মেহেরপুর খোকসা ফ্রেন্ডস ক্লাবের ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও নতুন কমিটির গঠন

মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপি ইউনিয়নের খোকসা গ্রামে ফ্রেন্ডস ক্লাবের ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও নতুন কমিটি গঠন করেন।
খোকসা ফ্রেন্ডস ক্লাবের অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শাহারিয়া পারভেজ রকি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোকসা স্কুল পাড়ার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মামুনুর রশিদ তিনি ফ্রেন্ডস ক্লাবের ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকের কেক কেটে ও নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন।
খোকসা ফ্রেন্ডস ক্লাবের নতুন কমিটির সভাপতি হলেন আব্দুস সালাম, সহ- সভাপতি হাছানুল হক হিরোক, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, অর্থ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মাঝারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান লাজুক, প্রকাশনা সম্পাদক নাহিদ হাসান ইমন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক নূর আলম, মিডিয়া সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমিন থান্দার, মানবাধিকার সম্পাদক আব্দুর রইফ, দফতর সম্পাদক সাজিবুল,ক্রিয়া সম্পাদক রাজিব, ত্রাণ ও দুর্যোগ মজিরুল ইসলাম, ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক রিকো, শিক্ষা পাঠচক্র সম্পাদক মিথুন,পরিবেশ সম্পাদক মিয়ারুল, উন্নয়ন সম্পাদক আলমগীর, সংখ্যা লঘু সম্পাদক সাজিদুর, প্রচার সম্পাদক হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




গাংনীতে এইচ এম ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের উদ্বোধন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বাজারে এইচ এম ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের উদ্বোধন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গাংনী হাসপাতাল বাজারে প্রতিষ্ঠানটির চত্বরে শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ খালেক, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটউটের চেয়ারম্যান এস আর খান, পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা , পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, এমপি পতœী লাইলা আরজুমান বানু শিলা, পৌর যুবলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু, পৌর কাউন্সিলর নবিরুদ্দীন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
আলোচনা শেষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন উপজেলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মওলানা ইলিয়াস হোসেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক গাংনী বাজারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আব্দুল হামিদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন মিঠু সাংবাদিকদের বলেন আমার এইচ এম ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ নির্ভুল ভাবে রোগ নির্ণয় করে সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ। দোয়া মাহফিলের পরে সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন ফিতা কেটে প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূ নিহত

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছোটশলুয়া গ্রামে বৃষ্টি খাতুন (২৪) নামের এক গৃহবধূ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন। নিহত বৃষ্টি খাতুন উপজেলার ছোটশলুয়া গ্রামের প্রবাসী রিপন মন্ডলের ছেলে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের ভাই সজল জানান, দুপুরে তার বোন বৃষ্টি খাতুন গরুর গোয়ালে মোটর দিয়ে পানি তুলতে যান। এ সময় অসাবধানতাবশত পানির মোটরে হাত দিলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়েন।
পরে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শামিমা খাতুন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :




প্রভাষক মো: আলিব উদ্দীনের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

মেহেরপুরের ছহিউদ্দীন ডিগ্রী কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মো: আলিব উদ্দীন পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া-এর ২১৭তম একাডেমিক কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্ত ক্রমে মোঃ আলিব উদ্দীনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের অধীনে প্রফেসর ড. নজিবুল হক এর তত্ত্বাবধানে তিনি গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করেন।
তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল মেহেরপুর জেলার ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর, পানির মান, পানির পরিমান ইত্যাদি বিষয়ের উপর একটি এওঝ গড়ফবষ তৈরী যা থেকে খুব সহজেই যে কোন স্থানের এৎড়ঁহফধিঃবৎ সম্পর্কে সকল তথ্য পাওয়া যাবে।
মো: আলিব উদ্দীন ১৯৭৫ সালের ১০ ডিসেম্বর মেহেরপুর বাবুর পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯১ সালে নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৩ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৯৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং ১৯৯৭ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাশ করেন।
মো: আলিব উদ্দীন ২০০১ সালের ১ জানুয়ারী ছহিউদ্দীন ডিগ্রী কলেজে তৎকালীন মেহেরপুর পৌর ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। তিনি যমজ কন্যা সন্তানের জনক।
ড. মো: আলিব উদ্দীন ২১৭তম একাডেমিক কাউন্সিলে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ড. মো: আলিব উদ্দীন জানান, আমার দীর্ঘদিন স্বপ্ন ছিল পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। সেই লক্ষে ২০০১ সালে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগে রেজিস্ট্রেশন করে দীর্ঘদিন অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে প্রফেসর ড. নাজমুল হকের অনুপ্রেরণায় আমি এই ডিগ্রী অর্জন করতে পেরেছি। এজন্য তিনি প্রফেসর ড. নাজমুল হক সহ ছহিউদ্দীন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও সহকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, একটি বড় ডিগ্রি অর্জন করতে গেলে অনেক ত্যাগের প্রয়োজন রয়েছে। আর এর সব কিছুকে পাশ কাটিয়ে লক্ষ্য কে জয় করতে হবে।
ড. মো: আলিব উদ্দীন জানান, আমি যে জ্ঞান অর্জন করেছি তার কিঞ্চিত হলেও যদি আমার শিক্ষার্থীদের দিতে পারি তবে আমার এই ডিগ্রী অর্জন সার্থক হবে। ড. মো: আলিব উদ্দীন সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্য মাটির হাঁড়ি পাতিলসহ বিভিন্ন সামগ্রী

বাজারে প্লাস্টিক সামগ্রীর বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্রের ভিড়ে বিলুপ্ত হচ্ছে আলমডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। সেই সাথে প্রায় হারিয়ে গেছে মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজানো গ্রামীন সংস্কৃতির নানা উপকরণ ও গৃহস্থালী নানান প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা পৌরসভা সহ ১৫টি ইউনিয়নে মৃৎশিল্প তৈরীকারক পরিবারগুলোর মধ্যে চলছে অভাব–অনটন। কারণ তাদের তৈরি পণ্য আগের মত বাজারে চলছেনা বলে বদলে যাচ্ছে কুমারপাড়ার জীবনের আসল চিত্র। গ্রামে এ পেশার সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে মৃৎশিল্প প্রস্তুতকারী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে মেলায় অংশ গ্রহণের জন্য তৈরী করছে ছোট ছোট পুতুল ও মাটির খেলনা।

পূর্বে মৃৎ শিল্পের খ্যাতি ছিল কিন্তু আজকাল অ্যালুমিনিয়াম, চীনা মাটি, মেলা–মাইন এবং বিশেষ করে সিলভারে রান্নার হাড়ি কড়াই প্রচুর উৎপাদন ও ব্যবহারের ফলে মৃৎশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। কথিত আছে মৃৎশিল্প প্রায় দুই থেকে আড়াই শত বছর পূর্ব থেকে চলে আসছে। জানা যায় অতীতে এমন দিন ছিল যখন গ্রামের মানুষ এই মাটির হাঁড়ি কড়া, সরা,বাসন, মালসা, ঘরের লালি, কুয়ার চাক ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহারের সমস্ত উপকরণ মাটির ব্যবহার করত কিন্তু আজ বদলে যাওয়া পৃথিবীতে প্রায় সবই নতুন রূপ। নতুন সাজে আবার নতুন ভাবে মানুষের কাছে ফিরে এসেছে।

এখন মানুষের রুচি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিত্য নতুন রূপ দিয়ে মৃৎ শিল্পকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছে।এক সময়ে আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রতিটা গ্রামেও ছিল মাটির তৈরি পণ্য সামগ্রীর সমাহার। বিভিন্ন বাজারে ছিল মাটির তৈরি হাড়ি পাতিল সহ অন্যান্য সামগ্রীর দোকান ।
কিন্তু এখন আর কুমারদের কর্তৃত্ব নেই এখানে।

আলমডাঙ্গা বাজারে নির্দিষ্ট দোকান না থাকলেও বিভিন্ন দোকানে দৃষ্টি নন্দন মাটির সামগ্রী কলসি, হাঁড়ি, পাতিল, সরা, মটকা, দৈ পাতিল, মুচি ঘট, মুচি বাতি, মিষ্টির পাতিল, রসের হাঁড়ি, ফুলের টব, চাড়ার টব, জলকান্দা, মাটির ব্যাংক, ঘটি, খোঁড়া, বাটি, জালের চাকা, প্রতিমা,বাসন–কোসন, ব্যবহারিক জিনিসপত্র ও খেলনা সামগ্রী ইত্যাদি পাওয়া যায়। তারাও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করে কোনরকম নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে।

আলমডাঙ্গা বাজারের মৃৎশিল্প পণ্যের দোকানের বিক্রেতা বয়োবৃদ্ধ বিজয় পাল জানান, প্রায় ৩০ বছরেরও বেশী সময় ধরে তার এই ব্যবসা করে আসছি। এখন আর মাটি সামগ্রীর কদর নেই। অভাব অনটনে যাচ্ছে দিন।

-খন্দকার শাহ আলম মন্টু, আলমডাঙ্গা




বুয়েটে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার এজাহারভুক্ত ১৯ আসামিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বুয়েট অডিটোরিয়ামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা কালে বুয়েটের উপাচার্য এ কথা জানান। তিনি বলেন, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং মামলার খরচ বুয়েট কর্তৃপক্ষ বহন করবে। বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারকে চিঠি দেওয়া হবে। বুয়েটে র‌্যাগিং বন্ধ হবে।
উপাচার্য জানান, সরকার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে আশ্বস্ত করেছে। আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েটের আন্দোলনকারীরা ১০ দফা দাবি পেশ করে। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য কথা বলেন। সেখানে তিনি এসব দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানান।
গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা আলটিমেটাম দিয়েছিলেন, উপাচার্য যদি গতকাল শুক্রবার বেলা ২টার মধ্যে তাঁদের সঙ্গে দেখা না করেন, তাহলে বুয়েটের সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেবেন। এমন পরিস্থিতিতে গতকালই উপাচার্যের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার কথা জানানো হয়।
আবরার হত্যার প্রতিবাদে পঞ্চম দিনের মতো সকাল থেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। গতকালও সকালে তাঁরা মিছিল ও পথনাটকসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত রোববার রাত আটটার দিকে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে। ওই কক্ষে তাঁকে নির্যাতন করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। রাত ৩টার দিকে হল থেকেই তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার ঘটনায় খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি, বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




সফলতা শুধু আপনার জন্যই – এম.এ.এস ইমন

আপনি যখন জিতে যাবেন তখন আপনার চারপাশে সবাই জিতে যাবে। সেই মুখগুলো আপনাকে নিয়ে খুব গর্ব করবে একদিন যে মুখগুলো আপনাকে দেখলে কালো হয়ে যেতো। অনেক অপরিচিত মুখও আপনার কাছে পরিচিত হয়ে যাবে। এমন অনেক জায়গা থেকে আপনার নাম্বারে  ফোন আসবে যাদের নামও আপনি শুনেন নাই। আপনি হবেন সবার মধ্যমণি। কিন্তু যদি আপনি হেরে যান, তাহলে শুধু আপনি একাই হারলেন। কেউ আপনার সঙ্গী হবে না। যে আত্মীয় স্বজন এক সময় আপনাকে নিয়ে গর্ব করতো তারা আপনাকে নিয়ে টিজ করবে, তাদের কাছে হবেন আপনি তামাশার পাত্র। আপনি যখন দু:সময়ে থাকবেন তখন আপনার জবান কে বন্ধ রাখুন। হতাশ হবেন না, ভেঙ্গে পড়বেন না। নীরব নিস্তব্ধভাবে প্রস্তুতি নিন উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য। আর সেই জবাব টা কি জানেন ? শুধু মাত্র একটা সফলতা। আপনার একটা সফলতা আপনার সমস্ত সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেবে। তাদের জন্য উপযুক্ত জবাব হয়ে যাবে। তাদের মুখে সুপারগ্লুর মতো আঠা লাগিয়ে দিবে। এবং এটা আপনার দ্বারা খুবই সম্ভব। কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই কিন্তু  কেউ মরতে চাই না। কিন্তু সেটাতো অসম্ভব। আর এই অসম্ভব কাজটাকে সম্ভব করার জন্য আপনার জীবন থেকে চারটা “P’  কে বাদ দিন আর ছয়টা টা “P” কে  জীবনের সাথে যোগ করুন। যে চারটা P কে জীবন থেকে বাদ দিবেন:—– প্রথম P :Procrastination মানে হলো কাল ক্ষেপণ, আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু এভাবে শুধু নিজেকে পিছিয়ে। আপনাকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য শয়তান আর প্রবৃত্তির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এই একটা P ই যথেষ্ট। আপনি ভাবছেন বিকাল থেকে শুরু করবেন, কিংবা আগামীকাল থেকে শুরু করবেন। মনে রাখবেন সেই বিকাল কিংবা আগামীকাল আপনার জীবনে আর কখনো আসবে না। সেটা শুধু “আগামী” বলেই থেকে যাবে। দ্বিতীয় P :-Phobia মানে ভয়। অনেক কিছুর ভয় হতে পারে যেমন নিজের অযোগ্যতার ভয়, নিজের অক্ষমতার ভয়, মানুষের সমালোচনার ভয়…. আরো কত কি। নিজের যোগ্যতা আর সক্ষমতার ব্যাপারে যদি আপনার ভয় হয়, তাহলে আপনার জন্য বলছি, আপনি কি জানেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে দুই প্রসিদ্ধ ফল আর দুইটা পবিত্র এবং নিরাপদ নগরীর কসম খেয়ে বলেছেন ” আমি মানুষ কে অতি উত্তম গঠনে সৃষ্টি করেছি ” এই উত্তম গঠনের মধ্যে একটা মানুষের যত ধরণের গুনাবলী দরকার যেমন তার যোগ্যতা, সক্ষমতা, মেধা , শক্তি, সাহস, বীরত্ব সব গুলো আল্লাহ দিয়ে দিয়ছেন। অর্থাৎ আপনার মধ্যে অনেক যোগ্যতা আছে যা আপনি জানেন না। কিংবা কখনো আপনি জানার চেষ্টাও করেন নাই। তাই আপনার দায়িত্ব হলো আপনি নিজেকে নিজের মধ্য থেকে আবিষ্কার করুন। আপনি যোগ্য বলেই আপনি এসএসসি, এইচ এসসি, অনার্স, মাস্টার্স সব পাশ করছেন। সুতরাং আপনি এই কথা বলবেন না  যে চাকরিটা আমার দরকার, কারণ এই কথার দ্বারা আপনার একটা অসহায়ত্ব বুঝায় বরং আপনি বলুন এই চাকরিটা আমার জন্যই, আমি চাকরিটা ডিজার্ভ করি। আমাকেই  সেখানে  যেতে হবে। আমিই এটার উপযুক্ত ব্যক্তি। আর সমালোচনার ভয়? এদের সমালোচনা কানে  নিয়ে এদের কে উপরের শ্রেণীতে তুলবেন না । ছোটলোক গুলোকে ছোটলোকের শ্রেনীতে থাকতে দিন। এদেরকে ভালোও বাসবেন না আবার ঘৃণাও করবেন না। এদেরকে শুধু উপেক্ষা করুন। আপনার আপন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান। তৃতীয় P :- Pessimistic বা হতাশাগ্রস্থ। এই P টাকেও আপনার জীবন থেকে দূর করতে হবে। অবস্থার যতই অবনতি হোক না কেন, যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিই আসুক না  কেন, কখনোই হতাশ হবেন না। মনে রাখবেন এই দুর্যোগপূর্ণ পৃথিবীর কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এমন কি আমাদের সমস্যা গুলোও। সব সময় নিজেকে আশা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আবদ্ধ রাখুন। ভাবুন আমার অবস্থা যেমন তার চেয়েও আরো অধিক খারাপ হতে পারতো। এখনতো অনেক ভালো আছি। খুব শীঘ্রই আল্লাহ আমার দু:সময় দূর করে  দেবেন। আর আল্লাহ বান্দার আশা অনুযায়ী তার ব্যাপারে ফায়সালা  দেয়। নিজেকে সব সময় বলুন আমি  হেরে যাবার পাত্র নই। আমি  হেরে যাবো বলে স্বপ্ন  দেখে নি। আমি ক্লান্ত কিন্তু আমি পরাজিত নই। আমাকে আমার গন্তব্যে যেতেই হবে। আমি থেমে যাওয়ার পাত্র নই। আমি লক্ষ্যে অবশ্যই পৌঁছাবো। চতুর্থ P : Parasite মানে পরজীবী। এই P টাকেও দূর করতে হবে। কারো কাছে কোনভাবেই, না মানসিকভাবে, না আর্থসামাজিকভাবে কখনো পরজীবী হবেন না। এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন ব্যপারে কারো কাছে নির্ভরশীল হবেন না। নিজের ব্যক্তি সত্ত্বার সাথে কাউকে মিশ্রিত করবেন না।  যে ছয়টা “P” আপনার জীবনের সাথে যোগ করবেন:- প্রথম P:-Positivity অর্থাৎ ইতিবাচক মনোভাব। আর এটার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি হলো ” না এর সাথে না  যোগ করুন, আর হ্যাঁ এর সাথে হ্যাঁ “।   কেউ যদি বলে  তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, সাথে সাথে আপনিও বলে দিন “তোমার কথা ঠিক না”, কেউ যদি বলে  চেষ্টা করো পারবে, আপনিও বলুন ইনশাআল্লাহ, হ্যাঁ আমি পারবো । সব কিছু ইতিবাচকভাবে চিন্তা করুন। নিজেকে ও নিজের যোগ্যতাকে রেস্পেক্ট করুন। জায়গা মতো সেগুলো কে প্রদর্শন করুন কিন্তু অহংকার করবেন না। যোগ্যতা প্রদর্শন এক জিনিস আর অহংকার আরেক জিনিস। আল্লাহ আপনাকে  যোগ্যতা দিয়েছে সেটা তার পক্ষ থেকে আপনার উপর নিয়ামত। সেটাকে ব্যবহার করার জন্যই দিয়েছে, সিন্দুকে তালা দিয়ে রাখার জন্য নয়। এতে  নেতিবাচক মানষিকতার মানুষ গুলো আপনাকে গালি দিয়ে বলবে “শালা তো নিজের ঢোল নিজে পিটায় ” আপনি বলে দিন আমার ঢোল আছে  দেখেই আমি পিাটাতে পারি, পারলে আমার মতো একটা  ঢোল অর্জন করে তুমিও পিটানো শুরু করো। নিজের আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন গুলো কে সন্তানের মতো লালন পালন করুন। এই গুলোই আপনার চুড়ান্ত অর্জনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে। দ্বিতীয় P :-  Passion  বা অর্জন করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। এমন না যে পাইলে পাইলাম, না পাইলে নাই। এরকম মানসিকতা নিয়ে কখনো কোন কাজে সফল হতে পারবেন না। মানসিকতা এই রকম হওয়া চাই যে, আমার একটাই লক্ষ্য যে আমাকে ক্যাডার হতেই হবে, আমাকে জব পেতেই হবে, আমাকে সফল বিজনেসম্যান হতেই হবে — দ্বিতীয় আর কোন অপশন নাই,  দেখেবেন এই দৃড় প্রতিজ্ঞাই আপনাকে গন্তব্যে নিয়ে যাবে। তৃতীয় P :- Plan বা পরিকল্পনা যার মানে হলো আপনার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চিন্তাগুলো এক ফ্রেমে আবদ্ধ করা। আর এর মূল উদ্দ্যেশ্যে হলো গুরুত্ব অনুযায়ী কাজকে প্রধান্য দেয়া। আমার কাজ তো অনেক আছে কিন্তু এই মুহুর্তে  কোন কাজটা আমার জন্য সবচেয়ে জরুরী সেটাকে নির্ধারণ করে আগে করা। এভাবে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাওয়া। প্লান ছাড়া কোন কাজেই সফলতা আশা করা যায় না। দিন শেষে সবকিছু পন্ডশ্রম মনে হবে। তাই প্লান হচ্ছে সফলতার মৌলিক ভিত্তি। চতুর্থ P :- Perseverance মানে কঠোর অধ্যবসায় সাথে অনুশীলন। পরিশ্রম আর অনুশীলন এই গুলো হচ্ছে এক ধরণের সুমিষ্ট পানীয়ের মতো  যে এটা যত বেশী পান করবে তার জীবন ততবেশী সুমিষ্ট হবে। আপনি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে অনুশীলন চালিয়ে যান। একবার ব্যর্থ হয়েছেন বলে থেমে যাবেন না , আবার শুরু করুন। কাজের মধ্যে  লেগে থাকুন। কাজ করতে থাকুন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না আপনি আপনার গন্তব্যে না পৌঁছিয়েছেন। অবিরামভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। পঞ্চম P :- Patient বা ধৈর্যশীল। কাজ করতে করতে অনেক সময় বিরুক্তি চলে আসবে, কিংবা হতাশা আসতে পারে কিন্তু এই মুহুর্তে ধৈর্য্যের সাথে সব কিছু  মোকাবেলা করতে হবে। মনে রাখবেন একটা রঙধনু  দেখতে হলেও বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হয়, জোছনার আলো উপভোগ করতে হলেও একটা রাতের জন্য অপেক্ষা করতে হয় আর আপনি এমন কিছু অর্জন করবেন যার মাধ্যমে আপনি সারাটা জীবন সুখে শান্তিতে কাটাবেন, তার জন্য কিছু অপেক্ষা করবেন না তা কি করে হয়। তাই অস্থিরও হওয়া যাবে না অলসও হওয়া যাবে না। ধৈর্য্যের সাথে সব মোকাবেলা করতে হবে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। ষষ্ঠ P :-Prayer বা দোয়া। সফলতা হলো ৯৯% পরিশ্রম আর ১% দোয়ার যোগফল। তবে মাঝে মাঝে এই ১% যদি ঠিক না থাকে তাহলে বাকী ৯৯% ও অর্থহীন হয়ে পড়ে। অনেক আগে টিভিতে একটা গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিত এইরকম গাড়িটা ৯৯% ভালো এর মধ্যে এ.সি, GPS সিস্টেম সেট করা আছে, অতিরিক্ত ব্যাটারি সহ আরো অনেক কিছু। তবে ১% সমস্যা আছে আর  সেটা হলো গাড়িটার ব্রেক গুলো নষ্ট।  তো এই গাড়িটার ৯৯% যেরকমভাবে ১% এর জন্য অর্থহীন হয়ে গিয়েছে, ঠিক একইভাবে আমাদের ৯৯% পরিকল্পনা, পরিশ্রম অর্থহীন হয়ে যাবে যদি আমাদের ১%  দোয়া ঠিক ভাবে না হয়, আল্লাহ যদি কবুল না করেন। তাই আপনি যে ধর্মেরই  হোন না  কেন- হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইয়াহুদি, ক্যাথলিক বা মুসলিম, আপনার পবিত্র ধর্র্মীয় রীতিমতো আন্তরিকতার আপনার সৃষ্টি কর্তার কাছে আপনার আকাঙ্ক্ষার জন্য প্রার্থনা করুন। যারা মুসলিম আছেন তারা অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে পড়বেন।  কোন অবস্থাতেই এটা ছাড়বেন না। জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে। পারলে  শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়ুন।  সে সময় দুয়া কবুল হয়। আল্লাহর কাছে আকুতি মিনতি করে বলুন ” হে আল্লাহ তুমি আমাকে মানুষের কাছে সমালোচনা বা তামাশার পাত্র বানিওনা। আমাকে  যে যোগ্যতা দিয়েছো তা কাজের লাগানোর তৌফিক দাও। কারো দুয়ারে লবিং এর জন্য দ্বারস্থ করিও না। আমাকে নিরাপদে আমার সফলতার গন্তব্যে পৌঁছে  দাও। এইভাবে  দোয়া করেন। মনে রাখবেন একজন ভিক্ষুক যদি বার বার আমাদের দরজায় এসে কড়া নাড়ে তাহলে এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে হলেও তাকে কিছু দান করে বিদায় করে  দেই। আমরা মানুষ হয়ে যদি এইরকম টা করতে পারি তাহলে আমাদের রব আল্লাহর দরজায় যদি আমরা বার বার কড়া নাড়ি, তিনি অবশ্যই আমাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। আমিন(মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক ও প্রেট্রো বাংলার পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক)




আগে ছিলাম দারিদ্র্য সীমার নিচে এখন চরিত্র সীমার নিচে – এম.এ.এস ইমন

দেশে রেপ, যৌন নিপীড়ন,ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বেড়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে মানুষের নৈতিকতা অবক্ষয়ও বেড়ে চলছে। মনুষ্যত্ব হারিয়ে পশুত্ব দিকে ধাবিত হচ্ছি। বলতে শোনা যাচ্ছে, আগে ছিলাম দারিদ্র্য সীমার নিচে এখন চরিত্র সীমার নিচে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে ভাবনার পাশাপাশি নৈতিকতার অবক্ষয় নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। কিভাবে এই রেপ,ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন দূর করা যায়। সুশিক্ষা, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা ও আইনগতভাবে কঠোর শাস্তিই হতে পারে পরিত্রাণের উপায়। কঠোর শাস্তি বলতে বুঝাচ্ছি ক্যাপিটাল পানিশম্যেন্ট বা মৃত্যুদন্ড। এইক্ষেত্রে অপরাধীদের প্রতি মানবিকতা বা শৈথিল্যতা সুযোগ নেই। অনেকের মতে মৃত্যুদন্ড হচ্ছে বর্বর আইন। কিন্তু তাদের প্রিয়জন যদি রেপড হয় তারাও কিন্তু মৃত্যুদন্ড দাবি করে।অন্যের ক্ষেত্রে তারা এটাকে বর্বর হিসাবে গণ্য করে।

খেয়াল করে দেখবেন, যে দেশে ধর্ষণ আইনে মৃত্যুদন্ড বহাল আছে সেই দেশে ধর্ষণের ঘটনা কম। যারা মৃত্যুদন্ডকে বর্বর বা অমানবিক গণ্য করে তাদের দেশে ধর্ষণের হার বেশী। আমেরিকাতে প্রতিবছর প্রায় ৩ লক্ষ ২১ হাজার মহিলা রেপের শিকার হয় । প্রতি ৯৮ সেকেন্ডে একজন আমেরিকান মহিলা রেইপ অথবা সেক্সুয়াল হ্যারাসের মুখে পড়ে । অবস্থা এতোই সংকটজনক যে সেখানে ৬৫+ বছরের বৃদ্ধারাও নির্যাতনের শিকার এবং এই হার শতকরা ৩ ভাগ । আর সব থেকে বেশি রেপের শিকার হয় ১৮ থেকে ৩৪ বছরের নারীরা ( ৫৪ ভাগ ) । বিশ্বের ১০ টা ধর্ষণ প্রধান দেশের মধ্যে আমেরিকার নাম সবার উপরে ।

ভারতে প্রতি ২২ মিনিটে একটা করে রেইপ হয় । সেখানে ২৪ হাজার ৪৭০ টি কেস শনাক্ত করা হয়েছে যেখানে ভিক্টিম তার পরিবারের সদস্য যেমন পিতা ,ভাই , কাজিন , দাদা , অথবা পরিচিত কারো দ্বারা নির্যাতনের শিকার 

ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সুইডেনে রেইপের হার সব থেকে বেশি । সুইডেনে বিগত ১০ বছরে রেপের ঘটনা বেড়েছে ৫৮ ভাগের মতো । এই লিস্টে ইংল্যান্ডের অবস্থান ৫ নম্বরে । শুধু ইংল্যান্ডেই প্রতি বছর রেইপ হয় ৮৫ হাজারের মতো । পুরো ইউনাইটেড কিংডমে এই সংখ্যা ৪ লাখেরও বেশি।

কানাডাতে মাত্র ৬ ভাগ রেইপ কেস পুলিশের খাতায় আসে । বাকিগুলো আসে না । ভিক্টিমদের অবস্থা এতোই করুন যে তাঁদের বেশিরভাগই ফিজিক্যালি অক্ষম হয়ে যায় ।

জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুসারে শ্রীলঙ্কাতে গ্যাং রেইপ বেশি হয় । ৬৪ ভাগ রেপিস্ট জীবনে একাধিকবার রেইপ করে থাকে । ফ্রান্স এবং জার্মানী প্রযুক্তির দিক দিয়ে এগিয়ে গেলেও রেইপের ক্ষেত্রে আরো বেশি এগিয়েছে । ফ্রান্সে প্রতিবছর ৭৫ হাজার রেইপ হয় । কেস ফাইল হয় মাত্র ১০ ভাগ ক্ষেত্রে । জার্মানিতে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ মহিলা রেইপের কারনে মারা গেছে । ইথিওপিয়ার মতো দেশে ৬০ ভাগ মহিলা রেইপের শিকার !

অনেকে মনে করে পতিতাবৃত্তি বৈধ করলে ধর্ষণ কমে যবে।

জার্মানিতে প্রতি ১০ হাজার মেয়ের মধ্যে ৪৯ জন সেক্স ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করে। আমেরিকাতে শুধু বেশ কয়েকটা প্রদেশেই আছে যেখানে প্রস্টিটিউট বিজনেস বৈধ । উদাহরন নেভাদা । ভারতে পতিতাবৃত্তি কাগজে কলমে অবৈধ। অথচ এটার ব্যাপ্তি পুরো ভারত জুড়েই । শুধু মুম্বাই শহরেই প্রায় ১ লাখের উপর সেক্স ওয়ার্কার আছে । মুম্বাই হচ্ছে এশিয়ার সব থেকে বড় সেক্স বাজার । কলকাতা শহরে ১১ টি রেড লাইট স্পট আছে । পুরো শহরে কাজ করে ২০ হাজার সেক্স ওয়ার্কার ।

বাংলাদেশে ফিরে আসুন । ঢাকা শহরের ফার্মগেট ,সংসদ ভবন এলাকা , কাকরাইল সহ বিভিন্ন জায়গাগুলো মিডল ক্লাস লেভেলের পতিতাদের জন্য প্রসিদ্ধ । এতো উপকরন থাকার পরেও বাংলাদেশে রেইপ হয়। নৈতিকতা স্খলনের জন্য আমরা যদি প্রচুর প্রমান ব্রোথেলও করে দিই এরপরেও কিন্তু রেইপ কমবে না । নীল ছবির বিজনেস সব থেকে বেশি হয় আমেরিকা , চীন এবং ফিলিপাইনে । থাইল্যান্ডের রাস্তায় রাস্তায় এইসবের জন্য বিজ্ঞাপন দেখা যায় ।

এতো কিছুর পরেও সেই দেশগুলোতে কিন্তু ধর্ষণের হার অনেক বেশী। অর্থাৎ পাবলিক টয়লেটের মতো পাবলিক ব্রোথেল বা পতিতালয় করে দিলে লোকে সেখানে গিয়ে প্রয়োজন মিটিয়ে এসে আবার রেইপ করবে না ,এই কথা নিশ্চিত করে বলা যায় না ।

অর্থাৎ ব্রোথেল থাকলে রেইপ কমে — এই ধারনাটাই ভুল। আমি যখন লজিকগুলা নিয়ে কাজ করতে শুরু করলাম তখন সামগ্রিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিলাম ,রেইপ আচমকা উড়ে এসে জুড়ে বসা কোন বিপর্যয় নয়। ধীরে ধীরে বিস্তারশীল কুশিক্ষা, সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার, নীতি-নৈতিকতা অবক্ষয়, ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি উদাসীনতা, আইনের দূর্বলতার কারনে সামাজিক অবস্থা করুন পরিণতির দিকে ধবিত হচ্ছে। উপায় হচ্ছে, সুশিক্ষা, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা ও আইনগতভাবে কঠোর শাস্তিই হতে পারে পরিত্রাণের উপায়। কঠোর শাস্তি বলতে বুঝাচ্ছি ক্যাপিটাল পানিশম্যেন্ট বা মৃত্যুদন্ড। এইক্ষেত্রে অপরাধীদের প্রতি মানবিকতা বা শৈথিল্যতা কোন সুযোগ নেই।

   এম.এ.এস. ইমন ,                                                                                                                                                                                                                                                                               সমাজকর্মী।




বেকার সমস্যা সমাধান একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ

চাকুরির  মাধ্যমে  কর্মসংস্থান সৃষ্টির  ক্ষেত্র  প্রয়োজনের  তুলনায়  সীমিত।  ফলে  বেকার  সমস্যা  সমাধানে  আত্মকর্মসংস্থান  সৃষ্টির  কোন  বিকল্প  নেই।  আত্মকর্মসংস্থান  সৃষ্টির  মাধ্যমে  নতুন  নতুন  ছোট- মাঝারি উদ্যোক্তা  সৃষ্টি  করতে  হবে।  উদ্যোক্তা  সৃষ্টি  করা  সম্ভব  হলে  কর্মসংস্থানের  ক্ষেত্র  বৃদ্ধি  পাবে।
উদ্যোক্তা  সৃষ্টির  জন্য  সরকারি  পর্যায়ে  কর্মসংস্থান  ব্যাংক,  এসএমই  ফাউন্ডেসন, যুব  উন্নয়ন  অধিদপ্তর, মহিলা  বিষয়ক  অধিদপ্তর,  দারিদ্র্য বিমোচন  ফাউন্ডেসন, একটি  বাড়ি  একটি  খামার  প্রকল্প সহ  নানা  উদ্যোগ  রয়েছে। সরকারের  পাশাপাশি  এনজিও  এবং  বেসরকারি  বেশ কিছু   প্রতিষ্ঠান  গড়ে  উঠেছে।
আত্মকর্মসংস্থান  সৃষ্টি  এবং  উদ্যোক্তা  সৃষ্টিতে  এসকল  প্রতিষ্ঠান  সক্রিয়  থাকলেও   নানাবিধ  সীমাবদ্ধতা  রয়েছে।
যেকোন  ছোট, মাঝারি, বৃহৎ  প্রতিষ্ঠান  গড়ে  তুলতে   মূলধনের  প্রয়োজন  হয়।  যেটি  আমাদের  বেকার  যুবদের  সবচেয়ে  বড়  চ্যালেঞ্জ।  মূলধনের  জন্য  ঋণ  সহায়তা  থাকলেও  তা   প্রয়োজনের  তুলনায়   কম   এবং  ঋণ  প্রাপ্তিতে  নানা  জটিলতা  রয়েছে।
যুব  উন্নয়ন  অধিদপ্তর  সারাদেশে  বেকার  যুবদের  কর্মসংস্থান  সৃষ্টির  জন্য  কাজ  করে  আসছে।
প্রতিটি  জেলায়  রয়েছে  আবাসিক  প্রশিক্ষণ  কেন্দ্র  যেখানে  ৩ মাস  মেয়াদি  কৃষিভিত্তিক— মাছ চাষ, গবাদিপশু – হাঁস, মুরগি  পালন, কৃষি খামার স্থাপন, গরু মোটাতাজাকরণ, এবং পশু চিকিৎসার  প্রাথমিক  প্রশিক্ষণ  প্রদান  করা  হয়।
প্রতিটি  জেলায়   ৬ মাস  ব্যাপি  কম্পিউটার, সেলাই, ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেক্ট্রোনিকস , মোবাইল  ফোন  সার্ভিসিং  বিষয়ে  অনাবাসিক  প্রশিক্ষণের  ব্যবস্থা  রয়েছে।
দেশের  প্রতিটি  উপজেলায়  রয়েছে  চাহিদা ভিত্তিক  স্বল্পমেয়াদি  ভ্রাম্যমান  প্রশিক্ষণ  কোর্সের  ব্যবস্থা।
তবে,  প্রয়োজনের  তুলনায়  ঋণ  সুবিধা  অপ্রতুল।  যুব  উন্নয়ন  অধিদপ্তরের  প্রশিক্ষণ  সনদ  দিয়ে  কর্মসংস্থান  ব্যাংক, জনতা  ব্যাংক  থেকেও  ঋণ  গ্রহন  করা  সম্ভব।
বেকার  যুবদের  হতাশায়  না  ভুগে  যুব  উন্নয়ন  অধিদপ্তরের  যেসকল  প্রশিক্ষণ  কোর্স  রয়েছে  চাহিদা  মাফিক  সেসকল  প্রশিক্ষণ  গ্রহন  করে  কাজের  দক্ষতা  অর্জন  করে  তা  কাজে  লাগাতে  হবে।  তাহলে  আত্মকর্মসংস্থান  সৃষ্টির  মাধ্যমে  উদ্যোক্তা  সৃষ্টি  হলে  বেকার  সমস্যা
সমাধান  সম্ভব  হবে।  দেশ  সমৃদ্ধ  হবে।

নওশার আলী হীরা

সভাপতি, স্বাধীনতা লেখক পরিষদ




মেহেরপুরে বেকার কেন এতো বেশী? এম.এ.এস ইমন

কোনো দেশের জনশক্তির তুলনায় কর্মসংস্থানের স্বল্পতার ফলে সৃষ্ট সমস্যাই বেকার সমস্যা। বর্তমান বাংলাদেশে এই সমস্যা জটিল ও প্রকট আকার ধারণ করেছে তার চেয়েও আরোও বেশী প্রকট মেহেরপুরে, কেন? বেকারত্ব বলতে মূলত বোঝায় কর্মক্ষম শ্রমশক্তির পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাব। আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী, “Unemployment (or joblessness) occurs when people are without work and actively seeking work.” The Bureau of Labour Statistics (BLS) বেকারত্বের সংজ্ঞায় বলেছে- ‘বেকারত্ব হচ্ছে এমন কিছু মানুষের কর্মহীন অবস্থা; যাদের কোনো কর্ম নেই। মেহেরপুরের ভৌগোলিক অবস্থান, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, সামাজিক অবকাঠামো, মানুষের মানুষিকতার বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতার কারনে অন্য জেলার চেয়ে বেকারত্বের হার এখানে বেশী। আবার কাজের ধরণের সঙ্গে শ্রমশক্তির দক্ষতার অসঙ্গতির ফলে সৃষ্টি হয় এক ধরণের বেকারত্বের হার আরোও বৃদ্ধি হয়। মেহেরপুরে বেকার সমস্যা সৃষ্টির পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানাবিধ কারণ রয়েছে। কিছু কারণ নিচে তুলে ধরা হলো- মেহেরপুর সীমান্তবর্তী একটি জেলা। এর শহরটিও সীমান্তঘেসা। এর জেলার অন্তর্গত বিশাল অংশই পাশের দুই জেলার বাজারমূখী। এই অংশটি অন্য পার্শ্ববর্তী দুই জেলার উপর বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। তাই মেহেরপুর শহরমুখীতা হ্রাস পেয়েছে। শহর তার বাজার হারাচ্ছে। মেহেরপুর সাধারণত কৃষিকাজ নির্ভর জেলা যেখানে জীবিকার একমাত্র মাধ্যম কৃষি। এখানকার জমিতে একটি বছরে চারটি শষ্য উৎপাদন সম্ভব। তাই ভাত কাপড়ের তেমন অভাব না থাকলেও এখানে শিল্প না থাকায় বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। শিল্প বা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে না উঠলে বেকারত্বের হার কমানো সম্ভব না। তাছাড়া জনসংখ্যার সীমাহীন চাপই মূলত এর জন্য প্রধানত দায়ী। যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে, সেই অনুপাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে না। কৃষকের অসচেতনতা ও অপরিকল্পিত ভূমি ব্যবহার বেকার সমস্যার অন্যতম কারণ। জমির উর্বরতা হ্রাস, কোনো কোনো ক্ষেত্রে জমি উৎপাদন শক্তিহীন হয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয় কাজের সুযোগ। কায়িক শ্রমের প্রতি অনীহা বেকার সমস্যার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। অভাব থাকলেও মেহেরপুরের মানুষ কায়িক পরিশ্রম করতে আগ্রহী নয়। প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি না পেয়ে বেকার হয়ে বসে থাকে, কিন্তু নিজেই আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ভাগ্যোন্নয়নে উদ্যোগী হয় না। এখানকার যুবকরা ঘরে বসে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। বেশীরভাগই নিজ যোগ্যতা না বুঝে শুরুতেই বড় মাছটি ধরতে চাই, শুরুতেই বড় পদটি চায়। ছোট কাজের প্রতি নাক শিটকানো স্বভাব আমার এই এলাকায় প্রবল। বেকার বসে রাস্তায় সারাদিন আড্ডাবাজি করবে কিন্তু কর্মইচ্ছা নেই। আর আমাদের এই অঞ্চলের পিতামাতা অভিভাবকগনও অসচেতন। এরা যাকে বলি হোমসিকনেস বা সন্তানদের ঘরে আবদ্ধ করে রেখতে পছন্দ করেন। অন্য জেলার পিতামাতাদের দেখেছি সন্তানদের খুব অল্প বয়সেই কর্মমূখী করে তোলেন, কর্মের জন্য সন্তানকে বাহিরে পাঠিয়ে দেন। তাদের সন্তানরাও কয়েক বছরের মধ্যে স্বাবলম্বী হয়ে ঘরে ফিরে। কিন্তু মেহেরপুরে সন্তানের সন্তান হওয়ার পরও পিতামাতা কোলের ভিতর আগলে রাখে। সন্তানের নাকি খুব বয়স হয় নি। এই মানসিকতাও বেকারত্বের হার বৃদ্ধির আর এক কারন। শিল্প কারখানা সৃস্টি, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি, যুবকদের ভিতর কর্ম স্পৃহা জাগিয়ে তোলা, মন মানুষিকতা পরিবর্তনই বেকারত্বের হার কমানোর উপায় বের করা সম্ভব।