মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় তিন শতাধিক পল্লী চিকিৎসক রয়েছেন। এদের অধিকাংশেরই প্রাতিষ্ঠানিক কোন সনদপত্র নেই ওষুধ বিক্রয়ের ড্রাগ লাইসেন্স নেই। অনেকে প্রথমে ছোটখাটো ঔষধের দোকান দিয়ে শুরু করে পরে পল্লী চিকিৎসক হয়েছে।
একজন পল্লী চিকিৎসকের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি থাকলেও ছোট থেকে বড় সব ধরনের চিকিৎসা করে থাকেন তারা। শিশুসহ বৃদ্ধ যেকোনো বয়সের মানুষের বিভিন্ন সমস্যার জন্য কোন প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ দিয়ে থাকে তারা। নিজেদের সুনাম বৃদ্ধি করতে হরহামেশায় দিয়ে থাকেন এন্টিবায়োটিক ঔষুধ। যাতে করে রোগী সাময়িক উপশম হলেও বিপদের দিকে ধাবিত হয়।
সুধী সমাজ বলছে, এসকল গ্রাম্য চিকিৎসকের উপর নেই কোন প্রশাসনিক নজরদারি। পল্লী চিকিৎসক গ্রামের সাধারণ মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। অনেক সময় রাত্রী বেলা মানুষ একজন পল্লী চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দাঁড়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষ। এই সুযোগে সাধারণ মানুষের উপকারের চেয়ে ক্ষতি করছে অনেকে। কারণ তারা প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রশিক্ষণ না নিয়েই করে চলেছেন চিকিৎসা। পল্লী চিকিৎসকদের সঠিক পরিসংখ্যান করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তারা।
পল্লী চিকিৎসকের সনদপত্র প্রাপ্ত কয়েকজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, একজন পল্লী চিকিৎসকের অবশ্যই প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরী। গ্রামের সাধারণ মানুষ প্রথমেই পল্লী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। ভুল চিকিৎসায় সাধারণ অসুখ থেকে মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে একজন রোগী।
সনদপত্র প্রাপ্ত নয় এমন কয়েকজন পল্লী চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু বই-পুস্তক পড়ে চিকিৎসা করছি। সময় ও সুযোগের অভাবে কোর্স করা হয়নি। খুব দ্রুত প্রশিক্ষণ কোর্স করে নেব।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রিয়াজুল আলম জানান, পল্লী চিকিৎসকের এলএমএএফ, ডিএমএস বা আরএমপি করা থাকতে হবে। যাদের পল্লী চিকিৎসকের কোন কোর্স করা নেই তাদের এ পেশায় না থাকাই উচিত। আমরা জানতে পেরেছি অনেকেই পল্লী চিকিৎসকের কোর্স না করেই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। খুব দ্রুত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।