বাংলাদেশে আসছে না অজিরা

দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ার সাথে ঘরের মাটিতে সীমিত ওভারের কোনো সিরিজ খেলে নি বাংলাদেশ। আলোচনা চলছিল এ বছরের অক্টোবরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে অজিরা। কিন্তু জানা গেল, সিরিজটি হচ্ছে না।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিসিবির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফেব্রুয়ারিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজটিও পিছিয়ে যাচ্ছে। সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী জুন-জুলাইয়ে।
উল্লেখ্য, এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালে দু’টি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসে অজিরা। যেখানে প্রথম ম্যাচে অজিদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্টে দারুণ জয় পায় সাকিবরা। পরের ম্যাচ জিতে অবশ্য সমতায় শেষ হয় সিরিজ।

মেপ্র/স্পোর্টস ডেস্ক




ক্যান্সার হয়েছে এন্ড্রু কিশোরের

সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের ক্যানসার হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে শিল্পীর পাশে আছেন আরেক কণ্ঠশিল্পী জাহাঙ্গীর সাঈদ। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, শনিবার এন্ড্রু কিশোরের ক্যানসারের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর গেছেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোর। তখন তার কিডনি ও হরমোনজনিত সমস্যা ছিল। এ কারণে তার ওজন হ্রাসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এড্রেনাল গ্লান্ড বড় হয়ে গেছে। পাশাপাশি তার আরেকটি সমস্যা ছিল জ্বর। প্রতিদিন তার জ্বর আসছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হয়েছেন এন্ড্রু কিশোর ক্যানসারে ভুগছেন। এখন তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

মেপ্র/বিনোদন ডেস্ক




ফের সাবেক প্রেমিকার কাছাকাছি সালমান!

কিক-এর পর আবারও কাছাকাছি আসছেন সালমান খান ও তার সাবেক কথিত প্রেমিকা জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজ। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, কিক-এরই সিক্যুয়েলে আরও একবার জুটি বাঁধতে চলেছেন তারা। প্রায় ৫ বছর আগে ২০১৪ সালে অ্যাকশন থ্রিলার কিক-এ দর্শকদের মন জিতেছিল সালমান-জ্যাকুলিন জুটি। কোনও সিনেমার সিক্যুয়েল বানানো সব সময়েই কঠিন। সেই কাজ আরও কঠিন হয়ে যায় যদি প্রথম পার্টটি কিকের মতো ব্লকবাস্টার হয়। আর সেই কারণেই বেশি ঝুঁকি নিতে নারাজ পরিচালক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। কিকের ডেভিল সালমানই থাকছেন একই চরিত্রে। সূত্রের খবর, ডেভিলের চরিত্রের বেশ লেয়ার তুলে ধরা হবে সিক্যুয়েলে। আর সেখানেই থাকবে প্লটের একাধিক টুইস্ট। ইতিমধ্যে ছবির চিত্রনাট্য লেখার কাজ অনেকটাই শেষ করে এনেছেন পরিচালক। আগামী বছরেই সিনেমার শুটিং শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালের শেষে প্রেক্ষাগৃহে আসবে কিক ২। প্রসঙ্গত, এক সময় জ্যাকলিনের সলমনের প্রেম চর্চিত ছিল। শোনা যায়, সে সময় জ্যাকুলিনকে একটা ফ্ল্যাটও উপহার দেন সালমান। পরে অবশ্য জ্যাকুলিনের থেকে সরে আসেন সালমান।

মেপ্র/বিনোদন ডেস্ক




সাইফের যে স্বভাবে বিরক্ত কারিনা

সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় দম্পতি। ব্যক্তি সাইফের অনেক গুণই কারিনার পছন্দ। বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানে সে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সাইফের যে স্বভাবে তিনি খুব বিরক্ত হন সেই কথা খোলাখুলি জানিয়েছেন। কারিনা বলেন, সবকিছুতেই সাইফের প্রথম প্রতিক্রিয়া থাকে ‘না’। আমি যদি বলি, সাইফ কী করতে চাও? আমরা কি ঘুরতে যাব? তার প্রথম প্রতিক্রিয়া হয় ‘না’। আমরা কী ঘরের সোফা পরিবর্তন করব? এতে তার প্রতিক্রিয়া ‘না’। কিন্তু এর তিন ঘণ্টা পর সে নিজেই মেসেজ করে জানাবে, ‘আমার মনে হচ্ছে সোফা পরিবর্তন করা দরকার।’ আমি তখন বলি, তাহলে যখন আমি বললাম না করলে কেন? আমার মনে হয় এই স্বভাবটা খুবই বিরক্তিকর। সে প্রথমে না বলে কিন্তু পরবর্তীতে ঠিকই রাজি হয়। সাইফ-কারিনার সম্পর্কের শুরু ২০০৭ সালে। এরপর ২০০৯ সালের অক্টোবরে প্রকাশ্যে তাদের প্রেমের কথা জানান সাইফ। ২০১২ সালে বিয়ে করেন এ জুটি।
কারিনার পরবর্তী সিনেমা গুড নিউজ। এই সিনেমায় আরো অভিনয় করছেন অক্ষয় কুমার, দিলজিৎ দুসাঞ্জ, কিয়ারা আদভানি প্রমুখ। ডিসেম্বর সিনেমাটির মুক্তি কথা রয়েছে।

মেপ্র/বিনোদন ডেস্ক




ভারতের সঙ্গে ড্র করে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আজ (সোমবার) নেপালের কাঠমান্ডুতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
বুধবার ভারত ও শ্রীলংকার মধ্যেকার ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে ‘বি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে উঠবে কারা। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
ভারত ড্র করলেই সঙ্গী হবে সেমিফাইনালের। আর শ্রীলংকাকে হবে জিততে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভুটান। টুর্নামেন্টের আগের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন নেপাল আছে বিপদে। মালদ্বীপের সঙ্গে ড্র করে এবং ভুটানের সঙ্গে হেরে তারা এখন গ্রুপের শেষ ম্যাচের অপেক্ষায়। ভুটানের কাছে মালদ্বীপের বড় ব্যবধানের হারই টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রাখতে পারে স্বাগতিকদের।

মেপ্র/স্পোর্ট ডেস্ক




গাংনীর বাওট বাধাগ্রস্থ শিশু বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের বাওট বাধাগ্রস্থ শিশুবিদ্যালয়ের হত দরিদ্র প্রতিবন্ধীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১২ টার সময় মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) সুখময় সরকার।

প্রধান অতিথীর বক্তব্যে সুখময় সরকার বলেন, প্রতিবন্ধীদের সমাজের বোঝা মনে না করে সাভাবিক মানুষের মত তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে তারাও সংসারের হাল ধরতে পারবে।

মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহাম্মেদ এর সভাপতিত্বে এলজি এসপি-৩ এর আওতায় মানব সম্পদ উন্নয়ন হত দরিদ্রদের মাঝে সেলাই মেশিন সরবরাহ অনুুষ্ঠানে বাওট বাধাগ্রস্থ শিশু বিদ্যালয়ের পরিচালক এনামুল হক,ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্তিত ছিলেন । মোট ১৬ জনকে একটি করে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
মেপ্র/নিজস্ব প্রতিনিধি




পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দুর্ঘটনার কবলে ফেনসিডিলবাহী ট্রাক :: চালক ও সহকারি আহত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ফেনসিডিলবাহী একটি ট্রাক পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে আহত হয়েছে ওই ট্রাকের চালক ও তার সহকারি। পরে পুলিশ ট্রাক থেকে ৪০৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

আহত চালক মো. ইমন (৩২) ও সহকারি মো. ফাহিমকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ। তারা পুলিশী প্রহরায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুজনেই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

জীবননগর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ভোর ৪টার দিকে জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর মোড়ে একটি ট্রাক (ঢাকামেট্রো-ট-১৮-৪১৮৬) থামিয়ে তল্লাশী শুরু করে পুলিশ। হঠাৎ ট্রাকটি দ্রুতবেগে পালিয়ে যায়। পুলিশও পিছু নেয়। পরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বলুহর মোড়ে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা মারে।
মেপ্র/ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি




গাংনীর বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানিজিং কমিটির নির্বাচন বাতিল চেয়ে রিট

মেহেরপুরের গাংনীর বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি হাইকোর্ট বেঞ্চে অপরটি মেহেরপুর দেওয়ানী আদালতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। একটি মামলায় আদেশ দিলেও অন্য একটি মামলায় শুনানীর জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।

বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান হাসান জানান, নানা অনিয়মের অভিযোগে তিনি মেহেরপুর দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা দায়ের কেেছন যার নং ৩৮/১৯। মামলাটি আমলে নিয়ে কারণ দর্শানোর ও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

তিনি বলেন, নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করেই বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে অবৈধ ভাবে ভোটার তালিকা করে নির্বাচন করে।  মেহেরপুর দেওয়ানী ৩৮/১৯ নং মামলা সূত্রে ও বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান হাসান জানান, তিনি গত ২৮/০২/২০০২ সালে ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা প্রদান করে আজীবন দাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।

ইতোপূর্বে অভিভাবক সদস্য ও পরপর ৩ বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু বিধি মালা লঙ্ঘন করে তৎকালিন দাতার সদস্য প্রয়াত আকবর আলীর নাতিন ছেলে গিয়াস উদ্দীনকে দাতা সদস্য করে। সাবেক দাতা সদস্য’র কোন উত্তরসূরি টাকা জমা না দিলে দাতা সদস্য হতে পারবেনা এমন নিয়ম থাকলেও প্রধান শিক্ষক গোপনে সেই নিয়মকে ভঙ্গ করে গিয়াস উদ্দীনকে দাতা সদস্য করেছে।

প্রধান শিক্ষক মো: মনিরুল ইসলাম খসড়া ভোটার তালিক প্রনয়ন করিবার সময় বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটি প্রবিধান মালা ২০০৯ অনুসরণ না করে ষড়যন্ত্রেও মাধ্যমে মনগড়া ও নিজ পছন্দের ব্যক্তিকে ভোটার হিসেবে অন্তভুক্ত করিয়া এবং অপছন্দের ব্যক্তি ভোটার হিসেবে অন্তভুক্ত না করিয়া ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে। এ অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে মশিউর রহমান হাসানকে আজীবন দাতা সদস্য না করেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা প্রনয়ন করেন। এছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ উর্ত্তীণের ৮০ দিন পুর্বে সকল শ্রেনীর সদস্য পদের জন্য পূথক পূথক খসড়া ভোটার তালিক প্রনয়নের বিধান থাকলেও তা করেনি প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম।
অপরদিকে বিদ্যালয় অধ্যয়নরত সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ভোটার তালিকায় অন্তভুক্ত করার বিধান থাকলেও প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম তা করেনি। এমনকি নোটিশ বোর্ডের ভোটার তালিকা টাঙ্গানো হয়নী।

মামলার আরজিতে আরো বলা হয়েছে,প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম তার পছন্দের ব্যক্তিকে ম্যানিজিং কমিটির সদস্য করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে ৬ষ্ট শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত ৬৩ জন ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকের নাম ভোটার তালিকায় ভুলভাবে লিপিবদ্ধ করেছে। এছাড়া ২ নং বিবাদী গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার খেয়াল খুশিমত ঈদুল আজহার ছুটিতে দৈনিক চুয়াডাঙ্গা পত্রিকায় গত ৮ আগষ্ট তফশিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র উত্তোলন ও জমা ৯,১০ ও ১১ আগষ্ট। বাছাই ১৪ আগষ্ট ও প্রত্যাহার ১৬ আগষ্ট ভোট গ্রহন ২৯ আগষ্ট। অপরদিকে ভুয়া ভোটারদের দিয়ে নির্বাচন কার অভিযোগে নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছেন জামিরুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক সদস্য। রিট নং ৯৯৬৫/২০১৯। রিটটি শুনানীর জন্য অফেক্ষমান রয়েছে। ১ নং বিবাদী প্রধান শিক্ষক মো: মনিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।




মেহেরপুরে ক্ষুদে ক্রিকেটার বাঁছাইয়ের লক্ষে কার্যক্রম শুরু

দেশব্যাপী ক্ষুদে ক্রিকেটার বাছাইয়ের লক্ষে ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রম ১ম পর্ব মেহেরপুরে বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন জেলা ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রমের ভলেন্টিয়ারা।

আজ সোমবার বিকালে পৃথক ভাবে জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি ও জেলা শিক্ষা অফিসার শাহিন আক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করেন ভলেন্টেয়িাররা। এসময় জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রমের জার্সি হস্তানর করেন প্রতিনিধি দল।

ট্যলেন্ট হান্ট কার্যক্রমের আঞ্চলিক প্রতিনিধি এসএম মুজাহিদ আল মুন্নার নেতৃত্বে অন্যদের মধ্যে জেলা ভলেন্টিয়ার আতিক স্বপন, ভলেন্টিয়ার এজেডএম তৌহিদুল আজম, শাব্বির হোসেন শিশির, আব্দুল মান্নাফ, মেহেদী হাসান শিমুল উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় ট্যালেন্ট স্পোর্টস লিমিটেড এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।




সফলতা শুধু আপনার জন্যই – এম.এ.এস ইমন

আপনি যখন জিতে যাবেন তখন আপনার চারপাশে সবাই জিতে যাবে। সেই মুখগুলো আপনাকে নিয়ে খুব গর্ব করবে একদিন যে মুখগুলো আপনাকে দেখলে কালো হয়ে যেতো। অনেক অপরিচিত মুখও আপনার কাছে পরিচিত হয়ে যাবে। এমন অনেক জায়গা থেকে আপনার নাম্বারে ফোন আসবে যাদের নামও আপনি শুনেন নাই। আপনি হবেন সবার মধ্যমণি।

কিন্তু যদি আপনি হেরে যান, তাহলে শুধু আপনি একাই হারলেন। কেউ আপনার সঙ্গী হবে না। যে আত্মীয় স্বজন এক সময় আপনাকে নিয়ে গর্ব করতো তারা আপনাকে নিয়ে টিজ করবে, তাদের কাছে হবেন আপনি তামাশার পাত্র। আপনি যখন দু:সময়ে থাকবেন তখন আপনার জবান কে বন্ধ রাখুন। হতাশ হবেন না, ভেঙ্গে পড়বেন না।

নীরব নিস্তব্ধভাবে প্রস্তুতি নিন উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য। আর সেই জবাব টা কি জানেন ? শুধু মাত্র একটা সফলতা। আপনার একটা সফলতা আপনার সমস্ত সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেবে। তাদের জন্য উপযুক্ত জবাব হয়ে যাবে। তাদের মুখে সুপারগ্লুর মতো আঠা লাগিয়ে দিবে। এবং এটা আপনার দ্বারা খুবই সম্ভব। কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই কিন্তু কেউ মরতে চাই না। কিন্তু সেটাতো অসম্ভব। আর এই অসম্ভব কাজটাকে সম্ভব করার জন্য আপনার জীবন থেকে চারটা “P’ কে বাদ দিন আর ছয়টা টা “P” কে জীবনের সাথে যোগ করুন। যে চারটা P কে জীবন থেকে বাদ দিবেন:—– প্রথম P :Procrastination মানে হলো কাল ক্ষেপণ, আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু এভাবে শুধু নিজেকে পিছিয়ে। আপনাকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য শয়তান আর প্রবৃত্তির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এই একটা P ই যথেষ্ট।

আপনি ভাবছেন বিকাল থেকে শুরু করবেন, কিংবা আগামীকাল থেকে শুরু করবেন। মনে রাখবেন সেই বিকাল কিংবা আগামীকাল আপনার জীবনে আর কখনো আসবে না। সেটা শুধু “আগামী” বলেই থেকে যাবে।

দ্বিতীয় P :-Phobia মানে ভয়। অনেক কিছুর ভয় হতে পারে যেমন নিজের অযোগ্যতার ভয়, নিজের অক্ষমতার ভয়, মানুষের সমালোচনার ভয়…. আরো কত কি। নিজের যোগ্যতা আর সক্ষমতার ব্যাপারে যদি আপনার ভয় হয়, তাহলে আপনার জন্য বলছি, আপনি কি জানেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে দুই প্রসিদ্ধ ফল আর দুইটা পবিত্র এবং নিরাপদ নগরীর কসম খেয়ে বলেছেন ” আমি মানুষ কে অতি উত্তম গঠনে সৃষ্টি করেছি ” এই উত্তম গঠনের মধ্যে একটা মানুষের যত ধরণের গুনাবলী দরকার যেমন তার যোগ্যতা, সক্ষমতা, মেধা , শক্তি, সাহস, বীরত্ব সব গুলো আল্লাহ দিয়ে দিয়ছেন। অর্থাৎ আপনার মধ্যে অনেক যোগ্যতা আছে যা আপনি জানেন না। কিংবা কখনো আপনি জানার চেষ্টাও করেন নাই। তাই আপনার দায়িত্ব হলো আপনি নিজেকে নিজের মধ্য থেকে আবিষ্কার করুন। আপনি যোগ্য বলেই আপনি এসএসসি, এইচ এসসি, অনার্স, মাস্টার্স সব পাশ করছেন। সুতরাং আপনি এই কথা বলবেন না যে চাকরিটা আমার দরকার, কারণ এই কথার দ্বারা আপনার একটা অসহায়ত্ব বুঝায় বরং আপনি বলুন এই চাকরিটা আমার জন্যই, আমি চাকরিটা ডিজার্ভ করি। আমাকেই সেখানে যেতে হবে। আমিই এটার উপযুক্ত ব্যক্তি। আর সমালোচনার ভয়? এদের সমালোচনা কানে নিয়ে এদের কে উপরের শ্রেণীতে তুলবেন না । ছোটলোক গুলোকে ছোটলোকের শ্রেনীতে থাকতে দিন। এদেরকে ভালোও বাসবেন না আবার ঘৃণাও করবেন না। এদেরকে শুধু উপেক্ষা করুন। আপনার আপন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান।

তৃতীয় P :- Pessimistic বা হতাশাগ্রস্থ। এই P টাকেও আপনার জীবন থেকে দূর করতে হবে। অবস্থার যতই অবনতি হোক না কেন, যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিই আসুক না কেন, কখনোই হতাশ হবেন না। মনে রাখবেন এই দুর্যোগপূর্ণ পৃথিবীর কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এমন কি আমাদের সমস্যা গুলোও। সব সময় নিজেকে আশা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আবদ্ধ রাখুন। ভাবুন আমার অবস্থা যেমন তার চেয়েও আরো অধিক খারাপ হতে পারতো। এখনতো অনেক ভালো আছি। খুব শীঘ্রই আল্লাহ আমার দু:সময় দূর করে দেবেন। আর আল্লাহ বান্দার আশা অনুযায়ী তার ব্যাপারে ফায়সালা দেয়। নিজেকে সব সময় বলুন আমি হেরে যাবার পাত্র নই। আমি হেরে যাবো বলে স্বপ্ন দেখে নি। আমি ক্লান্ত কিন্তু আমি পরাজিত নই। আমাকে আমার গন্তব্যে যেতেই হবে। আমি থেমে যাওয়ার পাত্র নই। আমি লক্ষ্যে অবশ্যই পৌঁছাবো।

চতুর্থ P : Parasite মানে পরজীবী। এই P টাকেও দূর করতে হবে। কারো কাছে কোনভাবেই, না মানসিকভাবে, না আর্থসামাজিকভাবে কখনো পরজীবী হবেন না। এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন ব্যপারে কারো কাছে নির্ভরশীল হবেন না। নিজের ব্যক্তি সত্ত্বার সাথে কাউকে মিশ্রিত করবেন না।

যে ছয়টা “P” আপনার জীবনের সাথে যোগ করবেন:-
প্রথম P:-Positivity অর্থাৎ ইতিবাচক মনোভাব। আর এটার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি হলো ” না এর সাথে না যোগ করুন, আর হ্যাঁ এর সাথে হ্যাঁ “। কেউ যদি বলে তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, সাথে সাথে আপনিও বলে দিন “তোমার কথা ঠিক না”, কেউ যদি বলে চেষ্টা করো পারবে, আপনিও বলুন ইনশাআল্লাহ, হ্যাঁ আমি পারবো । সব কিছু ইতিবাচকভাবে চিন্তা করুন। নিজেকে ও নিজের যোগ্যতাকে রেস্পেক্ট করুন। জায়গা মতো সেগুলো কে প্রদর্শন করুন কিন্তু অহংকার করবেন না। যোগ্যতা প্রদর্শন এক জিনিস আর অহংকার আরেক জিনিস। আল্লাহ আপনাকে যোগ্যতা দিয়েছে সেটা তার পক্ষ থেকে আপনার উপর নিয়ামত। সেটাকে ব্যবহার করার জন্যই দিয়েছে, সিন্দুকে তালা দিয়ে রাখার জন্য নয়। এতে নেতিবাচক মানষিকতার মানুষ গুলো আপনাকে গালি দিয়ে বলবে “শালা তো নিজের ঢোল নিজে পিটায় ” আপনি বলে দিন আমার ঢোল আছে দেখেই আমি পিাটাতে পারি, পারলে আমার মতো একটা ঢোল অর্জন করে তুমিও পিটানো শুরু করো। নিজের আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন গুলো কে সন্তানের মতো লালন পালন করুন। এই গুলোই আপনার চুড়ান্ত অর্জনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে।

দ্বিতীয় P :- Passion বা অর্জন করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। এমন না যে পাইলে পাইলাম, না পাইলে নাই। এরকম মানসিকতা নিয়ে কখনো কোন কাজে সফল হতে পারবেন না। মানসিকতা এই রকম হওয়া চাই যে, আমার একটাই লক্ষ্য যে আমাকে ক্যাডার হতেই হবে, আমাকে জব পেতেই হবে, আমাকে সফল বিজনেসম্যান হতেই হবে — দ্বিতীয় আর কোন অপশন নাই, দেখেবেন এই দৃড় প্রতিজ্ঞাই আপনাকে গন্তব্যে নিয়ে যাবে।

তৃতীয় P :- Plan বা পরিকল্পনা যার মানে হলো আপনার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চিন্তাগুলো এক ফ্রেমে আবদ্ধ করা। আর এর মূল উদ্দ্যেশ্যে হলো গুরুত্ব অনুযায়ী কাজকে প্রধান্য দেয়া। আমার কাজ তো অনেক আছে কিন্তু এই মুহুর্তে কোন কাজটা আমার জন্য সবচেয়ে জরুরী সেটাকে নির্ধারণ করে আগে করা। এভাবে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাওয়া। প্লান ছাড়া কোন কাজেই সফলতা আশা করা যায় না। দিন শেষে সবকিছু পন্ডশ্রম মনে হবে। তাই প্লান হচ্ছে সফলতার মৌলিক ভিত্তি।

চতুর্থ P :- Perseverance মানে কঠোর অধ্যবসায় সাথে অনুশীলন। পরিশ্রম আর অনুশীলন এই গুলো হচ্ছে এক ধরণের সুমিষ্ট পানীয়ের মতো যে এটা যত বেশী পান করবে তার জীবন ততবেশী সুমিষ্ট হবে। আপনি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে অনুশীলন চালিয়ে যান। একবার ব্যর্থ হয়েছেন বলে থেমে যাবেন না , আবার শুরু করুন। কাজের মধ্যে লেগে থাকুন। কাজ করতে থাকুন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না আপনি আপনার গন্তব্যে না পৌঁছিয়েছেন। অবিরামভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।

পঞ্চম P :- Patient বা ধৈর্যশীল। কাজ করতে করতে অনেক সময় বিরুক্তি চলে আসবে, কিংবা হতাশা আসতে পারে কিন্তু এই মুহুর্তে ধৈর্য্যের সাথে সব কিছু মোকাবেলা করতে হবে। মনে রাখবেন একটা রঙধনু দেখতে হলেও বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হয়, জোছনার আলো উপভোগ করতে হলেও একটা রাতের জন্য অপেক্ষা করতে হয় আর আপনি এমন কিছু অর্জন করবেন যার মাধ্যমে আপনি সারাটা জীবন সুখে শান্তিতে কাটাবেন, তার জন্য কিছু অপেক্ষা করবেন না তা কি করে হয়। তাই অস্থিরও হওয়া যাবে না অলসও হওয়া যাবে না। ধৈর্য্যের সাথে সব মোকাবেলা করতে হবে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।

ষষ্ঠ P :-Prayer বা দোয়া। সফলতা হলো ৯৯% পরিশ্রম আর ১% দোয়ার যোগফল। তবে মাঝে মাঝে এই ১% যদি ঠিক না থাকে তাহলে বাকী ৯৯% ও অর্থহীন হয়ে পড়ে। অনেক আগে টিভিতে একটা গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিত এইরকম গাড়িটা ৯৯% ভালো এর মধ্যে এ.সি, GPS সিস্টেম সেট করা আছে, অতিরিক্ত ব্যাটারি সহ আরো অনেক কিছু। তবে ১% সমস্যা আছে আর সেটা হলো গাড়িটার ব্রেক গুলো নষ্ট। তো এই গাড়িটার ৯৯% যেরকমভাবে ১% এর জন্য অর্থহীন হয়ে গিয়েছে, ঠিক একইভাবে আমাদের ৯৯% পরিকল্পনা, পরিশ্রম অর্থহীন হয়ে যাবে যদি আমাদের ১% দোয়া ঠিক ভাবে না হয়, আল্লাহ যদি কবুল না করেন।

তাই আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন- হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইয়াহুদি, ক্যাথলিক বা মুসলিম, আপনার পবিত্র ধর্র্মীয় রীতিমতো আন্তরিকতার আপনার সৃষ্টি কর্তার কাছে আপনার আকাঙ্ক্ষার জন্য প্রার্থনা করুন। যারা মুসলিম আছেন তারা অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে পড়বেন। কোন অবস্থাতেই এটা ছাড়বেন না। জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে। পারলে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়ুন। সে সময় দুয়া কবুল হয়। আল্লাহর কাছে আকুতি মিনতি করে বলুন ” হে আল্লাহ তুমি আমাকে মানুষের কাছে সমালোচনা বা তামাশার পাত্র বানিওনা। আমাকে যে যোগ্যতা দিয়েছো তা কাজের লাগানোর তৌফিক দাও। কারো দুয়ারে লবিং এর জন্য দ্বারস্থ করিও না। আমাকে নিরাপদে আমার সফলতার গন্তব্যে পৌঁছে দাও। এইভাবে দোয়া করেন। মনে রাখবেন একজন ভিক্ষুক যদি বার বার আমাদের দরজায় এসে কড়া নাড়ে তাহলে এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে হলেও তাকে কিছু দান করে বিদায় করে দেই। আমরা মানুষ হয়ে যদি এইরকম টা করতে পারি তাহলে আমাদের রব আল্লাহর দরজায় যদি আমরা বার বার কড়া নাড়ি, তিনি অবশ্যই আমাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। আমিন

লেখক: মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক ও প্রেট্রো বাংলার পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ।