গাংনীতে যুব কাবাডি খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ তারুণ্য উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে যুব কাবাডি (অনুর্ধো-১৭ বালক ও বালিকা) খেলা ও পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় বালক পর্যায়ে জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মানিকদিয়া এগারপাড়া দাখিল মাদ্রাসার মধ্যে অনুষ্ঠিত খেলায় ৩২ পয়েন্ট অর্জন করে জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় দল উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট ও জেলা পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। খেলায় মানিকদিয়া এগারপাড়া দাখিল মাদ্রাসা দল অর্জন করে ১০ পয়েন্ট।

এছাড়া বালিকা কাবাডি দলের জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় বালিক দল ৩১ পয়েন্ট অর্জন করে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ও মেহেরপুর জেলা পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। উপজেলা পর্যায়ে রানার্স অপ দল হয় জেটিএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় দল, তারা অর্জন করে ৪ পয়েন্ট।

খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের খেলোয়ারদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা তাদের হাতে কাপ ও মেডেল তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক, উপজেলা আনসার ভিডিপি সাঈদুর রহমান, উপজেলা বিআরডিবি অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আল নুরানী,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্য সচীব মুজাহিদুল ইসলাম।

 

খেলা পরিচালনা করেন, জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল হান্নান ও মানিকদিয়া এগারপাড়া আলীম মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল মাবুদ ও গাংনী উপজেলা ক্রীড়া পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় বক্্িরং দলের কোচ আতর আলী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, কাবাডি বাংলাদেশের একটি জাতীয় খেলা। আগেকার দিনে বর্ষাকালসহ সারা বছরই গ্রামাঞ্চালের আনাচে কানাচে এই খেলা দেখা যেতো। সময়ের সাথে সাথে খেলা-ধুলার ধরনও পরিবর্তন হয়েছে। এখনকার ছেলে মেয়েরা মাঠে খেলার পরিবর্তে মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রীনে বেশি আসক্ত হচ্ছে। তাই মোবাইল ও কম্পিউটারের স্ক্রীন আসক্ত থেকে বেরিয়ে এসে মাঠের খেলাধুলাকে গ্রহণ করতে হবে।

 

তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিযোগীতার মাধ্যমে আমরা ভালো খেলোয়ারদের বের করে আনতে সক্ষম হবো। তাই, খেলা-ধুলা প্রতিযোগীতার মাধ্যমে এই খেলাগুলো আবারও গ্রামের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, খেলা ধুলার মাধ্যমে ছেলে মেয়েরা শুধু সুস্থাস্থের অধিকারি হবে তা নয়, তাদের মন ও শারীরিক বিভিন্ন হরমনের পরিবর্তনগুলোও সাধিত হবে। ফলে তাদের যে কোনো কাজে মনোযোগও বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, লেখা পড়ার মাধ্যমে মানুষ যেমন অনেক দুর এগিয়ে যেতে পারে, ঠিক তেমনি, খেলা ধুলার মাধ্যমেও এগিয়ে যেতে পারে। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের নাম না জানলেও মানুষ একজন খেলোয়ারের নাম জানে, যেমন মেসি যোগ করেন তিনি। একজন খেলোয়ার তার খেলার মাধ্যমে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের হৃদয় জয় করতে পারে। একজন খেলোয়ার আঞ্চলিক বা জাতীয় গন্ডি নয়, তিনি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডেলে বিচরণ করেন। তৃণমুলের খেলোয়ারদের আমরা সুযোগ তৈরী করে দিতে পারলে তারাই জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। তারাই আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিচরণ করবে। আমাদের দেশের মান মর্যাদা বিশ্বের বুকে পৌছে দেবে।
এই টূর্ণামেন্টের মাধ্যমে এই খেলাগুলো মানুষের হৃদয়ে প্রথিত থাকবে।

আগামী দিনগুলোতে এই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এবং প্রতিটি গ্রামে এই খেলার চর্চা যেনো ধারাবাহিকভাবে চলে সেজন্য শিক্ষার্থী ও ক্রীড়া সংগঠকদের প্রতি উদাত্ব আহবান জানান তিনি।

প্রীতম সাহা আরও বলেন, যারা খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত থাকে, তারা মাদক ও সামাজিক অন্যায় অপরাধ থেকে দুরে থাকেন। তারা সুঠাম দেহ ও সুস্বাস্থের অধিকারী হয়। খেলাধুলা শারীরিক মানুষিক ও আধ্যাতিক বিকাশেও দারুনভাবে সহযোগীতা করে। খেলাধুলা আমাদের একাগ্রতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে।

মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করার আহবান জানিয়ে ইউএনও প্রীতম সাহা বলেন, আমরা কেউ যেনো মাদকের দিকে হাত না বাড়াই।
সড়ক নিরাপত্তার উপর গুরত্ব দেওয়ার আহবান জানিয়ে প্রীতম সাহা বলেন, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি চার লেনে উন্নিত হয়েছে। এই সড়কটিতে এখন যানবাহনের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে গাড়িগুলো দ্রুত গতিতে ছুটছে। আমরা চাইনা দ্রুতগতির কারনে, আমাদের ছেলে বা মেয়ের জীবনে দুর্ঘটনা নেমে আসুক।
তরুণদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, দ্রুতগতিতে ও বেপরোয়া মটরসাইকেল চালানোর কারনে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর মিছিল দেখতে পাচ্ছি। এই ধরনের অনাকাংখিত দুর্ঘটনা ও মৃত্যু আমরা প্রত্যাশা করিনা। আমরা চাই সকলেই সুস্থ থাকুক। একটি দুর্ঘটনা, একটি পরিবার বা ব্যাক্তির কান্নার কারন না হয়।




মেহেরপুর-কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা রুটে ছাত্রদের বাসভাড়া অর্ধেক

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে সপ্তাহে পাঁচ দিন শিক্ষার্থীদের জন্য বাসভাড়া অর্ধেক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন মালিকদের তিনটি সংগঠন।

মেহেরপুর আন্ত:জেলা বাস ও মিনিবাস সমিতি কর্তৃক পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আজ হস্পতিবার সকাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেহেরপুর জেলার মধ্যে চলাচলরত সব লোকাল বাসে সকাল ৭টা-সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অর্ধেক ভাড়ায় চলাচল করতে পারবেন। তবে এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে অথবা বিদ্যালয়ের নির্ধারিত ইউনিফর্ম থাকতে হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে মেহেরপুর আন্ত:জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সড়ক সম্পাদক মো: খলিলুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: নুরুল ইসলাম (বাবলু) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেহেরপুর জেলা কমিটির আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, সদস্য সচীব মো: মুজাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষর করেন।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে ৪ নভেম্বর মেহেরপুর পরিবহন সংশ্লিষ্ট তিনটি সংগঠনের নেতাদের যৌথ সভা হয়। এরপর সর্বসম্মতিক্রমে গত মঙ্গলবার বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির নেতাদের চূড়ান্ত সভায় অর্ধেক ভাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এখন থেকে মেহেরপুর থেকে গাংনীর ভাড়া ৩১ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা, মেহেরপুর থেকে বামন্দীর ভাড়া ৪৯ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা, মেহেরপুর থেকে খলিশাকুন্ডি ঘাট ৬৫ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা, মেহেরপুর থেকে আমলার ভাড়া ৭৬ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা, মেহেরপুর থেকে মিরপুর পর্যন্ত ৯৮ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা ও মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত ১২৮ টাকার পরিবর্তে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা রোডে মেহেরপুর থেকে আমঝুপি পর্যন্ত ১৪ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা, মেহেরপুর থেকে বারাদী পর্যন্ত ২৭ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা, মেহেরপুর থেকে গোকুলখালি পর্যন্ত ৪১ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা ও মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত ৬১ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।

মেহেরপুর আন্ত:জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সড়ক সম্পাদক মো: খলিলুর রহমান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেরপুর জেলা শাখা কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলার মধ্যে এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্যসচিব মুজাহিদুর রহমান জানান, আগস্ট মাস থেকে এই দাবি তোলা হয়েছিল। অবশেষে কার্যকর হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাতে শর্তগুলো মেনে যাতায়াত করেন, সে ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চান তিনি।




মুজিবনগরে উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ

বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিক্রিয়ায় দলের পূর্ণগঠন, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দলকে সক্ষমতা অর্জনের প্রত্যয়ে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশর আয়োজন করা হয় ।

বৃহস্পতিবার (২৩ শে জানুয়ারি) চারটার দিকে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে কেদারগঞ্জ বাজার এই কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য জেলা বিএনপির আহবায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন। তিনি বলেন, আপনারা দীর্ঘ ১৭টি বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন। একটি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। একটি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, জীবন দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, সেই সংগ্রাম থেকে উত্তীর্ণ হয়ে আপনারা নতুন বাংলাদেশের প্রবেশ করেছেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন আজকে মুজিবনগর উপজেলার অন্তর্গত যেসব ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটি গুলো আছে সেই সব কমিটিকে আমি এই মুহূর্তে বিলুপ্ত ঘোষণা করলাম।

কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। তিনি বলেন, গত বুধবারে উনি যে কথাটা বলেছেন খুবই আপত্তিকর কথা। উনি বলেছেন তিন টাকার কমিটি, তিন টাকার কমিটি মানে উনি তারেক রহমানকে অবজ্ঞ করা হয়েছে। তারেক রহমানকে অবজ্ঞা করলে আমরা তাকে কেউ ছাড়বো না।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আনছা-উল-হক, আলমগীর খান সাতু, হাফিজুর রহমান হাফি, মীর ফারুক, ওমর ফারুক লিটন, জেলা বিএনপি  সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহম্মেদ, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি রেজাউল হক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু, পৌর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, আব্দুল লতিফ, মোশিউল আলম দিপুসহ বিএনপির নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের মানুষ। আমরা পিছ পা হতে জানিনি সেই কারনে আগামী দিনে যদি কমেটি নিয়ে কোনো বাজে কথা বলা হয় আপনি কালকে কমিটি ভেঙে নিয়ে আসবেন মুজিবনগরের মানুষ আপনার নেতৃত্বে বিএনপি করবে । আপনি আগামী দিনে মনোনয়ন নিয়ে আসবেন আমরা আপনাকে নির্বাচন করে পার্লামেন্টে পাঠাবো। এই পর্যন্ত অপেক্ষা করেন তার আগে বিভ্রান্ত কর কোন কথা বলবেন না। তার আগে কোন অরুচিশীল কথা বলবেন না। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না এটাই আমি মুজিবনগরের কর্মীসভা থেকে আহ্বান করে জানাচ্ছি।

মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুজিবনগর উপজেলার যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম।




কোটচাঁদপুরে তারুণ্যের উৎসব উদযাপিত

এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এ প্রতিপাদ্যে কোটচাঁদপুরে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্য সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমীতে দিনব্যাপী চলে পিঠা উৎসব।

পিঠা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমী প্রধান শিক্ষক আমীন উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হামিদ খান বাবুল,ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক এসকে ফয়েজ আহমেদ রিয়ন,যুগ্ন আহবায়ক হাসান তারেক।

পিঠা উৎসবে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা ১০টি স্টোল দেন। স্টোল গুলোয় সাজানো ছিল বাহারি সব ধরনের পিঠা।যা প্রায় বিলিন হতে চলেছে।

এদিকে পিঠা উৎসবের খবরে বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন ওই এলাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা। আসেন এলাকার যুব বৃদ্ধারাও। এই পিঠা উৎসবকে ঘিরে বিদ্যালয়ে তৈরি হয় এক মিলন মেলা। চলে পিঠা কেনা বেচার ধুম। যা কিনতে ও খেতে পেরে খুশি সবাই। এমন পিঠা উৎসব প্রতিবছর হক দাবী মেলায় আসা ক্রেতা ও দর্শণার্থীদের। তাদেরই একজন সাবদারপুর এস ডি কলেজের ছাত্র আসিফ হোসেন।তিনি বলেন,এমন পিঠা উৎসব আগে কখনও দেখিনি। খবর পেয়ে দেখতে আসলাম। মেলায় আসতে পেরে খুব খুশি লাগছে। প্রতি বছর এমন মেলা হলে ভাল হয়।ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনও চাই প্রতি বছর মেলা হক। খুশি তিনিও। তবে পিঠার নাম বলতে পারেনি মেলায় আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের অনেকে।




মেহেরপুরে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের উদ্যোগে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিনামূল্যে হুইল চেয়ার, ট্রাই-সাইকেল, টয়লেট চেয়ার, ওয়াকার এবং কর্ণার চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।

প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা তুলসী কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশাদুল ইসলাম।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের পরামর্শক ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. মো. আব্দুল হাই।

অনুষ্ঠানে ৮৯টি হুইল চেয়ার, ৮টি ট্রাই-সাইকেল, ৫টি টয়লেট চেয়ার, ৫টি ওয়াকার এবং ২টি কর্ণার চেয়ার বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুরে কারুপণ্য মেলা ও পিঠা উৎসব

“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মেহেরপুরে উদযাপিত হয়েছে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে তারুণ্যের ভাবনায় নতুন বাংলাদেশ শীর্ষক কারুপণ্য মেলা, পিঠা উৎসব, পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩ টায় মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খায়রুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বুড়িপোতা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যাপক মোঃ আরিফ হোসেন তালুকদার, উপজেলা পাট বীজ কর্মকর্তা মোঃ ইমান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, আব্দির রশিদ, বজলুর রহমান, চাঁদ আলী, দুলাল উদ্দিন, আয়ুব আলী, হেকমত আলী, লিয়াকত আলী ও আবুল কাসেম।

অনুষ্ঠানের শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বুড়িপোতা ইউনিয়নের সচিব সানেয়ার হোসেন।




কালীগঞ্জে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হিরো উইমেন স্কলারশিপ প্রদান

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জে গরীব ও মেধাবী নারী শিক্ষার্থীদের জন্য হিরো উইমেন স্কলারশিপ প্রদান করা হয়েছে। বিকশিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, কালীগঞ্জ ইয়ুথ এগেইনস্ট হাঙ্গার এবং বিকশিত নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে সুনিকেতন সেমিনার কক্ষে এই স্কলারশিপ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিদৌরা আক্তার। আরও উপস্থিত ছিলেন ফাইজুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান, শহীদ নুরআলী কলেজের সহকারী অধ্যাপক রওশন কবির, মোস্তবাপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার, গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রওশন আফরোজ, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের প্রোগ্রাম অফিসার শাহজাহান আলী বিপাশ, বিএনএসকেএসের সভানেত্রী মনোয়ারা খাতুন এবং ইয়ুথ এগেইনস্ট হাঙ্গারের সহ-সভাপতি শেখ সাদি ও সম্পাদক তানভীর হোসেন মুন্না।

এই স্কলারশিপের আওতায় কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৮ জন নারী শিক্ষার্থীকে মাসিক ৪০০ টাকা করে তিন মাসের জন্য মোট ১,২০০ টাকা এবং কলেজ পর্যায়ের ২২ জন নারী শিক্ষার্থীকে মাসিক ৫০০ টাকা করে তিন মাসের জন্য মোট ১,৫০০ টাকা প্রদান করা হয়।




ফ্রুটিং ব্যাগে ঝিনাইদহে কলা চাষে নতুন সম্ভাবনা

ঝিনাইদহে প্রচুর পরিমাণে কলা উৎপাদিত হয়। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে জেলায় কলার আবাদ হয় ৫ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে। অন্যান্য আবাদের চেয়ে কলা চাষে কৃষকদের কম পরিশ্রম করতে হয়। ঝড় ও কীটপতঙ্গের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে কলা একটি লাভজনক আবাদ।

শীতকালে কলার কাধীতে মশা ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ বেশি আক্রমণ করে। ফলে কলার গায়ে স্পট তৈরি হয়, পাকলেও কলার মধ্যে শক্ত হয়ে থাকে। কীট পতঙ্গের হাত থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। যেটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সম্প্রতি ঝিনাইদহে রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন (আরআরএফ) ও কেমোনিক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের দুটি এনজিও’র সহায়তায় নিরাপদ কলা আবাদ শুরু হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, যশোর সদর ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার এক হাজার কৃষককে নিরাপদ কলা চাষের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে উন্নতমানের টিস্যুকালচার চারা। বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে ১০ হাজার ফ্রুটিং ব্যাগ। কলাকে কীট-পতঙ্গ ও মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কীটনাশকের পরিবর্তে ফ্রুট ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক নন্দ দুলাল কবিরাজ এনজিও দুটির সহায়তায় প্রায় দুইবিঘা জমিতে কলার আবাদ করেছেন। তার ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায় কাধী আসা কলাতে ফ্রুট ব্যাগ পরানো হয়েছে। তিনি বলেন, ফ্রুট ব্যাগ ব্যবহারের ফলে মশা ও কীটনাশকের আক্রমণ থেকে কলা রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে না। কলা এমনিতেই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। তারপরেও এই কলা আরও নিরাপদ। দেশের বিভিন্ন সুপারশপেও এই কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

নন্দ দুলাল কবিরাজকে দেখে একই গ্রামের পরিমল কবিরাজও কলায় ফ্রুট ব্যাগ ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে খরচ কম ও মানসম্পন্ন কলা উৎপাদন করা সহজ। কলাচাষী শরিফুল ইসলাম বলেন, আরআরএফ থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কলার ফ্রুট ব্যাগ পেয়ে, বর্তমানে আগের তুলনায় বেশি লাভবান হচ্ছি।

প্রকল্পের ফোকাল পার্সন কৃষিবিদ ড. অসিত বরণ মন্ডল বলেন, নিরাপদ কলা উৎপাদন ও বিপণন সম্পর্কিত প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা কলাচাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছি যার মাধ্যমে টিস্যু কালচারের চারার ব্যবহার, সুষম সার প্রয়োগ, কলার ফ্রুটিং ব্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে এবং কলাচাষিরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং মান সম্মত কলা ভোক্তাদের নিকট পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নূর এ নবী বলেন, ব্রিটল পোকার আক্রমণ, মশার আক্রমণ ও বাতাশে বিভিন্ন জীবানু থাকে সেটা কলার সাথে মিশে কলা নষ্ট হয়ে যায়। যেকারণে কৃষক কীটনাশক স্প্রে করে। সেক্ষেত্রে ফ্রুটিং ব্যাগ ব্যবহার করলে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষাসহ কীটনাশক ব্যবহার করা লাগে না। ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য নিরাপদ কলা উৎপাদিত হয়। বাজারে নিরাপদ কলার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চাষিরা এই পদ্ধতিতে চাষ করলে বেশি লাভবান হবে।




কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ওষুধ তৈরিতে বিপ্লব

ক্যানসার, হৃদরোগ এবং স্নায়বিক অবক্ষয়সহ বিভিন্ন গুরুতর রোগের চিকিৎসায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের পথে হাঁটছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইসোমরফিক ল্যাবস এআই ব্যবহার করে নতুন একটি ওষুধ আবিষ্কার করেছে, যার পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে এ বছরের শেষ দিকে। সম্প্রতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ডেমিস হাসাবিস।

 

২১ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে এক সাক্ষাৎকারে ডেমিস হাসাবিস বলেন, ‘আমরা ক্যানসার, হৃদরোগ এবং স্নায়বিক অবক্ষয়ের মতো বড় রোগগুলোর দিকে নজর দিচ্ছি। এ বছরের শেষের দিকে আমাদের প্রথম ওষুধ হাতে পাওয়ার আশা করছি।’

আইসোমরফিক ল্যাবসের লক্ষ্য ওষুধ আবিষ্কারের দীর্ঘ প্রক্রিয়াকে সংক্ষিপ্ত করা। সাধারণত একটি ওষুধ তৈরিতে পাঁচ থেকে দশ বছর সময় লাগে। কিন্তু এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ সময় দশগুণ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন হাসাবিস। এটি শুধু সময়ই নয়, ওষুধ তৈরির ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে পারবে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হবে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

এআই-এর হাত ধরে কার্যকারিতা বৃদ্ধি

আইসোমরফিক ল্যাবস মূলত গুগলের এআই গবেষণা শাখা ডিপমাইন্ড থেকে আলাদা হয়ে ২০২১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল। তবে এটি এখনো অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করছে। ওষুধ তৈরির কার্যকারিতা বাড়াতে এবং খরচ কমাতে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে এলি লিলি এবং নোভার্টিসের মতো বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে ছয়টি প্রকল্পে কাজ করছে।

 

ডেমিস হাসাবিস আরও জানান, কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (Artificial general Intelligence-AGI) নির্মাণই ডিপমাইন্ডের চূড়ান্ত লক্ষ্য। এ প্রযুক্তি মানব মস্তিষ্কের মতো সব বৌদ্ধিক সক্ষমতা প্রদর্শনে সক্ষম হবে। যদিও এটি তৈরি হতে আরও পাঁচ থেকে দশ বছর সময় লাগতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক ভবিষ্যতের কল্পনা করছি, যেখানে কয়েক বিলিয়ন এআই এজেন্ট গ্রাহক এবং বিক্রেতার পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে কাজ করবে।’

নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা

তবে এআইয়ের দ্রুত বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এর সম্ভাব্য ঝুঁকিও সামনে আসছে। হাসাবিস সতর্ক করে বলেন, এআই প্রযুক্তি যদি ভুল মানুষের হাতে পড়ে বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে এটি মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই প্রযুক্তির সঠিক নিয়ন্ত্রণ এবং এর ব্যবহার নিরাপদভাবে নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

ডেমিস হাসাবিস মনে করেন, এআই প্রযুক্তি বিকাশকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আরও সমন্বয় থাকা প্রয়োজন, বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির ক্ষেত্রে। প্রযুক্তি যেন মানবকল্যাণের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেটি নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

স্বাস্থ্য খাতে বিপ্লবের দুয়ার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ওষুধ তৈরির সময় এবং ব্যয় কমানোর উদ্যোগ জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে। ডেমিস হাসাবিসের নেতৃত্বে আইসোমরফিক ল্যাবস এমন একটি ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে, যেখানে কঠিন রোগগুলোর সমাধান আগের চেয়ে অনেক সহজ এবং কার্যকর হবে। এআই প্রযুক্তির এ ব্যবহার মানবজাতির জন্য এক আশার আলো, যা কোটি কোটি মানুষের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

সূত্র: যুগান্তর




মুজিবনগরে ভূমি সেবা বিষয়ক সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে”এসো দেশ বদলাই,পৃথিবী বদলাই”এই স্লোগানে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তরুণ প্রজন্মকে ভূমি সেবার ধারণা প্রদানের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের আয়োজনে,উপজেল পরিষদ মিলনায়তনে ভূমি সেবা বিষয়ক সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেমিনার ও পুলিশ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান,উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ হাসান, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান।

সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও তরুণেরা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে তরুণপ্রজন্ম ও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ভূমিসেবা বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয় এবং ভূমি সেবার উপর কুইজ অনুষ্ঠিত হয়। কুইজে বিজয়ীদেরকে পুরস্কৃত করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক রোজিনা খাতুন ও তাজুল ইসলাম, কম্পিউটার অপারেটর রবিউল ইসলাম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।