মেহেরপুরে মিজানুর রহমান রিপন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

মেহেরপুর বোসপাড়া যুব সংঘের উদ্যোগে বোসপাড়া নেশার মাঠে শহীদ মিজানুর রহমান রিপন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকালে মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি উভয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হন। মোট ৮টি দল অংশগ্রহণ করছে। দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে লীগ ভিত্তিক পরস্পর পরস্পরের মোকাবেলা করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল মামুন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ।
উদ্বোধনী খেলাটি গোলশূন্যভাবে ড্র হয়। বোসপাড়া একাদশ ও রব্যাক একাদশের মধ্যকার খেলাটি আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণে মধ্যে দিয়ে খেলাটি শেষ হয়।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




জীবননগরে অফিস সহকারীর ভুলে জেডিসি পরীক্ষা দেওয়া হল না ইয়াসিনের

জীবননগরে অফিস সহকারীর ভুলে মাদরাসার ছাত্র ইয়াসিন আরাফাতের জেডিসি পরীক্ষা দেওয়া হলো না।
গত শনিবার সারাদেশের ন্যায় জীবননগরে এক সাথে অনুষ্ঠিত হয় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। তারই ধারাবাহিকতায় জীবননগর

উপজেলার কাটাপোল গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে ইয়াসিন আরাফাত মাধাবপুর ইসলামী দাখিল মাদরাসার ছাত্র হিসাবে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে যায়। কিন্তু গত বছর কোরআন শিক্ষা এবং আরবি বিষয়ে ফেল করায় এ বছর পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে প্রবেশ পত্র না নিয়ে যাওয়ায় শিক্ষকরা তাকে কোরআন শিক্ষা পরীক্ষা দিতে দেয়নি।
এদিকে বিষয়টি শিক্ষকদের কাছে বলা সত্বেও কোন ফল না পাওয়ায় এ বছরও দেওয়া হলো না ইয়াসিনের পরীক্ষা শিক্ষকদের এ অবহেলায় ঝরে গেল ইয়াসিনের জীবন।

ইয়াসিন অভিযোগ করে বলে, আমি বৃহস্পতিবার মাদরাসায় প্রবেশ পত্রের জন্য যায় সেখানে মনির স্যারকে প্রবেশ পত্রের কথা বললে তিনি আমাকে বলে তোমার প্রবেশ পত্র শরিফ স্যারের কাছে আছে। আমি মাদরাসায় শরিফ স্যারের কাছে গেলে দেখি তিনি নাই এর পর স্যারকে বললে তিনি বলেন শরিফ স্যারের ডয়ারে আছে তুমি সেখান থেকে নিয়ে যেয়ো। পরীক্ষার দিন সকালে মাদরাসায় যেয়ে শরিফ স্যার না আশায় আমার পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।

মাদরাসা সুত্রে, জানা গেছে গত ৩০ শে অক্টোবর মাদরাসার জেডিসি পরীক্ষার সকল শিক্ষার্থীদের হাতে প্রবেশ পত্র তুলে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন মাদরাসা সুপার এবং সকলকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান অফিস সহকারী শরিফ তা হলে কেন পেল না প্রবেশ পত্র ইয়াসিন আরাফাত প্রশ্ন অভিভাবকের।

অফিস সহকারী শরিফ বলেন, আমি বৃহস্পতিবার ৫ম শ্রেনীর রেজিস্ট্রিকার্ড আনার জন্য জীবননগরে ছিলাম। তাছাড়া আমার কাছে কেউ প্রবেশ পত্রের জন্য আসেনি।

মাধবপুর ইসলামী দাখিল মাদরাসার সুপার তাজুল ইসলাম বলেন, আমি গত ৩০ শে অক্টোবর যে সমস্থ শিক্ষার্থী প্রবেশ পত্র নেয়নি তাদের সকলকে প্রবেশ পত্র দেওয়ার কথা বলেছি শরিফকে সে আমাকে জানায় যে সে সকল শিক্ষার্থীর হাতে প্রবেশ পত্র তুলে দিয়েছে। কিন্তু ইয়াসিন প্রবেশ পত্র না পাওয়ার বিষয়টি আমি সঠিক ভাবে বলতে পারছি না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দ্বিনেশ চন্দ্র পাল বলেন, যদি কোন শিক্ষার্থী প্রবেশ পত্র না নিয়ে আসে বা কোন সমস্যা হয়। এমন কি যদি হারিয়ে যায় তা হলে সে বিষয় আমরা কম্পিউটারে সার্চ দিলে তার সমস্থ তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই বলে পরীক্ষা দিতে পারবে না এটা ঠিক না। তবে বিষয়টি আমি তদন্ত করবো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে অফিস সহকারীর এহেন কান্ড দেখে অভিভাবকরা হতাশ।

-জীবননগর প্রতিনিধি




জীবননগরে যাত্রী ছাউনীর নির্মান উদ্বোধন হলেও কাজ হয়নি ২বছরেও

দীর্ঘ দিন যাবৎ জীবননগরে যাত্রী ছাউনী না থাকায় সাধারণ যাত্রীদের প্রতিনিয়ত পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে।
গত ২০১৭ সালে যাত্রীদের সুবিধার্থে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৬লক্ষ টাকা ব্যায়ে বাসস্টান্ডে একটি যাত্রী ছাউনী নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু নানা জটিলতা আর দখলদারদের কবলে থাকা যাত্রী ছাউনীর জমি নিয়ে শুরু হয় তালবাহনা । অবশেষে বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী ছাউনী নির্মাণ কাজ । সেই থেকে এ পর্যন্ত আর আলোর মুখ দেখিনি যাত্রী ছাউনী।

এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ জীবননগর শহরে যাত্রী ছাউনী না থাকায় রোদ, বৃষ্টির সময় বাসের অপেক্ষায় বিভিন্ন দোকানের সামনে দাড়াতে হয়। অনেক দোকানদাররা বাজে ব্যবহার করলেও নিরবে তা সহ্য করতে হয় ।
তাছাড়া জেলা পরিষদ থেকে যাত্রী ছাউনী নির্মানের জন্য যে টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে সেই টাকা দিয়ে যদি যাত্রী ছাউনীটা নির্মাণ করা হত তা হলে যাত্রীদের অনেক উপকার হতো।

এদিকে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক স্থানীয় সুধী ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, জেলা পরিষদ থেকে অর্থ দিয়ে জীবননগর শহরে যে যাত্রী ছাউনী নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিলো তা একটা মহতী উদ্যোগ । কিন্তু স্থানীয় কিছু ক্ষমতাশীন দলের নেতাদের সার্থে আঘাত হানার ফলে এবং বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনকে সামনে নিয়ে যাত্রী ছাউনীর পিছনে সরকারী জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করে বসে থাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের একত্রিত করে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ না করার জন্য বাধা দিলে যাত্রী ছাউনী নির্মাণের কাজটি এক সময়ে সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু সেই বন্ধে এটা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেল।
গত দুই বছর পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি যাত্রী ছাউনীর যার ফলে স্থানীয় সুধী ও সচেতন মহলের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন ।

তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, যে স্থানে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি জেলা পরিষদের জমি তা ছাড়া মেইন শহরে বেশির ভাগ জমি জেলা পরিষদ এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের। এ সমস্থ জমিগুলো স্থানীয় ক্ষমতাশীন দলের কিছু প্রভাবশালী নেতারা দখল করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছে। এ কারনে ব্যবসায়ীরা জমি দখল করতে করতে প্রায় রাস্তার উপর চলে এসেছে।

আর এ সমস্থ জমি দখল করার ফলে ক্রমন্নয়ে রাস্তা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জনসাধারণের পথচলাচলে ব্যাপক সমস্যার সম্মসক্ষীণ হতে হচ্ছে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস এন্ড রায় ট্রেডার্সের প্রতিনিধি সাগর কুমার বিশ্বাস বলেন, ২০১৭ সালে ৩০শে মে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে জীবননগরে একটি যাত্রী ছাউনী নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। উদ্ধোধনের পর ভিত ও কাটা হয় কিন্তু জমির জটিলতার কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। এ কাজটি করার জন্য আমরা একাধীক বার জেলা পরিষদে গিয়েছি কোন ফল হয়নি যার ফলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি ।

জেলা পরিষদের সদস্য মোসাবুল হক লিটন বলেন, জীবননগর শহরে যাত্রী ছাউনী নির্মাণের জন্য গত দুই বছর আগেই অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হয়ে ছিলো। কিন্তু নির্দিষ্ট জমি না থাকায় এখানে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া এখানে যে অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছিলো সময় মত কাজ না করায় এটি বাতিল হয়ে গেছে ।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, জীবননগর শহরে যাত্রী ছাউনী খুবই জরুরী যেখানে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করার কথা ছিলো এটা অনেক আগে উদ্বোধন হয়েছে বলে শুনেছি কিন্তু যাত্রী ছাউনীর জমির জটিলতার কারনে কাজটি বন্ধ হয়ে আছে । তবে আশা করি খুব দুরত্ব যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করা হবে।

এদিকে দখলদারদের উচ্ছেদ করে সরকারি জমি দখল মুক্ত করে জীবননগরে একটি যাত্রী ছাউনী নির্মানের জন্য উদ্ধতর্ন কতৃপক্ষের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করছেন স্থানীয় সুধী, সচেতন মহলও যাত্রীগণ।

-জীবননগর প্রতিনিধি




এক নজরে খোকা

ছাত্র আন্দোলন থেকে গেরিলা যোদ্ধা; ওয়ার্ড কমিশনার থেকে মেয়র-মন্ত্রী; বাম থেকে মধ্য ডান দলের রাজনীতিক, আবার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা- এমন অনেক বৈশিষ্ট্য যেখানে মিলেছে, সে হলেন সাদেক হোসেন খোকা।

দলের গ-ি ছাড়িয়ে অন্য দলেও যেমন জনপ্রিয় ছিলেন তিনি, এলাকার মানুষেরও ছিলেন কাছের মানুষ। তাকে বর্ণনা করতে গিয়ে এক সময়ের সহকর্মী আবুল হাসনাত বললেন, “হি ওয়াজ ম্যান অব দি পিপলস।”

খোকার দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য পুরান ঢাকার আবুল হাসনাত ঢাকার প্রথম মেয়র। ওই পুরান ঢাকা থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে উঠে এসেছিলেন খোকা, ছিলেন ক্রীড়া সংগঠকও।
উত্তাল বাহান্নোয় জন্ম নেওয়া খোকা ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবন পেরিয়ে গতকাল সোমবার চিরবিদায় নিয়েছেন ৬৭ বছর বয়সে।
পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর দুর্নীতির মামলায় দ- নিয়ে সেখানেই ক্যান্সারের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।

সরকারবিরোধী বিএনপি তাদের এই নেতার দেশে ফেরার আকুতির কথা জানিয়েছিলেন সরকারকে; তাতে সাড়াও মিলেছিল। কিন্তু তার আগেই জীবনাবসান ঘটল তার।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খোকার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
সাদেক হোসেন খোকার জন্ম ১৯৫২ সালের ১২ মে মুন্সীগঞ্জে সৈয়দপুরে। তবে বাবা-মায়ের সঙ্গে পুরান ঢাকার গোপীবাগে তার বেড়ে ওঠা। তার বাবা এম এ করীম ছিলেন প্রকৌশলী।

শিশুকাল থেকেই বন্ধু-বান্ধবদের নিয়েই ছিল খোকার জীবন। এই বন্ধুত্বের সূত্র ধরেই যাওয়া মুক্তিযুদ্ধে, এই বন্ধুদের সঙ্গে মিলেই গড়ে তোলেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব।

গোপীবাগ রামকৃষ্ণ মিশন স্কুল, কলতাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়দেবপুর রানী বিলাস মনি উচ্চ বালক বিদ্যালয়, জগন্নাথ কলেজ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান খোকা; মনোবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন তিনি।

ছাত্র আন্দোলনে নাম লিখিয়ে খোকা হয়ে উঠেছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। পরে যোগ দেন বাম আন্দোলনে; রুশ-চীন দ্বন্দ্বে কমিউনিস্ট পার্টির ভাঙন দেখা দিলে তিনি নাম লেখান চিনপন্থি শিবিরে।
ছাত্র আন্দোলনের পর কাজী জাফর আহমেদ নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস লীগে (ইউপিপি) যোগ দিয়েছিলেন খোকা। পরে যোগ দেন ন্যাপ ভাসানীতে।

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে যখন দলের হাল ধরেন খালেদা জিয়া, চিনপন্থি অনেক বাম নেতাকে অনুসরণ করে তখন ১৯৮৪ সালে বিএনপিতে যোগ দেন খোকা।

শুরু হয় তার রাজনীতির আরেক অধ্যায়। প্রথমে ওয়ার্ড কমিশনার হন সিটি করপোরেশনে; ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে সূত্রাপুর-কোতোয়ালি আসনে শেখ হাসিনাকে হারিয়ে দিয়ে সারাদেশের নজরে আসেন তিনি। ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে জয় ধরে রাখেন তিনি; এমনকি ১৯৯৬ সালে যখন ঢাকায় বিএনপি অন্য সব আসনে হেরেছিল, তখনও ধানের শীষকে জয়ী রেখেছিলেন খোকা।
১৯৯১ সালে সরকার গঠনের সময় ক্রীড়া সংগঠক খোকাকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী করেন খালেদা জিয়া।

মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়নের দায়িত্ব নেন খোকা। তিন বছরে ঘরোয়া ফুটবলের তৃতীয় ডিভিশন থেকে প্রথম ডিভিশনে উঠে আসে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, টক্কর দিতে শুরু করে মোহামেডান ও আবাহনীর সঙ্গে। এছাড়া ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, ফরাশগঞ্জ ক্লাব এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী হন খোকা। তবে পরের বছরই ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়ার পর মন্ত্রিত্ব ছাড়েন তিনি।

২০০২ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১১ সাল পর্যন্ত একটানা দায়িত্ব পালন করেন খোকা। ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন দায়িত্বে।
তার সময়েই ঢাকার বিভিন্ন সড়ক মুক্তিযোদ্ধা ও বরণ্যে শিল্পী-সাহিত্যিকদের নামে করা হয়, যা সবার প্রশংসা কুড়ায়। আবার মেয়র থাকাকালের ঘটনার জন্যই দুর্নীতির মামলায় দ-িত হন তিনি।
তৃণমূল থেকে উঠে আসা খোকা সহ সাংগঠনিক পদ দিয়ে শুরু করে নানা পদ পেরিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত। এর আগে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক, সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন দীর্ঘদিন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতিও ছিলেন তিনি।
যুদ্ধদিনের খোকা

অন্য বন্ধুদের মতো বাড়িতে না জানিয়েই একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন সাদেক হোসেন খোকা, তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ছিলেন ক্রাক প্লাটুনের সদস্য, একদল তরুণের ওই গেরিলা যুদ্ধ অনেকের কাছে ছিল বিস্ময়ের।

২০০১ সালে যখন মন্ত্রী, তখন এক আলাপে নিজের মুক্তিযুদ্ধের কিছু ঘটনার রোমন্থন করেছিলেন খোকা।
“আমি যুদ্ধে যাব- এটা মা-বাবা কাউকে জানাইনি। বলতে পার, একরম হঠাৎ করে বাসা থেকে চলে হয়ে গেলাম যুদ্ধের পথে।”
যুদ্ধে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছিলন, “পাকিস্তানিরা আমাদেরকে শোষণ করবে, নির্যাতন করবে, আমাদের সম্পদ লুট করে নিয়ে যাবে, এটা তো মনে নেওয়া যায় না। যুদ্ধ যাওয়ার প্রতীক্ষায় দিন গুণছিলাম, একদিন হঠাৎ করেই বন্ধু-বান্ধবসহ আমি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলাম। হয়ে গেলাম গেরিলা, ক্রাক প্লাটুনের সদস্য।”

‘লম্বা ইতিহাস’র খানিকটা সেই আলাপে বলেছিলেন এই গেরিলা যোদ্ধা।
“মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি দিককার কথা। বায়তুল মোকাররমই ঢাকার তখন একমাত্র বড় মার্কেট ছিল। একদিন দেখি দুপুরে বেলায় বায়তুল মোকাররমের সামনে বড় বড় ক্যামেরা দিয়ে শুটিং হচ্ছে। আমার একটু কিউরিসিটি হল, এখানে কী হচ্ছে? রোজার ঈদের আগে বড় বড় দোকানে দেখানো হচ্ছে যে, ঈদের মার্কেটিং হচ্ছে, বেচা-কেনা হচ্ছে, মানে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিকভাবে চলছে। এটা দেখানোর

জন্য পাকিস্তানিরা শুটিং করছে। শুনলাম ডিএফপি এই শুটিং করছে।
“তখন আমার মাথা ঢুকল, এই ডিএফপিকে তো তাহলে ধরতে হয়। কোথায় ডিএফপি? খোঁজ-খবর নিতে নিতে জানা গেল, শান্তিনগরে এসবি অফিসের পাশেই ডিএফপি (ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ম এন্ড পাবলিকেশন্স) অফিস। এই অফিস থেকেই এসব কাজ করা হয়। তখন আমরা পরিকল্পনা করলাম এই অফিসে অপারেশন চালাব।

“ক্রাক প্লাটুনের আমরা তিনজন ছুটির দিনে, মানে সেদিন হাফ অফিসের দিন ছিল, অপারেশনে বেরুলাম। দিনটি ছিল শুক্রবার। জুম্মার নামাজের পরে অপারেশন। আমরা একটা কালো ব্যাগের মধ্যে দুইটা স্টেনগান ও এক্সপ্লোসিভ নিয়ে যাই। ডিএফপির গেইটে গেলাম। যে দারোয়ান ডিউটিতে ছিল, তাকে অফিসের এক কর্মকর্তার নাম বলি যে, তার (ওই কর্মকর্তা) দেশের বাড়ি থেকে এক আত্মীয় উনার জন্য জিনিস পাঠিয়েছেন। এই কথায় দারোয়ান অফিসের গেইট খুলে ঢুকতে দেয়। ভেতরে ঢুকে আমরা ব্যাগ থেকে অস্ত্র বের করে তাকে নিয়ন্ত্রণে নিই, তাকে বোঝাই যে আমরা মুক্তিযোদ্ধা। এক পর্যায়ে দারোয়ান বলে যে, সে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক। তার ছোট ভাই একজন মুক্তিযোদ্ধা। বিষয়টা আমাদের জন্য ইজি হয়ে গেল।”

“তারপর একটা পর্যায়ে আমরা সেই ২০ পাউন্ড ওজনের এক্সপ্লোসিভটা রুমের ভেতরে রাখি। এক্সপ্লোসিভের বৈশিষ্ট্য হল, যত চাপ দিয়ে রাখা যাবে, এটার ক্যাপাসিটি তত বাড়বে। তখন কয়েকটা স্টিলের আলমারি দিয়ে ওই এক্সপ্লোসিভ চাপা দিলাম, তারপর বিস্ফোরণ ঘটাই। সেই বিস্ফোরণের পর সারা বিশ্বে শিরোনাম হয়েছিল- পূর্ব পাকিস্তানে দামাল মুক্তিযোদ্ধারা অশান্ত করে তুলেছে ঢাকাকে। এরকম বিস্ফোরণ এযাবত পাকিস্তানে আর হয়নি। এটা পাকিস্তানের সৈন্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এভাবে দিনে-দুপুরে এরকম একটা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গেল মুক্তিযোদ্ধারা, এটা কী করে সম্ভব!”

ডিএফপি ছাড়া রাজারবাগের কাছে মোমিনবাগে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হলের পেছনে এয়ারফোর্সের রিক্রুটিং সেন্টারও খোকার নেতৃত্বে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে।

খোকা বলেছিলেন, “আমাদের অপারেশনের স্পিরিট ছিল শত্রুকে ব্যতিব্যস্ত রাখা। ঢাকার মানুষকে জানান দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধ ঢাকায়ও চলছে। আমাদের গ্রুপ বিশেষ করে ছোট-বড় অনেক অপারেশন আমরা করেছি ঢাকায়।”

মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার স্মৃতি তুলে ধরে খোকা বলেছিলেন, “মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পরপরই বাংলাদেশ থেকে আমরা কয়েকজন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা শহরে গিয়ে সিপিএম (কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া-মার্কসবাদী) অফিসে যাই। সেখানে আমাদের দেশের নেতৃবৃন্দকে পাই। সেখান থেকে আমাদের যাত্রা ২ নম্বর সেক্টরে। মেজর খালেদ মোশাররফ ও মেজর এটিএম হায়দারের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য। সেখানে আমাদের শহীদুল্লাহ খান বাদল আমাদের বিভিন্ন গ্রুপে পাঠিয়ে দেন।

“ট্রেনিংয়ের পর মেজর হায়দারের নেতৃত্বে আমি কুমিল্লার সালদা নদীতে পাকিস্তানি সৈন্যদের সাথে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেই। সেই দিন রাতে সেই দুঃসাহসিক অপারেশনের কথা স্মরণ করলে শরীর শিহরিত হয়ে ওঠে। মাথার উপর দিয়ে রাতের অন্ধকারে টমি গান-ব্যারেল গানের আগুনের স্ফূলিঙ্গের মতো কী যেন ছুটে যাচ্ছে। যেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। পাকিস্তানি সৈন্যদের আমরা সেই অপারেশনেই পিছু হটাতে বাধ্য করেছিলাম।”

খোকার ভাষায়, “মুক্তিযুদ্ধ ছিল সার্বজনীন। কোনো দল, কোনো গোষ্ঠি, কেনো ব্যক্তি, কোনো পরিবারের একক কারও অবদান ছিল না, এই অবদান বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষের। এর সুফলও সার্বজনীন হওয়া উচিৎ।”
‘আর আসবে না’

এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ঢাকায় প্রতিটি আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলেন খোকা; তবে তাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া

হয় ১৯৯০ সালে পুরান ঢাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ঠেকানোর জন্য।
নিউ ইয়র্কে হাসপাতালে সাদেক হোসেন খোকানিউ ইয়র্কে হাসপাতালে সাদেক হোসেন খোকা
এরশাদ আমলের ওই ঘটনায় এখনও খোকাকে স্মরণ করেন গোপীবাগের একটি মিষ্টি দোকানের প্রবীণ কর্মী দেবেন্দ্র নাথ।
খোকার মৃত্যুর খবর শুনে তিনি বলেন, “খোকা ভাইয়ের মতো নেতা আর আসবে না।”
তিনি বলেন, “১৯৯০ সালে ভারতের বাবরী মসজিদ ভাঙার পর পুরান ঢাকায় হিন্দুদের উপর যখন হামলার চেষ্টা হয়েছিল, খোকা ভাই শাঁখারী বাজারে এসে বলেছিল, সাবধান-খবরদার, এখানে কেউ কিছু করলে হাত ভেঙে ফেলব।”

“শুধু তাই নয়, স্বামীবাগের হিন্দু সম্প্রদায়ের দুটি মন্দির ও ইসকনের বেদখল জমি পুনরুদ্ধার করে দিয়েছিলেন তিনি,” বলেন দেবেন্দ্র।
পুরান ঢাকায় সূত্রাপুর ও কোতোয়ালি হিন্দুপ্রধান এলাকা; বিএনপির জোটে সাম্প্রদায়িক দল থাকলেও খোকার কারণেই ওই এলাকার ভোট ধানের শীষে পড়ত বলে স্থানীয়রা জানান।
খোকার মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত অনেকে বলেন, যখনই কোথাও মানুষের বিপদ হয়েছে, যখনই কেউ সঙ্কটে পড়েছে, তখনই ছুটে যেতেন খোকা।

লন্ডনে অবস্থানরত ঢাকার প্রথম মেয়র আবুল হাসনাত বলেন, “খোকা তৃণমূল থেকে উঠে আসা এক রাজনৈতিক নেতা, যিনি দলমত নির্বিশেষে মানুষের পাশে থাকতেন সবসময়।”

মুক্তিযোদ্ধা অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেন, “একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছিলেন।”
খোকার মৃত্যুতে দলে শূন্যতাটাই বড় হয়ে বাজছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মনে; যিনি নিজেও খোকার মতো বাম রাজনীতি থেকে বিএনপিতে এসেছেন।

খোকার পরবর্তী রাজনৈতিক দর্শনকে অপছন্দ করলেও তা ছাপিয়ে ব্যক্তি খোকা, মুক্তিযোদ্ধা খোকাকে ভালোবাসা নিয়ে স্মরণ করছেন তার যুদ্ধদিনের সঙ্গী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সংগঠক নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।

অন লাইন ডেক্স




গাংনীতে বউ এর উপর অভিমান করে স্বামীর বিষপান

বউ এর উপর অভিমান করে মাঠে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন রঞ্জিত নামের এক ব্যক্তি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা ধানখোলা গ্রামের একটি মাঠে তিনি বিষপান করেন। রঞ্জিত ধানখোলা উত্তরপাড়ার মোখলেস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, দাম্পত্য কলহের জের ধরে বউ এর অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাঠে যায়। পরে সে সেখানে বিষপান করে। এসময় সে ছটফট করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার বিষ উত্তোলন করা হয়। তবে এখনো সে আশংকামৃক্ত নয়।

তবে রঞ্জিতের ভাবি জানান, রঞ্জিতের সাথে অনেকজন টাকা পায়। টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পাওনাদারদের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।




গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় গৃহবধু আহত

মেহেরপুরের গাংনীতে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত পাখি ভ্যান উল্টিয়ে আমেনা বেগম নামেক এক গৃহবধু আহ হয়েছেন। তাকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সহড়াবাড়িয়া রুয়ের কান্দি মাঠের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আমেনা বেগম রুয়ের কান্দি ্রগামের সামসুল হক মাষ্টারের স্ত্রী।

জানা গেছে, আমেনা বেগম নিজ বাড়ি থেকে উপজেলার মিনাপাড়া শিমুলতলা গ্রামে মায়ের বাড়ির যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পাখি ভ্যানইট উল্টে গিযে তিনি মারাত্মক জখম হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া মেডক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
-গাংনী প্রতিনিধি




অরক্ষিত টিটিসি, চুরি হলো অধিকাংশ কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক

মেহেরপুর কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (টিটিসি) রাতের আধারে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় তৃতীয় তলার দুটি ট্রেডের তালা ভেঙ্গে এ চুরির কাজ করেছে বলেছে জানা গেছে। তবে কারা এর সাথে জড়িত এ বিষয়ে নিশ্চিৎ করা না গেলেও চোররা যে আইসিটি বিষয়ে পারদর্শি তাতে সন্দেহ নেই কারও।

৭৬টি কম্পিউটারের র‌্যাম, প্রসেসর, হার্ড ডিস্ক সহ দামি জিনিস গুলো নিয়ে গেছে সংবদ্ধ চোর সদস্যরা।

এদিকে সরকারি ভবনে এতো বড় চুরির ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। লাখ লাখ টাকার যন্ত্রপাতির কোন সুরক্ষা থাকেনা সরকারি অফিসে। এ দায় কার, প্রশ্ন সাধারণ জনগণের।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ধারনা করা হচ্ছে একাধিক ব্যাক্তি এর সাথে জড়িত। যে ক্যামেরা টি গেটে লাগানো ছিল ভিতরে প্রবেশের পর সেটি বন্ধ করে দেয় চোরের দল।
পুলিশের প্রাথমিক ধারনা এটা পরিকল্পিতভাবে চুরি করা হয়েছে। সেই সাথে এই টিটিসি ভবন সম্পর্কে চোরের যথেষ্ট ধারনা আছে।

এ বিষয়ে টিটিসির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম জানান, রাত ১২টা পর্যন্ত আমি ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এর পর আমি ঘুমিয়ে যায়। সকালে অফিসে এসে দেখি দুটি কক্ষের তালা ভাঙ্গা। ভিতরে প্রবেশ করার পর চোখে পড়ে কম্পিউটার গুলো ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে এবং এর ভিতরের বিভিন্ন দামি যন্ত্রগুলো নেই। এ ঘটনা মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে পরিদর্শন করে। পরে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। কারা কিভাবে এতো বড় চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে এব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রবিউল ইসলাম জানান, চোর যে বা যারাই হোক না কেন খুব তাড়াতাড়ি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতি মধ্যে সিটি ফুটেজ ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে চোর চক্রকে আটক করা হবে।
-নিজস্ব প্রতিনিধি




গাংনীতে ইয়াবাসহ ৩জন আটক

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রাম থেকে ৪০ পিচ ইয়াবাসহ তিনজনকে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় ভোলাডাঙ্গা মাঠ নামক স্থানে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, নান্দবার গ্রামের ইউনুচ আলির ছেলে রিপন (৩৮), দুর্লভপুর গ্রামের গাজি রহমানের ছেলে মো: ওয়াদুদ (২২) ও মোড়ভাঙ্গা গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে সলিম (৩২)।

গাংনী থানাসুত্রে প্রকাশ, গোপন সংবাদের ভিত্তি হেমায়েতপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই সাকিলের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বামন্দী থেকে আলমডাঙ্গা যাওয়ার পথে ভোলাডাঙ্গা গ্রামের মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তল্লাশী করে তাদের নিকট থেকে ৪০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, আটককৃতদের মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের পূর্বক মেহেরপুর কোর্টে পাঠানো হবে। এরা সকলেই চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার বাসিন্দা।

 




সাদেক হোসেন খোকা আর নেই

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা আজ বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় নিউইয়র্কে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাদেক হোসেন খোকা দীর্ঘদিন ধরে কিডনির ক্যানসারে ভুগছিলেন।

শায়রুল কবির খান বলেন, সাদেক হোসেন খোকা নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে স্লোশেন ক্যাটারিং ক্যানসার ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ দেশে আনা হবে কি না, এটা জানতে চাইলে শায়রুল কবির বলেন, এ ব্যাপারে দলীয় নেতৃবৃন্দ আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সাদেক হোসেন খোকা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম সাদেক হোসেন খোকা বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তাঁর দল সরকার গঠন করলে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালেও তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০০১ সালে তাঁর দল সরকার গঠন করলে তিনি মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি ২০০২ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র হন।

সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া। তাঁরা সদ্য প্রয়াত খোকার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি আজ এক শোক বার্তায় প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। পাশাপাশি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন কাদের।
শোক বার্তায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাদেক হোসেন খোকার অবদান অক্ষয় হয়ে থাকবে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবেও তিনি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছিলেন।

সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। বিবৃতিতে খোকন মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
খোকার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। এক শোকবার্তায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ভূমিকার জন্য সাদেক হোসেন খোকা বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণের কাছে সব সময়ই স্মরণীয় ও বরণীয়। জীবনসায়াহ্নে তার মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মাতৃভূমিতে অবস্থানের আকুতি পুরো জাতিকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। তিনি সাদেক হোসেন খোকার মাগফেরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে অনুরূপ শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা।




চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ইটভাটার মাটি চাপায় এক শিশু নিহত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ইটভাটার মাটি চাপা পড়ে জিহাদ আলী (০৭) নামে এক শিশু নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলার আশতলাপাড়ার একটি ইটভাটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু জিহাদ আলী একই উপজেলার বাঁকা গ্রামের দিনমজুর তরিকুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে আশতালাপাড়ার এএনজেএম ব্রিকসের একটি ইটভাটার অদূরে শিশু জিহাদ ও তার বন্ধুরা খেলা খেলছিলো। এসময় হঠাৎ পাশের মাটির স্তুপ ধ্বসে পড়লে ওই মাটির নিচে চাপা পড়ে জিহাদ।

এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তার পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিহাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি