প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে প্রেস বিজ্ঞপ্তি

গত মঙ্গলবার ১২-১১-২০১৯ তারিখে “গাংনীর এক শিক্ষক রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার” শিরোনামে মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত এই সংবাদ প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: বিপ্লব হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানিয়েছেন, প্রথমত সে শিক্ষক নন সে একজন কেরানি এবং স্বাধীনতা চেতনা বিরোধী মতবাদে বিশ্বাসী এবং সে রাইপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। সে তার ছাত্র জীবন থেকে কোন দিনই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এবং স্বাধীনতা স্বপক্ষের লোক ছিল না।

আওয়ামী লীগ সরকার যখন ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসে, তখন রাইপুর ইউনিয়ন তথা হাড়িয়াদহ গ্রামের মুজিব আদর্শের মানুষের রোষানলে পড়ে এবং গাংনীর চৌগাছা গ্রামে চলে আসে। এখানে এসেও সে আগের মতোই আওয়ামী লীগের নিরীহ নেতা কর্মীর উপর অন্যায় অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য, সংবাদটি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কয়েক জন আওয়ামী লীগ নেতা ও শিক্ষক পরিচয় দেওয়া কেরানী আব্দুল আলিমের বক্তব্য নেওয়া হয়।

 




বামন্দি কৃষি ব্যাংকে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা চুরি

মেহেরপুরের গাংনীর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বামন্দি শাখাতে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা মালিক তোলার আগেই অন্য কেউ চুরি করে তুলে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে।

উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের ভুক্তভোগী রেবেকা খাতুন জানান, তার প্রবাসী স্বামী রবিউল ইসলাম মালয়েশিয়া থেকে টাকা পাঠিয়ে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপক জানান তার স্বামীর পাঠানো টাকা ১১/১১/২০১৯ ইং তারিখে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেওয়া হয়েছে।

রেবেকা খাতুন টাকা কোন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে জানতে চাইলে ম্যানেজার জানান বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বামন্দি শাখা থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

পরে তিনি কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমানের নিকট ঘটনা খুলে বলেন। তখন শাখা ব্যবস্থাপক বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করেন। পরে নিচতলাতে মিতালী বস্ত্রালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সেকেন্ড অফিসার মেহেরাব হোসেনের কাছ থেকে পাওয়া ও সিসিটিভির ফুটেজ ও ভুক্তভোগী রেবেকা খাতুনের সাথে আলোচনা করে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি আসল দোষী কোন ব্যক্তি।

জানতে চাইলে রেবেকা খাতুন জানান, প্রকৃত দোষী ব্যক্তি জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সাইর পাড়ার ডা. আক্কাস আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন। তিনিও তার স্বামীর সাথে দীর্ঘ দিন একই রুমে মালয়েশিয়াতে ছিলেন। মালয়েশিয়াতে থাকাকালিন উজ্জল তার স্বামী রবিউল ইসলামের মোবাইলে কিছু করে রেখেছে। তার স্বামী দেশে টাকা পাঠালে সে হয়তো বুঝতে পারে।

তবে কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বলেন, এ বিষয়টি এডিশনাল এসপি জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমানকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি তাই বিষয়টি আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করতে চান।

তিনি আরও জানান একটি মাধ্যম দোষী ব্যক্তির কোন শাস্তি ছাড়াই টাকাগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার শর্তে তাঁর সাথে দিন দরবার চালিয়ে যাচ্ছেন তবে তিনি বিষয়টির আইনগত ভাবেই সুরাহা করার জন্য মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।

-গাংনী প্রতিনিধি




গাংনীর হাড়াভাঙ্গায় বাড়ির সিমানা বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-২

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে বাড়ির সিমানায় বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুই জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলো মৃত ইসমাইল হোসেন এর ছেলে বজলুর রহমান বজু (৪০) ও মৃত অফেজ উদ্দিনের ছেলে আনারুল ইসলাম (৫৫)।

গত বুধবার রাত আটটার দিকে হাড়াভাঙ্গা সেন্টার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের পরিবারের লোকজন জানায়, ঘটনার দিন সকালে পাটকাঠি দিয়ে বাড়ির সিমানা দিতে গেলে বেড়ার কিছু অংশ প্রতিবেশি মৃত হারুন উর রশীদের ছেলে নাসির উদ্দিনের জমির দিকে চলে যায়।

বেড়া দেওয়ার সময় নাসির উদ্দিনের বাড়ির কেউ কিছু না বললেও রাতে নাসির উদ্দিন ও আনারুলের সাথে বাকবির্তকতা হলে নাসির উদ্দিন এক পর্যায়ে আনারুলের মাথায় টর্চ লাইট দিয়ে বাড়ি মারে এবং বাড়ির ছাদে চলে যায়।

এ সময় বজলুর রহমান বজু উপস্থিত হলে নাসির উদ্দিন ছাদ থেকে বজলুর রহমান বজুর মাথায় ইট নিক্ষেপ করে। এতে বজলুর রহমান বজুর মাথায় ও নাকে আঘাত হয় বলে জানান আহতরা।

পরে পরিবারের লোকজন আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করে রাখে।

আহতরা গাংনী থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

-নিজেস্ব প্রতিনিধি




আটকবর ক্লিনিক কসাই খানায় পরিনত : সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপ কামনা

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার আটকবর মোড়ে অবস্থিত আটকবর ক্লিনিক যেন কসাই খানায় পরিনত হয়েছে।

ক্লিনিকে সার্বক্ষনিক নিয়মিত কোন ডাক্তার না থাকলেও, ডিপ্লোমা কোন নার্স না থাকলেও কাগজে কলমে ঠিকই দেখানো হয় নিয়মিত ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্সের তালিকা।

ক্লিনিক হিসাবে যে সব শর্ত প‚রন করা প্রয়োজন তার অধিকাংশ শর্ত প‚রনে ব্যার্থ ক্লিনিক কৃতপক্ষ।ক্লিনিকের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র না থাকা সত্তেও ক্লিনিক খুলে বসে দেদারছে চলছে বিভিন্ন অপারেশন।

এ ক্লিনিকে অপারেশন করে ইউনিয়নের ঢোলমারী গ্রামের এক রোগী এখন মৃত্যুপথযাত্রী।নিজেদের রক্ষা করতে শেষ মেষ তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে ক্লিনিক কৃতপক্ষ। কিন্তু অসহায় রোগীটি দিনের পর দিন তীব্র যন্ত্রনা ভোগ করে একের পর একের অপারেশন করে সুস্থ হবার মারনপন চেষ্টা করছে।জগন্নাথপুর গ্রামের বজলুর স্ত্রী ইয়াসমিন এই ক্লিনিক থেকে পিত্তথলির পাথর,জরায়ুর অপারেশন করে ।

একটু সুস্থ হলেও কিছুদিন পর তার রোগ তীব্র আকার ধারন করে তারপর তাকে নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অবশেষ সে গতকাল বৃজস্পতিবার রাজশাহীতে মারা গেছে।

তবে এ বিষয়ে ক্লিনিক কৃতপক্ষ ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে গোপনে মিমাংসা করায় শেষ পর্যন্ত মেয়ের বাবা আর ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেননি।এ বিষয়ে জানতে ক্লিনিক মালিক তাজমুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ক্লিনিকে পাওয়া যায়নি।

ক্লিনিক কৃতপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত প‚র্বক ব্যাবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা সিভিল সার্জনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল

-কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি




নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা ওসমান

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে নাটুদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র ওসমানের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী চন্দ্রবাস গ্রামের মেয়েকে (মেয়েটির মানসম্মানের কারনে নাম পরিচয় গোপন করা হলো) ভাগিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হবার অভিযোগ উঠেছে।গোপন সুত্রে জানা গেছে ওসমান একজন বখাটে প্রকৃতির ছেলে।

সে বিভিন্ন মেয়ের সাথে প্রেম করে বেড়াতো। হঠাৎ করে সে নাবালিকা মেয়েটিকে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে।নাম না প্রকাশ করার শর্তে জগন্নাথপুর গ্রামের অনেকে বলেন ছেলে মেয়ে উভয়েই নাবালক নাবালিকা তারা তো বিয়েও করতে পারবেনা।

মেয়েটিকে সে তো নিয়ে গিয়ে হয়তো নিয়মিত ধর্ষন করবে। তার কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।এ বিষয়ে মেয়ের পরিবার জানান আমরা মেয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিনা। ওসমান নিয়ে গেছে কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা।

এ বিষয়ে তারা এখনো পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করেননি বলেও জানান।এ বিষয়ে ওসমানের পরিবার জানান আমার ছেলে মেয়েটিকে নিয়ে গেছে শুনেছি।কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা।

-কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি




বারাদি পুলিশ ক্যাম্পের নাকের ডগায় দুর্ধর্ষ চুরি

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদিতে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে সান্তনা গার্মেন্টস সহ ৫টি দোকানের টিন কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বারাদি বাজার কমিটির নিয়োগকৃত ৫জন নৈশ প্রহরী দায়িত্ব পালন করেন।

এর পরেও এ ধরণের চুরির ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠেছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় এ চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সান্তনা গার্মেন্টস, রইসউদ্দিন এর হোটেল, সমরের অটো দোকান, মেম্বার এর চেম্বার, ও একটি সেলুনের দোকানের টিন কাটলেও শুধুমাত্র সান্তনা গার্মেন্টস এ চুরির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সান্তনা গার্মেন্টসের মালিক জানাই, ডয়ারে থাকা এক হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল দিয়ে মোট ১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।

বারাদি পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আব্বাস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ক্যাম্পের সামনে ঘটলেও পুলিশ সদস্যরা অন্যান্য জায়গাই টহল রত থাকাতে চুরি প্রতিরোধ করা যায়নি। তরে চোর সনাক্ত সহ তাদের গ্রেফতারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

-বারাদি প্রতিনিধি




গাংনীর হাড়াভাঙ্গায় বাড়ির সিমানা বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-২

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে বাড়ির সিমানায় বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুই জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলো মৃত ইসমাইল হোসেন এর ছেলে বজলুর রহমান বজু (৪০) ও মৃত অফেজ উদ্দিনের ছেলে আনারুল ইসলাম (৫৫)।
গত বুধবার রাত আটটার দিকে হাড়াভাঙ্গা সেন্টার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের পরিবারের লোকজন জানায়, ঘটনার দিন সকালে পাটকাঠি দিয়ে বাড়ির সিমানা দিতে গেলে বেড়ার কিছু অংশ প্রতিবেশি মৃত হারুন উর রশীদের ছেলে নাসির উদ্দিনের জমির দিকে চলে যায়। বেড়া দেওয়ার সময় নাসির উদ্দিনের বাড়ির কেউ কিছু না বললেও রাতে নাসির উদ্দিন ও আনারুলের সাথে বাকবির্তকতা হলে নাসির উদ্দিন এক পর্যায়ে আনারুলের মাথায় টর্চ লাইট দিয়ে বাড়ি মারে এবং বাড়ির ছাদে চলে যায়।

এ সময় বজলুর রহমান বজু উপস্থিত হলে নাসির উদ্দিন ছাদ থেকে বজলুর রহমান বজুর মাথায় ইট নিক্ষেপ করে। এতে বজলুর রহমান বজুর মাথায় ও নাকে আঘাত হয় বলে জানান আহতরা।

পরে পরিবারের লোকজন আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করে রাখে।
আহতরা গাংনী থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

নিজেস্ব প্রতিনিধি




বামন্দি কৃষি ব্যাংকে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা চুরি

মেহেরপুরের গাংনীর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বামন্দি শাখাতে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা মালিক তোলার আগেই অন্য কেউ চুরি করে তুলে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে।

উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের ভুক্তভোগী রেবেকা খাতুন জানান, তার প্রবাসী স্বামী রবিউল ইসলাম মালয়েশিয়া থেকে টাকা পাঠিয়ে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপক জানান তার স্বামীর পাঠানো টাকা ১১/১১/২০১৯ ইং তারিখে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেওয়া হয়েছে। রেবেকা খাতুন টাকা কোন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে জানতে চাইলে ম্যানেজার জানান বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বামন্দি শাখা থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

পরে তিনি কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমানের নিকট ঘটনা খুলে বলেন। তখন শাখা ব্যবস্থাপক বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করেন। পরে নিচতলাতে মিতালী বস্ত্রালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সেকেন্ড অফিসার মেহেরাব হোসেনের কাছ থেকে পাওয়া ও সিসিটিভির ফুটেজ ও ভুক্তভোগী রেবেকা খাতুনের সাথে আলোচনা করে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি আসল দোষী কোন ব্যক্তি।

জানতে চাইলে রেবেকা খাতুন জানান, প্রকৃত দোষী ব্যক্তি জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সাইর পাড়ার ডা. আক্কাস আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন। তিনিও তার স্বামীর সাথে দীর্ঘ দিন একই রুমে মালয়েশিয়াতে ছিলেন। মালয়েশিয়াতে থাকাকালিন উজ্জল তার স্বামী রবিউল ইসলামের মোবাইলে কিছু করে রেখেছে। তার স্বামী দেশে টাকা পাঠালে সে হয়তো বুঝতে পারে।

তবে কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বলেন, এ বিষয়টি এডিশনাল এসপি জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমানকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি তাই বিষয়টি আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করতে চান। তিনি আরও জানান একটি মাধ্যম দোষী ব্যক্তির কোন শাস্তি ছাড়াই টাকাগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার শর্তে তাঁর সাথে দিন দরবার চালিয়ে যাচ্ছেন তবে তিনি বিষয়টির আইনগত ভাবেই সুরাহা করার জন্য মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।

গাংনী প্রতিনিধি




খুলনা বিভাগের সেরা তরুন করদাতা আরিফ শেখ

খুলনা বিভাগের সেরা তরুন করদাতা হিসেবে সম্মাননা পেলেন মেহেরপুরের আরিফ শেখ। বুধবার সকালে খুলনার সিটি ইন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সেরা করদাতার সম্মাননা পুরুষ্কার তুলে দেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়।
আরিফ ২০১৮-১৯ কর বছরে সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন।
আরিফ শেখ মেহেরপুর শহরের বোসপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে।
আয়কর প্রদানকারী করদাতাদের পুরস্কার প্রদান নীতিমালা ২০১৮ এর বিধান অনুযায়ী আয়কর প্রদানকারী  ৪০ বছরের নিচে মেহেরপুর জেলার প্রথমবারের জন্য আরিফ শেখ এ সম্মাননা লাভ করেন।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুরে অতিরিক্ত শব্দদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা

সরকারি যানবাহনেও নিয়ম মেনে হর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। যার যার ইচ্ছে মত গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করছেন। আর হর্নের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ লাখ লাখ মানুষ। এ বিষয়ে প্রশাসনও কার্যকরি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না । তবে আশার বাণি শুনিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

সরেজমিনে মেহেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র ড. শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কের সামনে প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে দেখা যায়- ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, লেগুনা, নসিমন-করিমন, মটর সাইকেলে কারো এ্যাম্বুলেন্সের, কারো ট্রাকের, কারোবা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির হর্ণ লাগানো।
এসব হর্ণ বাজিয়ে দ্রæত গতিতে চলছে ছোট ছোট যানবাহন। কেউ পথ না ছাড়লে তাকে দেয়া হয় হুমকি ধামকি। দ্রæতগতিতে শহরের মধ্যে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ।

ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত মেহেরাব হোসেন হোটেল বাজার থেকে মহিলা কলেজ মোড়ে যাবে। মটর সাইকেলে ট্রাকের হর্ন বাজিয়ে সামনে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। সামনে থেকে বুঝার উপায় ছিল না যে মটর সাইকেলের হর্ন বাজানো হচ্ছে না মালবাহী ট্রাকের। তার সামনে থাকা বেশিরভাগ ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক, মোটর সাইকেল পেছনে ট্রাক মনে করে তাকে পথ দিচ্ছিল। কারণ তার মটর সাইকেল থেকে ট্রাকের হর্ন বাজানো হচ্ছিল।

শহরের প্রাণকেন্দ্রে নগর উদ্যানের সামনে জানতে চাইলে মেহেরাব বলেন- ভাই রাস্তায় যানজট লেগেই আছে তাই ট্রাকের হর্ণ লাগিয়েছি যাতে সহজে বের হওয়া যায় অনেকের আগে।

সুফলও পাওয়া যায়। এ হর্ণ শুনলে সামনের মানুষ ও যানবাহন পথ ছেড়ে দেয়।
ট্রাকের হাইড্রোলিক হর্ন মানুষের অনেক ক্ষতি হয় তাছাড়া এ হর্ণ ব্যবহার করা আইনত অপরাধ তার পরও আপনি কেন এ হর্ণ লাগিয়েছেন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেকে মটর সাইকেলে এ্যাম্বুলেন্সের হর্ন লাগায় আবার অনেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও পুলিশের গাড়ির হর্ণ ও মিউজিক বাজায় তখন শব্দ দুষণ হয় না, আমার এটায় আপনার সমস্যা মনে হলো? পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন- এই হর্ণ বাজানো অপরাধ জানি।

আইন অমান্য করায় আমার সর্বচ্চ জরিমানা হবে ১শ টাকা। কিন্তু কেউ তো জরিমানা করেনা। মটর সাইকেল ছাড়াও এখন বাই সাইকেলেও তো এমন হর্ণ লাগানো হচ্ছে। মেহেরপুর শহরে চলাচলকারী অন্তত ৪০ভাগ মোটর সাইকেলে এমন ভিন্নধর্শী হর্ণ ব্যবহার হচ্ছে।
রাতের নীরবতাকেও ফালাফালা করে ঢুকে পড়ছে মটর সাইকেলে লাগানো ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ির হর্ণ। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ কারো মাথাব্যথা নেই মোটর সাইকেলে ট্রাক, ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্সের হর্ণ লাগানো বিষয়ে।

বরং ক্ষমতাসীন দলেরও কেউ কেউ এই হর্ণ ব্যবহার করছেন। এরা শব্দদূষণের কোনও সময়সীমাও মানছেনা। আইন অনুযায়ি হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকার নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এসব জায়গায় জোরে হর্ন বাজানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও সেই নিয়মও মানা হচ্ছেনা।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সজিব উদ্দীন স্বাধীন জানান- বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী কোনো এলাকায় ৬০ ডেসিবেল মাত্রার বেশি শব্দ হলে সেই এলাকা দূষণের আওতায় চিহ্নিত হবে।

৬০ ডেসিবেল শব্দ মানুষের সাময়িক শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে এবং ১০০ ডেসিবেল শব্দে চিরতরে শ্রবণশক্তি হারাতে পারে। বিষয়টি দেখবালের দায়িত্ব আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার। মেহেরপুর জেলা মটর যান পরিদর্শক সালাউদ্দীন প্রিন্স জানান হর্ণ সরকারের পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সের নিজ নিজ শব্দের হর্ণ আছে। এগুলো অন্যকোন পরিবহনে ব্যবহার নিষিদ্ধ।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী বলেন- মেহেরপুরে না থাকলেও বেশ কয়েকটি জেলাতে বিচার বিভাগের গাড়িতেও ট্রাকের হর্ণ বাজানো দেখেছি। পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির হর্ণ অন্য কোন গাড়িতে লাগানো বা বাজানো আইনত দÐনীয়।

গাড়ির কাগজপত্র ও ফিটনেসের পাশাপাশি এসব হর্ণ বাজানো বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গণিও এসব হর্ণ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার উপরোক্তি বাণি শুনিয়ে বলেন- কিছু উঠতি যুবক এসব হর্ণ বাজিযে সাপের মতো একিয়ে বেকিয়ে মোটর বাইক চালায়। এরাই পথ দূর্ঘটার অন্যতম আরও একটা কারণ।

-নিজেস্ব প্রতিবেদক