আলমডাঙ্গায় বাস-ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গায় শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সম্মেলনে করেছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাক- ট্রাক লরি-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ৯৫৭ আলমডাঙ্গা শাখার অবৈধ ইউনিয়নের নামধারী শ্রমিক কর্তৃক ১৮৯৫ এবং ৫৯৫ শ্রমিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে এ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে এ সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-ট্রাক-সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আলমডাঙ্গা শাখার সভাপতি লিখিত এ সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, গত ৫ অক্টেবর চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাক- ট্রাক সলরি-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের আলমডাঙ্গা শাখা ৯৫৭ অবৈধ শ্রমিক ইউিিনয়রের কমিটি ঘোষনা করেছে।

তারা লাল ব্রীজের নিকট একটি অফিস করেছে। তাদের কমিটিতে অধিকাংশই নামধারী শ্রমিক। যা ৬অক্টেবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের ৫৯৫’র ৭জন সদস্য নাম ওই অবৈধ কমিটি রাখে। ৫৯৫ এর ৭ জন সদস্যই অবৈধ ওই কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছে। গত ৬ অক্টোবর নামধারী কমিটির লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১৮৯৫ এবং ৫৯৫’র সদস্যদের উপর হামলা করে। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

এসব অবৈধ শ্রমিক যে কোন সময় হামলা করতে পারে। পরিবহণ শ্রমিকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। ভবিষৎতে ট্রাক ও পরিবহনে চাঁদাবাজী করার জন্য তারা ওই নামধারী শ্রমিক দিয়ে অবৈধ কমিটি (৯৫৭) রেজিঃ নং সাইন বোর্ড উত্তোলন করেছে।

আমরা আলমডাঙ্গা থানা মটর শ্রমিকের পক্ষ থেকে জোর দাবী জানাচ্ছি ওই কমিটি বিলুপ্ত করে নামধারী শ্রমিকদের সাইন বোর্ডটি অপসারণ করা হোউক। যদি দাবী না মানা হয়, তারা যদি পূনরায় আমাদের সাংগঠনিক কার্য্যকলাপে বাধা প্রদান করে শ্রমিকদের উপর হামলা করে তাহলে আমরা কর্ম বিরতিতে যেতে বাধ্য থাকবো। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আলমডাঙ্গা 




গাংনীতে তেল পাম্পে বোমা হামলা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পশ্চিম মালসাদহ গ্রামে হোসেন ফিলিং স্টেশন নামের একটি তেল পাম্পে বোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত ১টি বোমা উদ্ধার করেছে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল।

গতকাল সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশে পশ্চিম মালসাদহ গ্রামে মধ্যরাতে হোসেন ফিলিং স্টেশনে পরপর ২বার বোমা বিস্ফোরণের শব্দ হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হয়নি। \

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ১টি অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
চাঁদার দাবীতে ব্যর্থ হয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের লক্ষ্যে দুর্বৃত্তরা বোমা হামলা চালিয়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৮

মেহেরপুরের গাংনীতে পাখিভ্যান ও মটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সন্ধায় মেহেরপুর-গাংনী সড়কের ঝিনেরপুল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রাথমিক পর্যায়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত ৮জনের মধ্য চার জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আহতরা হলেন, গাংনী উপজেলার জুগিরগোফা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ঠান্ডু মিয়া(৬৫), জমির উদ্দীনের ছেলে সুরুজ আলী(৩২), আব্দুল লতিবের ছেলে আব্দুল হান্নান(৭০), আব্দুল গফুরের ছেলে (পাখিভ্যান চালক) লিটন আলী(৪০), ষোলটাকা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে কফেল উদ্দীন(৫৮), মোটরবাইক চালক এ উপজেলার যুগিন্দা গ্রামের আব্দুস শুকুর আলীর ছেলে আহাদ(৩০), মোটরবাইকের যাত্রী একই গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে হাফিজুল ইসলাম(৩০) ও তার ভাই উজ্জল(২৫)। এদের মধ্যে ঠান্ডু, সুরুজ,আব্দুল হান্নান ও আহাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

স্থানীয়রা জানান, মোটরবাইক চালক গাংনী থেকে বাড়ি যাচ্ছিলো পথিমধ্যে ঝিনেরপুল নামক স্থানে পৌছুলে মেহেরপুর থেকে আসা ব্যাটারী চালিত পাখিভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।




জীবননগরে কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা আদম ব্যাপারী মাসুদ

চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ইরাক সহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নাম করে ভুয়া ভিসা দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মাসুদ রানা জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের মমিন উদ্দিনের ছেলে।

ভুক্ত ভোগীদের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, গত ১৮-১-১৯ইং তারিখে জীবননগর পৌর শহরের হাইস্কুল পাড়ার আজাদ হোসেনের ছেলে আকমল সাঈদকে ইরাকে ভালো কাজ দেওয়ার নাম করে তার নিকট থেকে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয় হয়। পরবর্তীতে তাকে ইরাকে পাঠানো হলেও ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত্রে কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় তাকে দুই মাস কোন কাজ কর্ম না দিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়।

গত ১৮ ই আগস্ট ভুয়া কাগজপত্রে অবৈধ ভাবে ইরাকে প্রবেশ করায় ইরাকের পুলিশ তাকে আটক করে । সেই থেকে এ পর্যন্ত আটক আছে ওই যুবক।
এ দিকে আকমল সাঈদের বাবা আজাদ হোসেন বাদি হয়ে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে গত ৫ সেপ্টম্বর জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং-৪। এ দিকে একই অভিযোগ করেন উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের বকুলের ছেলে সোহেল ও আরিফ।

তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, মাসুদ রানা ও তার বাবা মমিন উদ্দিন এবং স্থানীয় এক ভূয়া সাংবাদিক ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দানকারীর মাধ্যমে এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবকদের বিদেশে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজে আলীসান বাড়ি আর আলীসান জীবন-যাপন করলেও ,মানবতা ও হতাশার মধ্যে জীবন-যাপন করছেন বেকার যুবকরা।

এমন কি নিশ্ব¦ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে মাসুদ রানা বলেন, আমি বিদেশে পাঠানোর নাম করে যে টাকা নিয়েছি তা ঠিক, তাদের তো ইরাকে পাঠিয়েছি তবে সাময়িক সমস্যা হয়েছে তা সমাধান করেছি। উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ এর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু বিচারের দিন এলেই সে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নামে টাকা নেওয়ার একটা মামলা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জীবননগর প্রতিনিধি:




মুজিবনগরে মা-ছেলের করুণ কাহিনি

শাকিল রেজা, মুজিবনগর:
দুই ভাই নিজের সংসার ও একমাত্র বোন স্বামীর সংসার নিয়ে ব্যস্ত। ছোট ভাই খুদির সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে নি;স্ব হলেও প্রতিবন্ধী হয়ে জীবনাযাপন করছেন। অসহায় ভাই-বোনরা খোঁজ না নিলেও তাঁকে ছাড়তে পারেনি মমতাময়ী মা হালিমা খাতুন। ছেলের চিকিৎসার জন্য জমি জিরাত বিক্রি করেও ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি অসহায় মা। প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে অবশেষে ঠাঁই হয়েছে একটি নোংরা ডোবার পাাশে।

নিচে বাশের মাঁচা ও উপরে বস্তা দিয়ে জীর্ণ ঘর বানিয়ে সেখানে বসবাস করছেন বৃদ্ধা মা ও ছেলে। অসহায় এ গল্পটি মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার নাজিরা কোনা গ্রামে। শায়েস্তা খাঁন নামের এক জনের করুণায় মা ও ছেলের ঠাই হয়েছে সেখানে।

সরকারী ভাবে অসহায়দের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় পূনর্বাসন করা হচ্ছে। কিন্তু অসহায় এই বৃদ্ধা ও তার প্রতিবন্ধী ছেলের ভাগ্যে জোটেনি তেমন কিছুই। সমাজসেবা অধিদফতর বয়স্ক ভাতার কার্ডের টাকা ও প্রতিবেশিদের সাহায্যের টাকায় কোনরকম খেয়ে দেয়ে দিন কেটে যাচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে মা হালিমা খাতুন ও ছেলে খুদির সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের জীবনের করুণ কাহিনি।

হালিমা খাতুন জানান, তার স্বামি অনেক আগেই মারা গেছেন। তিন ছেলে ও এক মেয়ে তার। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট খুদি। মেয়েটির বিয়ে হয়ে সে শ্বশুড় বাড়ি চলে গিয়েছে। ছেলে দুটো নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। বৃদ্ধা মা ও প্রতিবন্ধী ভাইয়ের কোন খোঁজ রাখেনা তারা।

ছোট ছেলেটিই তার মায়ের দেখাশুনা করতো। কিন্তু কয়েক বছর আগে সে মাঠে কাজ করতে যেয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রতিবন্ধী হয়ে যায়। ঠিকমত চলাফেরাও করতে পারে না। সারাদিন শুয়ে শুয়ে তার দিন কাটে। তার নামে ভিটা জমিসহ যেটুকু জমি ছিলো সব কিছুই বিক্রি করেছেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু তাতেও তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন নি। ভিটা জমি, ঘরবাড়ি শেষ করে এখন নি:স্ব।

সহায়সম্বল বলতে ছেলের কাছে মা আর মায়ের কাছে ছেলে। পরে তাদের এই কষ্ট দেখে গ্রামের শাঁয়েস্তা খান নামের একজন ব্যাক্তি তার জায়গায় থাকার একটু ব্যবস্থা করে দেন। শাঁয়েস্থা খানের দেওয়া আশ্রয়ে তাদের একটু মাথা গোঁজার ঠাই হয়েছে। বৃদ্ধ মায়ের বয়স্ক ভাতার কার্ডের টাকায় ও প্রতিবেশিদের দেওয়া দানের টাকা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনানিপাত করছেন মা ও ছেলে।

স্থানীয় মুজিবর খানঁ বলেন, এদের এত কষ্ট দেখে আমাদেরও খুব খারাপ লাগে। আমরাও গরীব, তাই পারিনা তাদের ভালোভাবে সাহায্য করে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে। যে যেমন পারে তেমনভাবে সাহায্য করে তাদের কোনরকম আহারটা জুটিয়ে দিচ্ছে। আমরা চাই সরকারের উর্ধতন কর্তিপক্ষ তাদের প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে তাদের বসবাসের একটা ব্যাবস্থা করে দিক।

জমিরা মালিক শাঁয়েস্তা খান বলেন, তাদের এই কষ্টের কথা জানতে পারার পর আমার জায়গায় তাদের থাকার কথা বলি। তারপর তারা সেখানে চারিদিকে বাশের ব্যাড়া দিয়ে ঘিরে মাথার উপর বস্তা দিয়ে বসবাস করছে। তাদের মত একজন অসহায়ের পাশে দাড়াতে পেরে আমি নিজের কাছে ভাল লাগে। কিন্তু এভাবে তাদের কতদিন চলবে। তবে সরকার যদি তাদের পূনর্বাসন করে দিত তাহলে তাদের জন্যে খুবই ভালো হত।
এতে তারা একটু সুখের মুখ দেখতে পারবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: উসমান গনি ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’ কে বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের পূর্নবাসন করে দেবার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। তাদের মা ও ছেলেকে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




মুজিবনগরে বীর মুক্তিযোদ্বা দাউদ আলীর লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

মেহেরপুরের মুজিবনগরে বীর মুক্তিযোদ্বা দাউদ আলীর লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেছেন মুজিবনগর উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্বারা।

মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের আনন্দবাস গাজিমতলা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গ্রাম্য কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। এ সময় পুলিশের একটি চৌকষ দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এসময় বিহগলে করুণ সুর বেজে উঠে। মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনি রাষ্ট্রের পক্ষে সালাম গ্রহণ করেন।

এসময় মুজিবনগর থানার ওসি আবদুল হাসেম, বাগোয়ান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলিল, সাবেক ইউনিয়ন কমান্ডার আহসান আলী, ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মালেক, আফজাল হোসেন সহ আরও অনেকে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা দাউদ আলী (৭৫) মঙ্গলবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে নিজ বাড়িতে ষ্ট্রোকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদীন যাবৎ অসুস্থ্য থাকার পরে মৃত্যুবরণ করেন । মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৩ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।

-মুজিবনগর অফিস




মেহেরপুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব

মেহেরপুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু ধর্মের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা। এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হলো দেবী দুর্গাাকে। সারাদিন ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলে শেষ আনন্দ।

মঙ্গলবার সন্ধায় মেহেরপুরের ভৈরব নদে ঢাকের তালে উলু ধ্বনির বাজিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমাগুলো। মেহেরপুর শহরের থানা ঘাট ও শ্বশান ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করা হয়। এর আগে প্রতিমাগুলোকে নিয়ে মেহেরপুরের বিভিন্ন সড়কে ঘোরানো হয়। উৎসবের শেষ লগ্নে আনন্দে মেতে উঠে ভক্তরা। নির্বিঘ্নে দুর্গা বিসর্জন দিতে পেরে খুশি সনাতন ধর্মাবম্বীরা।

মহাসমারোহে পাঁচ দিন ধরে উদযাপিত হলো শারদীয় দুর্গোৎসব।
এ বছর মেহেরপুরে ৪১টি মন্ডপে দূর্গাপুজার আয়োজন করা। এর মধ্যে মেহেরপুরে ১৩টি, গাংনীতে ২২টি ও মুজিবনগরে ৬টি।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




চির নিদ্রায় শায়িত আবরার

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে দাফন করা হয়েছে  কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের কবরস্থানে।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টায়   নিজ বাসার সামনে আবরারের তৃতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

কুষ্টিয়ার আফসার উদ্দিন গার্লস ফাজিল মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম এই জানাজা পড়ান। এতে সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।

এদিকে মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ নিজ গ্রামে পৌঁছালে তা নিয়ে বিক্ষোভ করে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। এ সময় তারা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। শত শত মানুষ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে হত্যাকরীদের ফাঁসির দাবি জানায়।

এর আগে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নিহত আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজসহ স্বজনরা ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে আবরার ফাহাদের মরদেহ কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের কান্নায় সেখানকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

আবরারকে একনজর দেখার জন্য সেখানে আগে থেকে ভিড় জমান শত শত মানুষ। এ সময় আবরারের মরদেহ দেখে উপস্থিত কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।

সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আল-ইকরা জামে মসজিদের সামনে আবরার ফাহাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শত শত মানুষ এই জানাযায় অংশ নেয়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহ নেয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে। সকাল ৯ টার দিকে আবরারের মরদেহ তার নিজ গ্রাম কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছায়। সেখানে সকাল ১০টায় তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা শেষ হওয়া মাত্রই বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা আবরার হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবি জানায়। পরে বেলা পৌনে ১১টার দিকে রায়ডাঙ্গা গোরস্থানে আবরার ফাহাদকে সমাহিত করা হয়।

উল্লেখ্য, রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরারকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি




বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত মোটরসাইকেল এখন বাজারে

বিশ্বে প্রথমবারের মতো উড়ন্ত মোটরসাইকেল আনছে আরব আমিরাত ভিত্তিক টেলিকমিউনিকেশন কম্পানি ‘ইতিসালাত’। দুবাইয়ে চলমান ‘জিটেক্স টেকনোলোজি উইক’ এ মোটারসাইকেলটি প্রদর্শন করা হয়েছে।

সোমবার ইতিসালাত টুইটারে তাদের অফিসিয়াল আইডিতে উড়ন্ত মোটরসাইকেলের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে।

চার সিলিন্ডার টারবাইন ইঞ্জিনের এ মোটরসাইকেলের নাম দেয়া হয়েছে ‘লাজারেথ এলএম৮৭৪’। এটি মাত্র ৬০ সেকেন্ডেই সড়ক থেকে শূন্যতায় উঠে যেতে পারে।

মোটরসাইকেলটিতে দুই ধরণের মোড রয়েছে। একটি হচ্ছে, রাইডিং মোড। এই মোডে রেখে সড়কে চালানো যাবে। দ্বিতীয় মোড হচ্ছে, ফ্লাইং মোড। সড়ক থেকে ওড়ার জন্য এই মোড ব্যবহার করতে হবে।

লাজারেথ এলএম৮৭৪ মোটরসাইকেল সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি পঞ্চম প্রজন্মের (৫জি) মোটরসাইকেল। এর চারটি চাকা রয়েছে। এতে ভি৮ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা ৪৭০ বিএইচপি শক্তি উৎপাদন করতে পারে। মোটরসাইকেলটির ওজন ১৪০ কেজি। ওড়ার সময় এটি ২৪০ কেটি পর্যন্ত বহন করতে পারে।

লাজারেথ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, মোটরসাইকেলটির জন্য জিটেক্স টেকনোলোজি উইকে প্রিঅর্ডার নেয়া হচ্ছে। এর দাম ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

সূত্র: গালফ নিউজ




মেহেরপুরে দুটি সরকারি অফিসে দুদকের অভিযান

মেহেরপুর জেলা সরকারি গ্রন্থাগার অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নাসিরুল্লাহ হুসাইনের নেতৃত্বে অভিযানের দুদকের অন্যান্য কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করেন।
অভিযানে গ্রন্থাগারের বেশকিছু ভ‚য়া বিল ভাউচার পাওয়া যায়। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা জানান কম্পিউটার ক্রয় সংক্রান্ত একাধিক ভুয়া ভাউচার পাওয়া গেছে। এখানে কোন কিছু ক্রয় না করে বিল ভাউচার দেখানো হয়েছে ।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নাসিরুল্লাহ হুসাইন বলেন, জেলা সরকারি গ্রন্থাগার ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরে মেহেরপুর জেলা অঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালানো হয় এবং সেখানে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
নাসিরুল্লাহ হুসাইন এর দেওয়া এক সা¶াৎকারে বলেন, ১০৬ এর অভিযোগের ভিক্তিতে মেহেরপুরের দুটি সরকারী অফিসে অভিযান পরিচালনা করি এর মধ্যে জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের গত ২ বছরের নথি পর্যালোচনা করে দেখেছি বেশ কিছু অনিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে কম্পিউটার ক্রয় বাবদ, বই ক্রয় বাবদ বেশ কিছু ভ‚য়া ভাউচার পাওয়া যায়।
মেহেরপুর জেলা অঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযানের সময় আমরা মেন গেট বন্ধ করে দিয়ে প্রত্যেকের কাছে জিঙ্গাসা করেছি। আমি এখানে কোন দালাল পাইনি।
সেবা গ্রহনকারীদের কাছে জানতে চেয়েছি তারা কোন হয়রানির শিকার হচ্ছে কিনা তারা সবাই পজেটিভলি বলেছে, কেউ কোন অভিযোগ দেইনি।

নিজস্ব প্রতিনিধি