পেঁয়াজ রশুনের ঝাজে কাঁদছে ক্রেতারা

রশুন পেঁয়াজের দাম কমছেইনা। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের সবজি ও তরকারি বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি রশুনের দাম ১শ’ ৮০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১শ’৪০ থেকে ১শ’ ৬০ টাকা।

এদিকে ঝালের দাম গত সপ্তাহের চাইতে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা কেজি।

তাছাড়া অন্যান্য সকল প্রকার সবজির দাম কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে চললেও বাজারের নতুন সবজি হিসেবে টমেটো কেজি প্রতি ১৪০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।
মাংসের বাজার আগের মতোই রয়েছে। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫শ’ টাকা খাসির মাংস সাড়ে ৬শ’ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে।

এদিকে দেশী মুরগী সাড়ে ৩শ’ থেকে ৩শ’ ৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। তাছাড়া ফার্মের বিভিন্ন প্রকারের মুরগী কেজি প্রতি ১শ’৮০ থেকে ২শ’ ৫০ টাকা দরে বিক্রয় হতে দেখা গেছে।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও পেয়াজ রশুন কিনতে নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সবজি বিক্রেতারা জানান পেঁয়াজ রশুনের আমদানিই নাই যে কারণে এর দাম বেশি পড়ছে।

তবে তারা জানান কিছুদিনের ভিতর রশুন পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে পারে।
এ দিকে দর্শনা প্রতিনিধি জানান, দর্শনা পৌরসভার দর্শনা রেল বাজারে তদারকি না থাকায় ইচ্ছা মত দাম নিচ্ছে পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা।

দর্শনা রেল বাজার ঘুরে দেখা গেছে পাইকারী দোকানিরা পেঁয়াজের দাম নিচ্ছে ১শ ৩০ টাকা থেকে ১শ ৪০ টাকা। আর খুচরা ব্যাবসায়ীরা দাম হাকাচ্ছে ১শ ৬০ টাকা থেকে ১শ ৭০ টাকা।

বাজারে তদারকি না থাকায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে। সাধারণ ক্রেতার সাথে কথা বললে জানা যায়, পেঁয়াজের ঝাঁজে সারা বাংলাদেশের মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়ছে। এ ভাবে পেয়াজের বাজার নিয়ত্রণ না করতে পারলে এক শ্রেনীর ব্যাবসাদাররা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাবে।

তাই সাধারণ মানুষ বাজার করতে গেলে বলে পেঁয়াজ আর রসুন কিনলে টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে তা হলে আর বাজার কি দিয়ে করব। সাধারণ মানুষের দাবি দর্শনা বাজার তদরকি করলে পেঁয়াজের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে।

-গাংনী ও দর্শনা প্রতিনিধি




মেহেরপুরে অরণি থিয়েটারের রজত জয়ন্তী পালন

মেহেরপুরে ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে অরণি থিয়েটার ও অরণি চিলড্রেন্স থিয়েটার শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক আড্ডার মধ্য দিয়ে পালন করছে।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্ত্বরস্থ অরণি থিয়েটারের নিজ কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা দিয়ে রজত জয়ন্তী উদযাপনের সূচনা করে।

শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অরণি থিয়েটার ও অরণি চিলড্রেন্স থিয়েটারের বর্তমান ও প্রবিন সদস্যারা বিভিন্ন রাজকীয় পোষকসহ ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৫টি জাতীয় পতাকা, বিভিন্ন রঙ্গীন পতাকা ও ডিসপ্লে বোর্ড নিয়ে অংগ্রহন করে।

পরে শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে ২৫ টি মশাল জালিয়ে সাংস্কৃতিক আড্ডা ও অতিথি কথন‘র সূচনা করা হয়। অতিথি কথন এ মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন সংগঠনের কর্নধারগণ অরণি থিয়েটারকে অভিনন্দন জানান।

সাংস্কৃতিক আড্ডার পাশাপাশি অতিথি কথন এ বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন, মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, অ্যাড. শফিউদ্দীন, অবসর এর সভাপতি জানে আলম, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

এর মধ্যেই অরণি থিয়েটার ও অরণি চিলড্রেন্স থিয়েটার পরিবেশন করে বিশেষ নাট্যাংশ।

নিজস্ব প্রতিনিধি




গোভীপুরে রশীদুল আজম টোকন স্মৃতি ফুটবল আমঝুপি শিশু-কিশোর চ্যাম্পিয়ন

মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভিপুর ভৈরব ক্লাবের উদ্যোগে গোভিপুর মাঠে অনুষ্ঠিত রশীদুল আজম টোকন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আমঝুপি শিশু-কিশোর সংগঠন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় আমঝুপি ৩-১ গোলে ঝাউবাড়িয়া সত্যসন্ধ ক্লাবকে পরাজিত করে ।

ফাইনাল খেলা শুরু হওয়ার আগেই মেহেরপুরের গোভীপুরে মাঠ দর্শকে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে হাজার হাজার দর্শক মাঠে নিজ নিজ দলের পক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করে।
খেলার শুরুতেই দুই দলই নিস্প্রভ থাকলেও শেষ দিকে এসে আমঝুপির মিঠু একটি দর্শনীয় গোল করে খেলায় এগিয়ে যায়। প্রথমাদ্ধে বাকি সময়টুকু উভয় দলের খেলার গোলের সুযোগ পেলেও তা শেষ পর্যন্ত আর করতে পারেনি।

বিরতির পর উভয় দলই আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণ করে খেলতে থাকে কিন্তু আমঝুপির মিঠু করার পাশাপাশি নিজের হ্যাটট্রিক সম্ভাবনা গড়ে তোলেন ।

খেলা শেষ দিকে মিঠু যখন তৃতীয় গোলটি করতে যাচ্ছিলেন ঠিক সে সময় গোলরক্ষকের কাছ থেকে পরাস্ত হয়ে আগুয়ান বাপ্পির উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেন বাপ্পি ফাকায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জালে বল জড়িয়ে দেন।

তিন গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আমঝুপি শিশু-কিশোর সংগঠন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েন আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঝাউবাড়িয়া সাব্বির গোল করে গোলের ব্যবধান ব্যবধান ৩-১ এ নিয়ে যান । আবারো গোল করে দলের গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ এ পরিণত করেন।

খেলার শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে উৎসুক জনতা নিজ দলের পক্ষে ব্যাপক উল্লাস প্রকাশ করে এবং পটকা ফুটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।

খেলা শেষে বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি এবং একটি গরু এবং বিজিত দলের হাতে ছাগল এবং ট্রফি তুলে দেন।

এ সময় সেখানে আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, আমদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক আলী রেজা, মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী খান, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন লাল্টু, জাহাঙ্গীর, পলাশ, সেলিম, সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




ব্রেস্ট ক্যান্সার কাদের বেশি হয়?

ব্রেস্ট ক্যান্সার কাদের বেশি হয়?

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও আশঙ্কাজনক হারে প্রকোপ বাড়ছে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সারের। বলা হয়ে থাকে প্রতি ৮ জন নারীর মধ্যে ১ জনের জীবদ্দশায় ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়ে থাকে।

কাদের বেশি হয় ব্রেস্ট ক্যান্সার?

– ৯৯.৫% ক্ষেত্রে মহিলাদের, ০.৫% ক্ষেত্রে পুরুষদের।

– বয়স : সাধারণত ৩০-৬০ বছর।

– ইউরোপের দেশগুলোর অধিবাসীদের।

– পরিবারে যদি অন্য কারও হয়ে থাকে (মা, খালা ইত্যাদি)।

– যারা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেন। জন্মনিরোধক ওষুধ খান।

– যাদের মাসিক আগে শুরু হয় এবং দেরিতে মাসিক বন্ধ হয়।

– যারা প্রথম বাচ্চা বেশি বয়সে নেন।

– চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খান।

– সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান না।

– যাদের সন্তান নেই।

কী কী উপসর্গ নিয়ে আসেন রোগীরা?

– এক ব্রেস্ট বা দুই ব্রেস্টের আকারে বা গঠনে কোনো পরিবর্তন। চাকা চাকা দেখা যাওয়া।

– নিপল বা স্তনবৃন্ত থেকে রস নিঃসৃত হওয়া। কখনও রক্ত নিঃসৃত হওয়া।

– নিপল ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া, নিপলে চির ধরা।

– বগলে চাকা চাকা কিছু দেখা যাওয়া।

– অনেক সময় ব্রেস্টের চামড়া গর্ত গর্ত হয়ে যায় (অনেকটা কমলার খোসার মতো)।

– এ ছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সার যদি শরীরের অন্যান্য জায়াগায় ছড়িয়ে যায় তাহলে কাশি, জণ্ডিস, হাড়ে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে রোগী আসতে পারে।

কীভাবে ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয় করা যায়?

১. রোগের যথাযথ ইতিহাস নিয়ে এবং পরীক্ষা করে

২. ইমেজিং :- আল্ট্রাসনোগ্রাফি ,ম্যামোগ্রাফি

৩. হিস্টোলজি :

– FNAC

– বায়োপসি

৪. টিউমার মার্কার্স : যেমন- BRCA- 1, BRCA-2

তবে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে নিরূপণের জন্য প্রতি মাসে একবার নিজে নিজে ব্রেস্ট পরীক্ষা (Self Breast Examination) করে দেখতে বলা হয়ে থাকে।

যেভাবে করা যেতে পারে সেল্ফ ব্রেস্ট এক্সামিনেশান :

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা :

ক. দুই বাহু মাথার ওপরে বা পেছনে উঁচু করে ধরতে হবে।

খ. লক্ষ্য করতে হবে স্তনের আকার-আকৃতি, উপরের চামড়া বা রঙের কোনো পরিবর্তন আছে কি না। যেমন : চামড়া পুরু হয়ে যাওয়া, লালচে বা কালচে হয়ে যাওয়া, তাপ অনুভব করা।

বিছানায় শুয়ে পরীক্ষা :

ক. ডান কাঁধের ওপর বালিশ রাখতে হবে।

খ. ডান হাত মাথার পেছনে দিতে হবে।

গ. বাম হাতের ৩ আঙুল দিয়ে ডান স্তন চক্রাকারে পরীক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে কোনো তরল বা রক্ত নিঃসৃত হয় কি না।

ঘ. একইভাবে বাম পাশের স্তন পরীক্ষা করতে হবে।

স্নান করার সময় পরীক্ষা :

ক. একটি হাত মাথায় রাখতে হবে।

খ. অন্য হাতের আঙুল দিয়ে কলার বোনের কয়েক ইঞ্চি নিচ থেকে একদম বগল পর্যন্ত চেপে দেখতে হবে কোনো চাকা বা ব্যথা অনুভূত হয় কি না।

আর যাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি (উপরে উল্লেখ করা হয়েছে) তাদের প্রতি ৬ মাসে একবার আল্ট্রাসনোগ্রাফি বা ম্যামোগ্রাফি করাতে বলা হয়। যাদের বয়স ৩০ বছরের কম তাদের জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি এবং যাদের ৩০ বছরের বেশি তাদের জন্য ম্যামোগ্রাফি অধিক প্রযোজ্য।

কীভাবে চিকিৎসা করা হয় ব্রেস্ট ক্যান্সারের?

কয়েক প্রকারের চিকিৎসা রয়েছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের। যেমন :

১. অপারেশন

২. রেডিওথেরাপি

৩. কেমোথেরাপি

৪. হরমোন থেরাপি

৫. ইমিউন থেরাপি

লেখক: ডা. মারুফ রায়হান খান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে উচ্চতর ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত

সূত্র: যুগান্তর




মোবাইলের আসক্তি কমাতে ‘পেপার ফোন’

স্মার্টফোন ব্যবহার এখন আসক্তিতে পরিণত হয়েছে।এখন অনেকেই সারা দিন স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।

‘ডিজিটাল ডেটক্স’ বা ডিজিটাল দুনিয়ার বিষমুক্তির উপায় নিয়ে গবেষণার অংশ হিসেবে পেপার ফোন তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি।

গুগলের দাবি, তাদের এই পেপার ফোন ডিজিটাল আসক্তি কমিয়ে অন্য কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগ বাড়াবে।

আইএএনএসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গুগলের ‘ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং এক্সপেরিমেন্টেস’ প্রকল্পের ফসল এই ‘ফোন’। পেপার ফোনে কনট্যাক্ট লিস্ট থেকে নোটবুক, ওয়েদার চ্যানেল থেকে ম্যাপ, ফটো থেকে ক্যালেন্ডার রিমাইন্ডার—সব তথ্যই রাখা যাবে। এই সব তথ্য বন্দী থাকবে একটা মাত্র কাগজের টুকরাতে।

‘পেপার ফোন’ কাজ-

পেপার ফোন আসলে গুগলেরই একটি অ্যাপ। এটি এসেছে অ্যান্ড্রয়েড ও ক্রোমের মতো গুগল প্রোডাক্টে। দৈনন্দিন জীবনের যেসব তথ্য বেশি প্রয়োজনীয়, সেই সব তথ্যকে এক জায়গায় জড়ো করতে সাহায্য করবে এই অ্যাপ। কনট্যাক্ট লিস্ট বা নোটবুকের মতো দরকারি তথ্য এক করে দেবে নতুন অ্যাপ।তারপর তথ্যের প্রিন্ট আউট কাগজে নিতে হবে।

 

সূত্র:- যুগান্তর




শাহরুখ সত্যিকারের হিরো: সালমান

বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান যে কেবল বড় পর্দার হিরো নন, তার প্রমাণ দিয়েছেন। বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের বাড়িতে দীপাবলির পার্টিতে। সেদিন এক ছাদের নিচে মিলিত হয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় তারকারা। দীপাবলির পার্টি কি আর আতশবাজি, তারাবাতি, ঝাড়বাতি বা মরিচবাতি ছাড়া জমে? আর প্রদীপ তো আছেই। দুর্ঘটনা ঘটতেও সময় লাগেনি।

তখন দিবাগত রাত তিনটা। হঠাৎ আগুন ধরে যায় বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের ম্যানেজার অর্চনা সদানন্দের লেহেঙ্গায়। পাশেই ছিলেন শাহরুখ। তিনি সত্যিকারের হিরোর মতোই পরনের জ্যাকেট খুলে আগুন থেকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তবে ততক্ষণে অর্চনা সদানন্দের শরীরের প্রায় ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

আগুনের আঁচ ছাড়েনি শাহরুখ খানকেও। তাঁকেও পুড়িয়েছে। তবে তা গুরুতর কিছু নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন তিনি। আর এই ঘটনায় বলিউড তারকা সালমান খান একটি ভিডিও পোস্ট দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। তাতে দেখা যাচ্ছে, আগুনে পুড়ছে শাহরুখ খানের শার্ট। এই ভিডিওতে ভয়েস ওভার দিয়ে সালমান খান বলেছেন, ‘সত্যিকারের হিরো সে-ই, যে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্যের জীবন বাঁচায়।’

ভিডিওটি এখন পর্যন্ত দেখা হয়েছে প্রায় ৩৬ লাখবার। আর পছন্দ করেছে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ। ২০ হাজারের বেশি মানুষ শাহরুখ খান আর সালমান খান দুজনেরই প্রশংসা করেছেন। শাহরুখ খানের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। আর সালমান খানের উদারতার। একজন লিখেছেন, ‘বলিউডে সত্যিকারের বন্ধুত্ব একেই বলে।’ সালমান খানকে বলেছেন, ‘শাহরুখ খান সত্যিকারের হিরো। আর আপনি সেই হিরোর সত্যিকারের বন্ধু।’

অনেক শাহরুখভক্ত আবার এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে সালমান খানকে।

অর্চনা সদানন্দ এখন মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি। পুড়ে গেছে তাঁর ডান পা ও হাত। সংক্রমণ এড়াতে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তবে এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত। দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন চিকিৎসকেরা।

স্থানীয় পুলিশ ইতিমধ্যে অর্চনা সদানন্দের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। সেখানে অর্চনা জানান, প্রদীপ থেকে তাঁর পোশাকে আগুন লেগেছে। সেই সময় পাশে তাঁর মেয়ে ছিলেন। এটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত একটা দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় কাউকে দায়ী করেননি তিনি।

সূত্র: প্রথম আলো




“মেহেরপুর শিল্পী গোষ্ঠী” র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

মেহেরপুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিদের সু-সংগঠিত করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে গতিশীল করার লক্ষে “মেহেরপুর শিল্পী গোষ্ঠী” যাত্রা শুরু করলো।

শুক্রবার সন্ধায় মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারের সামনে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সংগঠনের উদ্বোধন করা হয়।
নব গঠিত সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সোহেল খান।  সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইয়াকুব আলী চঞ্চল।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক,  সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন সাধনা, নাট্য সম্পাদক সাইফুল্লাহ খালেদ রিপন।
সদস্য মাহাতাব, আনিসুর, কুশিয়ারা, রুবিনা, আক্তার, জাহাঙ্গীর, পালু, মোতালেব, জাহিদ হোসেন, ইনসান, মনিরুল ইসলাম, শামিম রেজা, সোহেল রানা, আখতারুজ্জামান।
নিজস্ব প্রতিনিধি



পেঁয়াজ রশুনের ঝাঁঝে কাঁদছে ক্রেতারা

রশুন পেঁয়াজের দাম কমছেইনা। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের সবজি ও তরকারি বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি রশুনের দাম ১শ’ ৮০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১শ’৪০ থেকে ১শ’ ৬০ টাকা।এ

দিকে ঝালের দাম গত সপ্তাহের চাইতে কেজিতে ২০টাকা কমেছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা কেজি।তাছাড়া অন্যান্য সকল প্রকার সবজির দাম কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে চললেও বাজারের নতুন সবজি হিসেবে টমেটো কেজি প্রতি ১৪০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।

মাংসের বাজার আগের মতোই রয়েছে। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫শ’ টাকা খাসির মাংস সাড়ে ৬শ’ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে।

এদিকে দেশী মুরগী সাড়ে ৩শ’ থেকে ৩শ’ ৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। তাছাড়া ফার্মের বিভিন্ন প্রকারের মুরগী কেজি প্রতি ১শ’৮০ থেকে ২শ’ ৫০ টাকা দরে বিক্রয় হতে দেখা গেছে।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও পেয়াজ রশুন কিনতে নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে সবজি বিক্রেতারা জানান পেঁয়াজ রশুনের আমদানিই নাই যে কারণে এর দাম বেশি পড়ছে। তবে তারা জানান কিছুদিনের ভিতর রশুন পেঁয়াজের দামকিছুটা কমতে পারে।

-এ সিদ্দিকী শাহীন, গাংনী




এমপিও ভুক্তি হওয়ায় আনন্দ র‌্যালী

হেরপুর সদরের মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা ও বর্শিবাড়িয়া বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত হওয়ায় আনন্দ র‌্যালি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি আনন্দ র‌্যালি বের করে বারাদি বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে র‌্যালী টি শেষ হয়।

মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বর্শিবাড়িয়া বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত হওয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী ড. দিপু মনি, ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি কে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাব্বারুল ইসলাম, ও আবুল কালাম আজাদ, স্কুল মেনেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম ফেরদৌস,ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মমিন সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়ার পূর্ণতা পাওয়াই শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে আনন্দ অনুভূত হয়।

বারাদী প্রতিনিধি




নদী খননে তৃণমূলের কৃষি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে

চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীসহ ৫টি নদী খননের উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার। ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীস্থ নদী খনন প্রকল্পের আওতায় এ নদী খনন করা হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে গতকাল বৃহস্পতিবার  দুপুরে জীবননগরে  চিত্রা নদী খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের শাখারিয়া পিচ মোড় গ্রামে নদীর মাটি কেটে খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান , উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম, জীবননগর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম, জীবননগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো: আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, মনোহরপুর  ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন।

এ সময় সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতিৃক দেশ। তাই সারা দেশে নদীগুলোকে বাঁচানোর উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার। বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। দেশের নদীগুলো সচল হলে দেশের তৃণমূলের কৃষি ঘুরে দাঁড়াবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীস্থ নদী খনন প্রকল্পের আওতায়

চুয়াডাঙ্গার ৫টি নদী খনন করা হবে। চিত্রা নদী খনন সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশ।

জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান  বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জনন্ত্রেী শেখ হাসিনার নদী খনন প্রকল্পটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কারণ নদীগুলো বাঁচলে বাঁচবে পরিবেশ, রক্ষা হবে জীব বৈচিত্র। তৃণমূলের কৃষি নতুন উচ্চতায় উন্নতি হবে। আর এ কারণে নদী বাঁচাতে সরকারের এ পরিকল্পনা ।

চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডরে নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পের ১ম পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গার মধ্য নদী বয়ে যাওয়া চিত্রা নদী খনন করা হবে। এর মধ্যে  জীবননগর উপজেলাতে ৬ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। ২০২০ সালের ২০ জুনের মধ্যে খননের কাজ শেষ করা হবে।

জীবননগর প্রতিনিধি