জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগস্পিনার আব্দুল কাদিরের ছেলে উসমান কাদির। নিজের অভিষেক সিরিজেই সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন উসমান।
টানা তিন ম্যাচ জিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করতে অবদান রাখায় জিতেছেন সিরিজসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শেষ হয়েছে। শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটের সহজ জয়ে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করে দিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান।
তৃতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা এ লেগস্পিনার নিজের ৪ ওভারের স্পেলে খরচ করেছেন মাত্র ১৩ রান, সাজঘরে পাঠিয়েছেন চার ব্যাটসম্যানকে। তার মায়াবি স্পিনের বিপরীতে জবাব খুঁজে পাননি চামু চিবাবা, ওয়েসলে মাধভের, মিল্টন শুমা ও এল্টন চিগুম্বুরারা। এমন বোলিংয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন উসমান।
তবে সিরিজসেরার পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে প্রথম দুই ম্যাচের পারফরম্যান্সও। গত ৭ নভেম্বর নিজের অভিষেক ম্যাচে তেমন সুবিধা করতে পারেননি উসমান। তাকে দিয়ে পুরো ৪ ওভারই করাননি অধিনায়ক বাবর আজম। খানিক খরুচে বোলিংয়ে ৩ ওভারে ২৪ রান খরচায় নেন শন উইলিয়ামসের উইকেট।
প্রথম ম্যাচে ঠিক প্রত্যাশামাফিক বোলিং করতে না পারলেও, দ্বিতীয়টিতেই ঘুরে দাঁড়ান উসমান। এবার হয়ে যান দলের সেরা বোলার, ৪ ওভারের স্পেলেন খরচ করেন মাত্র ২৩ রান, সাজঘরে পাঠান ওয়েসলে মাধভের, সিকান্দার রাজা ও এল্টন চিগুম্বুরাকে। তবে এ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন হায়দার আলি।
ধারাবাহিক উন্নতির অংশ হিসেবেই শেষ ম্যাচে নিজের প্রথম দুই ম্যাচকেই ছাড়িয়ে গেছেন উসমান। তৃতীয় ম্যাচটিতে ১৩ রানে ৪ উইকেটসহ পুরো সিরিজে তিন ম্যাচে মাত্র ৫.৪৫ ইকোনমি রেটে ৮ উইকেট শিকার করেছেন তিনি, গড় মাত্র ৭.৫০। যা তাকে এনে দিয়েছে সিরিজসেরা খেলোয়াড় হওয়ার সম্মান।
বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দীর্ঘদিন পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে সার্ভিস দেবেন, এমনটাই প্রত্যাশা কিংবদন্তি লেগস্পিনার আব্দুল কাদিরের ছেলে উসমান কাদিরের ওপর।