কুষ্টিয়ায় আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫,

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের মাতপুর গ্রামে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ’লীগ সমর্থিত দুই পক্ষের সংঘর্ষে আজিম মন্ডল (৬০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৫জন। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক পক্ষের নেতা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিককে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ এবং পতিপক্ষ আবু বক্কর গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবদমান দ্বন্দের জেরে দুপক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় আব্দুল মজিদের সমর্থক হিসেবে পরিচিত আজিম মন্ডলকে প্রতিপক্ষের লোকজন স্থাণীয় একটি গোরস্থানের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় উভয়পক্ষের আরও ৫জন আহত হয়। আহতরা হলেন, আলাল মন্ডল, মতিয়ার মন্ডল ও রাব্বানী। অপর দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন

 

এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, স্থানীয় ভাবে ওরা দল করুক বা না করুক কেউই আইনের উর্দ্ধে নয়। দল করলেই দলের নাম ভাঙ্গিয়ের যা খুশি তা করতে দেয়া হবে না। উজানগ্রামের যারাই সংঘর্ষে লিপ্ত হোক বা শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ হত্যাকান্ড ঘটান তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে। দল করলেই এসব করে কেউ পার পাবেন না। ইতোপূর্বেও ওই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আরিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আজিম নামের এক ব্যাক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যারা সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের আটক করতে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে এপক্ষের নেতা আবু বক্কর সিদ্দিককে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

উল্লেখ্য ইতোপূর্বেও এই দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ ও একাধিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিবদমান এই দ্বন্দ মেটাতে একাধিকবার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু কোন উদ্যোগের সুফলই স্থায়ীত্ব পায়নি বলে জানায় ভুক্তভোগী এলাকাসী।




মেহেরপুরে শিশু পরিস্থিতি বিষয়ক গন শুনানি অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলায় এনসিটিএফ এর আয়োজনে শিশু পরিস্থিতি বিষয়ক গন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এনসিটিএফ এর সভাপতি মেহেরাব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আতাউল গণি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইবাদত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আতাউল হাকিম লাল মিয়া, মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস প্রমুখ।

গন শুনানিতে বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য চিলড্রেন প্রতিনিধি আবু জাফর, এনসিটিএফ এর প্রতিনিধি রোজা খাতুন, জামিলা খাতুন, রাজন আলী, আরশা আক্তার, সুরাইয়া খাতুন, তানভীর, রাজিয়া সুলতানা, মোশারফ হোসেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ফারিহা আফরিন এলিসা ও মুশফিকুর রহমান রিয়াদ।




মেহেরপুর পৌর কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন নাসির উদ্দিন মিরু

মেহেরপুরের পৌর কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর প্রথম সাধারন সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নাসির উদ্দিন মিরু।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে মেহেরপুর শহীদ ড. শামসজ্জোহা পার্কে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রিয় মানষুটাকে এক নজর দেখতে পার্ক প্রাঙ্গনে জনতার ঢল নামে। পরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মেহেরপুর পৌর কবর স্থানে দাফন করা হয়।




মেহেরপুরে বি এ ডি সি’র চাষীদের সাথে আলোচনা সভা

মেহেরপুরে বি এ ডি সি  উদ্যেগে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুর বিএডিসি অফিসে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় চুক্তিবদ্ধ চাষীদের সাখে  ১৯-২০ বোরো উৎপাদন মৌসুমে বীজ উৎপাদন সম্পর্কিত বিভিন্ন কলা কৌশল সম্মন্ধে আলোচনা করা হয় ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর বি এ ডি সি   বীজ প্রক্রিয়াজাত করণ কেন্দ্রের উপপরিচালক কৃষি বীদ মো: হাসমত আলী মিয়া, মেহেরপুর বি এ ডি সি (ক:গ্রো) উপপরিচালক  কৃষি বীদ  কে এম আবুল কালাম, বিএডিসি উপপরিচালক কৃষি বীদ মো: কামরুল হাসান ।

সভায় বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা   তাদের বিভিন্ন সমস্য গুলো সেখানে তুলে ধরেন। পরে কৃষিবীদরা সমস্যা সমাধানের সকল করণীয় দিক নির্দেশনা গুলো চাষীদের মাঝে তুলে ধরেন ।

নিজস্ব প্রতিনিধি




মুজিবনগরে তথ্য সেবা কেন্দ্রের উঠান বৈঠক

মুজিবনগরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যেমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)বাস্তবায়নের লক্ষে মুজিবনগরে তথ্য সেবা কেন্দ্রের আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্প্রতিবার সকাল সাড়ে এগারোটার  দিকে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া খন্দকার।
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন সুবিধার বিষয় ও বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন দারিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল বারী বকুল।
এ সময় ইউপি সদস্য মাসুদ রানা,ময়নদ্দীন,শাহাজাহান,আর্জিনা খাতুন, উপজেলা তথ্য সেবা সহকারী শান্তনা আক্তার ও আর্জিনা খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
মুজিবনগর প্রতিনিধি



আওয়ামী লীগ কমিটিতে এক পরিবারের ১৭ জন

ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক এনামুল হক ভূঁইয়া এনু ও রুপন ভূঁইয়া গত মঙ্গলবার র‌্যাবের হাতে নগদ ১ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ৭২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ গ্রেফতার হয়েছেন।

এই দুই ভাই শুধু ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গেই যুক্ত নয়, তারা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য তিন ভাই, দুই ভাতিজাসহ একই পরিবারের ১৭ জন আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন। এনামুল হক ভূঁইয়া এনু গে ারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রুপন ভূঁইয়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আরেক ভাই রশিদুল হক ভূঁইয়া ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

ভাতিজা তানিম হক ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাতেনুর হক বাঁধন (রশিদের ছেলে) ৪১ নং ওয়ার্ড কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

এ ছাড়া এই পরিবারে সদস্য যারা ওয়ান্ডার্স ক্লাব ও নারিন্দা জুনিয়র ক্লাবের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তারা হলেনথ- পাভেল রহমান ৪০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (ম্যানেজার ওয়ান্ডারার্স ক্লাব), মো. আসলাম ৪০ নং ওয়ার্ডের ক্রীড়া সম্পাদক, জাহাঙ্গীর আবদুল্লাহ ৪০ নং ওয়ার্ডের যুগ্ম সম্পাদক, মো. রাজ্জাক ৪০ নং ওয়ার্ডের বন ও পরিবেশ সম্পাদক, মো. হারুন ৪০ নং ওয়ার্ড কমিটির ২২ নং নির্বাহী সদস্য, আফতাব উদ্দিন আফতাব ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মো. তারেক ৪১ নং ওয়ার্ডের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক, মো. রতন ৪১ নং ওয়ার্ডের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, মনজুরুল কাদের মামুন ৪১ নং ওয়ার্ড কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক, মিজানুর রহমান মিজান ৪১ নং ওয়ার্ড কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, মো. মঞ্জু ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য,  কুসুবউদ্দীন ৪১ নং ওয়ার্ড সদস্য, আসাদউল্লাহ আসাদ ৪০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

সারোয়ার হাসান আলো ৪১ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর। শহীদুল্লা মিনু গেরিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

সুত্র- বিডি প্রতিদিন



দর্শনার পল্টু হত্যাকান্ডের ৭ জনের রিমান্ড মঞ্জুর: কোর্টের বারান্দায় হুমকির শিকার বাদী পক্ষ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় যুবলীগ কর্মী পল্টু হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মান্নান ও তোতা সহ ৭ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। কাঠগড়া থেকে নেমে কোর্টের বারান্দায় হুমকির শিকার হয়েছে বাদী পক্ষ।

গত ২৩ আগস্ট দর্শনা পুরাতন বাজার রেল ইয়ার্ডে যুবলীগ কর্মী পল্টুকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামী স্বর্ণ ও মাদক চোরাকারবারী এবং একাধিক মামলার আসামী আঃ মান্নান খাঁন ও শেখ আসলাম আলী তোতা সহ ৭ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য উদঘাটনের জন্য গত ১৬/০৯/১৯ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার বিচার বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাজেদুর রহমান ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এসময় বাদী পক্ষের হয়ে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন সিনিয়র এ্যাডভোকেট মোঃ সেলিম উদ্দীন। কোর্টে শুনানি শেষে কাঠগড়া থেকে নেমেই কোর্টের বারান্দায় বাদী পক্ষের হুমকি দিয়ে বলেছে, এতো বড় সাহস? আমাদের নামে মামলা দেওয়া? আমরা খুব শীঘ্রই আসছি। দেখা হবে, হিসাবও হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ আগষ্ট-২০১৯ তারিখে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্যে ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত: আব্দুর রউফ এর ছেলে যুবলীগ কর্মী নঈমউদ্দিন আহম্মেদ পল্টু (৩৫) কে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে এবং একই গ্রামের মৃত: ফরজ আলীর ছেলে মঞ্জুর আহম্মেদ (৩৪) কে মারাত্মক ভাবে আহত করে।

এ ঘটনায় নিহত পল্টুর বড় ভাই মঈনউদ্দীন বাদী হয়ে গত ২৪ আগষ্ট-২০১৯ তারিখে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হচ্ছে, দর্শনা মোবারক পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪২), মৃত: কবির খালাসীর ছেলে শেখ আসলাম আলী তোতা (৪৩), দর্শনা পুরাতন বাজারের মৃত: জিয়াউল হকের ছেলে দিপু রেজা (৪১), মোবারক পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে বাংলা (৪১), বাদল খানের ছেলে মোঃ আলম (৪৩), ডাঃ শামসুল ইসলামের ছেলে মোঃ সোহেল (৪০) ও ইমারত আলীর ছেলে আশিক (২১) এ সাতজন সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামী করে দামুড়হুদা থানায় মামলা করা হয়।

গত ১৬/০৯/১৯ তারিখ সোমবার আসামীরা চুয়াডাঙ্গা নিম্ন আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এবং তদন্ত কারী পুলিশ অফিসার সত্য উদঘাটনের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেছেন, পূর্বেও উক্ত মামলার আসামী মান্নান, তোতা, দিপু, বাংলা ও আলম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েও টাকার জোরে ও ক্ষমতার দাপটে বের হয়ে আসে। এবং মোটা টাকার বিনিময়ে বিএনপি থেকে এসে আওয়ামীলীগের মত একটি বড় দলের একাংশ যুবলীগে পদ দখল করে নেয়। ফলে ক্ষমতার দাপট আরো বেড়ে যায়।

দিনে দিনে বাড়তে বাড়তে এতোটাই বেড়ে যায় যে দর্শনার ইতিহাসে যা ছিলোনা ঠিক তাই করে তারা রেকর্ড গড়ে তোলে শুধু ক্ষমতার লোভে। যার বহিঃপ্রকাশ শোকাবহ আগস্টের ২৩ তারিখ বিকাল সাড়ে ৫ টায় পল্টুর তাজা জীবন ও মঞ্জুর এর রক্ত। কি দোষ ছিলো নিহত সেই পল্টুর এবং আহত মঞ্জুরের? কেউ জানে না। শুধুই আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা।

এর আগে দর্শনার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে হত্যা করে এই মান্নান গ্যাং। তার পরেও তারা বীর দর্পে প্রকাশ্যে চলাফেরা করে। তবে এবার দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে এই পল্টু হত্যাকান্ডের ঘটনার পরেও যদি ছাড় পেয়ে যায় তাহলে দর্শনায় আর কোন দিন শান্তি ফিরে আসবে না। বরং একের পর এক এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

তাই বিচার বিভাগের নিকট আকুল আবেদন এই হত্যাকান্ডের সঠিক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে করে পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস কারো না হয়।

দর্শনা প্রতিনিধিঃ




মেহেরপুরের মডেল ভূমি অফিস গাংনী

আকরারুজ্জামান,গাংনী :
পরিচ্ছন্ন রেকর্ড রুম ব্যাবস্থাপনা, ই্-মিউটিশন (অনলাইন মাধ্যম) চালু,দুর্নীতিমুক্ত অফিস পরিছন্ন পরিবেশ ও কাজে স্বচ্ছতায় বদলে গেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভূমি সংক্রান্ত সেবার মান। দিন বদলের সাথে সাথে গাংনী উপজেলার ভূমি অফিসে ডিজিটাল সেবায় উপকৃত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সহকারি কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা সুখময় সরকার বিগত ০৭/০৭/২০১৯ ইং তারিখে যোগদান করেই দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলেছেন এ অফিসে।

তিনি অফিসে বসেই সকল স্টাফদের দুর্নীতিমুক্ত হওয়ার হুশিয়ারী দেন।এছাড়াও অফিসের কোন স্টাফ যেন অবেধ অর্থিক লেনদের না করতে পারে সেজন্য প্রতিটি কক্ষে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
অফিস চলাকালীন সময় সকলেই থাকেন সিসি ক্যামেরার আওতায়। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ সেবা পেতে হয়রানী না হন তাদের জন্য নির্মান করা হয়েছে একটি গোল ঘর। তবে গোল ঘরটি বেশ কয়েকমাস আগে নির্মান করা হলেও তা ব্যাবহারের অযোগ্য হয়ে পরিত্যাক্ত ছিল। সব সময়ই থাকতো তালাবদ্ধ। সুখময় সরকার সহকারি কমিশনার (ভুমি) গাংনী উপজেলায় ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পরপরই গোলঘরটি মানুষের বসার ব্যাবস্থা করেছেন।

সে গোল ঘরেই বিভিন্ন সমস্যার শুনানী হয়ে থাকে। সুময় সরকার যোগদানের দু’একদিন পরেই উন্নত ভূমি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চালু করেছেন ই-মিউটিশন। গাংনীতে এই প্রথম ইন্টারনেটের মাধ্যমে নামজারী করা হচ্ছে। এতে খুব কম সময়ে কাজ করতে পারছেন সেবা প্রত্যাশীগণ। গাংনী উপজেলায় মোট ৯ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস রয়েছে।

যাদের মাধ্যমে জনগনকে ভূমি সংক্রান্ত সেবা প্রদান করছেন উপ-সহকারি কমিশনারগণ । তাদেরকেও সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন এ কর্মকর্তা।
ই-মিউটিশনের সুবিধা ভোগীরা জানান, খুবই অল্প সময়ে অল্প খরচে কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই ই-নামজারি করা হচ্ছে। ই-মিউটিশন চালু করায় সময়,অর্থ,ভোগান্তি যেমন নেই তেমন কাজের রয়েছে চরম স্বচ্ছতা।

সুখময় সরকার ইমিউটিশনে দক্ষ অফিসার হিসেবেও ক্ষ্যতি রয়েছে। এব্যাপারে নিজ উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদের ইউডিসি,ইউপি সচিব,উপসহারি ভুমি কর্মকর্তাসহ ভূমি সংক্রান্ত ব্যাক্তিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ভূমি কর্মকর্তা সুখময় সরকার। ই-নথির কাজ চালু করা হওয়ায় সাধারনের ভোগান্তিও কমেছে। ভ’মি সংক্রান্ত সেবা নিতে আসা সাহারবাটি গ্রামের মকলেসুর রহমান জানান, বর্তমানে কাজ করতে তার কোনো ভোগান্তি হচ্ছেনা। স্বল্প সময়েই তিনি নির্ভূল কাজ করতে পেরেছেন।

নওপাড়া গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম জানান,জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা নিয়ে ভ’মি অফিসে এসেছিলাম সহজেই আমার কাজ হয়েগেছে। আমার কাছে কোনো অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হয়নি বরং আগের চেয়ে কাজের মান অনেক বেড়েছে। হাড়াভাঙ্গা গ্রামের ইদ্রিস আলী জানান,ই-নামজারির আবেদন করলাম,কাগজ পত্রের ত্রুটি না থাকলে নির্ভুল কাজ হবে। ভবিশ্যতে জমিজমা নিয়ে কোনো ভোগান্তি থাকবেনা।
গাংনী উপজেলা ভূমি অফিস সুত্রে জানা গেছে,২০১৯-২০ অর্থ বছরে ই-নামজারির জন্য আবেদন গ্রহন করা হয়েছে ৮০১ টি, এর মধ্যে মঞ্জুর হয়েছে ২১৫ টি। কাগজ পত্রের ত্রুটি থাকায় ৬৩ টি আবেদন না মঞ্জুর করা হয়েছে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ৫২৩ টি আবেদন।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গাংনীতে ১১৩৬ টি ই-নামজারি অনলাইন আবেদন করা হয়।

সেবার মান নির্নয়ে মেহেরপুর জেলার শীর্ষে রয়েছে গাংনী উপজেলা ভুমি অফিস। সুত্র জানায়,মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৯৪৪ টি,মুজিবনগর-৩৮৪ টি ই-নামজারির জন্য আবেদর করা হয়। বাংলাদেশের খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে গাংনী ভূমি অফিস এখন মডেল ভূমি অফিস হিসেবে পরিচিত বলে জানালেন সহকারি কমিশনার (ভুমি) সুখময় সরকার।




দশম শ্রেণির ক্লাস বর্জন

গাংনী জেটিএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে ক্লাস বর্জন করেছে ছাত্রীরা। গত ৫দিন ধরে তারা এ দুনীর্তি অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেও কোন ফল না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে দশম শ্রেণির ছাত্রীরা।

জানা গেছে, গত ১৮ তারিখ বুধবার স্কুল কতৃপক্ষ দশম শ্রেণিতে একটি নোটিশ দেয়। নোটিশে পরীক্ষা ফ্রি, বকেয়া বেতন ও উন্নয়ন ফ্রিসহ মোট ১৫র্শ টাকা বিদ্যালয় কতৃপক্ষ প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেয়। নোটিশ দেখে দশম শ্রেণির ছাত্রীরা পরদিন বিদ্যালয় প্রধানের নিকট অতিরিক্ত টাকার বিষয়টি জানতে চায়। তিনি কোন সদউত্তর দিতে না পারায় তারা টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। বিদ্যালয় কতৃপক্ষ

নোটিশের টাকা পরিসোধের জন্য জোর করলে দশম শ্রেণির ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন করে। গত ২১-০৯-২০১৯ তারিখ থেকে গতকাল বুধবার পযন্ত দশম শ্রেণির কোন ছাত্রী বিদ্যালয়ের ক্লাসে অংশ নেয়নি। কিন্তু কতৃপক্ষ আন্দোলনরত শির্ক্ষাথীদের কোন প্রকার আলোচনা না করে তাদেরকে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনিয়ম-দূনীর্তিকে বৈধ করতে গিয়ে শিক্ষা অফিসকে উন্নয়ন ফ্রির টাকার কথা বলেছেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরত ছাত্রীরা।

এব্যাপারে জেটিএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ জাহাঙ্গীরের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব নেওয়া হয়নি।

গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার বলেছেন, পরীক্ষার ফ্রি ৪র্শ টাকা, বকেয়া বেতন ও সাড়ে ৭র্শ টাকা উন্নয়ন ফ্রি নেওয়ার কথা শুনেছি। আগামীকাল বিদ্যালয়ে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে। যদি কতৃপক্ষ অপরাধ করে তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

  • নিজস্ব প্রতিবেদক 



গাংনীতে আশংকাজনকহারে ছড়িয়ে পড়েছে অ্যানথ্রাক্স

মেহেরপুরের গাংনীতে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে অ্যানথ্রাক্স। গত ৯ মাসে পাঁচ শতাধীক উপরে রোগি গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগি আসছে চিকিৎসা নিতে। অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত গবাদি পশুর মাংস খেয়ে লোকজন এরোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে এলাকাবাসি ও খামারীরা জানান, অসচেতনতা, প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদাসীনতার কারণে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন রোগতত্ব বিভাগের একটি টীম। গতকাল বুধবার সকালে গাংনীতে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন ও তদন্তের জন্য বাংলাদেশ প্রাণী সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্ধর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা: আব্দুর সবুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গবাদিপশু পালনকারী ও আক্রান্ত ব্যাক্তিদের বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেহেরপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: জাহাঙ্গীর আলম।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভিটাপাড়ার আমিরুল ইসলাম। ১ মাস আগে তার বাড়ির একটি গরু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি এটি জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। তার দুদিন পরই দুই হাতে ও মুখে ফোড়া ও পচন দেখা দেয়। স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন।

ডাক্তার জানান, তিনি অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত। গরু জবাইয়ে সহযোগি তার ভাই ইদ্রীস এবং ফজলু এ রোগে আক্রান্ত হন। অপরদিকে মাংস রান্না করার সময় গরুর রক্ত ও বর্জ হাতে লাগায় স্ত্রী সালেয়ারা ও মেয়ে নারগিছ ও অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হন।

শুধু আমিরুলের পরিবার নয়, গোটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গত ৯ মাসে পাঁশ শতাধীকের বেশী মানুষ অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিভিন্ন হাটবাজারে প্রশাসনিক নজরদারী না থাকায় স্থানীয় কসাইরা রুগ্ন গবাদি পশু জবাই করে মাংশ বিক্রি করে।

ওই মাংস খেয়েই লোকজন এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কোন মোটাতাজা গরু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কাউকে না জানিয়ে ওই গরুর মাংস ভাগাভাগি করে নেয়। এ গরু কোন রোগে আক্রান্ত কিনা তা যাচাই করার সুযোগ থাকে না। তা ছাড়া প্রাণীসম্পদ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কোন লোক জনের তদারকী না থাকায় অসুস্থ গরু জবাই করা হয়।

ফলে দিনদিন এ রোগের প্রাদূর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা প্রণী সম্পদ বিভাগ থেকে প্রতি বছর অ্যানথ্রাক্স রোগ নিয়ন্ত্রনের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা থাকলেও গবাদী পশু পালনকারীরা তা পান না বলে অভিযোগ করেন। বেশীর ভাগ খামারী ও পশু পালনকারী নিজ উদ্যোগে বাজার থেকে ভ্যাকসিন কিনে দিয়ে থাকেন। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বা মাঠ কর্মীরা কোন খোঁজ খবর রাখেন না। অনেক সময় অফিসে এসেও কোন সহযোগীতা না পাওয়ার কথা জানান কয়েক জন খামারী।

অ্যানথ্রাক্স আক্রান্তরা জানান, হাটবাজার থেকে গবাদি পশুর মাংস এনে রান্না করা ও খেয়ে এ রোগ দেখা দিয়েছে। মাংস খাবার পরপরই মুখসহ বিভিন্ন অঙ্গ চুলকানি দেখা দেয়। তার পর ফুলে ও পানি ঝরে। পরে জানতে পারি এটি অ্যানথ্রাক্স রোগ।
গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, অ্যানথ্রাক্স কি এবং কেন হয় তা জানেন না তারা। তাছাড়া প্রাণিসম্পদ বিভাগের লোকজন অসুস্থ পশু নিয়ে গেলে কোন চিকিৎসা দেন না। প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদাসীনতার কারনে আজ আমাদের পশুর শরীরে অ্যানথ্রাক্স রোগ দেখা দিচ্ছে।

 

গাংনী বাজারের মাংস ব্যবসায়ীরা জানান, পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে এ তহ বাজার তাই কোন রুগ্ন পশু এখানে জবাই করা হয় না। কিন্তু অন্যান্য হাট বাজারে কোন তদারকি নেই। ফলে রোগা ও অসুখে গরু জবাই করা সহজ। স্থানীয় লোকজনও রোগাক্রান্ত পশুর মাংস সস্তায় কিনে খায়। ফলে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে মহামারি আকারে। বামন্দি বাজারের কয়েকজন কসাই জানান, গত ১০ বছরের একদিনও কোন লোকজন আসেনি পশু জবাইয়ের আগে পরীক্ষা করতে। কোন নজরদারী নেই।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বিডি দাস জানান, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস কাটা ছেড়া ও খাওয়ার কারণে সবাই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বাজারে রোগাক্রান্ত গরু যাতে জবাই না করতে পারে সেদিকে নজরদারী প্রয়োজন। আমাদের এখানে যে সব রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে আমরা তাদের চিকিৎসা সেবা সহ প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবারহ করছি।

গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তফা জামান জানান, বর্তমানে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ রোগের বিস্তার বেড়েছে। তাছাড়া লোকবলের অভাবে তেমন কোন তদারকি করা সম্ভব হয়না। অনেকেই গ্রামে পশু জবাই করেন। অসুস্থ গবাদি পশুর মালিকরাও

নিজেরাই জবাই করে মাংস বিক্রি করে থাকে। এখান থেকেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
ঢাকা রোগতত্ব বিভাগ সিডিআইএল এর ইউএলও ডা. গোলাম আজম জানান,

ইতোমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় রোগিদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করেছেন এবং ফ্রিজে রাখা মাংস পরিক্ষা করে অ্যানথ্রাক্স জীবানু পেয়েছেন। মাংসগুলো পুতে রাখেন এবং অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশু জবাই করে গভীর গর্তে পুতে রাখার পরামর্শ দেন এ পরিদর্শক দল।

নিজস্ব প্রতিবেদক