সভাপতি পদে একক হলেও সম্পাদক পদে প্রার্থীর ছড়াছড়ি

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর আগামি ২৭ অক্টোবর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রাণচাঞ্চল্য নেই প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের মধ্যে। তবে দলটির মধ্যে সকল প্রস্তুতি চলছে।
এ পর্যন্ত সভাপতি পদের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের নাম শোনা গেলেও সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। শেষ পর্যন্ত ১৫ জন প্রার্থীর নাম ঘুরপাক খাচ্ছে নেতা কর্মীদের মাঝে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতা কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য না থাকার কারন হিসেবে নেতা কর্মীরা জানিয়েছেন গাংনীর শীর্ষ নেতার আর্শিবাদের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তারা। এই শীর্ষ নেতারা যাকে চাইবেন তাই দলীয় পদ পদবীতে আসবেন একারনে কিছুটা নীবর অবস্থানে রয়েছে কর্মীরা।
এ পর্যন্ত সভাপতি পদের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের নাম শোনা গেলেও সাধারন সম্পাদক পদে গোলাম মোস্তফা, সাবেক মেয়র আহমেদ আলী, যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন, পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, আওয়ামীলীগ নেতা মকলেচুর রহমান মুকুল, অ্যাড. শফিকুল আলম, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, যুগ্ন সম্পাদক নাজমুল হুদা বিশ্বাস, গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম জুয়েল, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবুল বাশার, মনিরুজ্জামান আতু।
সাধারণ সম্পাদক পদে এত প্রার্থী হওয়ার কারন কি জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী জানান, সাধারণ সম্পাদক পদ না পেলেও অন্তত যুগ্ন সম্পাদক কিংবা সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পাবো এমন আশায় সম্পাদক পদে প্রার্থী হবো।
গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, দীর্ঘদিন পর আওয়ামীলীগের সম্মেলন আনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের প্রস্তুুতিও রয়েছে। সম্মেলন কে কেন্দ্র করে নেতা কর্মীরা উজ্জিবিত অবস্থায় রয়েছে। আমাদের দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়া ও সাবেক ছাত্রনেতারা ও বড় দল হওয়ার অনেক যোগ্য নেতা তৈরি হয়েছে। এসব কারনে প্রার্থী বেশি হচ্ছে। আশা করি সুন্দর ও সফল ভাবে গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

গাংনী প্রতিনিধি:




হঠাৎ ভারতীয় পানি মেহেরপুরে

মেহেরপুর সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী শোলমারী ও শুভরাজপুর গ্রামে দিয়ে প্রবেশ করছে ভারতীয় পানি। এতে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সীমান্তবর্তী গ্রামের শত শত বিঘা জমির ফসল। ইতি মধ্যে বেশ কয়েক বিঘা জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শনিবার সকাল থেকে মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী ও শুভরাজপুর গ্রাম দিয়ে প্রবেশ করছে ভারতীয় জলাঙ্গী নদীর পানি। এই পানি শোলমারী, শুভরাজপুর ও কুতুবপুর গ্রামের পাশ দিয়ে মেহেরপুরের ভৈরব নদে প্রবেশ করছে। এতে তিন গ্রামের নদীর পাশের জমির বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে এইভাবে পানি প্রবেশে ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় চাষিরা।

ভারতের নদীয়া জেলার বিক্রমপুর থানার নন্দনপুর রাউথবাড়ি দিয়ে জলাঙ্গী নদীর পানি মেহেরপুরের শোলমারী হয়ে বাংলাদেশের ভৈরব নদে প্রবেশ করেছে।
২০১৫ সালে ভৈরব ২৯ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হয়। কিন্তু কাথুলি ব্রিজের পর ভৈরব অনেকটা সমতল থাকায় হঠাৎ করে পানি প্রবেশে ফলে ভৈরব সংলগ্ন আবাদী জমি গুলো পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।
শোলমারী গ্রামের চাষী আসমত আলী বলেন, গত শুক্রবার পর্যন্ত তেমন একটা পানি ছিল না। কিন্তু শনিবার সকালে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে দেখি মরা ভৈরবে

পানি আসছে। প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে বুঝলাম ভারত থেকে এই পানি আসছে। তিন ঘন্টার ব্যবধানে আশেপাশের ধান, কলাই, মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেলো।
হাবু আলী বলেন, ভৈরবের পাশে আমার ১৫ কাঠা কলাই ছিল। গরুর খাবারের জন্য বিদেশি ঘাস লাগানো ছিল। পানি ওঠার খবর পেয়ে দ্রুত জমিতে গেলেও কিছুই খুজে পাইনি।

শুভরাজপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম বলেন, শোলমারী দিয়ে পানি প্রবেশ করছে খবর শুনে নদের ধারে যায়। সেখানে আমার পাটখড়ি শুকাতে দেওয়া ছিল। কোন রকম সেটা উদ্ধার করলেও ২ বিঘা জমির উঠতি ধান চোখের সামনে তলিয়ে গেলো।
শোলমারী গ্রামের ইউপি সদস্য আখতার হোসেন বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত কোন পানি ছিল না। শনিবার সকাল থেকে পানি প্রবেশ করছে। এতে আমাদের গ্রামের অনেক ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।

শোলমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব জানান, বেশ কয়েক বছর এরকম পানি আমাদের দেশের ভিতর হঠাৎ করে প্রবেশ করেননি। তবে শনিবার সকাল থেকেই ক্রমেই পানি বেড়েই চলেছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। যদি ভারতীয় পানি নিয়ন্ত্রন সুইচ গেট সব গুলো খুলে দেয় তবে শোলমারী, শুভরাজপুর গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

এ বিষয়ে মেহেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম বলেন, আমরা কৃষি বিভাগের সাথে বলেছি বিষয়টি দেখার জন্য। তাদের তথ্য অনুযায়ি এখনো তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে এইভাবে পানি বাড়তে থাকলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

-মর্তুজা ফারুক রুপক




মেহেরপুরে ‘মুক্তিযোদ্ধাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা

মেহেরপুরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান ‘মুক্তিযোদ্ধাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্মুঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্টিহয়।

মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী খানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধা আতাউল হাকিম লাল মিয়া।প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধা ক্যাপ. আব্দুল মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল হাকিম, ভাষা সৈনিক ইসমাইল হোসেন, মাহাবুবল হক শান্তি।

বক্তব্য দেন আব্দুর রব, আফজাল হোসেন, নারী মুক্তিযোদ্ধা সালেহা খাতুন, আব্দুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া বুলবুল, ফজলুল করিম, গোলাম রহমান, সিরাজুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধা আহসান আলী খান, ডেপুটি কমান্ডার আলী হোসেন প্রমুখ।
-নিজস্ব প্রতিনিধি




মুজিবনগরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মহাসিন আলীর লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

মেহেরপুরের মুজিবনগরে বীর মুক্তিযোদ্বা মহাসিন আলীর লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেছেন মুজিবনগর উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্বারা।

শনিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার মোনানখালী ইউনিয়নের শিবপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রাষ্টীয মর্যাদায় গ্রাম্য কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। এ সময় পুলিশের একটি চৌকষ দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এসময় বিহগলে করুণ সুর বেজে উঠে।
মুজিবনগর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল হাসান রাষ্ট্রের পক্ষে সালাম গ্রহণ করেন।

এসময় মুজিবনগর থানার ওসি আবদুল হাসেম, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলিল, সাবেক ইউনিয়ন কমান্ডার আহসান আলী, ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মালেক, আফজাল হোসেন, ছাবদার আলী সহ আরও অনেকে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা মহাসিন আলী (৭০) শুক্রবার বিকাল ৪টার সময় নিজ বাড়িতে ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদীন যাবৎ অসুস্থ্য থাকার পরে মৃত্যুবরণ করেন ।

মুক্তিযোদ্বা মহাসিন আলী মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃতঃ আহসান আলী খাঁনের ছেলে। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।
-মুজিবনগর অফিস




মেহেরপুরের আমঝুপিতে মরহুম আজিজুর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি পাবলিক ক্লাব ও লাইব্রেরীর উদ্যোগে আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মরহুম আজিজুর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাসুদুল আলম টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি উভয় দলের খেলোয়াড়দের সাথে পরিচিত হন।
আমঝুপি পাবলিক লাইব্রেরীর সহ-সভাপতি আকবর আলী, সম্পাদক সাইদুর রহমান, সাইদুল ইসলাম , কানাই, সোহেল রানা, সবুজ, সাগর, ফয়জুল কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মরহুম আজিজুর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে ১৬ টি দল অংশ গ্রহন করছে। উদ্বোধনী খেলায় কুষ্টিয়ার মীরপুর ছত্রগাছা নবরন সংঘ টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে দামুড়হুদা একদশকে পরাজিত করে।
নির্ধারিত সময়ে খেলাটি গোল শূন্য ড্র হওয়ায় টাইব্রেকারের মাধ্যমে নিস্পত্তি করা হয়। খেলায় কুষ্টিয়ার মীরপুর ছত্রগাছা নবরন সংঘের পক্ষে চঞ্চল, সাহেব ও জীবন এবং দামুড়হুদা একদশের পক্ষে তুষার গোল করেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




সুযোগ পেয়েও মায়ের কথায় রাশিয়ায় যায়নি আবরার

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের বরকত উল্লাহর ও রোকেয়া খাতুনের বড় ছেলে আবরার ফাহাদ ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন ঢাকা নটরডেম কলেজে। সেখান থেকে ২০১৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষাতেও গোল্ডেন এ প্লাসসহ উত্তীর্ণ হন। পরে বুয়েটের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস বিভাগে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। ফাহাদ সেখানে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
রাশিয়ায় পারমানবিক নিয়ে গবেষণার সুযোগও পেয়েছিলেন আবরার। কিন্তু মায়ের আপত্তি, যারা পারমানবিক নিয়ে কাজ করে তাদের ক্যান্সার হয়। তাই মায়ের অনুমতি না পেয়ে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন। ফাহাদের শোকার্ত মা রোকেয়া খাতুন আহাজারি করে এ কথা বলেন। ছেলেটা ঢাকা মেডিকেল, ঢাবি আর বুয়েটে চান্স পেয়েছিল। সব বিসর্জন দিয়ে ভর্তি হয় বুয়েটে ইঞ্জিনিয়ার হবে বলে। আজ ছেলেটা আর নেই। তাকে মেডিকেলে পড়তে বলেছিলাম, সে পড়ে নাই, ছেলেটা আজ অন্ধকার কবরে। আবরার ফাহাদ এর ভাই ফাহাজ এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
নিহত আবরার ফাহাদ অবসর প্রাপ্ত ব্র্যাক কর্মী বরকত উল্লাহ-রোকেয়া দম্পতির বড় ছেলে। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
ফায়াজ বলেন, যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তারাই অপপ্রচার চালাচ্ছেন ফাহাদ ছাত্রশিবির করত। প্রকৃত পক্ষে ফাহাদ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কালাম পড়ত কিন্তু রাজনৈতিক কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়।
ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ফাহাদ ছুটিতে বাড়িতে এসে ১০দিন ছিল। আগামী ২০ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। তাই রোববার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কে বা কারা কি কারণে ছেলে ফাহাদকে নৃশংস হত্যা করেছে তার কিছুই জানেন না তিনি। যারাই এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবি করেন তিনি।
কুষ্টিয়া শহরের বাড়ির আশপাশের লোকজন ফাহাদ ও তার পরিবার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলতে না পারলেও তাদের গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে ফাহাদরা সবাই খুব পরিচিত। এক সময় এরা সবাই কৃষি পরিবার ছিল। পরে এদের পরিবারের অধিকাংশ সদস্য বিভিন্ন জায়গায় চাকরি নিয়ে বাইরে থাকে।
কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক স্বপন বলেন, ছেলেটি খুব ভালো এবং ওকে কোনো দিন কোন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে দেখিনি। কুষ্টিয়া থেকে এসএসসি পাশ করার পরই ঢাকায় পড়তে চলে যায় সে।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




মেহেরপুরে পিকেএসএফ’র ডিম দিবস পালন

মেহেরপুরে পল্লি কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামে একটি র‌্যালী বের করা হয়। পরে উজলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়।
পিকেএসএফ’র সমৃদ্ধি সমন্বয়কারি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম, ভেটেরীনারী সার্জন নুরে আলম, উজলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হুদা।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




দৌলতপুরে বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ

ইঞ্জিনিয়ার্স ফাউন্ডেশন দৌলতপুর এর উদ্যোগে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নে বানভাসী মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে রামকৃষ্ণপুরের ভাগজোত, চল্লিশগ্রাম, চিলমারী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ইএফডির সভাপতি প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাইসার আহমেদ লেলিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এস এম মিজানুর রহমান জনি, দপ্তর সম্পাদক প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান সাগর সহ সদস্যবৃন্দ। দুই ইউনিয়নের ৩৫০ জন পরিবারের মাঝে ত্রাণ হিসেবে শুকনা খাবার বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ায় বিশ্ব ডিম দিবস পালন

“সুস্থ মেধাবী জাতি চাই, প্রতিদিনই ডিম খাই” এই প্রতিপাদকে সামনে রেখে মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ায় পালিত হয়েছে বিশ্ব ডিম দিবস।
র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়েছে । শুক্রবার সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ইবাদত হোসেন । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান, সহকারী কমিশনার সুজন দাশ গুপ্ত, কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম। বক্তব্য রাখেন খামারি জাহিদ হোসেন।
এর আগে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে একটি র‌্যালী বের করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইবাদত হোসেনের নেতৃত্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, জেলা প্রাণিম্পদ অফিস ও বিপিআইসিসির আয়োজনে এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১০টায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়।
র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সভা কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. সিদ্দীকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন। বিশেষ অতিথি জেলা জেলা কৃত্রিম প্রজনন সহকারি পরিচালক ডা. মো: গোলাম হায়দার, খোকসা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. গোপেশ চন্দ্র সরকার, ডা. কল্পনা রানী রায়, জেলার সফল খামারি আব্দুল কুদ্দুস মাসুদ প্রমুখ সহ জেলার বিভিন্ন এলাকার খামারিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, ডা. নাহিদ হাসান

প্রতিদিন ডেস্ক:




খোকসায় ৩ কেজি ইলিশ জব্দ, এতিম খানায় বিতরণ

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে পদ্মা নদী সংলগ্ন আমলাবাড়ি ও আমবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল ও প্রায় ৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
গতকাল শুক্রবার সন্ধায় উপজেলা মৎস্য অফিসারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় । এ সময় এ এস আই কামাল সহ সঙ্গীয় ফোর্স অংশ গ্রহন করেন। অভিযানে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছ আমলাবাড়ি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

নিজস্ব প্রতিনিধি: