সিনেকুয়েস্টের পর এবার দক্ষিণ এশিয়ান সিনেমার একমাত্র অস্কার কোয়ালিফাইং উৎসব ‘১৯তম তাসভির ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অ্যান্ড মার্কেট’-এ একমাত্র বাংলাদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছে শাহনেওয়াজ খান সিজু নির্মিত ‘নট আ ফিকশন’।
এই নিয়ে টানা ২য় বারের মতো হলিউডের অস্কার- কোয়ালিফায়িং উৎসবে সিলেকশন পেল আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক শটে নির্মিত বাংলাদেশি এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি, যার বাজেট ছিল মাত্র ১০ হাজার টাকা।
দক্ষিণ এশিয়ান ডায়াস্পোরার ১১০টি চলচ্চিত্র নিয়ে আয়োজিত এই উৎসবটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির সিয়াটল শহরে আগামী ১৫ থেকে ২০ অক্টোবর, ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হবে, যার ফিল্ম মার্কেট সেশনের কী-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অস্কার মনোনীত ভারতীয়-কানাডিয়ান নির্মাতা দীপা মেহতা।
এছাড়া অমিতাভ বচ্চন, বাবিল খান, পায়াল কাপাডিয়াসহ নেটফ্লিক্স, এইচবিও, সিএএ এবং আমাজন এমজিএম স্টুডিওসের মতো হলিউডের বড় বড় স্টুডিওগুলো উপস্থিত থাকবে দক্ষিণ এশিয়ান সিনেমা কেন্দ্রিক নর্থ আমেরিকার প্রথম এই গ্লোবাল ফিল্ম মার্কেট এবং ফেস্টিভ্যালে।
বাংলাদেশি নির্মাতা শাহনেওয়াজ খান সিজু তার প্রথম ফিচার ফিল্মের আন্তর্জাতিক ফান্ড সংগ্রহের জন্য অংশ নেবেন তাসভির ফিল্ম ফান্ড পিচেস (নেটফ্লিক্স সাপোর্টেড), কো-প্রোডাকশন মার্কেট, ইন্ডাস্ট্রি প্যানেল এবং নেটওয়ার্কিং সেশনে। আগামী ১৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র সময় দুপর ২টায় ‘নট আ ফিকশন’-এর সিয়াটল প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে উৎসবের মূল ভেন্যু এসআইএফএফ সিনেমা আপটাউন, সিয়াটলে। যেখানে ছবিটি লড়াই করবে সেরা অডিয়েন্স চয়েস এবং জুরি অ্যাওয়ার্ডের জন্য; যা একটি অস্কার কোয়ালিফায়িং অ্যাওয়ার্ড।
এই উৎসবের সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের পুরস্কার ছিনিয়ে আনতে পারলে নুহাশ হুমায়ুনের পরে ২য় বাংলাদেশি নির্মাতা হিসেবে অস্কারে কোয়ালিফাই করবেন শাহনেওয়াজ খান সিজু।
আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সিজু জানান, ‘তাসভিরের মতো এত বড় উৎসবে যাওয়াটা নিঃসন্দেহে আনন্দের খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী ১৩ অক্টোবর সিয়াটলের উদ্দেশে ফ্লাই করব আমরা।’ তিনি আরো বলেন, “এতদিন ‘নট আ ফিকশন’-এর সফলতার গল্পই শুনে এসেছে সবাই, বারবার জানতে চেয়েছে ছবিটার গল্প নিয়ে। দেশে কেন দেখাচ্ছি না সেটা নিয়েও প্রচুর প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি গত এক বছরে, তবে গুম হয়ে যাওয়ার ভয়ে উত্তর দিতে পারিনি। শুধুমাত্র আমার কাছের মানুষেরাই জানে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো স্পর্শকাতর একটা বিষয় নিয়ে কীভাবে বানিয়েছি এই ছবিটা। ভয় পাচ্ছিলাম, কখন যেন আবার আয়নাঘরে বন্দি হতে হয়! যাক, স্বাধীন দেশে এবার দেখাব ছবিটা, মাসখানেকের মধ্যেই ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের আমেরিকান সেন্টার অথবা ইএমকে সেন্টারে প্রথম প্রিমিয়ারটা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মুক্তি দেব ছবিটা, প্রকাশ্যে।”
সূত্র: ইত্তেফাক