিন দিন সড়ক টি মৃত্যু পুরিতে পরিণত হচ্ছে।সড়ক টি জুড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় গাড়ী ঠিক মত চলাচল করতে না পারার কারণে রাতে দিনে তীব্র যান জটের সৃষ্টি হচ্ছে।সড়ক জুড়েই শত শত গাড়ীর দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিদিন ঝিনাইদহ থেকে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে যাতায়াত করা শিক্ষক প্রফেসর মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান,সড়কটি যাতায়াত করার মত কোন অবস্থা নেই, জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করি। যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে তাছাড়াও প্রতিদিন ক্যাম্পাস থেকে বাড়িতে ফিরেগা-হাত-পা ব্যাথা হয়ে যায়।তবে জন সাধারণের স্বার্থে অতিদ্রুত সড়কটির স্থায়ী সমাধান দরকার।
খুলনা- কুষ্টিয়া রুটে চলাচল কারী শেখ ট্রাভেল সের মালিক ফিরোজুর রহমান বলেন, খুলনা –কুষ্টিয়া মহাসড়কের অধিকাংশ রাস্তাই খারাপ তবে শৈলকুপার শেখ পাড়াটু ঝিনাইদহ পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই খারা পযার ফলে প্রতিদিনই গাড়ীর কোননা কোন যন্ত্রাংশ মেরামত করালা গছে যার জন্য পরিবহন ব্যয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ট্রাক চালক মোতাহার হেসেন বলেন, জীবনের ঝুকি নিয়ে এ রাস্তায় চলাচল করি। অনেক সময় গাড়ীর স্টেয়ারিং ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে যাই।যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বয়েছে।
সি এনজি চালক শেখ পাড়ার আকমল হোসেন বলেন, প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা পর্যনÍ যে ভাড়া মারিতা পরের দিন গাড়ী মেরামত করতে সব টাকা ফুড়িয়ে যায়। আমরা এ রাস্তার সংস্কার সহ স্থায়ী সমাধান চাই।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বলেন,ইতি মধ্যে ৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়েছে,প্রক্রিয়া শেষে আশা করি এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।