গাংনীতে ভারতীয় মদ উদ্ধার

মেহেরপুর জেলা গাংনী উপজেলা থেকে ৪৩ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে বিজিবি। উপজেলার কাজীপুর সীমান্তবর্তি মাঠ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এ মদ উদ্ধার করা হয়।

কাজিপুর সীমান্ত ক্যাম্প সুত্রে জানা যায়, হাবিলদার ফিরোজের নেতৃত্বে একটি টহল দল মাঠের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪৩ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করে।

-গাংনী প্রতিনিধি




চুয়াডাঙ্গায় ব্যবসায়ীদের হাতে পুলিশ ও সাংবাদিক লাঞ্ছিত

অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার কাঁচা বাজারে (নিচের বাজার) অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এসময় দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শনিবার দুপুরে শহরের নিচের বাজারের কাঁচামালের খুচরা ও পাইকারী বাজারে এ অভিযান চালানো হয়। এদিকে, জরিমানার অর্থ আদায় করা হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযানে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট, সংবাদকর্মী ও পুলিশকে অবরুদ্ধ করে মারমুখী আচরণে উদ্যত হয়। লাঞ্ছিত করা হয় স্থানীয় দুই সংবাদকর্মী ও পুলিশ সদস্যদেরকে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় চুয়াডাঙ্গার খুচরা ও পাইকারী বাজারে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের এনডিসি সিব্বির আহমেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা ও অপর আরেকটি প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও এনডিসি সিব্বির আহমেদ জানান, উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত মূল্য তালিকা না টানিয়ে ইচ্ছামতো পণ্য বিক্রির প্রমাণও পাওয়া যায়। জরিমানার অর্থ আদায় করা হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। অভিযানে থাকা দুই সংবাদকর্মী ও পুলিশ সদস্যদেরকেও লাঞ্ছিত করে তারা।

লাঞ্ছিত সংবাদকর্মী এস এম শাফায়েত জানান, অভিযানের খবর পেয়ে তারা সংবাদ সংগ্রহে যায়। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে ঘেরাও করে রাখার ছবি তুলতে গেলে তাকে এবং এবং অপর সংবাদকর্মী তৌহিদুর রহমান তপুকে মারধর করে ব্যবসায়ীরা। ভেঙে ফেলে তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু এ ঘটনাকে অনাকাঙ্খিক আখ্যা দিয়ে বলেন, শুধুমাত্র ভুল বোঝাবুঝি থেকে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি




মানুষ কর দিচ্ছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে

জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেছেন- মানুষ কর দিচ্ছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের মহাসড়ক হচ্ছে মানুষের দেয়া করের টাকায়। কর দেয়া মানুষের নৈতিক দায়ীত্ব। সরকার নারীদের জন্য বার্ষিক তিন লক্ষ টাকা, প্রতিবন্দ্বীদের জন্য চার লক্ষ এবং মুক্তিযোদ্বাদের জন্য চার লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বার্ষিক আয় হলেই তাকে কর দিতে হবে।

শনিবার মেহেরপুর পৌর টাউন হলে উপ কর কমিশনারের কার্যালয়, সার্কেল ২১ মেহেরপুর কর অঞ্চলের চারদিন ব্যাপি করমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

আপীলাত রেঞ্জ-২ খুলনা অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মুঃ মুহিতুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা অঞ্চলের কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল ও মেহেরপুর আয়কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট এস এম ইব্রাহিম শাহীন।

মন্ত্রী আরও বলেন- বিএনপি-জামাত সরকার বলতো দেশে গরীব না থাকলে সাহায্য পাব কি করে । কিন্তু বর্তমান সরকার সাহায্য নিতে চায় না। সেজন্য জনগনকে সার্বিক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে যাতে করে দেশে কোন লোক বেকার না থাকে। বেকার যুবকরা যাতে নিজের প্রচেষ্টায় স্বাবলম্বী হতে পারে সেজন্য মেহেরপুরে একটি উদ্যোক্তা মেলা করা হবে। জনগণ যাতে কর দিতে উৎসাহ পায় সেজন্য বর্তমান সরকার বিগত ১০ বছর ধরে জেলা-উপজেলায় পর্যায়ে উৎসব মূখর পেিরবেশে কর মেলার আয়োজন করছে। বর্তমানে ২ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট করতে পেরেছে সরকারের সফলতার কারনে। ব্যাংকগুলোতে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা হয়েছে যাতে করে সল্প সুদে লোন নিয়ে কর্মক্ষেত্র তৈরি করে স্বাবলম্বী হতে পারে। জনগণ যত স্বাবলম্বী হবে সরকারকে ততবেশি কর দিতে পারবে। এতে দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে সরকারের সহজ হবে। যে দেশ যত বেশি কর দেয় সেই দেশ তত বেশি উন্নত।

খুলনা অঞ্চলের কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায় তার বক্তব্যে বলেন মেহেরপুর জেলায় গতবারের তুলনায় ১৫ ভাগ কর দাতার সংখ্যা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন গত অর্থবছরে করের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ কোটি টাকার। পাওয়া গিয়েছিল ১৬ কোটি টাকা। এবার কর লক্ষমাত্রা আছে ২০ কোটি টাকার।

-মেহেরপুর প্রতিনিধি 




যদি দেখা হয় আবার

এরপর-
আমাদের দেখা হয়ে গেলে-
চুমুর ভাষ্কর্য হয়ে
দ‚র্দান্ত মাদকতায়,
ক্লেশ-ক্লান্তি-অভিমান ধুয়ে-
দু’জন আক্রান্ত হবো শর্তহীন দীর্ঘনিশ্বাসে।

এরপর-
ফের দেখা হয়ে গেলে;
কফির পেয়ালা-
বিনিময় করবে ঠোঁটের উষ্ণতা।

চলো-পরষ্পর দেখা করি
অতঃপর পৃথিবীতে রেখে যাই উজ্জ্বল নক্ষত্র।

-মাহবুবা করিম




আমায় কেউ বলেনি

আমায় কেউ বলেনি নদীর মতো গভীর হতে
আমায় কেউ বলেনি পাথর হতে
কেউ বলেনি আমায় পাখির মতো
ডানা মেলতে আহত হয়ে ক্ষত বিক্ষত
হৃদয়ে একটা স্বপ্ন আঁকতে
কেউ বলেনি আমায়..

আমায় কেউ বলেনি ঝরা পাতার মতো
মনটাকে বৃষ্টি হয়ে ঝরাতে
আমায় কেউ বলেনি
মায়া ভরা মুখখানি তোমার লাজুক হাসির
ফিসফিসানি

ভিজিয়ে ছিল হৃদয় পাতা ভরে ছিল শুন্য খাতা
লাজুক মনের সব যে বাধা
পেরিয়ে ছিল মনের ভাষা.. তাই তো
দিনের আলোয় মুখটা তোমার দেখে ছিলাম
আবেগ নেশায়
সেটা ও আমায় কেউ বলেনি

তোমার চোখ দুটো আমায় বার বার
কাছে ডেকেছিল
তাই তোমায় আমি ছুঁয়ে দিয়ে ছিলাম
হৃদয়ের ছোঁয়ায়
সেটাও আমায় কেউ বলেনি

ভালো লেগেছিল তাই তো
ভালোবেসে ছি মায়া জালে জড়িয়ে
তোমায় খুব আপন করেছি
সেটা ও আমায় কেউ বলেনি

ভালোবেসেছি তাই তো আমি সব স্বপ্নগুলো
মনের খাতায় বন্দী করেছি…
সেটাও আমায় কেউ বলেনি
যা করেছি সব কিছু যে নিজের মনেই
তোমায় ভালোবেসে….

-হাসিনা হারভীয়া




দুর্নীতিতে

চাকরিখাতে দুর্নীতি আজ
যুগটা হল ঘুষের,
মেধাবীরা চাকরি না পায়
কী দশা মানুষের!

মামা-খালুর থাকলে রে জোর
চাকুরি পাওয়া সোজা,
টুংটাং সব সার্টিফিকেট
মিল সে যেন গোঁজা।

এমনিভাবে সবখাতে আজ
দুর্নীতিতে ছাওয়া,
যোগ্যতারও নেই কোনো দাম
ঘুষেরই গান গাওয়া।

মন্দ কাজও করলে পরে
টাকায় মেলে ছাড়া,
সবখানে আজ দুর্নীতিবাজ
হয়ে আছেন খাড়া।

-জুলফিকার আলী




নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিতে মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ায় বাস চলাচল বন্ধ

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাতিলের দাবিতে মেহেরপুর থেকে সকল রুটের বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা।

শুক্রবার সকাল থেকেই মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া সহ জেলার সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে হটাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা। বাস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন অবৈধ যানবাহনে করে তাদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

মেহেরপুরের কয়েকজন বাস চালক জানান, এই আইনের আওতায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবহন ও বাস চালানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। যে কারণে আমরা বাস চলাচল বন্ধ করে রেখেছি।

সকালে দিকে কয়েকটি ঢাকার উদ্দেশ্যে পরিবহন ছেড়ে গেলেও কাল থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখবেন বলে শ্রমিকরা জানান। শ্রমিকদের দাবি নতুন আইনের সংশোধন ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে আবার স্বাভাবিক গাড়ি চালাবেন।

জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান জানান, বর্তমানে নতুন যে আইন তৈরি হয়েছে সেই আইনে আমাদের চালকরা আর গাড়ি চালাতে চাইছেন না।

চালকরা তাদের মালিকদের কাছে গাড়ির চাবি জমা দিয়েছে। নতুন আইনে দুর্ঘটনার কারণে একজন চালকের ৫ লাখ টাকা জরিমানা হওয়াতে প্রতিবাদে শ্রমিকরা সকাল থেকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর -কুষ্টিয়া ও মুজিবনগর সহ সকল আন্তঃজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করবে বলে জানিয়েছে মটর শ্রমিক ইউনিয়ন।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, নভেম্বরের প্রথমদিন থেকে চালু হওয়া নতুন সড়ক আইন সংশোধনের দাবিতে কুষ্টিয়া থেকে সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে রেখেছে স্থানীয় বাস চালকরা।

গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন তারা। হঠাৎ করে বাস বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তবে দূরপাল্লার পরিবহন চলতে দেখা গেছে।
সকালে যাত্রীরা মজমপুর, চৌড়হাস ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে বাস না পেয়ে বিভিন্ন যানবাহনে করে তাদের গন্তব্যে উদ্দেশে রওনা দেন।

আবদুল মান্নান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাব, কিন্তু এসে দেখি কোনো যানবাহন চলছে না। বাধ্য হয়ে সিএনজিতে করে যেতে হচ্ছে।’

মাসুদ রহমান নামের এক বাসচালক বলেন, ‘নতুন আইনে দুর্ঘটনার কারণে একজন ড্রাইভারের পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। তাই সেই শঙ্কায় আর গাড়ি চালাচ্ছি না।’
কুষ্টিয়া জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুবুল হক বলেন, ‘বর্তমানে নতুন আইন তৈরি হয়েছে, এতে ড্রাইভাররা গাড়ি চালাতে চাচ্ছেন না।’

তিনি বলেন, যেসব চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ পাঁচ লাখ টাকার ব্যবস্থা আছে কেবল তারাই গাড়ি চালাচ্ছেন। নতুন আইনে প্রতিবাদে শ্রমিকরা সকাল থেকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর, কুষ্টিয়া- ভেড়ামারা ও কুষ্টিয়া-খুলনা সহ সকল আন্তঃজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য চালকরা ধর্মঘট পালন করছেন। তবে এতে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই।

-নিজেস্ব প্রতিনিধি




গাংনীতে আগ্নেয়াস্ত্র গুলি ও গান পাউডারসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

মেহেরপুরের গাংনীতে আগ্নেয়াস্ত্র গুলি ও গান পাউডারসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুর রহমান (৪২)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গাংনী থানা পুলিশের একটি দল গতকাল শুক্রবার ভোরে হিন্দা মাঠ পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। আব্দুর রহমান গাংনী উপজেলার রংমহল গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, আব্দুর রহমান অস্ত্র গুলি ও গান পাউডার নিয়ে হিন্দা মাঠ পাড়া এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় তার কাছ থেকে একটি ওয়ান স্যুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি ও ৪০০ গ্রাম গান পাউডার উদ্ধার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে গাংনীসহ বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের পূর্বক আব্দুর রহমানকে আদালতে সেপার্দ করা হয়েছে।

-নিজেস্ব প্রতিনিধি




কার্পাসডাঙ্গা বাজারে রাতের আঁধারে চুরির ঘটনায় ধুম্রজালের সৃষ্টি

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে গতকাল শক্রবার দিবাগত রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।

আসলে চুরি নাকি অন্য কিছু তা নিয়ে চলছে চায়ের দোকানে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। জানা গেছে কার্পাসডাঙ্গা বাজারের ৫ টি দোকানে চোরচক্র সার্টারের তালা মারা অবস্থায় সার্টারের মাঝখান তুলে ভিতরে প্রবেশ করে এ চুরির ঘটনা ঘটায়। চুরির এমন কৌশল। এ ধরনের ঘটনা দেখে হতবাক হয়েছে সচেতন মহল।

তবে চুরির দাবী করলেও কোন দোকানদার মামলা করতে রাজী না হওয়ায় সচেতন মহলের অনেকে মন্তব্য করে বলেন আসলে কি সত্যিকার অর্থে চুরি হয়েছে না বাজারে জল ঘোলার চেষ্টা চলছে তার তদন্ত দরকার। আর একটি দোকানেও মালামাল চুরি হলোনা তালা ভাঙ্গলো না সার্টার তুলে কিভাবে ভিতরে গেলো তবে প্রকৃত ঘটনাটি কি চুরি না অন্যকিছু।

কার্পাসডাঙ্গা বাজারের মসজিদের পাশে দোকানদার লিপু সুতা ঘরের মালিক জানান, তার দোকানে থাকা নগদ ১২ হাজার টাকা চুরি হয়েছে তবে কোন মালামাল চুরি হয়নি।
জুঁই গার্মেন্টসের মালিক দুদু বলেন, মোকামে যাবার জন্য তার দোকানে থাকা নগদ ১ লক্ষ ১ হাজার চুরি হয়েছে তবে কোন মালামাল চুরি হয়নি বলে জানান।

হাইস্কুল মার্কেটের বিশ্বাস হার্ডওয়ারের মালিক জানান, তার দোকানে থাকা ৬ হাজার ৫ শত টাকা চুরি হয়েছে ও দু’হাজার টাকার তালা চুরি গেছে ।

বারিক কাপড়ের দোকানে কোন কিছু নিতে পারেনি চোরচক্র তবে হোটেল তাজের পাশে মাহা ক্লথ ষ্টোরের মালিক জানান, তার যে ড্রয়ারে টাকা ছিলো সেটা ভাঙ্গতে পারেনি তবে মালামাল সব উলট পালট করা হয়তোবা ৫ হাজার টাকার মত মালামাল নিতে পারে।

ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি তদন্ত জাহাঙ্গীর আলম। এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ ও দোকানদারদের সাথে বসেছিলাম তাদের বারবার পুলিশের সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছি ও এ ঘটনায় মামলা করার কথা বলেছি তবে তারা রাজী হয়নি।

তবে ঘটনা যাই হোক তা তদন্ত করা হচ্ছে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার ও কথা জানান তিনি।

-কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি




কার্পাসডাঙ্গায় জেএসসি পরীক্ষার্থীকে নিয়ে লাপাত্তার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীন পাড়ার তোতার ছেলে সহিদুলের বিরুদ্ধে সরোজগঞ্জ তিওরবিলার হাশেমের মেয়ে জেএসসি পরীক্ষার্থী কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভাগিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হবার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে সহিদুল তাদের বিদ্যালয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলো সেখান থেকেই সে মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

জেএসসি পরীক্ষার শেষ দিনে সহিদুল মেয়েটিকে নিয়ে অজানার উদ্দশ্য পাড়ি জমায়।
গতকাল শুক্রবার মেয়েটির চাচা কাশেম মেয়েটিকে খুঁজতে সহিদুলের বাড়ি আসে। তবে সেখানে কোন সন্ধান মেলাতে পারিনি।

মেয়েটির চাচা জানান, আমরা চেয়েছিলাম মেয়েটিকে আপোষে ফিরিয়ে নিয়ে যাবো এখন বুঝছি মামলা ছাড়া উপায় নেই। নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধারে সহিদুল সহ তার সহোযোগীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে মেয়েটির পরিবার।

-কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি