অচিন পাখি – সোমা মুৎসুদ্দী

 

আমি ছন্দবিহীন বাঁধন হারা
একটি অচিন পাখি
আমি কষ্টগুলো আড়াল করে
নিজের করেই রাখি।

সবুজ পাতা বন্ধু আমার
বাগানের ঐ ফুল
চলার পথে হারিয়ে গেছে
জীবন নদীর কূল।

একাই হাসি একাই ভাসি
একাই ঘুরি বন
আমার সাথে কইতে কথা
নেইতো কারো মন।

নীল আকাশে একাই উড়ি
সাথী কেহ নাই
আমি ছন্দবিহীন বাঁধন হারা
একটি পাখি তাই।




আলমডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত রোগী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা

আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়গড়ি গ্রামে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হওয়ায় আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে এক করোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তি গলাঁয় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  রবিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আব্দুর রাজ্জাক আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের গড়গড়ি গ্রামের হঠাৎপাড়ার শাহাজুদ্দিনের ছেলে। তিনি কৃষি কাজের পাশাপাশি গরুর ব্যবসা করতেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রাজ্জাক গত কয়েক দিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত ১৬ জুন র‍্যাপিড টেস্টে তার করোনা পজিটিভ হয়।

এরপর তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর আব্দুর রাজ্জাক ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন।

বাড়িতে আসার পর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি লকডাউন করে দেন। এতে গ্রামের অন্যান্য মানুষের কটূক্তি ও সামাজিক হেয়পতিপন্ন নানা ধরণের কথা বলেন। এছাড়াও পরিবারের লোকজন আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তি মূলক কথা বলে। করোনায় আক্রান্তের পরও সামাজিক ও পারিবারিক কটূক্তি কথা বলায় অভিমানে সে নিজ বাড়িতে গলাঁয় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। সকালেই পরিবারের লোকজন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যার বিষয়টি আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে দাফনের অনুমতি প্রদান করেন।

আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী ময়না খাতুন বলেন, গত কয়েক দিন পূর্বে আমার স্বামী ঠাণ্ডা -জ্বরে ভুগছিলো। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে তাকে র্যাপিড টেস্ট করানো হলে করোনা পজেটিভ আসে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে আসার পর আমরা সবাই তার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম।তিনি দাবি করেন, আমার স্বামী হাসপাতালে থাকলে আত্মহত্যা করতেন না। এলাকার লোকজন আমাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরণের কটূক্তি মূলক কথা বলায় সে অভিমানে আত্নহত্যা করেছে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, সকালে গড়গড়ি গ্রামে একজন করোনা আক্রান্ত রোগী আত্মহত্যা করেছে বলে জেনেছি। তিনি জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তাই সে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।




মেহেরপুরে বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে সচেতনতামূলক সাইকেল র‌্যালী

অজানা অচেনা মানুষের জীবন বাঁচাতে নীরবে-নিভৃতে নিজেদের রক্ত দান করে স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা যে মহৎ কাজ করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন ও সাধারণ মানুষকে রক্তদানে আগ্রহী হয়ে উঠতে মেহেরপুর জেলায় সারাদিন ব্যাপী সাইকেল র‌্যালী করেছে ” আজকের ভালো কাজ” নামের একটি সংগঠনের সদস্যেরা।

সোমবার বিশ্ব রক্ত দিবস উপলক্ষে তারা এ কর্মসূচী পালন করেন। দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘রক্ত দিন, পৃথিবীকে বাঁচান’।

করোনা পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সুরক্ষা বজায় রাখার চেষ্টা করে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় তারা। এসময় পথচারীদের রক্তদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন এবং করোনা পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশনা দিয়ে তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। পরবর্তীতে তারা জেলার প্রায় সকল ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারসহ সদর ও উপজেলা হাসপাতালে রক্তদানের উপকারিতা সম্বলিত স্টিকার লাগাই এবং প্রধান প্রধান সড়কে সাইকেল র‌্যালী করে মেহেরপুর শহরে এসে শেষ করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি আফসানা বিশ্বাস তিথি, সহ-সভাপতি হাসানুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আল-ইকরাম সোহাগ, দপ্তর সম্পাদক আসিফ ইকবাল শুভ ও কোষাধক্ষ্য সালেহীন সাহেদ।

আফসানা বিশ্বাস তিথি বলেন, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস আজ। স্বেচ্ছায়, বিনামূল্যে নিজের শরীরের রক্তদান করার মতো অকুতোভয় বীরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এথেকে সাধারণ মানুষের মাঝেও যেন অভয় কাজ করে এবং রক্তদানে উৎসাহী হয়।

সালেহীন শাহেদ বলেন, মেহেরপুরে করোনা পরিস্থিতি অবনতির পথে। প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের সকলের উচিত স্বেচ্ছায় মানুষকে সচেতন করা এবং মাস্ক পরতে আগ্রহী করা।

প্রসঙ্গত, “আজকের ভালো কাজ” সংগঠনটি ২০১৬ সাল থেকে মেহেরপুর জেলায় রক্তদান ও বৃক্ষরোপণসহ অন্যান্য সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।




মেহেরপুরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ সব কিছু বন্ধ

মেহেরপুর জেলায় আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ জনসাধারণের চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে জরুরী সেবা সমূহের প্রতিষ্ঠান গুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করতে পারবে।

আজ সোমবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান এক জুম মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। জেলায় করোনা পরিস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
আগামীকাল থেকে দুই সপ্তাহ মেহেরপুরে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ
মেহেরপুরের ৩টি গ্রাম (হিন্দা, তেতুলবাড়ীয় ও আনন্দবাস) লকডাউন

 

 




যাতনারা তাড়ায় শুধু – সাঈদুর রহমান লিটন

 

নীল আকাশে শুভ্র মেঘে
নিয়মিত করে খেলা,
শুধুই আমি খেলতে গেলে
এই প্রকৃতির অবহেলা।

ফুলে ফুলে বর্ষাকালে
রঙে রঙে নানা বাহার,
ফুলের রঙে হৃদয় ভরে
পটে জোটে নাতো আহার।

কত জনে জোছনা দেখে
স্নিগ্ধ আলো ভালোবাসে,
পাড়া রুটির মত চাঁদে
আমার দমটা আটকে আসে।

চাখের সামনে শুধুই খেলা
কত জনে আমায় খেলে,
যাতনারা তাড়ায় শুধু
যথায় সেথায় একা পেলে।




কালীগঞ্জে শ্বাসরোধ করে যুবককে হত্যা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে শাহীন হোসেন (৩৩) নামের এক যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত শাহীদের গলায় ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

রবিবার সকাল ৯ টার দিকে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের রনজিতের কলা ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শাহীন বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের পুর্বপাড়ার চান মিয়ার ছেলে। নিহত শাহীন স্থানীয় লেদের দোকানে কাজ করতেন বলে জানান এলাকাবাসী। নিহত শাহীনের একটি ৮ মাসের মেয়ে সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত শাহিন হোসেন সম্প্রতি বালিয়াডাঙ্গা বাজার এলাকায় একটি লেদ মেশিন বসিয়ে কাজ করতো। রোববার সকালে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না এমন সংবাদ পাওয়ার পর সবাই খোঁজাখুজি শুরু করে। এরপর তাদের বাড়ির পাশে রাস্তার উপর তার ব্যবহৃত একটি জুতা পাওয়া যায়। এরপর একই এলাকায় রনজিৎ কুমার নামে এক ব্যক্তির কলা বাগানে তার মরহেদ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর মিয়া জানান, শাহীনকে শ্বাসরোধ করে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে কি কারনে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।




মেহেরপুর শিশু পরিবারে শিশুদের দিয়ে টয়লেট ও ড্রেন পরিষ্কার করানোর অভিযোগ

মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারে শিশুদের দিয়ে টয়লেটের মল, ড্রেন পরিষ্কার, শিশু পরিবার চত্বর সহ বিভিন্ন ধরনের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার সব ধরনের কাজ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসীদের এমন অভিযোগে সরেজমিন গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারে গিয়ে দেখা যায় আসিব (১০), হুসাইন (৬), রিয়াদ (৬) নামের তিন শিশু পরিষ্কার করছে ড্রেনের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা কাদা পানি।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, শিশুরা এখানে মানুষের মত মানুষ হওয়ার জন্য আসলেও তাদের করতে হয় ড্রেন ও পায়খানা ট্যাংকি সহ শিশু পরিবার চত্বরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। ছোট ছোট শিশুদের চাপ দিয়ে এসব কাজ করিয়ে নেয় শিশু পরিবার কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারের একাধিক শিশু বলেন, প্রায়ই আমাদের এসকল কাজ করতে হয়। এসব কাজ না করলে স্যারেরা বকাবকি করে এবং চাপ দিয়ে সব কাজ করিয়ে নেয়। মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারের পাশে একটি বিল্ডিং এ কাজ করতে আসা রুবেল নামের একজন শ্রমিক বলেন, এখানে বেশ কয়েকদিন ধরে কাজ করছি, প্রতিনিয়তই দেখছি তাদের দিয়ে বিভিন্ন রকমের কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আজকে সকাল থেকে তারা এসব ড্রেনের ময়লা পরিস্কার করছিল এবং ড্রেনের দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা পানিতে নেমে কাঁদা ও পানি পরিস্কার করছিল।

মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবার এর উপ-তত্ত্বাবধায়ক মোঃ সাঈদ হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের কোথাও শিশু পরিবারে পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেওয়া নাই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কারা করে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের নীতিমালাতে আছে বাচ্চারা সকলে সম্মিলিত ভাবে পরিষ্কার করবে।

ড্রেন ও পায়খানার টাংকি পরিষ্কার করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে যে নিউজটা গেছে ওটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং, আমাদের ট্যাংকি টা অনেক উঁচুতে তাই ওটা আটকে যাওয়ায় ইমারজেন্সি সময়ে রান্নাবান্নার সমস্যা হচ্ছিল, তাই শিশুদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রতি ৬ মাস পর পর আমাদের ১০-১২ হাজার টাকা করে খরচ হয় ড্রেন পরিস্কার করতে হয়। তিনি আরো বলেন, যে আপনাদেরকে নিউজ টা দিয়েছে তার সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো না তাই এসব মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।




টাঙ্গাইল জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

মির্জাপুরে টাঙ্গাইল জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল কেবিনে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তিনি পলাতক।

পুলিশ ও কুমুদিনী হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রায় দুই বছর আগে রেদওয়ানা ইসলাম টাঙ্গাইলে বদলি হয়ে আসেন। তার স্বামী টাঙ্গাইলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে যান। স্বামী-স্ত্রী দুজন জেলা প্রশাসনের কোয়ার্টারে বসবাস করতেন।

সোমবার (২২ মার্চ) সকালে প্রসব ব্যথা নিয়ে রেদওয়ানা ইসলাম কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন সকাল ১০টায় সিজারিয়ান অপারেশনের মধ্যেমে তিনি মেয়েশিশুর জন্ম দেন। শুক্রবার (২৬ মার্চ) হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে মেয়ে কিছুটা অসুস্থ থাকায় তিনি ছুটি না নিয়ে হাসপাতালের দোতলার ১১ নম্বর কেবিনে থেকে যান। আর শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের তিন তলায় থাকা ইনকিবিউটরে রাখা হয়। সেখান থেকে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে রেদওয়ানা ইসলাম দেখভালের জন্য সঙ্গে থাকা তার মামি খোদেজা বেগম ও তার শিশুসন্তানের দেখভালের জন্য মর্জিনা বেগম তাদের কাছে থাকতেন। দুপুরে স্বামী আসায় শিশুটিকে মায়ের বুকের দুধ খাইয়ে খোদেজা ও মর্জিনা পুনরায় তিন তলায় নিয়ে যান। সাড়ে ৩টার দিকে বাচ্চাকে পুনরায় দুধ খাওয়ানের জন্য খোদেজা বেগম ফিরে এসে কেবিনের দরজার তালা আটকানো দেখেন। ডাকাডাকির পরও ভেতর থেকে কেউ দরজা না খোলায় কর্তব্যরত সেবিকাকে তিনি বিষয়টি জানান। পরে কেবিনটির ইনচার্জ সেবিকা অনুরাধা এসে দরজার অতিরিক্ত চাবি দিয়ে খুলে ভেতরে ঢুকে মরদেহ দেখতে পান।

খবর পেয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল ইসলাম আলমগীর, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান, টাঙ্গাইলের সহকারী পুলিশ সুপুার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপঙ্কর কুমার ঘোষ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেনসহ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা কুমুদিনী হাসপাতালে যান। সেখানে তার সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

রেদওয়ানা ইসলামের মামি খোদেজা বেগম ও মর্জিনা বেগম হাসপাতালের মেঝেতে কান্না করতে করতে জানান, শিশুটিকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পর যখন তারা বাইরে বের হন তখন তার স্বামী কেবিনেই ছিলেন। ফিরে এসে তাকে আর দেখতে পাননি।

কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক জানান, বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তাৎক্ষণিক প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।

সহকারী পুলিশ সুপার দীপঙ্কর কুমার ঘোষ জানান, মরদেহের গলায় ওড়না পেঁচানোর দাগ দেখতে পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।




ফেসবুকে হতাশাব্যঞ্জক স্ট্যাটাস দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় যুবকের আত্মহত্যা

ফেসবুকে হতাশাব্যঞ্জক স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ইমরান আহমেদ (৩৮) নামে চুয়াডাঙ্গার এক যুবক। বুধবার সন্ধ্যারাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। একই দিন সকালে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হতাশাব্যঞ্জক স্ট্যাটাস দেন। রাতেই ঘরের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইমরান আহমেদ চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যান্ডবিপাড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজি নাসির উদ্দিনের বড় ছেলে।

জানা গেছে, বুধবার সকালে ইমরান আহমেদ নিজের ফেসবুক আইডিতে হতাশাব্যঞ্জক একটি স্ট্যাটাস দেন। পাঠকের জন্য পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘এগুলো আমি কেন লিখছি জানি না। জীবনে আসলে অনেক কিছুই শেখার বাকি, যখন চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসে তখন আমাদের মনে হয় এক টুকরো ছোট্ট আলো হলে হয়তো চালিয়ে নিতে পারতাম। আবার যখন অনেক আলো থাকে তখন মনে হয় এতো আলো কেন! একটু অন্ধকার হলেই ভালো হতো! কিছু মানুষ আছে যাদেরকে হাজারো আঘাত করলে মনে কষ্ট পায় না, অথচ ছোট্ট কোনো কষ্ট তার মনটাকে ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়। মানুষের মধ্যে একটা জিনিস থাকে যেটাকে সে খুব ভালোবাসে, সেটা তার পার্সোনালিটি অথবা ইগো।

এটা মানুষভেদে নির্ভর করে কে কোনটাকে প্রায়োরিটি দিচ্ছে। পার্সোনালি আমার কাছে ইগোর থেকে পার্সোনালিটিটা বেশি মূল্যবান। এই জায়গাটায় আমি কোনোভাবে কম্প্রোমাইজ করতে পারি না। প্রত্যেকটা মানুষ দোষ-গুণের তৈরি। মানুষের মধ্যে যে শুধু দোষই থাকবে বা গুণই থাকবে তা কিন্তু নয়। যেমন শুধু খাঁটি সোনা দিয়ে গহনা তৈরি করা সম্ভব না, তাতে খাদ মেশানোর প্রয়োজন হয়। তেমনি প্রতিটা মানুষের মধ্যেই দোষ এবং গুণ দুটোই বিরাজমান। কিছু সময় আসে যখন মানুষ তার নিজের ভালো-মন্দের কথা কাউকে শেয়ার করতে পারে না, আবার শেয়ার করলেও তাদেরকে বোঝানো সম্ভব হয় না। ওই সময়টাই ওই মানুষটার মধ্যে যে অসহায়ত্ত বোধ হয়, সেটা আমার মনে হয় পৃথিবীর কোনো ভাষা দিয়ে কাউকে বোঝানো সম্ভব না। একমাত্র মৃত্যুর মিছিলে সামিল হলে বোঝানো সম্ভব হয়।’

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আউলিয়ার রহমান বলেন, ‘একটি মাধ্যমে খবর পেয়ে ইমরান আহমেদের বাড়িতে যাই। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ইমরান আহমেদকে মৃত ঘোষণা করি। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সঠিক জানি না।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ খান বলেন, ‘সন্ধ্যায় খবর পেয়ে ইমরান আহমেদের ঘরের দরজা ভেঙে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ, পরকীয়ার আসক্তি ও বেশ কিছুদিন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ইমরান। এ ঘটনায় নিহত ইমরানের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।’

 




ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজে ছহিউদ্দিন বিশ্বাসের ৩১ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

মেহেরপুর ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছহিউদ্দিন বিশ্বাস এর ৩১ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।

ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ একরামুল আজিম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জুমের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছহিউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ছহিউদ্দিন বিশ্বাসের ৩১ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছহিউদ্দিন ডিগ্রী কলেজ এর উদ্যোগে “ইতিহাসের পাতা থেকে ছহিউদ্দিন বিশ্বাস” নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।