স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে

নিরামিষভোজীদের ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিলেও বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের ঝুঁকি। সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে।

নিরামিষভোজীদের ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিলেও বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের ঝুঁকি। সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণাটি, ১৮ বছর ধরে ৪৮ হাজার মানুষের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে। প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে নিরামিষভোজীদের মধ্যে করোনারি হৃদরোগীর সংখ্যা মাংসাশীদের তুলনায় ১০ জন করে কম পাওয়া গেছে। কিন্তু স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা তিনজন করে বেশি পাওয়া গেছে।

ডায়েট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের খাদ্যাভ্যাস যেমনই হোক না কেন, বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যময় খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো।

গবেষণায় নতুন কি পাওয়া গেছে?

এপিক-অক্সফোর্ড স্টাডি মূলত একটি দীর্ঘ মেয়াদি গবেষণা প্রকল্প- যা দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্য নিয়ে পরীক্ষা চালায় তাদের তথ্য নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়।

১৯৯৩ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অর্ধেকই ছিলেন মাংসাশী। ১৬ হাজারের কিছু বেশি ছিলেন নিরামিষভোজী। আর সাড়ে সাত হাজার অংশগ্রহণকারী জানান যে, তারা আহার হিসেবে মাছ খেতেন।

অংশগ্রহণের সময় এবং ২০১০ সালে আবার নতুন করে এসব অংশগ্রহণকারীদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তাদের স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য, ধূমপান এবং শারীরিক কর্মকান্ডের বিষয়গুলোও আমলে নেয়া হয়েছিল।

সব মিলিয়ে, করোনারি হৃদরোগ বা সিএইচডির সংখ্যা মেলে ২৮২০টি, স্ট্রোকের সংখ্যা ১০৭২টি, যার মধ্যে ৩০০টি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোকের ঘটনাও রয়েছে। মস্তিষ্কের দুর্বল শিরা ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে এ ধরনের স্ট্রোক হয়।

মাংসাশীদের তুলনায় মাছভোজীদের মধ্যে সিএইচডির ঝুঁকি ১৩ ভাগ কম ছিল।

আর নিরামিষভোজীদের মধ্যে এই হার ২২ ভাগ কম ছিল। কিন্তু যারা উদ্ভিদ ও শাকসবজি খেয়ে জীবন ধারণ করেন বা যারা নিরামিষভোজী, তাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০ ভাগ বেশি ছিল।

গবেষকদের ধারণা, ভিটামিন বি১২ এর অভাবের কারণে এই ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তবে তারা বলেন যে, এর প্রকৃত কারণ খুঁজে পেতে হলে আরো গবেষণার দরকার রয়েছে।

এমনও হতে পারে যে, খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে আসলে এর কোনো সম্পর্ক নেই। বরং যারা মাংস খায় না তাদের জীবনের অন্যান্য কারণের জন্যই হয়তো এই ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। প্রতিরাতে শুধু মাংস আর আলু নয় বরং বৈচিত্র্যময় খাবার খেতে হবে।

তার মানে কি নিরামিষভোজী অস্বাস্থ্যকর?

ব্রিটিশ ডায়েটিক এসোসিয়েশনের ডা. ফ্রাঙ্কি ফিলিপস বলেন যে, এটা নাও হতে পারে। কারণ এই গবেষণাটি শুধুমাত্র একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা মাত্র।

‘তারা শুধু পর্যবেক্ষণ করেছে যে, মানুষ কি খায় এবং তাদের বছরের পর বছর ধরে অনুসরণ করেছে, এটা শুধু সম্পৃক্ততাই জানান দেয়, কারণ বা প্রভাব সম্পর্কে বিশ্লেষণ করে না,’ তিনি বলেন। ‘সবার জন্য বার্তা হচ্ছে, সবচেয়ে ভালো একটি পরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া।’

‘মাংসাশীরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের খাবার খায় না। কারণ তারা প্রতি রাতে খাবার হিসেবে মাংসই খায় এবং কোনো ধরনের শাকসবজি খায় না।’ গবেষণা শুরুর পর থেকে কি মানুষের খাবারে পরিবর্তন এসেছে? ২০১০ সালে গবেষকরা আবার অংশগ্রহণকারীদের কাছে গিয়ে তাদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল।

কিন্তু ডা. ফিলিপস বলেন, নিরামিষভোজীদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তিত হয়েছিল। ‘এই তথ্যগুলো কয়েক দশক আগে সংগ্রহ করা হয়েছিলো,’ তিনি বলেন।

‘স্বাভাবিকভাবেই আজ থেকে ২০ কিংবা ৩০ বছর আগে নিরামিষভোজীদের

সঙ্গে আজকের নিরামিষভোজীদের পার্থক্য তৈরি হয়েছে।’

‘নিরামিষভোজীদের খাবারের পরিধি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এগুলো এখন মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।’ আমরা এখন অনেক বেশি মাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে অনেক বেশি জানি- যা অন্ত্রের ক্যান্সার তৈরি করে।

দিনে কমপক্ষে ৫ ভাগ ফল এবং শাকসবজি খান

মূল খাবার হিসেবে উচ্চমাত্রায় আঁশসম্পন্ন এবং শ্বেতসার বহুল খাবার যেমন আলু, রুটি, ভাত কিংবা পাস্তা রাখা উচিত।

প্রোটিন ভুলে গেলে হবে না- চর্বিহীন মাংস, মাছ, সামুদ্রিক খাবার, ডাল, তফু কিংবা লবণহীন বাদাম খেতে হবে।

দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার থাকতে হবে

* উচ্চ মাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবার, চিনি কিংবা লবণ যত কমানো যায় ততই ভালো।

* কিন্তু যারা নিরামিষভোজী তাদের নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টি গ্রহণ সম্পর্কে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

* উদাহরণস্বরূপ, যারা মাংস, দুগ্ধজাত খাবার এবং মাছ খায় তারা পর্যাপ্ত ভিটামিন বি১২ পায়- যা স্বাস্থ্যকর রক্ত এবং স্নায়ুতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয়।

* যাই হোক, যদিও সকালের নাস্তার বিভিন্ন সিরিয়াল এবং ইস্টসমৃদ্ধ খাবারে ভিটামিন বি১২ থাকে তবুও নিরামিষভোজীদের মধ্যে এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিতে পারে।

উদ্ভিদজাত খাবার থেকে আয়রনও কম পাওয়া যায়। যারা মাংস খান না তাই তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে তারা যাতে নিয়মিত গমের রুটি, আটা, শুকনো ফল এবং ডাল খান। এ ছাড়া গত মাসে নিরামিষভোজীদের আহ্বান জানানো হয়েছিল, তারা যাতে মস্তিষ্কের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন কোলিন পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করেন।

সূত্র: যায়যায়দিন



বিকল্প জ্বালানির নতুন ব্যবহার

বিকল্প জ্বালানিচালিত মোটরগাড়ির ধারণাটি এখনো অনেকের কাছে আজগুবি মনে হতে পারে। কিন্তু গবেষকদের তৎপরতায় অর্জিত অগ্রগতির ফলে সে রকম ভাবনা থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। ‘নর্থ আমেরিকান অটো শো’ শীর্ষক মোটরগাড়ি প্রদর্শনীতে চলতি বছর হাইড্রোজেনচালিত গাড়িও ঠাঁই পেয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের আরো দ্রম্নত এগিয়ে যেতে হবে। বিদু্যৎচালিত গাড়ির বাজার এত দ্রম্নত বিস্তৃত হচ্ছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে জ্বালানি ব্যয় ১ হাজার ৩০০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড কমে যাবে- নতুন এক গবেষণায় এমনই তথ্য মিলেছে। পশ্চিমা বিশ্বের পাশাপাশি চীনও থেমে নেই। সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোর তালিকায় চীনও রয়েছে। দেশটি কয়েক সপ্তাহ আগে তাদের প্রথম হাইড্রোজেনচালিত ট্রাম চালু করেছে। বর্তমান বিশ্বে হাইড্রোজেন গ্যাসের ১০ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। এ হাইড্রোজেন যেমন অবিশুদ্ধ, তেমনি এর উৎপাদন খরচও অনেক বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী এবার জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহারের একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। মোটরগাড়িতে এ গ্যাস ব্যবহার করাটা যেমন সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হবে, তেমনি গাড়ির গতিও হবে তুলনামূলক বেশি।বিজ্ঞানীরা শস্যের পরিত্যক্ত অংশ থেকে ওই হাইড্রোজেন জ্বালানি উৎপাদন করবেন। ফলে ভবিষ্যতে হয়তো একসময় রাস্তার আশপাশে পেট্রলপাম্পের জায়গা দখল করে নেবে জৈব জ্বালানি উৎপাদন কারখানাগুলো। ভার্জিনিয়া টেকের বিজ্ঞানীদের ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

হাইড্রোজেন জ্বালানি হিসেবে যেমন ব্যবহারের উপযোগী, তেমনি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে পারে। তবে কম দামে এবং কার্বননিরপেক্ষ উপায়ে হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য নতুন প্রযুক্তি প্রয়োজন। ভার্জিনিয়া টেকের গবেষক পার্সিভ্যাল ঝ্যাং বলেন, তাদের উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করলে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমতে পারে। আর হাইড্রোজেনই হবে ভবিষ্যতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জৈব জ্বালানি।

ঝ্যাং ও তার সহযোগীরা নতুন ওই পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিমাণে হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যে গবেষণার জন্য ইতোমধ্যে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন। তাদের ওই পদ্ধতিতে ভুট্টাজাতীয় শস্যের বর্জ্য হিসেবে জমে থাকা চিনির শতভাগই হাইড্রোজেন গ্যাসে রূপান্তরিত করা সম্ভব। এতে বায়ুমন্ডলে কোনো কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন হবে না। আর এ পদ্ধতিতে ভুট্টার খোসা এবং শাঁসেরও সদ্ব্যবহার হবে। চিনির বড় উৎস হিসেবে পরিচিত জাইলোজ থেকে বিপুল পরিমাণ হাইড্রোজেন উৎপাদনের বিষয়টি আগে কেবল তাত্ত্বিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ ছিল।

ভার্জিনিয়া টেকের বিজ্ঞানীদের প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে হাইড্রোজেন উৎপাদনে কোনো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হবে না। পাশাপাশি কোনো ভারী ধাতব পদার্থ ব্যবহারেরও প্রয়োজন নেই। মূলত প্রক্রিয়াজাত চিনি থেকেই ওই হাইড্রোজেন তৈরি করা হয়। ঝ্যাং বলেন, স্থানীয় জৈব উপাদান থেকে হাইড্রোজেন উৎপাদনের ব্যাপারটি অর্থনৈতিকভাবেও অনেক লাভজনক হতে পারে। আর জৈব জ্বালানি ব্যবহারের এ পদ্ধতি প্রচলিত হলে প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর চাপ কমবে।

নতুন ওই পদ্ধতিতে উৎপাদিত হাইড্রোজেন হবে অত্যন্ত বিশুদ্ধ, যা যানবাহনের জ্বালানি কোষে ব্যবহারের বিশেষ উপযোগী। পদ্ধতিটি জটিল হলেও এর মাধ্যমে উৎপাদিত জ্বালানির কার্যকারিতা শতভাগ। জাইলোজ বা চিনিনির্ভর অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত জৈব জ্বালানি (যেমন ইথানল ও বিউটানল) এতটা কার্যকারিতা দেখাতে পারে না। ঝ্যাং আগেও হাইড্রোজেন উৎপাদনের একটি পদ্ধতি বের করেছিলেন, কিন্তু তা প্রয়োগ করে বেশি পরিমাণে উৎপাদনে যাওয়াটা অনেক বেশি ব্যয়বহুল ছিল।

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে দীর্ঘদিন ধরে বিকল্প জ্বালানির অনুসন্ধান চলছে। হাইড্রোজেন ব্যবহারের ধারণাটি বেশ পুরনো। মার্কিন জ্বালানি দপ্তর স্বীকার করছে, বিশুদ্ধ ও পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানির ব্যবহার শুরু হলে জীবনযাত্রার ধরনে নাটকীয় পরিবর্তন আসবে।

সূত্রঃ যায়যায়দিন



আলমডাঙ্গায় জাতীয় ইদুর নিধন অভিযান ও বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত

আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জাতীয় ইদুর নিধন অভিযান উপলক্ষ্যে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‍্যালী প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন আলী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন। তিনি বলেন, ঈদুর এমন একটি প্রানী তাদের একক ভাবে নিধন করা সম্ভব নয়,ইদুর আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে,বাড়ীতে বাড়ীতে জামাকাপড় কেটে নষ্ট করে,প্রতিবছর এক জোড়া ইদুর ৩ হাজার ইদুর জন্ম দিতে পারে, এরা প্রতিছর ৫শত মেঃটন খাদ্যশস্য ধ্বংস করে,তাই আমরা সম্মিলিত ভাবে ইদুর নিধন অভিযানে অংশ নিতে হবে।

অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সোহেল রানার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন সর্বচ্চ ইদুর নিধন করি কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোফাক খাইরুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, উপজেলা খাদ্য গুদাম রক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক,উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিন রেজা, উপজেলা কৃষি অফিসের এসএপিপিও স্বপন কুমার সিংহ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা , নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, শর্ষিতা তাবাচ্ছুম, রুপা আক্তার, তহমিনা পারভিন, আমিরুল ইসলাম, রহিমা খাতুন, প্রেসক্লাব সভাপতি খন্দকার শাহ্ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




জীবননগরে হেরোইনসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

জীবননগর সীমান্ত থেকে মাদকদ্রব্য হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী জাবের মালিতা (৪২) নামের এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।

গত মঙ্গলবার সন্ধা ছয়টার সময় তাকে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ছয় পুরিয়া হেরোইনট একটি সিমসহ মোবাইল ফোনও একটি ভারতীয় পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। রাতে তাকে জীবননগর থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১০টার ৫৮বিজিবির সহকারী পরিচালক মো.নজরুল খান এক প্রেস বিঞ্জপ্তির মাধ্যমে জানান,ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ,থানার মেটেরি গ্রামের সাহাব আলী মালিতার ছেলে জাবের মলিতা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদকদ্রব্যসহ অবৈধভাবে জীবননগর সীমান্তের ৬৯নম্বর পিলার হতে ৪শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ।

গোপন সংবাদের ভিক্তিত্বে বিজিবি সদস্যরা জাবের মালিতাকে চ্যালেঞ্জ করে তার কাছে থাকা ছয় পুরিয়া হেরোইন,ভারতীয় পাসপোর্ট ও মোবাইল ফোন জব্দ করেন । তাকে জীবননগর থানা পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়েছে।
জীবননগর প্রতিনিধি




গাংনীর কাথুলীতে তথ্য কেন্দ্রের উঠান বৈঠক

গাংনীকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) বাস্তবায়নের লক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকাল ১১টার সময় গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের  ১নং ওয়ার্ডের কাথুলী গ্রামের মধ্যপাড়ায় গাংনী তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গাংনী উপজেলা তথ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা রিফাত জাহানের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান।  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মিলন কুমার দাস, , কাথুলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ভাবিবুন্নেসা, তথ্যসেবা সহকারী তামান্না খাতুন, সাবরিনা খাতুন।

উঠান বৈঠকের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো নারী-পুরুষ সম-অধিকার বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। ৫০জন গরীব ও অসচ্ছল নারীরা উপস্থিত ছিলেন ।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত

‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ, পুষ্টিকর খাদ্যেই হবে আকাঙ্খিত ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াহ্ ইয়া খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবু রাসেলসহ অন্যরা। সভায় সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।

– চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি




মুজিবনগরে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে মুজিবনগরে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার বেলা এগারোটার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃদা) মাসুদুল আলমের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের করা হয়। র‍্যালীটি উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।

র‍্যালীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন,মুজিবনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার কুন্ডু,জনস্বাস্থ্য অফিসার জাহাঙ্গীর আলম,তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া খন্দকার ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

পরে পরিষদ চত্বরে হাত ধোয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের অনুষ্ঠান শেষ হয়।

-মুজিবনগর অফিস




মেহেপুরের নুহান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ১৬তম

মেহেরপুর সদর উপজেলার  ইসলামপুর গ্রামের মজিবর রহমান এবং নিলুফা রহমান দম্পতির ছেলে নাইমুর রহমান নুহান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের  ভর্তি পরীক্ষায় ১৬ তম হয়েছেন।

নুহান ২০১৭ সালে এসএসসিতে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ ঢাকা থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পাই।

এইচএসসিতে ২০১৯ নটরডেম কলেজ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস

রহমান দম্পতি নুহানের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।




মেহেরপুরে বিল ও স্থানীয় নেতৃত্বের বিরোধের জেরে খুন হয় রোকন ও হাসান

মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের রোকনুজ্জামান ও হাসানুজ্জামান দুই চাচাতো ভাইকে হত্যা করা হয় বিল ও স্থানীয় নেতৃত্বের বিরোধের জের ধরে। এই হত্যাকান্ড ঘটাতে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে খুনি ভাড়া করা হয়। এই খুনের নির্দেশ দাতা হচ্ছে বর্তমানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কারাগারে আটক আসামী আব্দুল হামিদ। মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং এ একথা বলেন।
বুধবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় পুলিশ সুপার মুরাদ আলী আরও বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১১-১২টার দিকে মেহেরপুর সদরের দরবেশপুর গ্রামের পূর্বপাড়া সাকিনস্থ আজিজুল হকের ধানক্ষেত থেকে ইদ্রিস আলী বিশ্বাসের ছেলে রোকনুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে হাসানুজ্জামান দ্বয়ের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের নিরলস পরিশ্রমের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে আব্দুল হাকিম, আব্দুস সালাম, তারাচাদ ফকির ও দরবেশপুর গ্রামের মামলত মন্ডল নামের চার আসামীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের মধ্যে আব্দুল হাকিম আদালতে স্বীকার করে যে, তার আপন বড় ভাই আব্দুল হামিদ(যাবজ্জীবন সাযা প্রাপ্ত আসামী) এর নির্দেশে হামিদের ছেলে মোক্তার হোসেন হত্যা ও শোলমারী বিলের অংশদারীত্ব হতে বাদ পড়া এবং স্থানীয় নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দলের প্রদিশোধ স্বরুপ উক্ত হামিদ জেলখানা হতে রোকন ও হাসানকে হত্যার জন্য তার ভাই হাকিমকে নির্দেশ দেয়। পরবর্তিতে হাকিমের নির্দেশনা মোতাবেক ঘটনার পূর্বে তার আপন ভাগ্নে ইসমাইল হোসেন বাক্কাকে নগদ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে খুনি ভাড়া করে হত্যাকান্ডটি ঘটায়।
এই হত্যা মিশনে জড়িত সন্দিগ্ধ আসামী আবুল কালাম কালুকে ৮ অক্টোবর বারাদি বাজার থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসা বাদ করা হয়। এতে সে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
তার স্বীকারোক্তিতে গত ১২ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে গাংনী থানার হাটবোয়ালীয়া রোড থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে রনি আলী গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের সাথে জড়ত থাকার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ননা দেয়। সে বলে, বাক্কা সহ অন্য আর একজন আসামী রোকনকে কোপাতে থাকে। পরবর্তিতে বাক্কা ও আরএকজন আসামী রোকনের পা চেপে ধরে। রনির স্বীকারোক্তিতে গত ১৪ অক্টোবর মুজিবনগর কেদারগঞ্জ থেকে ফরিদ নামের আরও একজন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ইসমাইল হোসেন বাক্কা গত ৪ অক্টোবর অজ্ঞাগ সন্ত্রাসীদের বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হস একাধিক মামলা বিচারাধিন ছিল।
এসময় পুলিশ সুপার বলেন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জোর অভিযান চলছে। তদন্ত স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




বিএসএফর হামলায় ৯ মাসে ২৮ বাংলাদেশি নিহত

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বিভিন্ন সময় নানাপর্যায়ে আলাচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হলও এখনাে থামছে না নিরস্ত্র নাগরিক হত্যা। গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিক চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাসুদপুর সীমান্ত বিএসএফর গুলিতে জাহরুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়ছন। নিহত জহরুল ইসলাম শিবগঞ্জ উপজলার মনাকষা ইউনিয়নর তারাপুর ঠুটাপাড়া গ্রামের আবদুল কাদিরর ছেলে।
জানা যায়, জাহরুল ইসলাম সহ কয়েক জন বাংলাদেশি রাখাল গরু আনার জন্য রাত ৩টার দিকে মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় ভারতর শাভাপুর ক্যাম্পর বিএসএফ সদস্যরা গুলিবর্ষণ করলে জাহরুল ইসলাম নিহত হন। পরে তার সহযাগিরা জাহরুলর লাশ উদ্ধর করে বাংলাদেশে  নিয়ে আসলে পরিবারের লাকজন গােপনে তার নানির বাড়ি বালুটুঙ্গি এলাকায় দাফন করে।
বাংলাদশর মানবাধিকার সংগঠন অধিকার তাদর ত্রমাসিক প্রতিবদনে জানিয়েছে, এ বছর জানুয়ারি থক সেপ্টেম্বর এ ন’মাসে বিএসএফর হাত ২৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন, অপহরণর শিকার হয়েছেন আরও ১৭ জন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আশাবাড়ী সীমান্ত থেকে তিন র‍্যাব সদস্য ও তাদের দুই নারী সোর্সকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে এ নিয়ে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে এক পতাকা বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১০ ঘণ্টা আটকে রাখার পর তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করতে গিয়ে ওই র‍্যাব সদস্যরা সীমান্তের ২০৫৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন একটি বাড়িতে যান এ সময় ভুলবশত সীমান্ত অতিক্রম করে ফেললে বিএসএফ তাদের আটক করে।
এ দিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমন গতকাল সিলট সাংবাদিকদর এক প্রশর জবাব বলছন, সীমাÍ যারা মারা গছ তারা অবধভাব ভারত প্রবশর চষ্টা করছ কিংবা চুরি করত গছ। অবধভাব প্রবশ করা বন্ধ হল বর্ডার হত্যাও বন্ধ হব।
বাংলাদশ ও ভারতর মধ্য ৪,০৯৬ কিলামিটার (২,৫৪৫ মাইল) দীর্ঘ আÍর্জাতিক সীমানায় চারাচালান ও বাংলাদশ থক কথিত অবধ অভিবাসন ঠকাত ভারতীয় সীমাÍরক্ষী বাহিনীর বিতর্কিত শ্যূট-অন-সাইট (দখামাত্র গুলি) নীতি বহাল আছ, যার প্রক্ষিত বিএসএফ কারণ কিংবা অকারণ গুলি করত পার।
বাংলাদশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় গুলি চালনার ঘটনা ছাড়াও বিএসএফ সন্দেহ ভাজনদের আক্রমণাত্মক ভীতি প্রদর্শন, নিষ্ঠুরভাব প্রহার এবং নির্যাতন করে থাকে বলে প্রায়ই গণমাধ্যম রিপাের্ট প্রকাশিত হয়।
সম্প্রতি দুদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যার অভিযাগ নাকচ করেন বিএসএফ মহাপরিচালক। তিনি বলছন, বিএসএফ-এর গুলিত যাঁরা মারা যান, তাঁদর হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয় না।