রাষ্ট্র কিভাবে চলবে তা পরিষ্কার করা আছে

আমার দেশ এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বসবাস। ইতিহাস বলে, এখানে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পীর আওলিয়াগন দাওয়াতের মাধ্যমে এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন, কোন জোর জুলুম বা নিজ সংবিধানকে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার মাধ্যমে নয়।

আমার প্রিয় নবীরাও দাওয়াতের ও নিজেদের চরিত্র, কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমরাও যদি নিজেদের উত্তমরুপে তুলে ধরতে পারি অবশ্যই ইসলাম দেশে ও বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হবে নাকি অন্যকিছু হবে এ নিয়ে পুনরায় আলোচনার ঝড় উঠেছে। ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে রাখার পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন ধরনের মতামত শোনা যাচ্ছে। রাষ্ট্র সবাইকে নিয়ে সবার জন্য সব ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের জন্য।

আমার ধর্ম আমি করবো। মুসলমান হিসেবে আমাদের বিয়ে হবে মুসলিম আইনে, সম্পত্তি বন্টন ইত্যাদি হবে মসলিম আইনে। অন্যরা করবে তাদের নিজ আইন বা রীতিতে। রাষ্ট্র দেখবে ব্যবস্থাপনা, প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অন্যের অনুভুতিতে আঘাত না আসে তার ব্যবস্থা করা।

মানবজাতিকে অন্যায়, অবিচার, অশান্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে যুগে যুগে আল্লাহ নবী-রসুল পাঠিয়ে মানুষকে সত্য দ্বীন দান করেছেন। আল্লাহর সত্য দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হলে মানবজীবনে যে অনিবার্য শান্তি নেমে আসে ইসলাম হলো সেই শান্তির নাম। এ কারণে আক্ষরিকভাবেই ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি।

প্রত্যেক বস্তুর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, গুণ বা ধর্ম আছে। রাষ্ট্রেরও ধর্ম আছে। রাষ্ট্র জনগণকে ন্যায়, শান্তি, সুবিচার ও নিরাপত্তার মধ্যে রাখবে- এটা রাষ্ট্রের প্রধান ধর্ম। এই ধর্মকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যেই রাষ্ট্র গঠিত হয়।

ইসলাম’ একটি পুর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। এতে যেমন ব্যক্তিগত জীবনাচার আছে, আছে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় নীতিমালাও। মুসলিমরা তাদের আইনে চলতে পারে ও অন্যরা তাদের রীতি-নীতিতে চলতে পারে সরকার তার দায়িত্ব নিবে। সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু সবার জন্য রাষ্ট্রসংবিধান সমান।

মুসলিম হিসাবে আমার সংবিধান পবিত্র আল-কোরআন, হিন্দুদের বেদ, খৃস্টানের বাইবেল। আমি যেন কোরআন সুন্না অনুযায়ী চলতে পারি সেই গ্যারান্টি রাষ্ট্রকেই দিতেই হবে। অন্যদের বেলাও তাদেরটাও তাই। কিন্তু সরকারগুলো বিভিন্ন পন্থায় চেষ্টা চালায় জনগণের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে নিজের পক্ষে রাখতে।

ভোটের রাজনীতিতে ধর্ম যেহেতু বিরাট একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়, কাজেই রাজনীতির অন্য সব অঙ্গনের মত ধর্মকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন প্রতারণা মূলক পন্থা অবলম্বন করা হয়। রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামের নাম ঘোষণা করা, এতে না ইসলামের কোনো লাভ হয়, আর না রাষ্ট্রের কোনো বুনিয়াদী পরিবর্তন ঘটে। বরং মুসলিমরা যদি সত্যিকার ইমানদার হয়, নিজেদের পরিপূর্ণভাবে ইসলামের রুজূকে ধারণ করে তাতেই সফলতা আসবে, বিশ্ব ইসলামের দিকে ধাবিত হবে।

আমাদের দেশে মুসলমানদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে কিছু ত্রুটি পরিলক্ষিত, যা আলাপ আলোচনার সমাধান প্রয়োজন। যেমন, সুদ। সুদের সাথে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক রাখাও ইসলামে হারাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত্তিই দাঁড়িয়ে আছে সুদের উপর। আবার কোর’আনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন সীসাঢালা প্রাচীরের মত ঐক্যবদ্ধ থাকতে। হাদীসে জাতির ঐক্যকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে রসুল এ পর্যন্ত বলেছেন যে, কোর’আনের আয়াতের অর্থ নিয়ে মতবিরোধ করা কুফর।

বিদায় হজ্বের ভাষণে বলেছেন- আমার পর তোমরা একে অপরকে হত্যা করে কুফরি কর না। অর্থাৎ ইসলামের হুকুম হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ থাকা। কিন্তু বাস্তবে আমরা পাশ্চাত্যের তন্ত্র-মন্ত্র, মতবাদকে ভিত্তি করে বহুবিধ দল-উপদলে বিভক্ত এবং ধর্মীয়ভাবে শত শত ফেরকা-মাজহাবে বিভক্ত হয়ে আছি।

এক দলের মানুষের হাতে অহরহ প্রাণ হারাচ্ছে আরেক দলের মানুষ। তাহলে ইসলাম রইল কোথায়? আল্লাহ বলেছেন দান কর, ব্যয় কর, আমরা যক্ষের ধনের মত সম্পদ আঁকড়ে থাকি, আল্লাহ বলেছেন এতিমের প্রাপ্য সম্পদ বুঝিয়ে দাও, আমরা এতিমের সম্পদ ভোগ করার জন্য প্রয়োজনে তাকে হত্যা করি, আল্লাহ বলছেন আল্লাহর রাস্তায় অর্থাৎ মানবতার কল্যাণে জীবন-সম্পদ ব্যয় করে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম কর, আমরা তা কি করছি?

আল্লাহ আমাদের শান্তিময় জীবন নিশ্চিত করার জন্য যে সত্য দ্বীন প্রেরণ করেছেন তাকে কাগজের পাতায় সীমাবদ্ধ করে রাখলেই শান্তি এসে যাবে না। তাকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে হবে।

সংখ্যাগুরুর দাপটে আমাদের মতামত যদি রাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে দিই। ভারত, আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা যদি তাদের সংখ্যাগুরুর ধর্মীয় মতামত রাষ্ট্রের উপর চাপায়, তাতে কি আমরা মেনে নিবো বা বিশ্বে শান্তি বিরাজ করবে?

বরং দাওয়াতের মাধ্যমেই ইসলাম বিস্তার সম্ভব বলে আমি মনে করি।
– প্রকাশক মেহেরপুর প্রতিদিন




মেহেরপুরে গাঁজাসহ দু মাদক কারবারী গ্রেপ্তার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্ত এলাকা থেকে দু‘জন মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয় পীরতলা পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল তাদেরকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০০ গ্রাম গাঁজা।

আটকৃতরা হলেন- কাজিপুর গ্রামের শিহাব আলীর ছেলে মাসুদ রানা (২৪) ও পীরতলা গ্রামের জয়নুদ্দীনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪২)। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দুজনকে মেহেরপুর আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) সাজেদুর রহমান জানান, আটকৃতরা ভারত সিমান্ত থেকে গাঁজা নিয়ে আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পীরতলা ক্যাম্প ইনচার্জ অজয় কুমার কুÐু ও সংঙ্গীয় সদস্যরা তাদেরকে তল্লাশি করে।

এসময় তাদের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

-গাংনী প্রতিনিধি




গাংনীর এক শিক্ষক রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাতেগড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন মো: আলিম উদ্দিন। ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গাংনী কলেজ শাখা থেকে তিনি রাজনীতি শুরু করেন।

ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় জোট সরকারের অত্যাচার নিপিড়ন সহ্য করে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

মুলত ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার উপর চলে নানান অত্যাচার ও চক্রান্ত। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের শুরু থেকেই বিভিন্ন মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয় বলে তিনি জানান। প্রায় ৫টি মিথ্যা মামলার বোঝা ঘাড়ে নিয়ে তিনি ব্যাপকভাবে নির্যাতনের শিকার হন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। তিনি আরো জানান, বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে একটি মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে সময় বর্তমান এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনের সাথে একসাথে জেল খাটেন।

পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার খবর শুনে শিক্ষক আলিমের মা ষ্ট্রোক করেন বলে তিনি জানান। দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থাকার পর ২০০৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তার মা রহিমা খাতুন মৃত্যু বরণ করেন।

এর পরও তার উপর বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের অত্যাচার থেমে থাকেনি। এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচার তাগিদে ২০০৬ সালের দিকে বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এই কারণে কিছু লোক তাকে চক্রান্ত করে বিএনপির কর্মী হিসেবে মিথ্যা রটনা করছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।

জানতে চাইলে তিনি বলেন চৌগাছা গ্রামে কিছু মাদক জুয়ার সাথে জড়িত লোকদের তাদের কর্মকান্ড বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই তারা বিএনপি বলে মিথ্যা অপবাদ দেয় যা মোটেই ঠিক না। তিনি বর্তমান এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন এর সাথে আওয়ামী লীগের বড় বড় অনুষ্ঠানে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন বলেও তিনি জানান। গত অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও তিনি তাকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেন।

এ উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের মৃত তাহাজ উদ্দিনের ছেলে মো: আলিম উদ্দিন বর্তমানে গাংনী পৌর এলাকার বাঁশাবড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। সাবেক এমপি মকবুল হোসেন এর সহযোগিতায় তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন এবং এখনো কর্মরত আছেন। তিনি বসবাস করেন পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ড এলাকার চৌগাছায়।

শিক্ষকতা পেশায় জড়িয়ে পড়ার কারণে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে দুরে সরিয়ে নিলেও আওয়ামী লীগের বড় বড় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন বলে তিনি জানান।

-গাংনী প্রতিনিধি




জীবননগরে বিজিবির অভিযানে ১৩৬ বোতল মদ আটক

জীবননগরে বিজিবির মাদক বিরোধী অভিযানে ১৩৬ বোতল ফেন্সিডিল আটক হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ অধিনস্থ জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মেদিনীপুর বিজিবির সদস্যরা মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মেদিনীপুর গ্রামের আম বাগানের মধ্য থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় ১৩৬ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।

-জীবননগর প্রতিনিধি




বঙ্গুবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি নেই বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ে

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকার অফিস রুমে সহ কোথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমানের ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছবি নেই।

এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের মেহেরপুর প্রতিদিনের কাছে অভিযোগ করে বলেন আমরা বার বার বলার পরেও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়টি দীর্ঘ দিন প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় ছবিটি টানো হয়নি।

প্রধান শিক্ষকা শামছুন্নাহার মুক্তা জানান, আমি বার বার প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতি শেখ আনিছুজ্জামান লুইচকে বলেও উনি কোন ভাবে আমাকে ছবি আনতে দেয়নি।

সভাপতি শেখ আনিছুজ্জামান লুইচকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিদ্যালয়ের জাতির পিতা ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ছবি না টাঙ্গানো অত্যন্ত খারাপ কথা স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করিবেন বলে আমি মনে করি।

-আল-আমীন, গাংনী




১৭ই নভেম্বর থেকে কুষ্টিয়ায় শুরু হচ্ছে ৪ দিন ব্যাপী আয়কর মেলা

‘কর প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত হোক রূপকল্প বাস্তবায়ন’ – এই ¯েøাগানকে সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তত্ত¡াবধানে কর অঞ্চল- খুলনার অধীনে উপ কর কমিশনারের কার্যালয়, সার্কেল-১৮ (বৈতনিক), কুষ্টিয়ার উদ্দোগে আগামী ১৭ থেকে ২০ নভেম্বর, ২০১৯ চারদিনব্যাপী আয়কর মেলা শুরু হতে যাচ্ছে।

কুষ্টিয়া পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান অতিথি হিসেবে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জনাব মো: আসলাম হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশ সুপার এস. এম তানভীর আরাফাত, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মো: রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, আয়কর উপদেষ্টা এডভোকেট আলাউদ্দিন আহমেদ।

সভাপতিত্ব করবেন যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ তারিক ইকবাল। উক্ত মেলায় সবাইকে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উপ-কর কমিশনার জনাব মো: মতিউর রহমান। উক্ত মেলায় আয়কর দাতাগণ যেসব সুবিধাগুলি পাবেন:

আয়কর রিটার্ন দাখিল, ঞওঘ রেজিস্ট্রেশন, নতুন করদাতাদের ঞওঘ সনদপত্র প্রদান, আয়কর অধিক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে পারবেন, আয়কর রিটার্ন ফর্ম কিভাবে পূরণ করতে হয়, ব্যাংক বুথে আয়কর প্রদানের সুবিধাগুলি পাওয়া যাবে।

-কুষ্টিয়া প্রতিনিধি




আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের ৬ টি স্থগিত কমিটির নাম ঘোষণা

আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের ৬টি স্থগিত কমিটির নাম ঘোষণা কল্পে উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে হারদী ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ৬ টি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি, সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন হাসান কাদীর গনু।

গতকাল বেলা ১১ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদীর গনুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলীর পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ, সম্পাদক আইনাল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক আব্দুর রউফ শিলু, ইউনিয়ন সহ- সভাপতি আব্দুল হামিদ, মজিবর রহমান, সদস্য আশিকুজ্জামান ডাবলু প্রমুখ।

সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদীর গনু ইউনিয়ন কমিটির সাথে আলোচনা করে সর্বসম্মতি ক্রমে ৩ নং ওয়ার্ডে আবু বক্কর কে সভাপতি, লিয়াকত আলী কে সম্পাদক করে ওয়ার্ড কমিটি, ৪ নং ওয়ার্ডে আব্দুল গাফ্ফার কে সভাপতি, শামশুল হক কে সম্পাদক করে ৪ নং ওয়ার্ড, ৫ নং ওয়ার্ডে তানসেন আলীকে সভাপতি, খন্দকার কবিরকে সম্পাদক করে ৫ নং ওয়ার্ড, ৬ নং ওয়ার্ডে আহাদ আলীকে সভাপতি, আবুল হোসেন কে সম্পাদক করে ৬ নং ওয়ার্ড, ৭ নং ওয়ার্ডে শুকুর আলীকে সভাপতি, মিজানুর রহমান মিন্টু ৭ নং ওয়ার্ড, ৮ নং ওয়ার্ডে শাহাবুলকে সভাপতি, ময়নুল হক কে সম্পাদক করে মোট ৬ টি ওয়ার্ড কমিটি ঘোষনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদীর গনু।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




আলমডাঙ্গায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কলেজ পাড়া থেকে ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ঝন্টু বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে এস আই জিয়াউর রহমান ও এ এস আই হামিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়ার মৃত নরেন্দ্র কুমার বিশ্বাসের ছেলে ঝন্টু বিশ্বাসকে তার বাড়ি থেকে আটক করেছে।

তার বিরুদ্ধে ৬ মাসের সাজা, ১ টি জিআর সহ মোট ৬টি ওয়ারেন্ট ভুক্ত মামলা আছে। ঝন্টু বিশ্বাসকে আজ চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হবে।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




২ দোকান মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

জেলা নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গার পৃথক স্থানে ২ দোকান মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে এই অভিযান পরিচালনা করেন।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বন্ডবিলে লাইসেন্স বিহীন দীর্ঘদিন ধান-গম ও পাটের গোডাউন ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে ষ্টেশনপাড়ার মৃত-ফারুক হোসেনের ছেলে ইকরামুল কবির। ধান-গম ক্রয়ের ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আমজাদ হোসেনের গোডাউনে অভিযান চালায়। এসময় একরামুল কবিরের দোকানের লাইসেন্স না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ২০ দিনের জেল প্রদান করে।

অপর দিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ বাজারে আব্দুর রহিম দোকানে পাটের বস্তা বিহীন প্লাস্টিক বস্তা ব্যবহার করা অভিযোগ পায় জেলা পাট অধিদপ্তর।
জেলা পাট অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট পপি খাতুন অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় দোকান মালিক জেহালা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহিমকে পাটের বস্তা বিহীন প্লাস্টিক বস্তা ব্যবহার আইনে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পৃথক দুই অভিযানে জেলা পাট অধিদপ্তরের মূখ্য পরিদর্শক সৈয়দ আলাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




আলমডাঙ্গায় কর্মসৃজন কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও

আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি, কুমারী, বেলগাছি সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কর্মসৃজন কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিটন আলী।

গতকাল বেলা ১০টার দিকে ডাউকি ইউনিয়নের কাজ পরিদর্শন করেন, এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক, ইউপি মেম্বার সহ কাজের লেবার গন উপস্থিত ছিল।

এর পর কুমারী ইউনিয়নে কাজ পরিদর্শন করেন, পরিদর্শন কালে উপজেলা চেয়ারম্যান জিজ্ঞাসা করেন কর্মসৃজন কাজে মোট কতজন লেবার লাগার কথা, যে কয়জন লেবার উপস্থিত ছিলেন তারা তখন বলেন আমরা জানি না, প্রকল্প কর্মকর্তা কতজন লেবার লাগবে জানালে উপজেলা চেয়ারম্যান দেখে অবাক হন।

পরে সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন কাজে চুরি করবে সেটা সকলেই জানে, কিন্ত তাই বলে পুকুর চুরি করবে, আপনারা সাংবাদিক আপনারাও বিভিন্ন ইউনিয়নের কাজ দেখেন, প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেন।

তবে ইউএনওর কাছে জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন তুলনা মূলক কাজ চলছে। সবে মাত্র শুরু হয়েছে, কাজ চল্লে জানতে পারব। এখান থেকে বেলগাছি ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিটন আলী, প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি