মেহেরপুরে বাল্য বিবাহের অপরাধে দু’বর ও বরের পিতাকে অর্থদন্ড

মেহেরপুরের গাংনীতে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে পৃথক দ’ুটি অভিযানে দুই বর ও এক বরের পিতার উভয়কে মোট চল্লিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুখময় সরকার পৃথক দু’টি অভিযান পরিচালনা করেন।

শুক্রবার দুপুরে গাংনীর রামকুষ্ণপুর ধলা গ্রামে বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে বর মোঃ মোমিনুল ইসলামের দশ হাজার টাকা ও বরের পিতা আঃ হামিদের দশ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেয়া হয়। ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার আঃ হামিদের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (২২) এর সাথে গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের স্কুল ছাত্রী মাহফুজা খাতুনের বিয়ে হচ্ছিল। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিয়ের আসরেই তাদের ধরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন এবং বিয়ে বন্ধ করেন।

অপরদিকে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের নির্দেশে উপজেলার হিন্দা গ্রামে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার সময় অভিযান চালিয়ে বাল্য বিয়ে করার অপরাধে ফিরোজ নামের এক জনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে । অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার।

তাকে গাংনী থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। দন্ডিত ফিরোজ গাংনী উপজেলার ঢেপা গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে। গত তিন দিন আগে হিন্দা গ্রামের প্রবাসী আব্বাস আলীর মেয়ে দশম শ্রেনীর ছাত্রী রোকসানার সাথে বিয়ে হয়। এ অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৯ এর ৮ ধারায় তাদেরকে দন্ডিত করা হয়েছে।

গাংনী প্রতিনিধি:




মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন

মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্ম বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শনিবার বিকালে জন্মদিন উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধন এর নেতৃত্বে একটি আনন্দ র‌্যালী বের করা হয়।

র‌্যালীটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত আকারে বক্তব্য প্রদান করা হয়। বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, সহ সভাপতি আদিফ হোসেন আসিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুলকার নাঈম বাইজিদ, গাংনী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্লাবন।

পরে জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আসাদুল্লাহ আল গালিব, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহীম আলী, উপ দপ্তর সম্পাদক কাউছার আলী প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




দুর্গা পূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে মতবিনিময় সভা

মেহেরপুরে দুর্গা পূজা নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে জেলা পুলিশের মতবিনিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেণ জেলা পুলশ সুপার এস এম মুরাদ আলী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান (সার্কেল), জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. রমেশ চন্দ্র নাথ, পরিবাকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস প্রমুখ।




ফেনসিডিলসহ রফিকুল ও পুলিশ কনস্টেবল আটক

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে ফেনসিডিল সহ পুলিশ কনস্টেবল খায়রুল ইসলাম (৩৪) কে আটক করেছে বিজিবি। এ সময় তার সহযোগী রফিকুল ইসলাম (৩৮) কেও আটক করা হয়।

উদ্ধার করা হয় ৫৭ বোতল ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় জীবননগর উপজেলার শিংনগর গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃত পুলিশ কনস্টেবল খায়রুল ইসলাম মেহেরপুর শহরের ঈদগাহা পাড়ার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। সে বর্তমানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত আছেন।

আর রফিকুল ইসলাম সিংননগর গ্রামের ওয়াছেদ আলীর ছেলে। রফিকুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় দৈনিক নতুন খবর পত্রিকার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের ছোট ভাই। বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫৮ বিজিবির একটি দল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামে একটি বাড়িতে অভিযান চালায়।

এ সময় ওই বাড়ি থেকে ৫৭ বোতল ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিল সহ আটক করা হয় পুলিশ কনস্টেবল খায়রুল ইসলাম ও তার সহযোগী রফিকুল ইসলামকে। স্থানীয় রাজাপুর বিওপির নায়েক সুবেদার হুমায়ন কবির জানান, ফেনসিডিল সহ পুলিশ কনস্টেবলের সাথে আটক হওয়া রফিকুল চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক নতুন খবরের প্রকাশক সাদেকুর রহমান বকুল ও সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের ছোট ভাই।

পত্রিকা সম্পাদকের ভাই এ দাপটে সে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। ঝিনাইদহের খালিশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খাঁন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত পুলিশ কনস্টেবল খায়রুল ও সহযোগী রফিকুলকে মামলা দিয়ে রাতেই জীবননগর থানাতে সোর্পদ করা হয়েছে।

দর্শনা প্রতিনিধিঃ




আলমডাঙ্গায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আলমডাঙ্গা পাইকপাড়া গ্রামে প্রতিবেশির তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে আহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে। ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুরগী খুজতে গেলে তাকে জোর করে বাড়ির অদূরে একটি মাঠের শ্যালোমেশিন ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে জানিয়ে ধর্ষিতার পরিবার। রাতেই তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের দরিদ্র দিনমজুরের ওই শিশু কন্যা (৯) বাড়ির পাশে মাঠে খেলা শেষে মুরগী খুজতে বের হয়। এ সময় প্রতিবেশি মারফত আলীর ছেলে আহম্মদ আলী মুরগী ধরে দেবার নাম করে ওই শিশুটিকে বাড়ির পাশে একটি শ্যালোমেশিনের ঘরে নিয়ে সেখানে ধর্ষণ করে।

তারপর ধর্ষণের কথা কাউকে না বলার জন্যও ওই শিশুকে শাসিয়ে দেয় ধর্ষক আহম্মেদ আলী। পরে ওই শিশু কন্যা বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা রাত ১১টার দিকে ভর্তি করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: আবু এহসান মো: ওয়াহেদ রাজু জানান, রাত ১১টার কিছুটা পর আমরা ওই শিশুটিকে ভর্তি করে নেই।

তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এ দিকে, পাইকপাড়া গ্রামে তৃতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গ্রামবাসী। তারা ঘটনার পরই ধর্ষক আহম্মেদ আলীকে আটকের চেষ্টা করলে সে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি জানার পর পরই ধর্ষক আহাম্মদ আলীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই ধর্ষক আইনের আওতায় আসবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি:




ভৈরব ফিরছে চির চেনা রুপে

মর্তুজা ফারুক রুপক:
অবশেষে ভৈরবের কচুরিপানা অপসারণ করার কাজ শুরু হয়েছে। দির্ঘদিন ধরে কচুরিপানায় ঢেকে থাকা ভৈরব ফিরে পেতে যাচ্ছে তার চির চেনা রুপ। বর্ষার প্রভাব এ বছর কম, সে হিসেবে পানির প্রবাহ কম থাকলেও চোখে পড়ছে ভৈরবের সচ্ছ পানি। ইতিমধ্যে মেহেরপুর থানা ঘাট থেকে যাদবপুর গ্রামের শেষ সীমানা পর্যন্ত কচুরিপানা অপসারনণ করা হয়েছে। তবে জেলা প্রশসনের তথ্য অনুযায়ি মেহেরপুর জেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত ধীরে ধীরে অপসারন করা হবে।

২০১৫ সালে প্রায় ৭৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ২৯ কিলোমিটার ভৈরব পুনঃখনন করা হয়। খননের পর থেকে বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ ও কচুরিপানায় ঢাকা পড়েছিল ভৈরব। ফলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে ভৈরব খনন করা হয়েছিল সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছিল।
ভৈরবের কচুরিপানা নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনসহ বিভিন্ন গণ মাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারপর থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে মেহেরপুর সদর উপজেলা চেয়াম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বিভিন্ন জন প্রতিনিধিদের নিয়ে সেচ্ছায় কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু হয়। তারপর থেকে কচুরিপানা অপসারণের কাজ চলতে থাকে। এর পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম এর সহায়তায় অপসারণ কাজ আরও গতিশীল হয়।

কচুরিপানা অপসারণে মেহেরপুরের সাধারণ জনগন সাধুবাদ জানিয়েছে। সেই সাথে স্থানীয় জেলেরা ব্যাপক খুশি। সাইফুল, আলমগীর, আনোয়র সহ বেশ কয়েকজন জেলে জানান, আমাদের একমাত্র নদ ভৈরব। নদটি পুনঃখননের পর থেকে কুচুরিপানায় ঢাকা ছিল। এই কচুরিপানা অপসারণ করা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য খুবই সু- সংবাদ। আমরা এখান থেকে মাছ সংগ্রহ করে জীবিকা চালাতে পারবো।

কচুরিপানা অপসারণ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম বলেন, দির্ঘদিন ধরে কচুরিপানায় ঢেকে থাকা ভৈরবকে নতুন রুপে ফিরিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এর কাজ মেহেরপুরের থানা ঘাট থেকে যাদবপুর গ্রামের শেষ পর্যন্ত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমনত্রী ফরহাদ হোসেন এর নির্দেশনা মোতাবেক জেলা প্রশাসকের তত্বাবধানে এই অপসারনের কাজ চলছে। মেহেরপুর জেলার শুরু থেকে শেষ সীমানা পর্যন্ত সব কচুরিপনা অপসারণ করা হবে। শুধু তায়ই নয় অপসারণের পর পরবর্তিতে যাতে কচুরিপানা বা অন্য কোন ক্ষতিকর উদ্ভিদ ভৈরবে জমতে না পারে সেজন্য তদারকি করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ভৈরব আমাদের অনন্য সম্পদ। এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। কচুরিপানায় ঢেকে ভৈরবের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। প্রথমত আমি নিজস্ব উদ্যোগে জন প্রতিনিধিদের নিয়ে সাথে সেচ্ছায় কচুরিপানা অপসারণ করা শুরু করি। পরবর্তিতে জেলা প্রশাসন থেকে এই অপসারণ কাজ শুরু হয় এবং মেহেরপুরের সীমান পর্যন্ত সব অপসারণ করা হবে।




মাদার তেরেসা এ্যাওয়ার্ড পেলেন শাহাবুল ইসলাম

মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড পেলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার সুবিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুল ইসলাম। বিশ্ব মানবাধিকার ফাউন্ডেশন থেকে এ্যায়ার্ড দেওয়া হয়।

শুক্রবার ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিচারপতি সিকদার মকবুল হক মাদার তেরেসা এ্যাওয়ার্ড তুলে প্রধান শিক্ষক শাহাবুল ইসলামের হাতে।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




গাংনীতে গরু ব্যবসায়ীদের টাকা ছিনতাই ॥ ১টি তাজা বোমা উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের শিমুলতলা ও কুঞ্জনগর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে বোমা ফাটিয়ে গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ডাকাতরা। এসময় ডালিম হোসেন ও মোয়াজ্জেম হোসেন নামের দুই গরু ব্যবসায়ী ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হয়েছেন। আহতদের বাড়ি গাংনী উপজেলার কামারখালী গ্রামে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে মিকুশিষ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি তাজা শক্তিশালী হাত বোমা ও বিস্ফোরিত বোমার আলামত সংগ্রহ করেন।

আহত ডালিম হোসেন জানান, চুয়াডাঙ্গার শিয়ালমারী হাট থেকে গরু বিক্রি করে স্যালোইঞ্জিন চালিত স্টিয়ারিং গাড়ি যোগে পাঁচজন গরু ব্যবসায়ী কামারখালি গ্রামে ফিরছিলাম। কুঞ্জনগর ও শিমুলতলা গ্রামের মাঠের মধ্যে ও মিকুশিশ স্কুলের সামনে রাস্তার উপর বেঞ্চ ও ধঞ্চি গাছ দিয়ে গাড়ির গতিরোধ করে ডাকাতরা।

প্রথমেই তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে বেধড়ক মারপিট করে। একে একে গরু ব্যাপারী ইয়াসিন আলীর কাছ থেকে ৮০ হাজার, কালাম হোসেনের কাছ থেকে ৪৫ হাজার, জহির হোসেনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়।

এসময় আমার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। আমার আন্ডারের পকেট থেকে আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেই। গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা হাতবোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরিত বোমার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ডাকাতদের চিহ্নিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ইতোমধ্যে হেমায়েতপুর ক্যাম্প দুজন ব্যক্তিকে সন্দেহ জনকভাবে ওই সময়ে ঘোরাঘুড়ির কারণে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন হতে পারে।

এখনই সব কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চরছে এলাকায় বিশাল টিম কাজ করছে যেকোন মূল্যে এ ছিনতাইয়ের রহশ্য উদঘাটন করা হবে।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




গাংনীতে ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হাজার পরিবার

গাংনীতে ছাগল পালন করে কয়েক হাজার পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে। গাংনী ছাপিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে এ সব ছাগল। ইতি মধ্যে মেহেরপুরের ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের সুনাম দেশ ব্যাপি। ছাগল পালন করে যেমন ঘুরিয়েছে নিজের ভাগ্যের চাকা তেমনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাখছে ব্যাপক ভুমিকা।

গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মোতাবেক গাংনী উপজেলায় পৌরসভায় ছাগলের সংখ্যা ৬ হাজার টি, কাজীপুর ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৯ শ ১০টি, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে ১৪ হাজার ৮শ ৭টি, কাথুলি ইউনিয়নে ১৪ হাজার ৭শ ২৩টি, বামুন্দী ইউনিয়নে ১৪ হাজার ১শ ৩ টি, ষোলটাকা ইউনিয়নে ১৩হাজার ২শ ৯ টি, রায়পুর ইউনিয়নে ১৩ হাজার ১শ ৩৭টি, ধানখোলা ইউনিয়নে ১৪ হাজার ২শ ৩২টি, মটমুড়া ইউনিয়নে ১২ হাজার ১শ ১২টি, সাহারবাটি ইউনিয়নে ১২হাজার ৪শ ৫টি, পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়নে ১লক্ষ ৩০ হাজার ৬শ ৩৮ টি ছাগল রয়েছে। ছাগলের খামারী রয়েছে সরকারি রেজিষ্টার্ডভূক্ত ৬৪ টি, রেজিষ্টার্ডবিহীন ৯২ টি। মোট ১৫৬ টি ছাগলের খামার রয়েছে। প্রতিটি খামারে গড়ে ছাগলের সংখ্যা ১৭ টি।

এই বিষয়ে পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের ছাগল ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিভিন্ন জাতের মধ্যে বিশেষ করে ব্লাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল বেশী কিনে আনি এবং এগুলোর চাহিদা ব্যাপক হওয়ায় গাংনী, বামুন্দীসহ বিভিন্ন বাজারে আমরা এগুলো বিক্রয় করে থাকি এবং এগুলো বেশ লাভজনক।

জুগিন্দা গ্রামের মাংশ ব্যবসায়ী করিম মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, গাংনীর অধিকাংশ সরকারি অনূষ্ঠান গুলোতে আমি মাংশ সরবরাহ করে থাকি। ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের মাংশ সুস্বাদু হওয়ায় মাংশ ক্রয় কারীদের চাহিদা অনেক বেশী গাংনী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোস্তফা জামান’র এর সাথেযোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের জনবলের অভাবে আমরা সকল ছাগল খামারীকে সঠিক সেবা দিতে পারছি না, এই সমস্ত সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার দেশি-বিদেশী বিশেষ করে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালন করে আজ তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী।ঐ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ গরিব এবং বাড়িঘর তেমন উন্নত নয়। পরিবারের এই অস্বচ্ছলতা দূর করতে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার নিজেদের সাংসারিক স্বচ্ছলতা আনতে ছাগল পালন করে আজ তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ঐ গ্রামের পশ্চিম পাড়ার জ্বলেদের স্ত্রী মিনা-রানী (২০ ) বলেন, প্রায় এক বছর পূর্বে আমার বিবাহ হয়।

বিবাহের সময় আমার বাবা-মা ১৫ হাজার টাকা দেন স্বর্ণের গহনা তৈরি করা জন্য কিন্তু বাবা-মায়ের দেয়া সেই টাকা আমি গহনা তৈরি না করে , সেই টাকা দিয়ে একটি পাটি ছাগল ক্রয় করি। সেই একটি ছাগল থেকে এখন আমার বাড়িতে ১১টি ছাগল। গত কোরবানীর সময় ৪ টি ছাগল বিক্রয় করি। বর্তমানে সব ছাগলগুলো বিক্রয় করলে আমি আনুমানিক ২ লক্ষাধিক টাকা পাব। অন্যদিকে একই গ্রামের মিখায়েল বিশ্বাস এর স্ত্রী স্বর্ণমেরী বিশ্বাস(৩৬ ) বলেন,১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে আমি ছাগল পালন করে আসছি।

ছাগল পালনে আমরা সাধারনত কিনে আনা কোন খাবার দিতে পারি না। মাঠের ঘাস পাতা খেয়েই সাধারনত তারা জীবন ধারন করে। বর্তমানে আমি ২৩ টা ছাগল পালন করছি। এই ছাগলগুলো বিক্রয় করলে আনুমানিক সর্বনি¤œ হলেও ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা হবে। ছাগল পালন করে আমি আমার পরিবারে স্বচ্ছলতা এনেছি। ছাগল পালন একটা লাভজনক পেশা । অল্প পুঁজিতে ছাগল পালন করা যায়। গৃহের সমস্ত কাজ সেরে আমি নিজেই ছাগল গুলো মাঠে নিয়ে যায়। একই পাড়ার দানিয়েল বিশ্বাস’র স্ত্রী শেফালী বিশ্বাস বলেন, ছাগল পালন এর পূর্বে আমার সাংসারিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। চারিদিকে সবার ছাগল পালন দেখে আমিও পরিবারের অভাব দূর করার জন্য ছাগল পালন শুরু করি। বর্তমানে আমার ১১ টি ছাগল রয়েছে। বাইরে থেকে কোন খাবার কেনার সামর্থ না থাকায় এই ছাগলগুলোর খাবারের জন্য ৮ কাঠা জমিতে নেপিয়ার ঘাস লাগিয়েছি। বর্তমানে ছাগলগুলো বিক্রয় করলে আনুমানিক ১লক্ষ ২৫ টাকার কম হবে না। আমরা এখন ছাগল পালন করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হযেছি। ঐ গ্রামের মথির স্ত্রী রুলি বলেন, পরিবারের অভাব ঘোচাতে আমি ছাগল পালন করি।

ছাগল পালন করে আমার আর্থিক সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়েছে। আমার বাড়িতে বর্তমানে ১৫ টি ছাগল আছে। যার আনুমানিক মূল্য ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা । ছাগলের প্রতি একটু খেয়াল রাখলে তেমন কোন রোগ হয় না । অন্যদিকে ঐ গ্রামের শুকেশের স্ত্রী সুখি বলেন, আমাদের এই পাড়ায় অধিকাংশ বাড়িতে ছাগল পালন করে, আমি প্রথমে একটি ছাগল ক্রয় করি, আস্তে আস্তে দু-এক বছরের মধ্যে আমার এখন ১২ টি ছাগল।যা বিক্রয় করলে বর্তমান বাজার মূল্যে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হবে বলে আমার বিশ্বাস। অপরদিকে একই পাড়ার সেবাস্তীনের স্ত্রী মরি বলেন, আমরা গরিব মানুষ গরু পালন করা আমাদের সম্ভব নয়।আমি প্রথমে একটি ছাগল ক্রয় কর্ িসেই থেকে আজ আমাদের ১৩ টি ছাগল। এই ছাগলগুলো ঠিকমত খেতে দিতে পারি না ।

মাঠের ঘাস-পাতা খেয়েই জীবন ধারন করতে হয় তাদের। বাজার থেকে ছাগলগুলোর জন্য যদি খাবার কিনে আনতে পারতাম তাহলে স্বাস্থ্যবান হতো এবং আমরাও আরো বেশী লাভবান হতে পারতাম। ঐ গ্রামের বাসিন্দা অঞ্জনা রানী (৩৮)বলেন, আমরা অনেকদিন থেকে ছাগল পালন করি ।বর্তমানে আমার বাড়িতে ১৫ টি ছাগল রয়েছে। যার বর্তমান মূল্য আনুমানিক ১লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। ছাগল পালন করে আমাদের সংসারের অনেক উপকার হয়েছে। ঐ গ্রামের পায়েল (৩০) বলেন, আমাদের বাড়িতে ২০ টি ছাগল আছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। অপরদিকে একই পাড়ার ঊষারানী (৩৫) বলেন, আমার বাড়িতে বর্তমানে ১২ টি ছাগল আছে যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।

অপরেিদক মরিয়ম নামের একজন ছাগল পালন কারী বলেন, আমাদের গ্রামে অধিকাংশ বাড়িতেই ছাগল পালন করে। আমারও ১০ টি ছাগল আছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা হবে। এখানে সবাই গৃহের কাজ সেরে প্রায় সবাই ছাগল নিয়ে মাঠে চলে যায়। ছাগল গুলো সাধারনত গৃহিনীরাই লালন-পালন করে থাকে। এছাড়া ও ঐ গ্রামের অধিকাংশ ছাগল পালন কারীরা বলেন, পরিবারের ছোট- ছোট সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য ছাগল পালন সবচেয়ে উপকারি বলে তারা সে¦চ্ছায় আনন্দের সাথেই ছাগল পালন করছেন। কেননা ছাগল পালনে খরচ কম।বর্ষাকালে একটু খেয়াল রাখলে রোগ বালাই তেমন চোখেই পড়ে না।

ছাগল পালনের জন্য একটু উঁচু করে ঘর বানাতে হয়, কারন বর্ষাকালে ঘরে যেন কোনভাবেই পানি জমতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হয়।আর এর জন্য বাঁশের মাচা ও টিনের ছাউনি দিয়ে ঘরগুলো সাধারনত তৈরি করা হয়। এভাবে ছাগল পালনকারীরা একদিকে নিজেরা যেমন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে অন্যদিকে তারা মাংশের চাহিদাতেও রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। এই বিষয়ে ৮ নং ধানখোলা ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, পাকুড়িয়া গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক গৃহিনী ছাগল পালন করে তাদের সংসারে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনেন।

ঐ গ্রামের বাসিন্দা মেহেরপুর জেলা সিনিয়র আইনজীবী সুজন কুমার মন্ডল মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের গ্রামে এক সময় অধিকাংশ মানুষ অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল ছিল,বর্তমানে ছাগল পালন করে তারা স্বালম্বী হয়েছে । এটা সত্যিই আনন্দের কথা। আমরা তাদেরকে নিয়ে গর্ব করি । তারা আমাদের গ্রামের অহংকার।

নিজস্ব প্রতিবেদক:




আবারো মেহেরপুরের বহিস্কৃত কারারক্ষী ঝিনাইদহে মাদক সহ আটক

৭ মাসের ব্যাবধানে আবারো মাদক দ্রব্য সহ ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন মেহেরপুরে জেলা কারাগারের বহিস্কৃত কারারক্ষী হুসাইন কবির। দিন দিন মাদক ব্যাবসায় জড়িয়ে পড়ছে কারারক্ষীরা। এর আগে মেহেরপুর শহরের বামন পাড়া পন্ডের ঘাট এলাকা থেকে ফেনসিডিল সহ আলভি আহমেদ নামের এক কারারক্ষী সদর থানা পুলিশের হাতে আটক হয়। গত বুধবার ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর হাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার নিধিকুন্ডু গ্রামের মৃত মেসের আলীর ছেলে হুসাইন কবির (২৫) আটক হয়। এ সময় তার দেহ তল্লাসী চালিয়ে ১৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। আটককৃত হুসাইন কবির মেহেরপুর জেলা কারাগারের কারারক্ষী ছিলেন। এখন সাময়িক বরখাস্ত আছেন।

ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বুধবার সকালে সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযান কালে হুসাইন কবিরকে আটক করা হয়। এ সময় তারা তার দেহ তল্লাসী চালিয়ে ১৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। খবর নিয়ে ডিবি পুলিশ জানতে পারে হুসাইন কবির মেহেরপুর জেলা কারাগারের বরখাস্তকৃত কারারক্ষী। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মাদক আইনে মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে মেহেরপুরের জেল সুপার কামরুল হুদা জানান, হুসাইন করিব এর আগে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের কারারক্ষী ছিলেন। সেখান থেকে সাময়িক বরখাস্তকৃত হয়ে মেহেরপুর জেলায় এসেছেন। মেহেরপুর থাকাকালে হুসাইন কবির বরখাস্ত হয়নি। ঝিনাইদহের জেলার নিজাম উদ্দীন জানান, স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় হুসনাইন কবির ঝিনাইদহে কর্মরত থাকাবস্থায় সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান।

উল্লেখ্য : চলতি বছরের গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ফেন্সিডিল সহ আলভি আহম্মেদ নামে এক কারারক্ষীকে আটক করে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ। রবিবার শেষ বিকালে মেহেরপুর শহরতলীর পন্ডেরঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মেহেরপুর থানার এসআই মোমিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল নিয়ে মেহেরপুর শহরতলীর পন্ডেরঘাট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আলভি আহম্মেদ পালানোর চেষ্ঠা করে। এ সময় পুলিশ তাকে ২ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করে। আটক আলভি আহম্মেদ সাতক্ষীরা জেলার ভালুকা গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে। তিনি মেহেরপুর জেল কারাগারে কারারক্ষী পদে চাকরিরত আছেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি: