কার্পাসডাঙ্গায় গাঁজা সহ দুই জন আটক

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাসের নির্দেশে মাদক বিরোধী অভিযান হিসাবে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ এস আই রওশন, সঙ্গীয় ফোর্স কন্সটেবল মিলন, সাইদুরকে নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে কাঠ মিলের কাছে মাদক বিরোধী সফল অভিযান পরিচালনা করে চন্ডিপুর মাঝপাড়ার আফসারের ছেলে ডালিম(৪০) ও কুড়ুলগাছি পশ্চিমপাড়ার আকবারের ছেলে মহিরুল (৪০) কে ৪ শত গ্রাম গাঁজা সহ আটক করে।

রাতেই তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা সহ দামুড়হুদা মডেল থানায় হস্তান্তর করে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ।

একের পর এক মাদক বিরোধী সফল অভিযান পরিচালনা করায় দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস, এস আই সাইফুল, এ এস আই রওশন সহ চৌকস পুলিশ কন্সটেবল মিলন ও সাইদুরকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।

-কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি




ক্যাসিনো সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের দুই কর্মকর্তা আলাদা দুটি মামলা করেছেন।
দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিককে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দুদকের উপ পরিচালক সালাউদ্দিন। আরমানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
রাজধানীর অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে সম্রাট দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় ছিলেন। রাজনৈতিক পরিচয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় অপরাধ জগতের অপ্রতিরোধ্য সম্রাট হয়েছিলেন তিনি।

রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অফিস খুলে অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এক সময় ‘গডফাদারদের’ পক্ষে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-তদবির করলেও পরে রাজনৈতিক পর্যায়ে ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা থেকে মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন। সামনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর আবার আলোচনায় আসে সম্রাটের নাম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক অঙ্গনের লোকেরা মনে করছিলেন, ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার প্রধান নিয়ন্ত্রকই হলেন সম্রাট। শুরুতে কয়েক দিন কাকরাইলে নিজের অফিসে থাকলেও পরে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারের পর বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদÐ দেন। অস্ত্র ও মাদক রাখায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হয়।

দুই মামলায় সম্রাটকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র‌্যাব। মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তাঁর কাছে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা আছে। সূত্র বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জানিয়েছেন ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি থেকে তিনি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর তিনি কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

সেখান থেকে নগদ টাকা অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছেন।
দুদকের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত সম্রাটের মাত্র ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার নথিপত্র পাওয়া গেছে।
সম্রাটের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি আরমান। ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির টাকার বড় অংশ আরমানের কাছে রাখতেন সম্রাট। ‘লাগেজ পার্টি’ থেকে যুবলীগ, ক্যাসিনো ও সিনেমা প্রযোজক হয়ে আরমান দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সব জায়গা।

গত শতকের নব্বইয়ের দশকে বিদেশ থেকে ‘লাগেজ পার্টির’ আনা ইলেকট্রনিক পণ্য বায়তুল মোকাররম এলাকার দোকানে দোকানে বিক্রি করতেন। পরে নিজেই লাগেজ পার্টির কারবারে যুক্ত হন। ২০১৩ সালে যুবলীগের পদ পেয়ে অল্প সময়ে গড়ে তোলেন বিত্তবৈভব। জুয়া-ক্যাসিনোর টাকায় নামেন সিনেমা প্রযোজনায়ও।

সম্রাটের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগের সুবাদেই ২০১৩ সালে যুবলীগের মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতির পদ পান আরমান। সম্রাটের ছত্রচ্ছায়ায় ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনো ও জুয়া-বাণিজ্যের অন্যতম নিয়ন্ত্রকে পরিণত হন আরমান। তিনিই সম্রাটকে ক্যাসিনো ব্যবসায় আগ্রহী করেন বলে প্রচার আছে। সম্রাটের হয়ে পুরো ক্যাসিনো ব্যবসা দেখভালের দায়িত্ব পালন করতেন আরমান।

৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাটের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরমানও। গ্রেপ্তারের সময় মদ্যপ ছিলেন আরমান। তাঁর কাছে মাদকও পাওয়া যায়। সে কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ছয় মাসের কারাদÐ দেন।

-নিজেস্ব প্রতিনিধি




মুজিবনগরে সিগারেট জব্দ

মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো: তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর বাজারের মিন্টু স্টোর থেকে ধ‚মপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ এর ১০ ধারা ও ২০১৫ এর বিধি ৯ এর (ঙ) মোতাবেক ২শ শলাকা সিগারেট জব্দ করা হয়।

উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো: তারিকুল ইসলাম জানান, জাপান টোব্যাকো কোম্পানি এ সমস্ত পুরাতন স্বাস্থ্য সতর্কতা সম্বলিত সিগারেট বাজারে বিক্রি করছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ সকল সিগারেট জব্দ করা হয় বলে তিনি জানান।

-মুজিবনগর অফিস




মজিবনগরে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রচারণা লিপলেট বিতরণ

মেহেরপুরের মুজিবনগরে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রচারপত্র বিলি। মেহেরপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর প্রচার পত্র বিলি করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে মেহেরপুর জেলা মুজিবনগর থানার দারিয়াপুর বাজারে মেহেরপুর জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে মেহেরপুর জেলা পুলিশ কর্তৃক সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রচারপত্র বিলি করা হয় ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহি অফিসার ওসমান গনি, মুজিবনগর থানার ওসি আব্দুল হাশেম, মেহেরপুর জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন, গোলাম মুজতবা, ট্রাফিক সার্জেন্ট নাজমুল হাসান খান, ট্রাফিক টি এস আই মকবুল হোসেন প্রমুখ।

-মুজিবনগর অফিস




মেহেরপুর পৌরসভার ড্রেন ও রাস্তার ঢালাই কাজ পরিদর্শন

তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ, সেক্টর প্রকল্প এর আওতায় মেহেরপুর পৌরসভার হালদার পাড়া ও মালোপাড়ার ড্রেন ও রাস্তার ঢালাই কাজ পরিদর্শন করেন মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন ।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে পৌর মেয়র এসকল এলাকা পরিদর্শন করেন।

এসময় সেখানে পৌর প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন, কাউন্সিলর আল মামুন, নুরুল আশরাফ রাজিব, আব্দুল্লাহ হেল বাপ্পি, সচিব তৌফিকুর আলম, প্রকৌশলী মহাসিন আলীসহ পৌর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

-নিজেস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুর রাজনগর ফুটবল টুর্নামেন্টে নিরিবিলি ক্লাব জয়ী

মেহেরপুর সদর উপজেলা রাজনগর গ্রামে সুখরঞ্জন ও বকুল রানী সরকার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে দরবেশপুর নিরিবিলি স্পোর্টিং ক্লাব ফুটবল একাদশ ১ গোলে জয়ী হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজনগর স্কুল মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ৭০ মিনিটের খেলায় টান টান উত্তেজনায় দরবেশপুর নিরিবিলি স্পোর্টিং ক্লাব ফুটবল একাদশ ও শ্যামপুর রেইনবো ক্লাবের সাথে খেলায় ড্র করে।

পরবর্তীতে খেলা শেষে ট্রাইব্রেকারে খেলা দরবেশপুর নিরিবিলি স্পোর্টিং ক্লাব ফুটবল একাদশ ৩-২ গোলে শ্যামপুর রেইনবো ক্লাব ফুটবল একাদশ কে পরাজিত করে।

খেলা শেষে ম্যান অব দা ম্যাচ ও সেরা গোলদাতা সহ তিন জনকে প্রাইজবন্ড দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। খেলাটি পরিচালনা করেন জহির উদ্দিন, ইমাদুল ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম।

খেলাটির সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন সুধাংশু মোহন সরকার ও শ্রীমতি ভারতী রানী সরকার। এসময় খেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম সহ খেলা দেখতে আসা হাজারো দর্শক খেলাটি উপভোগ করেন।

-নিজেস্ব প্রতিনিধি




সাইকেল ভ্রমণে তিন বার্তা পৌঁছালেন তিন তরুণ-তরুণী

তিনটি সচেতনতা বার্তা নিয়ে তিন তরুণ-তরুণী আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে সাইকেল ভ্রমণ করে পৌঁছেছেন মেহেরপুরের মুজিবনগরে। মুজিবনগরে পৌঁছানোর মধ্যে দিয়ে তারা এ কর্মসূচী শেষ করেন। সাইকেল ভ্রমণের মাঝে মাঝে তারা ছোট ছোট পথ সভায় মানুষজনের মাঝে এ বার্তা গুলো পৌঁছে দিয়েছেন তিন জন।

সাইকেল আরোহণকারী তিন তরুণ তরুনীদের মধ্যে সতিশ চাকমা, নাসরিন আকতার ও শিউলি শবনম। তাঁরা সকলের চট্টগ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে শিউলি শবনম সাংবাদিক। তিনি একুশে টিভিতে কাজ করেন। সতিশ চাকমা চট্রগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এবং নাসরিন আকতার চট্টগ্রাম হাজী মহুাম্মদ মহসীন কলেজের এমবিএ শিক্ষার্থী।
তিন জন তিনটি সচেতনতা বার্তা নিয়ে অনেক দিন ধরে কাজ করছেন।

তাদের সেই বার্তাগুলো সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে তারা সাইকেল ভ্রমণের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এর মধ্যে সতিশ চাকমা কাজ করছেন পরিবেশ সুস্থ রাখার জন্য। তিনি জানান, সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে পরিবেশকে সুস্থ রাখার কোন বিকল্প নাই। ময়লা আবর্জনা একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে এবং আগামি প্রজন্মকে সেই অভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখতে হবে।

নাসরিন আকতার প্রাণীদের সংরক্ষণ বিষয়ে কাজ করছেন। তিনি জানান, মা কুকুর বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়। সেটি না করে জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে তাদের না মেরে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাদের প্রজননের সময় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১৯ এর যথাযথ বাস্থবায়নেও এগিয়ে আসতে হবে।

শিউলি শবনম নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। তিনি জানান, যে সকল সংস্কার নারীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগিয়ে তাদের সমাজে পিছিয়ে রাখা হয়। সে সকল সংস্কারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা করে তোলা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ নভেম্বর আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে সাইকেল ভ্রমণ শুরু করেন তারা। সেখান থেকে নরসিংদি, টাঙ্গাইল, পাবনার ঈশ্বরদি হয়ে ১১ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় তারা মেহেরপুর শহরে পৌঁছান। পরে তাঁরা মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের কর্মসূচীর বিষয়ে উপস্থাপন করেন। মঙ্গলবার সকালে মুজিবনগরের উদ্দেশ্যে মেহেরপুর ত্যাগ করে এবং মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে তাদের এ ভ্রমণ শেষ হয়।

-ওবাইদুল, মেহেরপুর




জীবননগর থানার ওসি সহ দুই কর্মকর্তা পুলিশ লাইনে ক্লোজড

জীবননগর উপজেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণ না করা, সংশ্লিষ্টতার সাথে জড়িত এবং মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়া ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে জীবননগর থানার ওসি শেখ গনি মিয়া ও শাহপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই সাঈদকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকালে তাকে জীবননগর থানা থেকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
জীবননগর উপজেলার শাহাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাহিদুজ্জামান সাইদের বিরুদ্ধে আসামী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে গত রোববার রাত ১১টার দিকে শাহপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই সাঈদ ও উপজেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণ না করা ও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গতকাল সোমবার বিকালে জীবননগর থানার ওসি শেখ গনি মিয়াকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
এদিকে একই অভিযোগ উঠেছে ,সম্প্রতি ডিবি পুলিশ থেকে জীবননগর থানায় যোগদান করা এস আই আরিফ ও শাহপুর ক্যাম্পের সাবেক এ এস আই ইমামুলের বিরুদ্ধে। জীবননগর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া ও বিভিন্ন মাদক স্পট থেকে মাসিক হারে টাকা গ্রহন করে।
শাহপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই সাহিদুজ্জামান বলেন, আমি কোন আসামীকে আটক করে ছেড়ে দেওয়া তো দুরে থাক তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। আমি দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র এক মাস এই সময়ের মধ্যে যে সমস্থ আসামী আটক করেছি তা জীবননগর থানায় সোর্পদ করেছি।
সিনিয়ার সহকারী পুলিশ আবু রাসেল বলেন, দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন না করার অভিযোগ পাওয়া যায় ওসি শেখ গণি মিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া মাদকবিরোধী অভিযানে তার ব্যর্থতার প্রমাণ পাওয়া যায়। সেই সাথে পুলিশ বাহিনীতে তার অধিনস্থ পুলিশ সদস্যদেরকে অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখতে না পারার অভিযোগও পাওয়া যায় ওসি গণি মিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া শাহপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই সাহিদুজ্জামান আসামীদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা ও দায়িত্বে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে জীবননগর থানার ওসি শেখ গণি মিয়াকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
সেইসাথে তার অধিনস্থ পুলিশ সদস্যরা মাদকের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগও পাওয়া যায়। এর দায় থানার ওসি এড়াতে পারেনা। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মাদকের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত জেলার কোন পুলিশ সদস্যদেরকেই ছাড় দেয়া হবেনা। শুধু মাদকই নয় বরং পুলিশকে যেকোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে প্রমাণ সাপেক্ষে আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।




বারাদী ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই আব্বাসের নির্যাতনে ৭ জন জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মেহেরপুর সদর উপজেলা বারাদী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আব্বাসের নির্যাতনে নারী সহ ৭জন জখম হয়েছে।
এই ৭ জনকে এসআই আব্বাস পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার সকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার কলাইডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে।
আহতরা হলেন, মুকুলের স্ত্রী ফেরদৌসী খাতুন, মুকুলের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে জ্যোতি ও প্রীতি, তার চাচি আরবীয়া খাতুন, সিমা খাতুন, বাবলু মিয়া।
এছাড়াও এস আই আব্বাসের বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ জনগন বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ তুলেছে। বারাদী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক সাধারণ মানুষ জানিয়েছে, এসআই আব্বাস কাছে সাধারণ মানুষ কোন ন্যায় বিচার পাইনা। এলাকার প্রভাবশালীদের কাছের মানুষ হওয়ায় তাদের কথামত কাজ করে।
কতিপই কিছু দালাল ব্যাতিথ ক্যাম্পে গেলে উপকার করা দুরের কথা তাদের সাথে অসদাচারণ করেন বলে অভিযোগ তুলেছে অনেকেই।
৭ জনকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলা কলাইডাঙ্গা গ্রামের কামরুজ্জামান মুকুল এবং আব্দুল হামিদ লিফন এই দুই পরিবারের মাঝে জমি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে সেই জমিতে পাচির দেওয়া ছিল। বিবাদী পক্ষ আব্দুল হামিদ লিফন পাচিরটি ভেঙে দেয়।
পাচিরটি ভেঙে দেওয়াই মুকুলদের বাড়ি ফাকা হয়ে যায়। এই দেখে মুকুলের পরিবার ভেঙ্গে যাওয়া পাচিরে উপর বেড়া দেওয়াই আব্দুল হামিদ বারাদি পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেয়।
পরে ক্যাস্প ইনচার্জ আব্বাস আলী সহ কয়েকজন পুলিশ এসে মুকুলের স্ত্রী সহ সকলের উপরে লাঠিচার্জ করে।
এ বিষয়ে আহত মুকুলের স্ত্রী ফেরদৌসী খাতুন জানান, হঠাৎ করে বারাদি ক্যাম্পের পুলিশ আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এ গালাগালির প্রতিবাদ করলে আমার দুই মেয়ে সহ আমাকে লাঠিপেটা করে এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমার জামাকাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তারপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ায় আমার বুকে লাগে। আমার এখন শ্বাস কষ্ট হচ্ছে।
মনসুর আলীর স্ত্রী আরবীয়া খাতুন জানান, পুলিশ বাড়িতে ঢুকেই কোন কথা না বলেই লাঠিচার্জ শুরু করে আমাদের উপর। এসময় বাড়িতে কোন পুরুষ লোক ছিল না সবাই মাঠের জমিতে গিয়েছিল। বাড়ির মহিলারা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিল। এসময় বাড়িতে কাজ করা তিন জনকে ধরে গাড়িতে তোলে। আমরা কথা বললে আমাকে মারতে শুরু করে। আমার মাজায় ও পিঠে কাঠ দিয়ে দুইটা আঘাত করে।
তারপর আমার ছেলের বউ কিছু বললে তাকেও মারতে শুরু করে। এ সময় আমার ছেলের বউকে ঠেকাতে গেলে পুনরায় আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর নজির আলি, সাজিব আর সোহানকে ধরে নিয়ে যায়।
কামরুজ্জামান মুকুল বলেন, আমাদের পরিবারের সাথে আব্দুল হামিদ লিফন দের মাঝে জমি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে।
এবিষয় নিয়ে বারাদি ক্যাম্পে লিফন প্রায়ই অভিযোগ করে। এ নিয়ে বারাদি ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আব্বাস আমাকে বিভিন্ন হুমকি দেয়।
এর মধ্যে সে বাড়িতে এসে পুরুষ মানুষ না পেলে মহিলাদের কে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
গত সপ্তাহে আমার মেজো ভাই ও আমার স্ত্রীকে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছিল এ সময় অনেকে বাধা দিলে নিয়ে যেতে পারিনি। যে জমি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে সেই জমিতে পাশের দেওয়াল ছিল ।
সেই দেওয়াল বিবাদী পক্ষ ভেঙে দেওয়াই আমাদের বাড়িটির সীমানা ফাঁকা হয়ে যায়। ওই পাচীরে ওপর দিয়ে আমরা বেড়া দিলে লিফন বারাদি ক্যাম্পে খবর দেয়।
গতকাল সোমবার বারাদী ক্যাম্পের এস আই আব্বাস আলী এসে বেড়া দিয়েছে বলে আমার চাচা বাবলুকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়। বাবলু চাচাকে টানা হেঁচড়া করে নিয়ে যাওয়ার সময় সে অজ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় আমাদের বাড়ির মহিলারা আব্বাস আলীর সাথে কথা বলতে গেলে সে এবং তার সাথে থাকা সঙ্গী পুলিশ আমার পরিবারের উপর লাঠিচার্জ করে এতে তারা আহত হয়। সেই সাথে আমার বাড়িতে কাজ করছিল তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায় ক্যাম্পে।
তিনি আরো জানান, জমিজমা বিষয় নিয়ে আমার বাপকে মাডার করা হয়েছিল। সে মামলায় আব্দুল হামিদ লিফন ৩ নং আসামি।
গত শনিবার এ বিষয় নিয়ে এস আই আব্বাস আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে বলে মামলা তুলে নিতে হবে ও জমি-জমা ফেরত দিতে হবে।
আপনি পুলিশের লোক হয়ে জনগণকে এ ধরনের কথা বলা ঠিক না একথার জবাবে এস আই আব্বাস বলে তোর বাবা তো সন্ত্রাসী ছিল। এমনিতে মাডার হয়েছে নাকি ? মুকুল আরও বলেন, এস আই আব্বাস আলী এক বছর বারাদি ক্যাম্পে আশায় প্রতিনিয়ত এই জমিজমা বিষয় নিয়ে আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে এবং বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
১০০ বছর ধরে এই জমিতে আমরা বাড়ি করে আছি। এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। মামলা শেষ হলে যার জমি সে পাবে। এর আগে এস আই আব্বাস আলী আমার ভাইকে ধরে নিয়ে যে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়েছে। আমাকে প্রতিনিয়ত এখন কে হুমকি দেয় যে তোকে ক্রসফায়ার দেবো। আমি সহ আমার পরিবারের সকলেই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।
বারাদি ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই আব্বাস আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আসলে আমি ঘটনা স্থলে যায়। ঐ স্থানে গিয়ে দেখি প্রাচীরের উপর বেড়া দিচ্ছে মুকুলের পরিবার। আমি কয়েকটি কথা বলায় মহিলাদের সাথে কয়েকটি কথা হয়। তারপর আমি চলে আসি। মহিলাদের পিটিয়ে আহত করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ উঠেছে সকল তথ্য মিথ্যা।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং সেখানে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। ঐ জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা চলছে। সেখানে প্রাচীর দেওয়া ছিল। প্রাচীর ভেঙ্গে যাওয়া মকুলের পরিবার বেড়া দেওয়াতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এস আই আব্বাসের বিষয়ে তিনি বলেন, কোন পুলিশ যদি মহিলাদের গায়ে হাত দেয় তাহলে ঘটনা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




গাংনীতে বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা

মেহেরপুর গাংনীতে সাগর হোসেন (১৮) নামে এক যুবক বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।
গত শনিবার রাতে উপজেলার করমদি সরকার পাড়ার নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। সাগর হোসেন করমদি গ্রামের মুক্তার আলীর ছেলে।
সাগরের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাগর হোসেন পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষপান করে। বিষপানের পর সাগর হোসেন ছটফট করতে থাকলে পরিবারের লোকজন তাকে করমদির সন্ধানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাজশাহী একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ডাক্তার তাকে বাড়ি ফেরত দিলে গত শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।