মেহেরপুর কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (টিটিসি) রাতের আধারে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় তৃতীয় তলার দুটি ট্রেডের তালা ভেঙ্গে এ চুরির কাজ করেছে বলেছে জানা গেছে। তবে কারা এর সাথে জড়িত এ বিষয়ে নিশ্চিৎ করা না গেলেও চোররা যে আইসিটি বিষয়ে পারদর্শি তাতে সন্দেহ নেই কারও।
৭৬টি কম্পিউটারের র্যাম, প্রসেসর, হার্ড ডিস্ক সহ দামি জিনিস গুলো নিয়ে গেছে সংবদ্ধ চোর সদস্যরা।
এদিকে সরকারি ভবনে এতো বড় চুরির ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। লাখ লাখ টাকার যন্ত্রপাতির কোন সুরক্ষা থাকেনা সরকারি অফিসে। এ দায় কার, প্রশ্ন সাধারণ জনগণের।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ধারনা করা হচ্ছে একাধিক ব্যাক্তি এর সাথে জড়িত। যে ক্যামেরা টি গেটে লাগানো ছিল ভিতরে প্রবেশের পর সেটি বন্ধ করে দেয় চোরের দল।
পুলিশের প্রাথমিক ধারনা এটা পরিকল্পিতভাবে চুরি করা হয়েছে। সেই সাথে এই টিটিসি ভবন সম্পর্কে চোরের যথেষ্ট ধারনা আছে।
এ বিষয়ে টিটিসির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম জানান, রাত ১২টা পর্যন্ত আমি ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এর পর আমি ঘুমিয়ে যায়। সকালে অফিসে এসে দেখি দুটি কক্ষের তালা ভাঙ্গা। ভিতরে প্রবেশ করার পর চোখে পড়ে কম্পিউটার গুলো ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে এবং এর ভিতরের বিভিন্ন দামি যন্ত্রগুলো নেই। এ ঘটনা মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে পরিদর্শন করে। পরে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। কারা কিভাবে এতো বড় চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে এব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রবিউল ইসলাম জানান, চোর যে বা যারাই হোক না কেন খুব তাড়াতাড়ি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতি মধ্যে সিটি ফুটেজ ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে চোর চক্রকে আটক করা হবে।
-নিজস্ব প্রতিনিধি