অসহায় মানুষের পাশে দৈনিক আমার সংবাদের সম্পাদক ও প্রকাশক
হাশেম রেজা
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা ও জীবন নগর উপজেলায় করোনা মহামারীর
বর্তমান পরিস্থিতিতে অসহায় ওগরীব মানুষের মধ্যে নয় হাজার অসচ্ছল
পরিবারের মাঝে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দৈনিক আমার
সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: হাশেম রেজা।
দিন রাত পরিশ্রম করে করোনার ঝুঁকি উপে¶া করে পায়ে হেটে প্রতিটা
পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, সাবান ও মাস্ক
প্রদান করেন।
এই আপদ কালীন সময়ে সহযোগিতা অব্যহত রেখেছে উপরন্ত ০১৭১১-
১৩৫৫১৭ মোবাইল নং দিয়ে আসছে কারন এই আপদ কালীন সময়ে
যেকোন মুহূর্তে যে কোন সময় ফোন করলে সহযোগিতার হাত
বাড়িয়ে দেবেন বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন।
দেশনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে ২২শে মার্চ
হতে করোনা যুদ্ধে করব জয়, বাসার বাইরে আর নয় এই শ্লোগানকে
সামনে রেখে গণসচেতনতা মুলক প্রচারাভিযান অব্যহত রেখেছে।
দেশের এ সংকটময় সময়ে ¯^াস্থ্য সেবা প্রদান করতে গরীব ও অসহায়
মানুষের সেবায় আত্ম নিয়োগ করে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছে তাদের প্রতি
শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন
এই নেতা।
যদিও তিনি চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী
তবুও বর্তমানে সব কিছু ভুলে করোনার বিপ¶ে মানুষের
সহযোগিতায় আত্ম নিয়োগ করেছেন। নিজে নিরাপদ থাকি এবং
দেশের মানুষের প্রাণ র¶ায় সহযোগিতা করি।
কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ুলগাছি বাজারে মানছে না সরকারি আদেশ
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ুলগাছি
বাজারে সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারী মানুষের দৃষ্টি পুলিশ আর
সেনাবাহিনীর দিকে। তাদের উপস্থিতি টের পেলেই পালাচ্ছে তারা।
সামাজিক দূরত্ব র¶া ও জনসমাগম বন্ধে সরকারের কঠোর ভূমিকার পরও
মানুষের সচেতনতার অভাবে তা কার্যকর হচ্ছে না।
অবাধে চলছে, রাস্তায় আড্ডাবাজি ও চায়ের দোকানে, থাকছে সব বয়সের
মানুষের আড্ডা। চায়ের দোকানের সামনের দর্জা বন্ধ করে পর্দা লাগিয়ে
দেখলে মনে হবে রমজান মাস।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ
অবস্থায় গত শনিবার থেকে সরকার কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী রাস্তায় মটরসাইকেলে, অটোভ্যান, ইজিবাইক এবং
মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের
বাইরে বের হতে পারবে না। এ নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কিন্তু কে শোনে কার কথা। রাস্তায় লোকজন অবাধে চলাচল চলছে। ৫/৬ জন
যাত্রী নিয়ে চলছে ইজিবাইক, অটো ভ্যানসহ বিপদজনক ভাবে বেড়েছে
মোটরসাইকেল অপ্রাপ্ত বয়স্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী চালকরা যার
যে ধরনের মোটরসাইকেল আছে তা নিয়েই বেরিয়ে পড়েছে মহাসড়কে।
সামাজিক দূরত্বের কথা চিন্তা করে গণপরিবহন বন্ধ করা হলেও মাত্র আড়াই
ফুটের একটি সীটে চালকসহ গাদাগাদি করে বসে চলছে ৩ জন।
এতে ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার প্রবল ঝুঁকি রয়েছে। আর অদ¶ শত শত
চালক, মোটরবাইকে এক সিটে তিন জনের ভ্রমণে মহাসড়কের
কার্পাসডাঙ্গা, কুড়ুলগাছি এলাকায় ঘুরাঘুরি করেছে প্রতিদিনিই
এক সাথে একাধিক লোক দাঁড়িয়ে গল্প, আড্ডাবাজি চলছে সমানতালে।
সামাজিক দূরত্ব র¶া হচ্ছে না কুড়ুলগাছি বাজারসহ এলাকার পাড়া
মহল্লায় গড়ে ওঠা দোকান গুলোতে আগের মতোই ভিড় হচ্ছে।
মেইন রোডের বাইরে সব ধরনের দোকানে বেচাকেনা চলছে। মানুষ দূরত্ব
র¶া ও সরকারি নির্দেশনা না মেনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে পাহারা
দিচ্ছে। কখন কোন রাস্তায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী প্রবেশ করে
সেদিকেই তাদের দৃষ্টি। তাদের উপস্থিতি টের পেলেই রাস্তা বাজার
ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ে যাচ্ছে। কিছু¶ণের জন্যে করোনার
ভয়াবহতা ও সরকারি নির্দেশনার আলামত
দেখা যাচ্ছে।
পর¶ণে যথা পূর্বং তথা পরং অবস্থা। অবশ্য, করোনা ভাইরাসরোধে সরকারি
নির্দেশনা কার্যকরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কঠোর ভূমিকা পালন, তারা
একেকটি এলাকায় বহুবার টহল দিচ্ছে এবং জরিমানা ও লাঠি চার্জ
করছে। জনবল সংকটের কারণে তাদের প¶ে এক এলাকায় সার্ব¶ণিক
অবস্থান করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সুযোগটিই গ্রহণ করছে অসচেতন
মানুষ গুলো।