অনেকেই ঘরে বা অফিসে ভার্চ্যুয়াল সহকারী সুবিধার স্মার্ট স্পিকার ব্যবহার করেন। মুখের কথায় নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকায় দিন দিন এ ধরনের স্পিকারের চাহিদা বাড়ছে। তবে ভার্চ্যুয়াল সহকারী সুবিধার স্মার্ট স্পিকার সম্পর্কে উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে ভিপিএন ও অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান ভিপিএনওভারভিউ। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, প্রয়োজন না হলেও সব সময় ব্যবহারকারীর কথা শুনতে থাকে স্মার্ট স্পিকার। ইন্টারনেটে যুক্ত থাকায় সংগ্রহ করা তথ্যগুলো নিজ নিজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েও দেয়। বন্ধ বা নষ্ট না হলে এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।
ব্যবহারকারীদের অজান্তে বাড়তি তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি অস্বীকার করে গুগল বলেছে, নেস্ট স্মার্ট স্পিকারের কোনো তথ্য নিজেদের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয় না। অ্যামাজন জানিয়েছে, ইকো স্মার্ট স্পিকারের তথ্য ক্লাউড সার্ভারে নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়। ব্যবহারকারী চাইলেই তথ্যগুলো মুছে ফেলতে পারেন। তবে অ্যাপল জানিয়েছে, হোমপড স্পিকার ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয় ন্যূনতম তথ্য ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়।
স্মার্ট স্পিকারগুলোয় বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহারের জন্য অনেকেই তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিসেবা ব্যবহার করেন। ভিপিএনওভারভিউয়ের দাবি, এসব সেবাগুলো খুব বেশি নিরাপদ নয়। এসব সেবায় নিরাপত্তা ত্রুটি থাকায় তথ্য ফাঁস ও হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্মার্ট স্পিকার দিয়ে অনলাইনে সরাসরি কেনাকাটা করার সময় দুই স্তরবিশিষ্ট যাচাইকরণ ব্যবস্থা ব্যবহারেরও সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: টেকরাডার