বুয়েট শিক্ষার্থীদের মাঠের আদোলন আপাতত স্থগিত

আবরার ফাহাদ হত্যার অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর আসামিদের বুয়েট থেকে একাডেমিক ভাবে স্ায়ী বহিষ্ার না করা পর্যÍ কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বুয়েটের আদোলনরত শিক্ষার্থীরা।

তবে মাঠের আদোলনে আপাতত ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বুয়েট শহীদ মিনারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আদোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া আগামীকাল বুধবার স্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক শক্তিক রুখ দেওয়ার দাবিতে গণশপথ কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়েছেন আদোলনরত শিক্ষার্থীরা।

নিজস্ব প্রতিনিধি




দুর্নীতিবাজ শিক্ষককে মেহেরপুরে বদলি করার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ঝিনাইদহ সরকারি বালক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুজ্জামানকে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে মেহেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের বদলি করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
আর এই বদলির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শ্রমিকলীগ। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে  শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় আওয়ামীলীগের  জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ও সাধারণ জনগন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা শিক্ষক মিজানুজ্জামান এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি অনিয়ম স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন বহন করে সেই সাথে তাকে মেহেরপুরে থেকে অন্যত্র বদলি করার দাবি জানায়।

 




মেহেরপুরের  শহর পশুহাট খেকে ১৫০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ

মেহেরপুরের  শহর পশুহাটে অভিযান চালিয়ে ১৫০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাইনউদ্দিনের নেতৃত্বে  এ অভিযান চালিনো হয়।

এসময় কারেন্ট জাল ব্যবসায়ী পশু হাটের পাশে ২টি বস্তায় ১৫০০ মিটার জাল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে জাল গুলি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাইনউদ্দিন উপস্থিত থেকে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে। অভিযানে সহায়তা করেন  সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন।




দরবেশপুর জোড়া হত্যা মামলার আরো ২ আসামী গ্রেফতার

মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের জোড়া হত্যা মামলার আরো ২ আসামী গ্রেফতার করেছে মেহেরপুর সদর থানার পুলিশ।মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক দুজন হলো চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার শিবপুর গ্রামের  নুরুজ্জামান এবং আলী নগর গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে ফরিদ উদ্দিন । মঙ্গলবার আটক দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবিব জানান ,  দরবেশপুর গ্রামের জোড়া হত্যা মামলায় নুরুজ্জামান ও ফরিদ উদ্দিনকে মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ থেকে আটক করা হয়। আটক নুরুজ্জামান কুখ্যাত ডাকাত তার নামে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।



শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ দাফনও করতে দেইনি সাহিদুজ্জামান খোকনের বাবা

মেহেরপুর ২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন রাজাকারের সন্তান বলে দাবি করেছেন গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন। সোমবার দুপুর ২ টায় তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন সাহিদুজ্জামান খোকনকে শুধু আমি একা রাজাকারের সন্তান বলছিনা বলছে বীরমুক্তিযোদ্ধা সহ গাংনী সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। কারণ সাহিদুজ্জামান খোকনের বিরুদ্ধে বীরমুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন, ঝাড়– মিছিল ও শহীদ মিনারে অনশন করেছিলো। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা রাজাকার ও তার পরিবারের কোন সদস্য যেন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে থাকতে না পারে এমন নির্দেশনা

বাস্তবায়নের লক্ষেই কুখ্যাত রাজাকার পুত্র দূর্নীতিবাজ সাহিদুজ্জামান খোকন সহ হাইব্রীড মুক্ত আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব চাই শিরোনাম ব্যানার টাঙ্গানো হয়েছিলো।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যানার নামানোর সময় তিনি এ ব্যানারে সঠিক কথা লেখা আছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন। গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, তেরাইল গ্রামে ৫ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ হলেও তাদের লাশ দাফন করতে দেইনি সাহিদুজ্জামানে খোকনের বাবা আব্দুল গনী রাজাকার।

তার পরিচয় জনগনের সামনে তুলে ধরার কারনে তিনি আমার নামে মিথ্যাচার শুরু করেছেন। আমি ভ্যাট ট্র্যাক্স দিয়ে সরকারি বিধিমত ব্যবসা করি। আপনারা নিশ্চই জানেন যে সাহিদুজ্জামান খোকনের আগে কি ছিলো আর এমপি হওয়ার পর মাত্র ৯ মাসের মাথায় এত টাকার মালিক কি ভাবে হলো তদন্ত হলে সব বের হয়ে আসবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আমার সাথে আছে তারা এম পি খোকনের সব ধরনের দুর্নীতির তদন্ত চাই।

আল-আমীন,গাংনী




মোশারফ হোসেনের দুর্নীতি করতে করতে দাঁতে আঠা বসে গেছে

মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাহিদ্দুজ্জমান খোকন বলেছেন, দুর্নীতি করতে করতে যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেনের দাঁতে আঠা বসে গেছে, তাই সে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। উপজেলার সর্ব বৃহত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মত একটি গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠানে মোশারফ হোসেন ১০ টি বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চুষে খেয়েছেন।

তার আমলে বিদ্যালয়ে একটি শাখা খোলা হয়েছে, এবং একটি কলেজ খোলা হয়েছে। এখানে প্রায় ৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে। বিদ্যালয় শাখা এবং কলেজে অনেক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়োগ বানিজ্য করেছেন মোশারফ হোসেন। বামুন্দি হাইস্কুলে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে দুর্নীতির দায়ে এলাকাবাসি তাকে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে।

এছাড়াও তিনি ক্ষমতার দাপটে ৪/৫ টি বিদ্যালয়ে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। কেউ তার বিরোধীতা করেনি। উক্ত প্রতিষ্ঠান গুলিতে একচেটিয়া ভাবে দুর্নীতি করতে করতে তার দাঁতে এতাটাই আঠা বসে গিয়েছে যে দুর্নীতির প্রত্যয় নিয়ে ধড়ি ঁেবধে মাঠে নেমেছেন মোশারফ হোসেন। যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, গাংনীতে তার তিনটি বাড়ি। যশোরে বাড়ি,বেনাপোলে বাড়ি। কোথায় পেল এতো টাকা। বামুন্দি বাজারে তার মার্কেট আছে। পাজেরো গাড়িতে ঘোরে কোথায় এতো টাকার উৎস।

জনগন সবই জানে,সবই বোঝেন। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন সে সময় তিনি দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে তার পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিকে। মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন তার নিজ বাসভবরে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
গতকাল সোমবার সকালে সাংবাদিকদের সাথে এমপি’র মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন,সরকারের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করছেন , যারা দুর্নীতি করবে তারা ছাড় পাবেনা। আমিও যদি দুর্নীতি করি তবে আমারও শাস্তি হবে। আমার নেত্রী আমাকেও ছাড় দেবেনা। আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। নানান সময় নানান কথা হয়েছে তাতে আমাকে কেউ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে টেনে নামাতে পারেনি। ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৩৫ টি বছর রাজনীতি করছি।

আজ যারা বড়বড় কথা বলে বেড়াচ্ছে তারা আওয়ামী লীগের ক্ষতি ছাড়া ভাল চাইনি। জননেত্রী বুঝে শুনেই আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন জনগন আমাকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করিয়ে সংসদে বসিয়েছেন। আমি জীবন দিয়ে হলেও তার মুল্য দেব। কারন আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমি ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম,যুবলীগ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলাম,বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি আছি।

আমি কাউন্সিলের দ্বারা নির্বাচিত সভাপতি। কেউ দয়া করে, মায়া করে, আমাকে সভাপতি বানাইনি। এই আওয়ামীগের নেতাকর্মীরাই ভাল বেসে আমাকে দলীয় পদ দিয়েছেন। আগামী উপজেলা কাউন্সিলে তিনি সভাপতি প্রার্থী হিসেবে দায়িত্ব পেতে চান। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারিরা আছে আগামীতেও থাকবে। আজ যারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চান, তারা কোনদিন আওয়ামীলীগের মঙ্গল চাইনি। মোশারফ ও মকবুল হোসেন ১৯৮৬ সালে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নৌকার বিরুদ্ধে হরিণ মার্কায় ভোট করেছেন।

১৯৯৬ সালে নৌকার বিরুদ্ধে টেলিভিশন মার্কায় ভোট করেছেন। ২০১৪ সালে নৌকার বিরুদ্ধে ফুটবল মার্কায় ভোট করেছেন। যে মানুষের আওয়ামীলীগের প্রতি নুন্যতম ভালবাসা নাই, সে আওয়ামীলীগের মঙ্গল কি ভাবে চাইবে? দীর্ঘ প্রতিক্ষায় ৩২ বছর পর নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনা হয়েছে গাংনীতে। এই হিংসায় তারা জ্বলছ্ েযেন আওয়ামীলীগ গাংনী থেকে ধ্বংস হয়ে যায়।

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু প্রমুখ। এ সময় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

-আকতারুজ্জামান, গংনী




সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৮ জনের দৌড়ঝাঁপ

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ২৮ অক্টোবর মেহেরপুর শহর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালের ৩০ জুন। তারপর ২০১৫ সালে হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক জটিলতার কারনে সে সম্মেলন বাতিল হয়ে যায়। বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষে প্রতিটি জায়গায় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই অংশ হিসেবে আগামী ২৮ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলন।

এবারের সম্মেলন নির্বাচনের মাধ্যমে হতে পারে বলে জানা গেছে।
এই সম্মেলনকে ঘিরে ইতি মধ্যে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ। এতো বছর পর কে হবে শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি, কে হবে সাধারণ সম্পাদক। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীদের মাঝে।
আগামী ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এই সম্মেলন এ সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে ৩ জনের এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে ৫ জনের।
৩ জন সভাপতি প্রার্থীর মধ্যে রয়েছে বর্তমান শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ইকবাল হোসেন বুলবুল ও মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম।

৫ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর মধ্যে রয়েছে, বর্তমান শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অ্যাড. খ. ম. ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান, শহর ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম খান, সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নিশান সাবের।

সভাপতি প্রার্থী ইকবাল হোসেন বুলবুল বলেন, আমি বর্তমানে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দলীয় প্রতিটি কাজ করেছি। আমি আশা করছি আগামী ২৮ অক্টোবর শহর আওয়মীলীগের সম্মেলনে দল ও দলীয় কর্মীরা আমাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করবে।

সভাপতি প্রার্থী আক্কাস আলী বলেন, ২০০৪ সালের পর থেকে আমি মেহেরপুর শহর আওয়মীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে কাজ করছি। দীর্ঘ বছর পর আবার শহর সম্মেলন হতে চলেছে। এবার আমি সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আছি। আমি আশা করছি দীর্ঘ বছরের কাজের ভিত্তিতে দলীয় কর্মীরা আমাকে সর্মথন করবে।

সভাপতি প্রার্থী সাজ্জাদুল আনাম বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত। আপনারা জানেন আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলাম, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলাম। আমার রাজনীতিতে কোন দায়িত্বহীনতা ছিল না। সে হিসেবে আমি আশা করছি দলীয় কর্মীরা আমাকে শহর সভাপতি হিসেবে সাদরে গ্রহণ করবে।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিশান সাবের বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে যুবলীগ ও পরে আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত। দীর্ঘ রাজনীতির বয়সে আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রতিটি মানুষের একটি উচ্চ আকাঙ্খা থাকে সে হিসেবে আমি আগামী শহর সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি। আমি আশা করি সুন্দর পরিবেশে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মফিজুর রহমান বলেন, আমি মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার পরিবার আওয়মীলীগ, আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত দীর্ঘদিন ধরে। প্রগতিশীল মানসিকতা সুস্থ্য ধারার রাজনীতির মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচল আস্থা রেখে সংগঠনে কাজ করতে চাই। আমি মনে করি আগামী ২৮ অক্টোবর মেহেরপুর শহর সম্মেলনে আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলীয় কর্মীরা মনোনিত করবে।

সধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাড. খ.ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ীলীগের সাথে জড়িত দীর্ঘদিন যাবত সেই সাথে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৩ সালের ৩০ জুন সর্বশেষ শহর সম্মেলনে ইকবাল হোসেন বুলবুল ও আমি প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু বর্তমান কমিটির সভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ও সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী প্যানেলের কাছে পরাজিত হই। আমি স¦চ্ছ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মেহেরপুর শহর আওয়ামীলীগকে আরও শক্তিশালী সুসংগঠিত করতে সম্মেলন করা হচ্ছে। আমি আশা করি এই সম্মেলনে দলীয় কর্মীরা আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভোট দিবে।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সেলিম খান বলেন, আমি এরশাদ হঠাও আন্দোলন থেকে শুরু করে বিএনপির আমলে সাহসের সাথে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। এখন সময় এসেছে ভালো কিছু করার। তাই আগামী শহর সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি।

এছাড়াও মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শহর আওয়ামীলীগের সম্মেলন নিয়ে বর্তমান সভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর পর আবার মেহেরপুর শহর সম্মেলন হতে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি এই কাউন্সিলের মাধ্যমে সঠিত নেতৃত্ব উঠে আসবে। এ সময় ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ সময় শহর আওয়ামীলীগের দায়িত্ব পালন করেছি। আগামীতে যদি আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে চাই তবে জেলা আওয়ামীলীগে সাংগঠনিক দায়িত্বে যাওয়ার চেষ্টা করবো।

মর্তুজা ফারুক রুপক




মুজিবনগরে কেদারগঞ্জ বাজার ব্যাবসায়ী পূনঃনির্বাচিত কমিটি গঠন

মুজিবনগরে কেদারগন্জ বাজার ব্যাবসায়ী পূনঃনির্বাচিত কমিটি গঠন করা হয়েছে।সোমবার বিকালে কেদারগঞ্জ রেজিস্ট্রি অফিসের পাশে সকল ব্যাবসায়ীদের মতক্রমে এক মতবিনিময় সভায় পুনরায় পূনঃনির্বাচিত কমিটি ঘোষনা করা হয়।

পূনঃনির্বাচিত কমিটিতে কুতুবউদ্দীন মল্লিক সভাপতি ও হেকমত আলী সাধারন সম্পাদক ও আহসান হাবিব সহসভাপতি হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়।

যে কমিটির মেয়াদ থাকবে আগামী ৫ বছর প্রযন্ত। মত বিনিময় সভায় কেদারগন্জ বাজার ব্যাবসায়ী কমিটির সভাপতি কুতুবউদ্দীন মল্লিকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন, কেদারগন্জ বাজার ব্যাবসায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক হেকমত আলী, সহসভাপতি আহসান হাবিব ,সাবেক বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আক্কাস আলী প্রমুখ।




মুজিবনগর সরকারী ডিগ্রি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ মোহাঃআশরাফুল হক

মেহেরপুরের মুজিবনগর সরকারী ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করলেন প্রফেসর মোহাঃআশরাফুল হক।রবিবার সকালে তিনি কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করার পর সোমবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এ সময় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ্য রেজাউল হক, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মফিজুল ইসলাম,একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোহাঃ মোরাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।পরে তিনি কলেজের সকল শিক্ষকমন্ডলীর সাথে মতবিনিময় করেন। প্রফেসর মোহাঃআশরাফুল হক মেহেরপুর জেলার আমঝুপি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রানীবিঙ্গান বিভাগ থেকে লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন মেহেরপুর মহিলা কলেজে। পরে তিনি মেহেরপুর সরকারী কলেজে শিক্ষকতা করে এসেছেন।পরবর্তিতে প্রমশন পেয়ে খালিশপুর ঝিনাইদহ সরকারী বিরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমান কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবে কর্মরত ছিলেন।সেখান ১ বছরের বেশি সময় চাকরি করার পর গতকাল রবিবার সকালে তিনি মুজিবনগর সরকারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন।

যোগদান করার পর নবগত মুজিবনগর সরকারী ডিগ্রি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ মোহাঃআশরাফুল হক সাংবাদিকদের বলেন,মুজিবনগর সরকারী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার পরিবেশ সংরক্ষন ও সার্বিক উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি “শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ,শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” শ্লোগানকে সামনে এগিয়ে নিতে সুশীল সমাজ,রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মিসহ সকল স্তরের অভিভাবক ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাওয়ার আশা ব্যাক্ত করেন।

 




মেহেরপুরের মহাজনপুরে তথ্য সেবা কেন্দ্রের উঠান বৈঠক

মুজিবনগরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যেমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)বাস্তবায়নের লক্ষে মুজিবনগরে তথ্য সেবা কেন্দ্রের আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া খন্দকার। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন সুবিধার বিষয় ও বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান (মেহেরপুর)শামীমআরা হরা। বিশেষ অতিথী ছিলেন মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু।

এ সময় উপজেলা তথ্য সেবা সহকারী শান্তনা আক্তার ও আর্জিনা খাতুনসহ ইউপি সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন। উক্ত উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

মুজিবনগর অফিস