গত তিন দিনের টানা বর্ষণে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলাসহ জেলার অধিকাংশ কৃষকের স্বপ্ন ধুলিসৎ হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে ভাষিয়ে দিয়েছে তাদের ধান ক্ষেত, ক্ষতি হয়েছে সবজি চাষে।
উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের কৃষক কবির হোসেন বলেন, আমার তিন বিঘা জমির ধান কেঁটেছিলাম ১১ নভেম্বর বিচলী করার জন্য মাঠে পড়ে ছিল প্রায় শুকিয়েও গিয়েছিল ১৩ তারিখে গুছিয়ে আনার কথা ছিল কিšুÍ সেদিন থেকে বৃষ্ঠি শুরু হয়েছে। এখন সব ধান পানিতে ভাসছে এবং পঁচে কল গজিয়ে যাচ্ছে। এরকম পারফলসী গ্রামের বাবুল আক্তার, ঘোড়াগাছা গ্রামের হাবিব, রবিউল, হিজলী গ্রামের রবিউল মুন্সী, শিতলী গ্রামের আব্দুর রশিদসহ এমন অনেকেই তাদের কষ্টের কথা শুনিয়েছেন। সাগরের লঘু চাপে সারাদেশেরে ন্যায় ঝিনাইদহে গত ১৩নভেম্বর থেকে তিনদিন যাবৎ থেমে থেমে বৃষ্ঠি হচ্ছে। কৃষকরা তাদের পাঁকাধান কাঁটার স্বপ্নে বিভর ছিল।
কিন্তু অনেক কৃষকের এখন মাথায় হাত। তারা ভাবছে কিভাবে তাদের সারাবছরের খাবার ঘরে আসবে? এছাড়া অনেক কৃষকের মুলা, পালংসাক বাঁধাকঁপি, মরিচসহ অনেক কিছুই নষ্ট হয়েগেছে। এরকম আরো দুএকদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে উপজেলার সত্তর ভাগ কৃষকের রাস্তায় বসতে হবে।
এবিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান বলেন, উপজেলায় ১১২০০ হেক্টর জমিতে এবছর আমনের আবাদ হয়েছে, টানা বৃষ্টিতে কৃষকরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উপ-সহকারী উদ্ভীদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মনিশংকর বিশ্বাস বলেন পঁচন রোধে কোন ওযুধ স্প্রে করা যাবেনা কারণ এর বিষক্রিয়া খাদ্য থেকে দীর্ঘদিন নষ্ট হতে চাইনা। পানিবদ্ধ জমির পানি দ্রুত বের করে দিতে হবে। আর আবহাওয়া ভাল হলে উল্টে পাল্টে সুকালে ক্ষতি কিছুটা কম হবে।