ইউজিসির ‘পোস্ট ডক্টোরাল ফেলোশিপ’র জন্য মনোনীত হয়েছেন ড. ইয়াসমিন আরা সাথী

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক ‘পোস্ট ডক্টোরাল ফেলোশিপ’-২০১৯ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী। সোমবার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইবির বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাঃ সাইদুর রহমানের তত্ত্বাবধায়নে তাঁর গবেষণার শিরোনাম ‘কবিগান : সমাজ পরিপ্রেক্ষিত ও রূপবৈচিত্র’। সূত্র মতে, গতকাল রোববার ইউজিসি’র নিজস্ব ওয়েবসাইটে ‘পোস্ট ডক্টোরাল ফেলোশিপ’- ২০১৯ এর জন্য মনোনীত প্রার্থীদের নাম, গবেষণার শিরোনাম ও গবেষণা তত্ত্বাবধায়কের নাম প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষার্থী ও অধ্যাপক। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের বাংলা বিভাগ থেকে ¯স্নাতক এবং ¯স্নাতকোত্তর (প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানসহ) পাশ করে ২০১০ সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বিভাগটিতে সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত রয়েছেন। ড. সাথী ২০১৬ সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। এতে তাঁর গবেষণার বিষয় ছিলো ‘সমরেশ বসুর উপন্যাসে মধ্যবিত্ত জীবন’। তিনি ১৯৮২ সালের ২৭ নভেম্বর মেহেরপুর জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম ও মনোয়ারা বেগমের প্রথম কন্যা।

ফেলোশীপ ডক্টোরাল ডিগ্রীর জন্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে ড.ইয়াসমিন আরা সাথী মেহেরপুর প্রতিদিনকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার এ অর্জন একক কোনো কৃতিত্ব নয়। বিশ্ব বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভালোবাসা এবং সহকর্মীদের সহযোগিতায় আমি এ সাফল্য অর্জন করেছি।

– ইবি প্রতিনিধি




সনি ব্রাভিয়া ইঞ্জিন ? সনি টিভির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য কি কি ?

সেরা রেজোলিউশন এবং অডিও ভিজ্যুয়াল ইন্টিগ্রেটেড আর্কিটেকচারের জন্য ব্রাভিয়ার পরিচিতি।ব্রাভিয়া ইঞ্জিন ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তির একটি স্যুট যা মোট ডিজিটাল প্রসেসিং স্টুডিও হিসাবে কাজ করে।এটি কোনও সংকেত থেকে চিত্রের মান উন্নত করতে কাজ করে।ফলে আপনি ছবি দেখার সময় পরিষ্কার, এবং আরও প্রাকৃতিক দেখতে পাবেন।

সনি ব্রাভিয়ার কিছু বৈশিষ্ট্য

১।ফ্লাটপ্যানেল, ২।ফুলএইচডি এবং ৪-কে রেজোলিউশান সাপোর্ট, ৩।মোসান ফ্লোএক্সআর২০০ মেগাহার্টস,
৪।ডলবি ডিজিটাল প্লাস সাউন্ড, ৫।স্মার্ট কানেকটিভিটি, ৬।ওইয়াইড কালার এনহেনসার, ৭।কিছু মডেল ৩-ডিসাপোর্টটেড

বাজারে যে কোন ব্রান্ড এবং মডেলের টিভি আপনি কিনতে পারেন তবে সনি ব্রাভিয়া বাংলাদেশের উল্লখযোগ্য ব্রান্ড গুলোর মধ্যে একটি।




কোন ধরনের প্রজেক্টর কিনবেন ?

প্রজেক্টর হলো একটি ইলেকট্রোনিক যন্ত্র যার মাধ্যমে কম্পিউটারের কোন তথ্য, ছবি, ভিডিও বড়স্ক্রিনের মাধ্যেমে দেখানো হয়। বিভিন্ন সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, ক্লাসরুম ইত্যাদি ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবহার দেখা যায়।প্রজেক্টরের মাধ্যেমে কম্পিউটারে রাখা ডেটা অনেক বড় করে প্রদর্শন করে।সময়ের সাথে প্রজেক্টরেরও পরিবর্তন হয়েছে।আসুন যেনে নিই বাজারে কি ধরনের প্রজেক্টর আসছে।

সিআরটি প্রজেক্টরঃ সিআরটি প্রজেক্টর সর্ব প্রথম টেকনোলজির প্রজেক্টর, যেটা সম্পূর্ণ ট্র্যাডিশনাল সিআরটিটিভি’র ন্যায় কাজ করতো।সিআরটি প্রজেক্ট আকারে অনেক বড় ছিল। তিনটি আলাদা কালারের সবুজ, লাল,
এবং নীল স্ক্রীনের উপর ইমেজ তৈরি করার জন্য আলো ছড়াতো। সব আলোর বিন্দুগুলো একত্রিত হয়ে স্ক্রীনের উপর একটি সম্পূর্ণ কালার ইমেজ তৈরি করে।তবে এটি অনেক বেশি ইলেক্ট্রিসিটি খরচ হয়। এটি বর্তমানের এইচডিটিভি, ডিভিডি প্লেয়ারের সাথে কাজ করতে পারে।

এলসিডি প্রজেক্টরঃ এলসিডি প্রজেক্টরের ভেতরে একটি ছোট এলসিডি স্ক্রীন লাগানো থাকে, যেটাতে ইমেজ তৈরি হয়।আর স্ক্রীনের সামনে একটি বিস্তর ম্যাগনিফাইড লেন্স লাগানো থাকে, যেটা ছোট স্ক্রীনের পিকচারের আয়তন বাড়িয়ে দেয়ালে বড় সাইজ ইমেজের সৃষ্টি করে।এলসিডি প্রজেক্টর যথেষ্ট পোর্টেবল হওয়াই সহজেই যেখান সেখানে বহন করা যায়।

ডিএলপি প্রজেক্টরঃ ডিজিটাল মাইক্রো মিরর ডিভাইজ নামক একটি মাইক্রোচিপের সমন্বয়ে ডিএলপি প্রজেক্টর তৈরি করা হয়।এটা উদ্ভবনের পরে লেটেস্ট এলসিডি প্রজেক্টরকেও আদিম টেকনোলোজি বলে মনে হবে।ডিএলপি প্রজেক্টরের মধ্যে একটি আয়তক্ষেত্রাকার চিপের ডিভাইজ আছে যেটার মধ্যে দুই মিলিয়ন মাইক্রোস্কোপিক আয়না থাকে।এই চিপের মধ্যে থাকা দুই মিলিয়ন ক্ষুদ্র মিরর পিক্সেল হিসেবে কাজ করে।এবং এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন রঙের আলো পরিচালিত করে স্ক্রীনের উপর বড় ইমেজ তৈরি করে।ডিভিডি, ব্লু-রেপ্লেয়ার যে কোনো ভিডিও সোর্স থেকে এটি বড় স্ক্রীন প্রজেক্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রজেক্টর এর মূল্য ৩২০০ টাকা থেকে ৪৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এখানে থেকে আপনি প্রজেক্টর এর ধরন ও এর মূল্য সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক




প্রকাশ্যে ঘুরলেও আসামীরা অধরা !

ছাত্রলীগ নেতা তুষার ইমরান হত্যা চেষ্টার ৬ দিন পার হলেও আটক হয়নি কেউই। এলাকাবাসীর অভিযোগ আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের ধরা ছোয়ার বাইরে । একজন ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা চেষ্টার আসামীরা কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরতে পারে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা তুষারের পিতা মুকুল আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে দির্ঘদিন জড়িত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আশিক ও তার ক্যাডার বাহীনি দিয়ে আমার ছেলে উপর হত্যা চেষ্টা চালায়। এতে সে মারাত্বক জখম হয়ে বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্মষতায় থাকার পরও আমার ছেলে হত্যা চেষ্টার আসামীরা এখনো কেউ আটক হয়নি। এটা আমার কাছে খভুব দুঃখজনক। আজ ৬ দিন পেরিয়ে গেলো, কেউ আটক নেই অথচ আসামীরা দিব্বি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মুজিবনগর কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরানকে কলেজ গেটের সামনে গত ৩০ সেপ্টেম্রব আশিকসহ কয়েকজন মিলে হত্যা চেষ্টায় চালায়। এতে সে প্রানে বেচে গেলেও ক্ষতবিক্ষত হয় পুরো শরীর এবং তার মাথায় দেওয়া হয় বিশটি শেলাই।

এ ঘটনায় তুষার নিজেই বাদী হয়ে গত বুধবার মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আশিক কে প্রধান করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করা হয়। মামলার অন্য আসামীরা হলো, লিজন ,লিমন , শাকিরুল , অনিক , বান্না , সাব্বির ।

মামলার বিবরণীতে তুষার বলেন, আসামীগণ অত্যন্ত, দুর্র্ধষ, দাঙ্গাবাজ, খুনী প্রকৃতির ব্যক্তি। আসামীদের সাথে আমার তার পূর্বের বিরোধ রহিয়াছে। ঘটনার তারিখে ও সময়ে আমি মুজিবনগর সরকারি কলেজের সামনে গেলে আসামীরা ষড়যন্ত্রমূলক পূর্ব পরিকল্পিত ও দলবদ্ধ ভাবে ঘটনাস্থলে এসে অতর্কিত আমাকে একা পেয়ে ১নং আসামী গালাগালি করতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে ১নং আসামী সকল আসামীকে ডাক দিলে অন্যান্য আসামী হাতে রামদা, হাসুয়া, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র হাতে ছুটে এসে আমাকে এলোপাথাড়ী মারপিট করিতে শুরু করে। ১নং আসামী অন্য আসামীর নিকট হইতে সরবরাহকৃত রামদা দিয়ে আমার মাথা ল¶্য করিয়া আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে কোপ মারিলে উক্ত কোপ আমার মাথার চাঁন্দির উপর লাগিয়া মারাত্বক রক্তাক্ত জখম হয়। ২নং আসামী আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা হাসুয়া দ্বারা আমার ঘাড়ে পিছন হইতে কোপ মারিলে উক্ত কোপ আমার মাথার পিছনে লাগিয়া কেটে রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। ৩নং আসামী আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দ্বারা আমার মাথা ল¶্য করিয়া কোপ মারিলে উক্ত কোপ মাথার পিছনে লাগিয়া মারাত্বক কেটে রক্তাক্ত জখম করে। ৪নং আসামী তার হাতে থাকা ছিপদা দ্বারা আমার বাম পায়ে হাটুর নিচে কোপ মারিয়া হক কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমি মাটিতে পড়িয়া গেলে ৫-৭নং আসামীরা তাদের হাতে থাকা বাশের লাঠি দ্বারা ফোলা, ছেচা, কালশিরা জখম করে এবং সকল আসামীরা আমাকে উপর্যুক্ত ভাবে কুপাইয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক জখম কারিয়া দেয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত আমার মাথায় ২০ (বিশ) টি সেলাই হয় এবং আমার সারা শরীরে কালশিরা ফোলা দাগযুক্ত জখম হয়। সাক্ষীরা ঠেকাইতে আসিলে আসামীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ী মারপিট করে। আমি নিথর হইয়া মাটিতে পড়িয়া থাকিলে আসামীরা চলিয়া যায়। আসামীগের তান্ডবের ফলে এবং তাদের হাতে ধরালো অস্ত্র থাকার কারনে এলাকার লোকজন আসামীদের সামনে আসতে সাহস পায় না। আসামিরা চালে গেলে তারা উদ্ধার করিয়া মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমি এখনও হাসপাতালে ভর্তি থাকিয়া চিকিৎসাররত আছি।

এ বিষয়ে মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত এসআই মোস্তফা বলেন, আসামী আটকের অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা আশা করছি সব আসামীদের দ্রুত আটক করা হবে।




গাংনীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলাগ্রামের একটি মাঠে মহিস চরানোর সময় বজ্রপাতের ঘটনায নৈয়ব আলী (৩০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। মৃত নৈয়ব আলী ধানখোলা গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় উত্তর আকাশে কালো মেঘ দেখা দেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সাথে প্রচন্ড বজ্রপাত। আধাঘণ্টাব্যাপী ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাত চলেছে। এ সময় মাঠে নিজেদের দুটি মহিষ চরাচ্ছিলেন নৈয়ব আলী। বজ্রাঘাতে মাঠেই তার মৃত্যু হয়। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেেয়ে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।
এমপি ডেস্ক




একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

চাঁদপুরে বজ্রপাতে দুই শিশুসহ একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে চাঁদপুর তিন নদীর মিলনস্থল বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখানে বেড়াতে এসে তারা এ ঘটনার শিকার হন।

নিহতরা হলেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের সুলতান মিয়ার স্ত্রী অহিদা বেগম (৬০), তার মেয়ে রেহেনা বেগম (৩২)। রেহানার ছেলে ষষ্ট শ্রেণি ছাত্র সাব্বির হোসেন এবং দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সামিয়া আক্তার।

নিহত অহিদা বেগমের মেয়ে শাহিদা বেগম জানান, তার মা, বোন ও তাদের সন্তানদের নিয়ে চাঁদপুর তিন নদীর মিলনস্থল বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় ঘুরতে আসেন। এ সময় বৃষ্টিপাত শুরু হলে তারা একটি বটগাছের নিচে আশ্রয় নেন। এ সময় টানা বজ্রপাত শুরু হলে তিনিসহ কয়েকজন দৌড়ে অন্যত্র চলে যান। তবে সেখানে ওই বটগাছের নিচে থাকায় বৃদ্ধা মা, বোন এবং বোনের দুই শিশু সন্তান ঘটনাস্থলে মারা যান।

এদিকে আকস্মিক বজ্রপাতের পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় এই চারজনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানিয়েছেন, বজ্রপাতে আহতদের হাসপাতালে আনার পরই তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ বড়ুয়া জানান, নিহতের সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এমপি ডেস্ক




যুবলীগ নেতা সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। র‍্যাবের মুখপাত্র সারোয়ার বিন কাসেম এই খবর নিশ্চিত করেন ।

সুনির্দিষ্ট মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। তবে মামলার বিস্তারিত বলতে রাজী হননি র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অবৈধ ক্যাসিনো-সহ নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলা অভিযান চলছে এবং এই পুরো সময়টা ধরেই আলোচনার শীর্ষে ছিলেন এই যুবলীগ নেতা।

একদিনে বাংলাদেশের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই সম্রাটের অবস্থান এবং কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা ধরণের প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

এমপি ডেস্ক




মুজিবনগরে যথাযথ মর্যাদায় জন্ম নিবন্ধন দিবস পালিত

মেহেরপুর মুজিবনগর র‍্যালী ও আলোচনাসভার মধ্যে দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস পালিত হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনীর নেতৃত্বে জন্মনিবন্ধন দিবসের একটি র‍্যালী বের হয়। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে র‍্যালীটি শহরের প্রধান প্রাধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে একই স্থানে এসে এসে শেষ হয়।
এ সময় উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খাঁন,উপজেলা ভাইস চেয়ারমান রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন,উপজেলা এলজিডি ইন্জিনিয়ার শাহীন আক্তার,উপজেলা আনসার ভিডিবি কর্মকর্তা জুয়েল আহম্মেদ, উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া খন্দকার প্রমুখ উক্ত র‍্যালীতে অংশ গ্রহন করে।
র‍্যালী শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনীর সভাপতিত্বে পরিষদ মিলনায়তনে জন্মনিবন্ধন দিবসের আলোচনা

সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এমপি/ মুজিবনগর প্রতিনিধি



মহাজনী কারবারী সেলিনার অত্যাচারে অতিষ্ট গ্রামবাসীর মানববন্ধন

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের শাখারীদাহ গ্রামের এক সুদখোর মহাজনী কারবারী সেলিনা খাতুনের পাতানো ফাঁদে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছে হাড়ি পাতিল ব্যবসায়ী পল্টু সহ ঐ গ্রামের কয়েকটি পরিবার।

সুদখোর মহাজনী কারবারি প্রভাবশালী সেলিনা খাতুনের অত্যাচারে অতিষ্ট ঐ পরিবারের সদস্যরা রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ মোড়ে এক মানব বন্ধন করে। এ সময় তারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রেসক্লাব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্টু, বজলু, নাজের আলী, আলতাফ হোসেন ও ফিরোজ আলী মহাজনী কারবারী সেলিনা খাতুনের বিচার দাবী করেন।

লিখিত অভিযোগে অসহায় ঐ পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা একজন সামান্য হাড়িপাতিলের ব্যাবসায়ী, শাখারীদাহ বাজারের বজলুর মিলের মালিক সেলিনার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে নগদে ও বাকিতে কিছু খুদ, চাউল সরিষার তৈল,নারকেল তৈল নিয়ে থাকি যা বছর শেষে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করিলেও নগদ দেওয়া টাকা জমা না করিয়া চক্রবৃদ্ধি হারে কয়েক শতগুন বাড়িয়ে আমাদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করে, যা সঠিক নয়।

সরোজমিনে ঘটনার সত্যতা জানতে গেলে জানতে ঘটনাস্থলে গেলে পল্টু সহ ভুক্তভোগীরা সহ অনেকে উপস্থিত হয়ে বলেন,আমরা হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ, সামান্য হাড়িপাতিলের ব্যাবসায়ের ওপর নির্ভর করে চলে আমাদের সংসার। এর মাঝে বন্ধু সেজে সেলিনা খাতুন, উপকারের নামে আমাদের পেটে খাওয়ার জন্য তার মিলের চাল-খুদ ও তৈল দিয়ে এখন ৬লক্ষ টাকা দাবি করে মিথ্যা মামলা করেছে যা সম্পর্ণ মির্থ্যা ও বানোয়াট। জাল ষ্ট্যাম্পে আমাদের নামে আদালতে মামলা করেছে যা সাজানো ও মিথ্যা। আমরা কিস্তি তুলি কিস্তি দিই কিন্তুু কোন ষ্টাম্পে কোন স্বাক্ষর করিনি অথচ নোটিশ পাঠিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলার শিকার পল্টু বলেন, আমি ছাড়াও তার পাতানো সুদের ফাঁদে পড়ে গ্রামের অনেকে ৫ হাজার টাকার চাল, তৈল নিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এভাবে সে আমার মত গ্রামের আরও অনেক মানুষের কাছ থেকে এভাবে ফাঁদে ফেঁলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

এ ব্যাপারে স্থানিয় জনপ্রতিনিধি ও ইউপি মেম্বর জাহাঙ্গীর আলম জানান,আপনি দেখুন এই বাড়ীতে কি ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া যায়, যায় না। তবে সামান্য কিছু টাকা হয়ত পেতে পারে,যার জন্য অনেক বার স্থানীয় ভাবে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মহাজনী কারবারী সেলিনা খাতুনের নিকট জানতে চাইলে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যান। এ সময় তার মেয়ে ও স্বামী বলেন, আমরা পল্টু সহ অনেকের কাছে নগদ টাকা পাব যার প্রমাণ ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আছে।

এ দিকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, এ ভাবে বিনা লাইসেন্সে মহাজনী কারবারী সম্পূর্ণ অবৈধ ও বে-আইনী, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মেপ্র/ হরিণাকুন্ডু সংবাদদাতা




পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের আলমডাঙ্গার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম আলমডাঙ্গার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। গতকাল ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা পুরাতন বাজার শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির ও কালিদাসপুর দূর্গা মন্দির ও স্টেশনপাড়া দূর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার লিটন আলী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সীমা শারমিন, নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহমেদ, খায়রুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( চুয়াডাঙ্গা সার্কেল ) কলিম উল্লাহ, পুলিশ সুপার পতœী, আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম স্বপন, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মুন্সি আসাদুজ্জামান, বিদ্যুৎ কুমার সাহা, মদন কুমার সাহা, অপূর্ব কুমার সাহা, বিশ্বজিত কুমার সাধুখাঁ, সুশীল কুমার ভৌতিকা,অনীল কুমার অধিকারী, মণিন্দ্রনাথ দত্ত, পলাশ আচার্য্য, নয়ন সরকার প্রমুখ।
পূজা মন্ডপ পরিদর্শন কালে জেলাপ্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা মন্ডপের সৌন্দর্য-সৌষ্ঠব, ধর্মীয় ভাবগম্ভীর ও সুষ্ঠু পরিবেশ এবং নিরাপত্তা মূলক প্রশাসনিক পদক্ষেপে সšুÍষ্টি প্রকাশ করেন।