আলমডাঙ্গায় বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত

আলমডাঙ্গায় বাল্যবিবাহ, যৌনহয়রানি, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে স্থানীয় প্রতিনিধিদের ভুমিকা শীর্ষক কিশোর কিশোরিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

গতকাল দুপুর ২টার দিকে ডাউকি ইউনিয়নের বক্সিপুর মাঝের পাড়ায় এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বক্সিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: আলীহিম।

প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি লোকমোর্চার সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম মন্টু, ডাউকি মহিলা উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী সাহিদা খাতুন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন কমিউনিটি অফিসার নুর মোহাম্মদ, সুপার ভাইজার রাজকুমার দাস।

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার ইসরাত জাহানের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন বক্সিপুর কিশোর ক্লাবের সভাপতি মারিয়া খাতুন, সম্পাদক রিমা খাতুন, কোষাধ্যক্ষ নুরুন্নাহার খাতুন, সুমানা খাতুন, সান্তনা খাতুন, রিতু খাতুন, প্রিয়া খাতুন, রিক্তি খাতুন, রিয়া খাতুন, সুমাইয়া খাতুন ও সুরাইয়া খাতুন প্রমুখ।

সভার পূর্বে পুষ্টি ক্যাম্প এবং আদর্শ খাবার রান্না প্রদর্শনি করা হয়েছে। শেষে সকলকে পুরস্কৃত করা হয়।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




আলমডাঙ্গায় রবী মৌশুমের বীজ বিতরনের উদ্বোধন করেন- এমপি ছেলুন

আলমডাঙ্গা কৃষি অফিসের উদ্যোগে রবী মৌশুমে ভুট্টা, সরিষা, শীতকালীন মুগ ও গ্রীস্মকালীন মুগ, সার, বীজ, বিতরনের উদ্বোধন করেন এমপি ছেলুন জোয়ার্দার।

গতকাল সকাল ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা কৃষি অফিস চত্তরে ভুট্টা,সরিষা, মুগ, সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিটন আলী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি খাতে ব্যাপক ভুর্তুকি দিচ্ছে। দেশ এখন খাদ্যে শয়ংসম্পূর্ণ। চাল যে পরিমাণ উৎপাদন হয়, তাতে নিজারা খেয়ে রপ্তানি করা যায়। বিএনপি, জামাত জোট দেশে পিয়াজ নিয়ে স্বড়যন্ত্র শুরু করেছে, তারা মনে করছে, কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে পেয়াজের মুল্য ২শ থেকে ২শত ৫০ টাকা কেজিতে নিয়ে গেছে, আমার অনুরোধ ঐ সব বিরোধিদের মুখে ঝামা ঘসে দিতে আপনারা অন্তত ১ মাস পিয়াজ খাওয়া বন্ধ করুন।

আজ আমরা আপনাদের প্রান্তিক কৃষক ভাইদের মাঝে বিনা মুল্যে সার, ভুট্টা, মুগ, সরিষার বীজ বিতরণ করলাম। এগুলো সঠিক ভাবে আবাদ করে আপনারা লাভবান হন, বাজারে চাহিদা মেটান।

উপজেলা সহকারি কৃষিঅফিসার খাদেমুল বাসারের উপস্থাপনায় স্বাগত ব্ক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাসান কাদীর গনু, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু, আবু তাহের আবু, পৌর কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা মতিয়ার রহমান ফারুক, সাইফুর রহমান পিন্টু, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক, আব্দুর রজ্জাক, হাফিজুর রহমান বাবলু।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল আলম, আব্দুর রফিক, খালেদ সাইফুল্লাহ, আব্দুল আলমতি, রফিকুল ইসলাম, নাজমুল হক, শামিম ইকবাল, রুপা আক্তারও রাহি খাতুন প্রমুখ। সভায় মোট ৫ হাজার ১শত ২০ জনকে বিনা মুল্যে সার, বীজ প্রদান করা হয়।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




গাংনীতে ২২ বিঘা জমি দখলের চেষ্টা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের সাত্তারের ছেলে আরিফ হোসেন, আনছার আলীর ছেলে সাজেদুল ইসলাম ও ভোলারদাড় গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে কালামের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন মিলে ২২বিঘা জমির দখলের চেষ্টায় কলাই কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার ভোরে সাজেদুল ও কালামের নেতৃত্বে ক্ষেতের কলাই কেটে নিয়ে গেছে বলে জানান ভুক্তোভোগি গাংনীর মৃত ইয়াকুব মোল্লার ছেলে জাকির হোসেন ও গাড়াডোব হঠাৎপাড়ার মৃত পাঞ্জাব আলি বিশ্বাসের ছেলে আবেদুল হক। আনুমানিক আড়াই লাখ টাকার ফসল কর্তন করে প্রতিপক্ষরা নিয়ে যায় বলে তারা অভিযোগ করেন।

উপজেলার বালিয়াঘাট, ব্রজপুর গ্রামের জনৈক মৃত রজব আলী, রহমান বিশ্বাস, হারেজ বিশ্বাসের নামে রামনগর মৌজায় তাদের নামীয় আর এস খতিয়ান ১৭২, ১২৮৩, ১৭৩ ও ৩৫২, আর এস দাগ নং ২৯৫৬, ৩২৭১, ২৯৫৮, ৩১৫৮ এই দাগে ৯ একর ১৪ শতক জমি হারেজ আলীর ওয়ারিশ ইনতাদুল হকের নামে প্রচলিত আছে বলে জানান ভুক্তোভোগিরা ।

ভুক্তোভোগি জাকির হোসেন জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে ফসল চাষ করলে উপজেলার রামনগর গ্রামের সাজেদুল ইসলাম ও কালামের নেতৃত্বে মোবারক মন্ডলের ছেলে আবুল কাশেম, আজিজুল ইসলামের ছেলে আমজাদ হোসেন, হামিদুল ইসলাম, আব্দুল সাত্তারের ছেলে আরিফ হোসেন, আফসার আলীর ছেলে নাজিমুদ্দিন চৌকিদার, মল্লিক মিয়ার ছেলে আফফান আলী, মনজেত কামারের ছেলে আব্দুল মান্নান, সমের আলীর ছেলে সমসের আলী, চাঁদ চৌকিদারের ছেলে আব্দুল বারী, ইয়াছিন আলীর ছেলে কামাল হোসেন, নিয়াত আলির ছেলে আব্দুল ছাত্তার ও তার ছেলে আশরাফুল ও আবদুল, কলিমদ্দিনের ছেলে আলমগীর, আবুল কাশেমের ছেলে রবকুল, আনছারের ছেলে সাজেদুল, মোফাজ্জেল মিয়ার ছেলে লাভলু, আফ্ফানের ছেলে কুদরত, শরিফুল ও ইনতাজ, খইমদ্দিনের ছেলে মন্টু, হাশেম আলির ছেলে লালন, আমজাদের ছেলে মামুর এবং শমসেরের ছেলে রুবেল প্রতিদিন রাতে ফসল তসরুপাত ও ফসল চুরি করে কেটে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদ করলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।

ভুক্তোভোগিরা আরও বলেন, আমাদের জমি সাজেদুল ও কালাম গংদের গ্রামে এবং বাড়ীর পাশে হওয়ায় প্রতিবার তারা জমির ফসল কর্তন ও জমির উপর নানা প্রকার অত্যাচার করেন। ফসল কাটার বিষয়টি নিষেধ করলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে বলে, এটা সরকারী খাস জমি এই জমিতে আসলে খবর আছে।

ফসল কর্তন ও জমির উপর নানা অত্যাচারের কারণে ইতিপৃর্বে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয় বলে জানান ভুক্তোভোগিরা। অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে নোটিশ করে বিষয় নিয়ে শুনানী ও তদন্ত হয়।

তদন্তে বিনিময় দলিল, ভিপি অবমুক্তিপত্র আর এস রেকর্ড আনুসাঙ্গীক কাগজপত্র বিবেচনা করে নালিশী জমিতে আরএস রেকর্ডীয় মালিকগণের স্বত্ত¦ বিদ্যমান থাকায় এ বিষয়ে গাংনী থানায় উভয় পক্ষে ৩শ’ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে আপোষ মিমাংসার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ১১জুলাই ২০১৯ইং তারিখে স্মারক নম্বর ০৫.৪৪.৫৭৪৭.০০০.০৪.০১৭.১৯- নিদের্শ দেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণু পদ পাল।

গাংনী থানার তৎকালীন ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার উভয় পক্ষকে গাংনী থানায় ৩শ’ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করত আপোষ মীমাংসায় কোন ধরণের ফসল কর্তন বা অত্যাচার করবে না মর্মে অংগীকারবদ্ধ করেন।
সে অঙ্গিকার ভঙ্গ করে সাজেদুল ও কালাম গংরা আবারও বৃহস্পতিবার ভোরে ২২বিঘা জমিতে থাকা কলাই ক্ষেত জোর করে কেটে নিয়ে গেছে।

এ ব্যপারে গাংনী থানায় অভিযোগ করলে ওসি ওবাইদুর রহমান উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিস করে ক্ষেতের কলাই ফেরত দেওয়ার জন্য সাজেদুল ও কালাম গংদের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনার পরও তারা ফসল এখন পর্যন্ত ফেরত দেয়নি বলে জানান ভুক্তোভোগিরা।
জানতে চাইলে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন, জমির মীমাংসার বিষয়ে অবগত নই। তবে আগের কর্মকর্তা যদি ফসল কর্তন বা ফসল তসরুপাত করবে না মর্মে আপোষ মীমাংসার নির্দেশ দিয়ে থাকে এবং আবারও যদি কেউ ফসল কর্তন করে তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-গাংনী প্রতিনিধি




আমতৈল মানিকদিয়া গ্রামের আহত আরফান বাকশক্তি ও দৃষ্টি শক্তিও হারাতে বসেছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আমতৈল মানিকদিয়া গ্রামে আহত আরফান বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছে বলে জানিয়েছে কুষ্টিয়া সরকারি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক।

তিনি রোগীর স্বজন উজ্জলকে আরও জানিয়েছেন তার ঘাড়ে ও গোপনাঙ্গের শীরাতে মারাত্মক আঘাত হওয়ার কারণে শুধু বাকশক্তিই নয় ধীরে ধীরে তার দৃষ্টি শক্তিও হারাতে পারে।
এর আগে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত আরফানের অবস্থার উন্নতি না হলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে একদিন রাখার পর চিকিৎসক আরফানের অবস্থার কোন ভাল খবর দিতে পারেনি।

গতকাল রবিবার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আরফানের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন বলে জানান আরফানের স্বজনরা।

গত শনিবার দু’পরিবারের শিশুদের ভুত ভুত খেলা নিয়ে বাকবিতর্কতা শুরু হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে ঐ গ্রামের সাইফুন মাঠ পাড়ার আবুল কালামের ছেলে আরফানকে আদম ও তার স্ত্রী কল্পনা এবং আদমের ছোটভাই কদম সহ পরিবারের আরও অনেকে বাঁশ রড ইট দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক ভাবে জখম করে।

এ দিকে আরফানের স্বজন উজ্জল সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে বলেন আরফানকে আহত করার পর তার স্ত্রী বেলি খাতুনকেও মেরে ফেলার জন্য খুজতে থাকে। যার ফলে বেলি খাতুন ঘটনার দিন গা ঢাকা দিয়ে রবিবার ভোরে তার স্বামীর কাছে চলে যায়।

-গাংনী প্রতিনিধি




মেহেরপুর জেলা যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার বিকালে মেহেরপুর পৌরসভার কালাচাঁদ মেমোরিয়াল হলে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহŸায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন, গাংনী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর আল মামুন, সদর উপজেলা আহবায়ক মিজানুজ্জামান অপু, যুবলীগ নেতা হাসানুজ্জামান হিলন, ইয়ানুস আলী, আবু শাকিল আঙ্গুর, খোকন, লাল্টু, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইসকেন্দার মাহমুদ বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম আলী স্বপন, বারাদি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিংকু মাহমুদ , সাধারণ সম্পাদক আলহামদু, আমঝুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম তারিক, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান মংলা, সাধারণ সম্পাদক বাবুল মল্লিক, মোনাখালি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খালেক, সাধারণ সম্পাদক শান্তি রাজ প্রমূখ। এসময় জেলা যুবলীগের ইউনিট প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৩শে নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও ১৯ শে নভেম্বর আনন্দ র‌্যালি উপলক্ষে জেলা যুবলীগের জরুরি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

-নিজেস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুরে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলাতে সারা দেশের ন্যায় প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৯ শুরু হয়েছে।

গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় মেহেরপুর জেলার মোট ৩৭ টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জেলায় এবার মোট ১১ হাজার ৫৩০ জন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং ৭৪৩ জন ইফতেদায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।

এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মেহেরপুর সদর উপজেলার ১৫ টি কেন্দ্রে ৪৩৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা নিচ্ছে ২০৮৭ জন ছাত্র এবং ২২৪৭ জন ছাত্রী, গাংনী উপজেলায় ২৬০০ জন ছাত্র ও ২৮৮৫ জন ছাত্রী, মুজিবনগর উপজেলায় ৭৯৯ জন ছাত্র ও ৯১২ জন ছাত্রী। এফতেদায়ী পরিক্ষায় জেলায় ৪৬৮ জন ছাত্র ও ২৭৫ জন ছাত্রী অংশগ্রহন করছে।

-নিজেস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুর পুলিশের মাসিক মাস্টার প্যারেড ও কল্যান সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশের মাসিক মাস্টার প্যারেড ও কল্যান সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার সকালে পুলিশ লাইন মাঠে জেলা পুলিশের মাসিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে পুলিশ লাইন সভা কক্ষে মাসিক কল্যান সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার হাসিবুল আলম, সদর থানার ওসি শাহ দারা খান, গাংনী ওসি ওবাইদুর রহমান সহ জেলা সকল পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

-নিজেস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুর রাজনগরে ফুটবল টুর্ণামেন্টে বর্শিবাড়িয়া ২ গোলে জয়ী

মেহেরপুর সদর উপজেলা রাজনগর গ্রামে সুখরঞ্জন ও বকুল রানী সরকার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে বর্শিবাড়িয়া ফুটবল একাদশ ২ গোলে জয়ী হয়েছে।

গতকাল রবিবার বিকালে রাজনগর স্কুল মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ৭০ মিনিটের খেলায় টান টান উত্তেজনায় বর্শিবাড়িয়া ফুটবল একাদশ ২-০ গোল করে দরবেশপুর নিরিবিলি স্পোর্টিং ক্লাব ফুটবল একাদশ দলকে পরাজিত করে।

খেলা শেষে ম্যান অব দা ম্যাচ ও সেরা গোলদাতা সহ তিন জনকে প্রাইজবন্ড দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। খেলাটি পরিচালনা করেন জহির উদ্দিন, ইমাদুল ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম।

খেলাটির সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন সুধাংশু মোহন সরকার ও শ্রমতি ভারতী রানী সরকার। এসময় যাদুখালি স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক মনোয়ার হোসেন আশাদুল, ইউপি সদস্য মোরশেদ কুলি ম্যাগ্যা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তি আলী, খেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম সহ খেলা দেখতে আসা হাজার হাজার দর্শক খেলাটি উপভোগ করেন।

-নিজেস্ব প্রতিনিধি




গাংনীতে জোর পূর্বক ২২ বিঘা জমির কলাই কেটে নেওয়ার অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে সাজেদুল ইসলাম ও ভোলারদাড় গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে কালামের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন মিলে কৃষকের ২২বিঘা জমির কলাই জোর পূর্বক কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে সাজেদুল ও কালামের নেতৃত্বে ক্ষেতের কলাই কেটে নিয়ে গেছে বলে জানান ভুক্তোভোগি গাংনীর মৃত ইয়াকুব মোল্লার ছেলে জাকির হোসেন ও গাড়াডোব হঠাৎপাড়ার মৃত পাঞ্জাব আলি বিশ্বাসের ছেলে আবেদুল হক।

আনুমানিক আড়াই লাখ টাকার ফসল কর্তন করে প্রতিপক্ষরা নিয়ে যায় বলে তারা অভিযোগ করেন।
উপজেলার বালিয়াঘাট,ব্রজপুর গ্রামের জনৈক মৃত রজব আলী,ও রহমান বিশ্বাস,হারেজ বিশ্বাসের নামে রামনগর মৌজায় তাদের নামীয় আর এস খতিয়ান ১৭২, ১২৮৩, ১৭৩ ও ৩৫২,আর এস দাগ নং ২৯৫৬, ৩২৭১, ২৯৫৮, ৩১৫৮ এই দাগে ৯ একর ১৪ শতক জমি হারেজ আলীর ওয়ারিশ ইনতাদুল হকের নামে প্রচলিত আছে বলে জানান ভুক্তোভোগিরা ।
ভুক্তোভোগি জাকির হোসেন জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে ফসল চাষ করলে

উপজেলার রামনগর গ্রামের সাজেদুল ইসলাম,ও কালামের নেতৃত্বে মোবারক মন্ডলের ছেলে আবুল কাশেম,আজিজুল ইসলামের ছেলে আমজাদ হোসেন,হামিদুল ইসলাম,আঃ সাত্তারের ছেলে আরিফহোসেন,আফসার আলীর ছেলে নাজিমুদ্দিন চৌকিদার, মল্লিক মিয়ার ছেলে আফফান আলী, মনজেত কামারের ছেলে আব্দুল মান্নান, সমের আলীর ছেলে সমসের আলী, চাঁদ চৌকিদারের ছেলে আব্দুল বারী, ইয়াছিন আলীর ছেলে কামাল হোসেন, নিয়াত আলির ছেলে আঃ ছাত্তার ও তার ছেলে আশরাফুল ও আবদুল, কলিমদ্দিনের ছেলে আলমগীর, আবুল কাশেমের ছেলে রবকুল, আনছারের ছেলে সাজেদুল, মোফাজ্জেল মিয়ার ছেলে লাভলু, আফ্ফানের ছেলে কুদরত, শরিফুল ও ইনতাজ, খইমদ্দিনের ছেলে মন্টু, হাশেম আলির ছেলে লালন, আমজাদের ছেলে মামুর এবং শমসেরের ছেলে রুবেল প্রতিদিন রাতে ফসল তসরুপাত ও ফসল চুরি করে কেটে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদ করলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।

ভুক্তোভোগিরা আরও বলেন, আমাদের জমি সাজেদুল ও কালাম গংদের গ্রামে এবং বাড়ীর পাশে হওয়ায় প্রতিবার তারা জমির ফসল কর্তন ও জমির উপর নানা প্রকার অত্যাচার করেন।

ফসল কাটার বিষয়টি নিষেধ করলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে বলে,এটা সরকারী খাস জমি এই জমিতে আসলে খবর আছে।

ফসল কর্তন ও জমির উপর নানা অত্যাচারের কারণে ইতিপৃর্বে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয় বলে জানান ভুক্তোভোগিরা। অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে নোটিশ করে বিষয় নিয়ে শুনানী ও তদন্ত হয়।

তদন্তে বিনিময় দলিল,ভিপি অবমুক্তিপত্র আর এস রেকর্ড আনুসাঙ্গীক কাগজপত্র বিবেচনা করে নালিশী জমিতে আরএস রেকর্ডীয় মালিকগণের স্বত্ত¦ বিদ্যমান থাকায় এ বিষয়ে গাংনী থানায় উভয় পক্ষে ৩শ’ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে আপোষ মিমাংসার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ১১জুলাই ২০১৯ইং তারিখে স্মারক নম্বর ০৫.৪৪.৫৭৪৭.০০০.০৪.০১৭.১৯- নিদের্শ দেন তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণু পদ পাল।

গাংনী থানার তৎকালীন ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার উভয় পক্ষকে গাংনী থানায় ৩শ’ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করত আপোষ মিমাংসায় কোন ধরণের ফসল কর্তন বা অত্যাচার করবেনা মর্মে অংগীকারবদ্ধ করেন।

সে অঙ্গিকার ভঙ্গ করে সাজেদুল ও কালাম গংরা আবারও বৃহস্পতিবার ভোরে ২২বিঘা জমিতে থাকা কলাই ক্ষেত জোর করে কেটে নিয়ে গেছে।

এ ব্যপারে গাংনী থানায় অভিযোগ করলে ওসি ওবাইদুর রহমান উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিস করে ক্ষেতের কলাই ফেরত দেওয়ার জন্য সাজেদুল ও কালাম গংদের নির্দেশ দেন।

এ নির্দেশনার পরও তারা ফসল এখন পর্যন্ত ফেরত দেয়নি বলে জানান ভুক্তোভোগিরা।

জানতে চাইলে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন, জমির মিমাংসার বিষয়ে অবগত নই।

তবে আগের কর্মকর্তা যদি ফসল কর্তন বা ফসল তসরুপাত করবে না মর্মে আপোষ মিমাংসার নির্দেশ দিয়ে থাকে এবং আবারও যদি কেউ ফসল কর্তন করে তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-গাংনী প্রতিনিধি




গাংনীর পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে পিটিয়ে জখম

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আমতৈল গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে বলে জানা গেছে।

শনিবার সন্ধ্যা রাতে ঐ গ্রামের সাইফুন মাঠ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক ঐ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আরফান (৩২)।

আহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যার সময় আহত আরফানের জমজ দুই মেয়ে প্রতিবেশি আদম এর বাড়ির উপর দিয়ে নিজেদের বাড়ি ফিরছিল।

এমন সময় আদমের ১০ বছর বয়সি এক মেয়ে জমজ দুই বোনকে ভুতের ভয় দেখালে তারা আতংকিত হয়ে তারা তার মাকে জানালে তাদের মা ঐ মেয়েকে বারণ করে।

এতে করে ঐ মেয়ের মা আদমের স্ত্রী কল্পনা খারাপ ভাষায় কথা বললে আহত আরফানের স্ত্রীর সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। তাদের বাকবিতন্ডার কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে আদম ছুটে এসে আরফানের স্ত্রীকে মারধর শুরু করে।

এ সময় আরফান প্রতিবাদ করতে গেলে আদম সহ তার ছোটভাই কদম আদমের স্ত্রী কদম বাঁশ, লাঠি ও ইট দিয়ে আরফানকে আঘাত করে। এতে আরফানের গোপনাঙ্গে মারাত্মক ভাবে আঘাত পায়।

পরে আরফানের পরিবার তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা দিলেও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

আহতর পরিবারের লোকজন গাংনী থানায় অভিযোগ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-গাংনী প্রতিনিধি