চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা

ঝিনাইদহ জেলার অন্যতম প্রধান সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল। চিকিৎসক ও শয্যা সংকট, চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত ওষুধ সুবিধা না পাওয়া, দালালদের দৌরাত্ম, পরীক্ষা নীরিক্ষার অপ্রতুল ব্যবস্থাসহ নানা সংকটে ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা।

২৫০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হলেও উপায়ন্তর না পেয়ে ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আবার এই জনবলের বেশিরভাগ পদ শূন্য। ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।

সরেজমিন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গেলে এ রকম অসংখ্য অভিযোগ করেন সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা। সরেজমিনে গিয়ে চিকিৎসক ও জনবল সংকটের সত্যতা পাওয়া যায়। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে ধারণ ক্ষমতার প্রায় চারগুন রোগী ভর্তি হওয়ার কারণে রোগীদের ঠাঁই নিতে হয়েছে মেঝেতে ও বারান্দায়। ডায়রিয়া, পেটব্যাথা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, মারামারি, গর্ভকালীন জটিলতা, প্রচন্ড শীতে ঠান্ডা, কাশিসহ নানান রোগে আক্রান্ত রোগীদের চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারাদিনে মাত্র একবার চিকিৎসকের দেখা মেলে। দুপুর ২টার পর হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ছাড়া পরের দিন সকালে ডাক্তার ভিজিটের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ওয়ার্ডে কোনও চিকিৎসকের দেখা মেলে না। এমনকি কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলেও তার রিপোর্ট দেখাতে হলে রোগীকে ভর্তির পর ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।

অন্যদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জন্য স্বল্প মূল্যে সরকারিভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও জনবল সংকটের কারণে দুপুর ১টার পর থেকে হাসপাতালে আর কোনো পরীক্ষা করানো যায় না। তাই বাধ্য হয়েই দুই থেকে তিনগুণ বেশি টাকা খরচ করে বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হয় রোগীদের। ওয়ার্ডের শয্যা সংকট, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শৌচাগার নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছেন রোগীরা।

রোগীর স্বজনদের ভাষ্যমতে, গুরুত্বপূর্ণ দামি কোন ইনজেকশন, ওষুধ, লিলেন সামগ্রী, ও গজ, ব্যান্ডেজ রোগীদের দেওয়া হয়না। কম দামের দুয়েকটা ওষুধ ছাড়া বাকী সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। এদিকে বাড়তি ভোগান্তিতে যোগ হয়েছে চিকিৎসকের কক্ষের সামনে বিক্রয় প্রতিনিধিদের জটলা। তবে এ দৃশ্য কেবল সদর হাসপাতালেই নয় শহরের সকল প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারেও লেগে থাকে এসব বিক্রয় প্রতিনিধিদের ভীড়। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার ছুটির দিনের অজুহাতে চিকিৎসকরা ঠিকমতো ভিজিট করেন না। প্রতি রাতে কয়েকজন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করলেও সব ওয়ার্ডে তারা যাননা।

আবার কেউ কেউ করলেও দায়সারাভাবে রোগী দেখেন। তাই রাতে রোগীদের ভরসা হিসেবে থাকেন ওয়ার্ডবয় ও নার্সরা। কোন সমস্যা হলেই নার্সদের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়। অপরদিকে জরুরি বিভাগে একজন চিকিৎসক থাকলেও তিনি হিমশিম খান রোগী সামলাতে।

সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা মাসুম, অপু, মেহেদী হাসান বলেন, হাসপাতালে প্রথমে এসে টিকিট কাটতে হয়। টিকিট কাটতে হলে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাইনে দাঁড়াতে হয়। এরপর চিকিৎসকের কক্ষের সামনে অপেক্ষায় থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘন্টা। অন্য চিকিৎসকের কাছে রেফার্ড করলে সেখানেও লাইন ধরে অপেক্ষায় থাকতে হয়। আবার রোগ নির্ণয়ে টেষ্ট করাতে হলে সেখানেও টাকা জমা দেয়ার লাইনে থাকতে হয় কয়েক ঘণ্টা। টেস্ট স্যাম্পলও দিতে হয় দীর্ঘ সময় লাইনে অপেক্ষায় থেকে।

চিকিৎসা নিতে আসা আরাপপুরের রবিন বলেন, এই হাসপাতালে দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। জরুরি বিভাগে ডিপ্লোমা করা ইন্টার্নদের দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। একটু জটিল রোগী হলেই রেফার করা হয় ঢাকা কিংবা ফরিদপুরে।

হাসপাতাল অপরিচ্ছন্ন উল্লেখ করে গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘হাসপাতালের শৌচাগারে যাওয়া যায় না, একেবারে অপরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধময়।

তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, জনবল ও শয্যা সংকটের কারণে সমস্যার সৃষ্টি হলেও তারা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সাধ্যমতো কাজ করছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে ৬৪ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪১জন। এছাড়া সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ১৩টি, মিডওয়াইফ পদে ৬টি, স্টাফ নার্স পদে ২টি এবং অকুপেশনাল থেরাপিস্ট পদে একটিসহ মোট ৭৭টি শূন্যপদ রয়েছে। সূত্রমতে, প্রতিদিন ইনডারে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীকে সেবা দিতে হয়। এ ছাড়া আউটডোরে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ রোগী চিকিৎসা নেন।

এদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে কাগজে কলমে হেলথ এডুকেটর আলমগীর হোসেন, ডা. মোঃ ওহিদুজ্জামান, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী), ডা. মো: আব্দুল কাদের, জুনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি, আইএমও ডা. মো: এ কে এম সুয়াজেত হোসেনের পদায়ন হলেও মূলত তারা যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে সংযুক্ত আছেন। যে কারণে রোগীদের চিকিৎসা সেবার সংকট আরও বেড়েছে। ফলে ওই দুইটি বিভাগের রোগীরা সব থেকে বেশি বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে। তবে জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের চিকিৎসক এবং জনবল নির্দিষ্ট পদের থেকে কম। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে যদিও হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও সাধ্যমতো সেবা দিতে চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, নতুন দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালটিকে সেবামুখী করার লক্ষ্যে নানাবিধ উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ, দালালমুক্ত, খাবারের মানোন্নয়ন, হাসপাতাল প্রাঙ্গন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনে কাজ করে যাচ্ছি।




টাকা দেয়নি রাজশাহী, বিসিবির কাছে অভিযোগ বিদেশি ক্রিকেটারের

রাজশাহীর দুঃসময় যেন কাটছেই না। দিনকয়েক আগে ক্রিকেটাররা অনুশীলন বয়কট করেছিলেন চুক্তির অর্থ পাননি বলে। এরপর তারা মাঠে ফিরেছেন আবার। তবে এবার আর বয়কট নয়, সরাসরি বিসিবির কাছে অভিযোগ করে বসলেন শ্রী লঙ্কান ক্রিকেটার লাহিরু সামারাকুন, তার অভিযোগ, রাজশাহী কর্তৃপক্ষ এখনও তার টাকা দেয়নি।

চলমান বিপিএলে দুর্বার রাজশাহী এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে মাত্র ৩টি জয় ও ৬টি হারের মাধ্যমে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে। এর মধ্যে সামারাকুন রাজশাহীর হয়ে খেলেছেন একটি ম্যাচ।

 

সামারাকুন তার বকেয়া অর্থ নিয়ে বিসিবির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছেন। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সামারাকুন হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে বিসিবি কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। বিসিবি জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এ ধরনের অভিযোগ পাচ্ছে এবং বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে দেখছে।

রাজশাহীর অর্থপ্রদানের ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। দলের স্থানীয় খেলোয়াড়রা তাদের বকেয়া পারিশ্রমিকের দাবিতে চট্টগ্রামে প্রথম অনুশীলন সেশন বয়কট করেন। এমনকি তারা পরিস্থিতির সমাধান না হলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করার হুমকিও দিয়েছিলেন।

শেষ পর্যন্ত ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে খেলোয়াড়দের বকেয়া বেতনের ২৫ শতাংশ নগদ এবং আরও ২৫ শতাংশ চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। তবে সামারাকুনসহ কিছু বিদেশি খেলোয়াড় এখনও তাদের পাওনা অর্থ পাননি বলে জানা গেছে।

সামারাকুনের চুক্তির মোট মূল্য ছিল ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। পুরো বিপিএল জুড়ে তিনি রাজশাহীর হয়ে চুক্তিবদ্ধ থাকলেও অর্থপ্রাপ্তি নিয়ে তার অভিযোগ বিপিএলের ব্যবস্থাপনা এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আর্থিক দায়বদ্ধতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

মেহেরপুরে তারুণের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব ১৭ বালক বালিকা উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা স্টেডিয়াম এ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষাও আইসিটি) মোঃ রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।বি শেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার পিপিএম মাকসুদা আকতার খানম।

জেলা ক্রীড়া অফিসার আরিফ আহমেদের সঞ্চালনায় এছাড়াও এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হযরত আলী, গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মোঃ মোজাফফর খানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট

মেহেরপুরে তারুণের উৎসব ২০২৫ উদযাপন ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল চারটার দিকে অনুষ্ঠানে আয়োজনে মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ চক্করে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট খেলা আয়োজন করা হয়েছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রনি আলম নূর, প্রকল্প বাস্তবায়নে সাইদুর রহমান এর সঞ্চালনায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমান ওয়াহেদ হাসান, সহ-শিক্ষক ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে পিঠা উৎসব ও কারুপণ্য মেলা

বাঙালি সংস্কৃতিতে শীত ঋতু বিশেষ ভূমিকা জুড়ে আছে। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাসে তৈরি হয় নানান জাতের পিঠা। এই পিঠাই চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর সাথে ছিল হারিয়ে যাওয়া কারুপণ্য।

আবহামান কাল ধরে গ্রামবাংলার মানুষের ঐতিহ্যেও এই নানাজাতের ঐতিহ্যবাহী পিঠা আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে। যান্ত্রিক জীবনে নতুন প্রজন্ম জানে না বাঙালিয়ানা অনেক পিঠার নাম। দিনভর নানা বয়সী মানুষের পদচারনায় মুখরিত ছিল উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মেলা প্রাঙ্গণ। বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে মেলে ধরতে গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল সোমবার দিনব্যাপি আয়োজন করা হয়েছে পিঠা উৎসব ও কারুপণ্য মেলা। গতকাল আজ সোমবার গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব-২০২৫। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তরুণ উদ্দ্যেক্তা, প্রতিষ্ঠান এই পিঠা উৎসবের অংশ নেন।

গ্রামীণ এই ঐতিহ্যকে আরও সুন্দর করে তুলতে আয়োজনের সঙ্গে ছিল হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী গ্রাম্য লোকজ কারুপণ্য। কারুপণ্য আর পিঠা নিয়ে স্টল বসেছিল ২০টি। দিনব্যাপি মেলাতে ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, তারা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, কলা পিঠা, মালপোয়া, দুধ চিতই পিঠা, পুলি পিঠা (ভাপা), জামাই পিঠা সহ আরও হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছিল উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি এই উৎসবের স্টলগুলোতে গ্রামীণ নকশী কাঁথার প্রদর্শন ছিল দর্শনার্থীদের কাছে আলাদা মাত্রা। এছাড়াও হারিয়ে যাওয়া হারিকেন, হুকু, হাঁড়ি-পাতিল রাখার সিঁকি, দাঁড়িপাল্লা, খেয়া জাল, মাতাল, বিড়িতে আগুন দেওয়ার পুয়ালের তৈরী বুন্দা, পুরানো টর্চলাইট, কুপি বাতি, হারিকেন, টেপরেকোর্ডার, খড়ম, ঢেঁকি, মাছ ধরার বিত্তি, দাঁড়িডাল্লা, বাটখারাসহ নানা রকম জীবন থেকে হারিয়ে পণ্যের পসরা প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া স্টলগুলোতে শোভা পাচ্ছিল, গ্রামীণ ঐতিহ্যের নানা ধরণের পোশাক, বাঁশ বেতের তৈরী কুলা ডালা, শরপস, সের ধামা ছাড়াও ছিল দেশীয় ছাগল, ভোকরা, গিনিপিক, খোরগোস, কবুতরসহ নানা জাতের প্রাণী। গ্রাম-বাংলার বিলুপ্তপ্রায় লোকজ খাবার ধরে রাখা ও নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এমন উৎসবের আয়োজন জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা। তিনি আরও বলেন, পুরানো ঐতিহ্য তুলে ধরার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে জানান দেয়াটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম আমাদেও পুরানো ঐতিহ্য সমন্ধে একটা ধারণা পাবে। এর আগে শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে ও ফিতা কেটে দিনব্যাপি এই পিঠা ও কারুপণ্যে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।

এসময় গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক, কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান মুহা. আলম হুসাইন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মনসুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আসাদুজ্জামান আসাদ, গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নাসিমা খাতুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মাসুম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব মুজাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তারুণ্যের উৎসবে ২০২৫ উৎযাপন উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলা পরিষদ চত্তর থেকে শুরু হয়ে হাসপাতাল চত্তর ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

উৎসবে অংশ নেয়া ডাক্তার তাসনােভা মুর্শেদ জানান,প্রতি শীত মৌসুমে এ ধরণের উৎসব করলে,পুরানো ঐতিহ্য আবার নতুন করে চাঙা দেবে। ফলে নতুন প্রজন্ম নতুন নতুন ধারণা পাবে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে নানা প্রকার পিঠার পসরা সাজিয়ে রাখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি এউৎসবে নকশী কাঁথা স্টলের মাধ্যমে প্রদর্শন ছিল আয়ােজনের আলাদা মাত্রা। এছাড়াও হারিয়ে যেতে বসা হারিকেন, হুকু, বোন্দা, হাঁড়ি-পাতিল রাখার সিঁকিসহ নানা রকম পণ্যের পসরা প্রদর্শন করা হয়। গাংনী উপজেলা প্রশাসন এ উৎসবের আয়োজন করে।

উৎসবে অংশ নেয়া ডাক্তার তাসনােভা মুর্শেদ জানান,প্রতি শীত মৌসুমে এ ধরণের উৎসব করলে,পুরোনো ঐতিহ্য আবার নতুন করে চাঙা দেবে। ফলে নতুন প্রজন্ম নতুন নতুন ধারণা পাবে। পিঠা ও কারুপণ্য প্রদর্শিত স্টল পরিদর্শনে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা তার প্রতিক্রিয়ায় জানান,পুরােনাে ঐতিহ্য এভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে জানান দেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ থেকে নতুন প্রজন্ম অনেকটা শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পেলো।




গাংনীতে বিএনপির যৌথ কর্মী সভা

দেশ সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্ব করা যাবেনা। চলতি বছরের ৫ আগ্স্টে জাতীয় নির্বাচন দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবী করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

 

গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি আয়োজিত যৌথ কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, সৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে কাঁটাতারের বেড়া ধরে দাড়িয়ে আছেন এবং দেশে বিশৃঙ্খলা সৃস্টি করার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৭ বছরের নির্যাতন সহ্য করা মানুষ একটু সস্তিতে কথা বলতে পারছেন স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছেন। আমরা সে সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইনা। মেহেরপুরের বিএনপিকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন,২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি রক্ত পিপাসী শেখ হাসিনা। সে তার হাতের আঙ্গুলির হেলানিতে দেশে একত্ববাদ কায়েম করেছেন। দেশে কারও তোয়াক্কা করেনি। আগের সেই সেনাবাহিনী সৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের সহযোগীতা করে দেশ উদ্ধার করে বিপদগ্রস্ত মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। হাজারও তরুনের রক্তের বিনিময়ে দেশের মানুষ যে সুযোগটুকু পেয়েছে তা হাতছাড়া হয়ে গেলে বিএনপি আবারও দশ বছর পিছিয়ে পড়বে।

 

তিনি আরও বলেন, আগস্টের পরে এক শ্রেনীর সুযোগ সন্ধানীরা লুটপাট চালিয়ে দলের মান ক্ষুণ্ণ করেছেন, দল তাদের চিহ্নিত করেছে। বিএনপি লুটপাট রাজনীতি বিশ্বাস করেনা। দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ কারীদের দমাতে এবং দলে বিভেদ সৃস্টি কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে দেশ নায়ক তারেক রহমান। দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ কারীদের বিরুদ্ধেও কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে বলেও জানান তিনি। জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন,শেখ মুজিবের পরিবার একটি সৈরাচারী পরিবার।

আন্তর্জাতিক মহলেও তাদের লুটপাটকারী পরিবার বলে চিহ্নিত হয়েছে। গাংনী কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে যৌথ কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভােকেট কামরুল হাসান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলাম ও ফয়েজ মােহাম্মদ। গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হােসেন মেঘলার সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা মুক্তিযােদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার শামসুল আলম সােনা, গাংনী পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনসারুল হক ইন্সু, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দাল হক, সাধারণ সম্পাদক গােলাম কাউছারসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

কর্মীসভায় বক্তারা বলেন, আগামীতে দেশকে ঢেলে সাজাতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যমতের মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। কর্মী সমাবেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কয়েক হাজার বিএনপিমনা মানুষ উপস্থিত হন।




গাংনীর মোহাম্মদপুর গ্রামে নবীনবরণ ও নবনির্মিত ভবন এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, এদেশে জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি, জামায়াতসহ ছোট বড় অনেক দল রয়েছে। তাদের ভিন্ন ভিন্ন মত ও আলোচনা থাকতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সর্বভৌমত্ব এবং জনগণের অধিকারের প্রশ্নে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সেই ঐক্যকে কোনোভাবে বিনষ্ট হতে দেওয়া যাবেনা।

গতকাল সোমবার বিকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মঠমুড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর ফার্স্ট চয়েজ মডার্ন স্কুল, হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃক আয়োজিত নবীনবরণ ও নবনির্মিত ভবন এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মোহাম্মদপুর ফার্স্ট চয়েজ মডার্ন স্কুল, হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার চেয়ারম্যান রাশেদ গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ২ (গাংনী) আসনের সাবেক এমপি মোঃ আমজাদ হোসেন, আল্লামা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামীম সাঈদী, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অর্পনা রায় দাস প্রান্তি, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগাঠনিক সম্পাদক ইছাহাক সরকার, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক আরও বলেন, “বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে খুনি হাসিনা সরকার অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছিল। তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্ছিত করার ফলে তিনি শারীরিকভাবে শংকটাপন্ন হয়ে পড়েছিলেন।

 

বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সুস্থ্য হয়ে দেশে ফিরে আবারও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীকে মিথ্যা অপবাদ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে চিকিৎসা বঞ্চিত করে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েস্বর চন্দ্র রায়কে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। খুনি হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে এবং জনগণের অধিকারকে বিশ্বাস করেনা। তারা আওয়ামীলীগের বাইরে যারা রয়েছে ,তাদেরকে মানুষ মনে করেনা, দাশ মনে করে, প্রজা মনে করে। তারা এই দেশটাকে তাদের বাবার সম্পত্তি মনে করে। তারা যা বলবে সেটাই মেনে নিতে হবে। এই দেশের অর্থ সম্পদ তাদের বাবার সম্পত্তি। সেটা যেভাবে ইচ্ছে ব্যবহার করবে, লুটপাট করে বিদেশে পাচার করবে। হাসিনার আমলের লুটপাট, জনগণের উপর অন্যায় অত্যাচার জুলুমের ফিরিস্তি তুলে ধরতে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লাগবে। তিনি বলেন, খুনি হাসিনার পরিবারের সদস্যদের এখন বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়া যাচ্ছে। এদেশে দূর্ণীতি করে সম্পত্তি লুটপাট করে নিয়ে গেছে। লুটপাটের সেই সম্পত্তি থাকলে আজ বাংলাদেশে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব হতো। এদেশের গ্রামীণ জনপদ আজ পিছিয়ে পড়া জনপদ থাকতো না। বাংলাদেশের দারিদ্রতা, অর্থকষ্ট ও অভাব দুর করা যেতো। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থ সম্পদ বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়তে চাই। এটাই আমাদের ওয়াদা এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক বলেন, ঐক্যের প্রতিক বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ঐক্যের প্রতীক হয়ে সকল দলমত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে এক করার ক্ষেত্রে যে পথ রচনা করেছিলেন সেই ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগষ্ট বিপ্লব হয়েছে। জুলাই আগষ্টের গণঅভ্যুথানের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছি, তরুণ প্রজন্মের একজন প্রতিনিধি হিসেবে বলবো, তারেক রহমান দেশ গড়ার যে ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন, বিএনপির সেই কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ইশরাক আরও বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে খুনি হাসিনা সরকার, রাস্ট্রের মালিকানা জনগণের একটি করে ভোট, খুনি হাসিনা জনগণের সেই ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। শুধু ভোটাধিকার কেড়ে নেইনি, জুলাই আগস্টে তারা একটি গণহত্যা চালিয়েছে। যেখানে অন্তসত্তা নারীদেরও গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে ৮ বছর বয়সি শিশুদেরও হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মাটিতে এই খুনি হাসিনার দৃষ্টান্তমুলক বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি হোক আমরা সেটা চাই।

 

খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে মাটিতে ফিরিয়ে এনে তাকে বিচার করে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে। সেটি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যারা রাজনীতি করি তারা রাজপথে থাকবো। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই আমাদের পার্শ্ববর্তি দেশ ভারত এদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ভারত যে আগ্রাসন চালিয়ে আসছে সেই আগ্রাসন রুখে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপি, জামায়াতসহ ছোট বড় অনেক দলের ভিন্ন ভিন্ন মত ও আলোচনা থাকতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সর্বভৌমত্ব এবং জনগণের অধিকারের প্রশ্নে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সেই ঐক্যকে কোনোভাবে বিনষ্ট হতে দেওয়া যাবেনা তিনি আরও বলেন, আমি রাজনীতি শুরু থেকেই সাধারণ জনগণের উপর খুনি হাসিনার অন্যায়, অত্যাচার, জুলমের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি।

কোনোদিন খুনি হাসিনা ও তার দোষরদের কাছে আত্মসম্পর্ণ করিনি। এসময় তিনি জুলাই আগষ্টের সংগঠিত গণহত্যায় শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। পরে একটি মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট বক্তা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবির বিন সামাদ। অনুষ্ঠানে এলাকার হাজার হাজার নারী পুরুষ যোগদান করেন।




মুজিবনগরে আন্ত: ইউনিয়ন ফুটবল টূর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের মুজিবনগরে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫, উৎযাপনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অনুর্ধ ১৭ আন্ত: ইউনিয়ন ফুটবল টূর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলায় মোনাখালী ইউনিয়ন একাদশ উপজেলা চাম্পিয়ন গৌরব অর্জন করে। মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, গৌরিনগর খেলার মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল সোমবার বিকালে হাড্ডাহাড্ডি ফাইনাল খেলার মধ্যে দিয়ে বাগোয়ান ইউনিয়ন একাদশকে ১-০ গোলে পরাজিত করে মোনাখালী ইউনিয়ন একাদশ বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। গতকাল সোমবার দিনব্যাপী খেলায় উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের খেলোয়ার অংশগ্রহন করেন। প্রথম রাউন্ডে একদিকে মোনাখালী ইউনিয়ন একাদশ ও মহাজনপুর ইউনিয়ন একাদশ অংশগ্রহন করেন।

৪০ মিনিটের খেলায় গোল শূন্য ড্র হওয়ায় ট্রাইবেকার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ট্রাইবেকারে মহাজনপুর ইউনিয়ন একাদশকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে মোনাখালী ইউনিয়ন একাদশ ফাইনালে উন্নতি হয়। অন্যদিকে দারিয়াপুর ইউনিয়ন একাদশকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে বাগোয়ান ইউনিয়ন একাদশ ফাইনাল খেলার গৌরব অর্জন করে।

দুপুরের বিরতির পর বিকালে বাগোয়ান ইউনিয়ন একাদশ ও মোনাখালী ইউনিয়ন একাদশ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাটি মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল,মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান,উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রকিব উদ্দীন,মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হাসান মুস্তাফিজুর রহমানসহ উৎসুক জনতা খেলাটি উপভোগ করেন।

খেলাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনকৃত ২য় শ্রেনীর রেফারী সোহেল রানা। খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজিত দলের হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়।




মেহেরপুরে শহীদ তারিক সাইফুল ইসলামের শাহাদাত বার্ষিক পালন

শহীদ তারিক মোঃ সাইফুল ইসলামের ১১ তম শাহাদাত বার্ষিক উপলক্ষে মেহেরপুরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তারিক তাওহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোঃ তাজউদ্দিন খান।

পৌর আমীর সোহেল রানা ডলারের সঞ্চালনার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারী ইকবাল হোসাইন, জেলা সমাজ কল্যাণ সেক্রেটারী মোহাম্মদ জারজিস হোসাইন, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারী কাজী রুহুল আমীন, সদর উপজেলা আমীর মোঃ সোহেল রানা, উপজেলা সেক্রেটারী মোহাম্মদ জাব্বারুল ইসলাম, মেহেরপুর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি আব্দুর রফউ মুকুল, মুজিবনগর উপজেলা আমীর মোঃ খান জাহান আলী, পৌর সেক্রেটারী মোঃ মনিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

আলোচনার পরে প্রধান সড়ক সোনালী ব্যাংকের সামনে প্রধান কার্যালয় শহীদ তারিক ট্রাস্ট উদ্বোধন করা হয়।




কোটচাঁদপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালিত

কোটচাঁদপুরে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমারে ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে দিবসটি পালন করেন কোটচাঁদপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবু বক্কর বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা একরামুল হক, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান খোকন, সাবেক কমিশনার শারাফত হোসেন পুটকে, পৌর যুব দলের সদস্য সচিব সেলিম রেজা মধু ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহানুর রহমান সাহান।

পরে ৮৯ তম জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন দলীয় নেতা- কর্মীরা। এরপর দোয়া অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পৌর ছাত্র দলের আহবায়ক বাঁধন রাজবীর (নিশু)।